Powered By Blogger

Tuesday, April 22, 2025

প্রবন্ধঃ বিশ্বজুড়ে ধ্বংস ও মৃত্যু এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস ও মৃত্যুর লীলা চলছে। এর হাত থেকে বাঁচার উপায় কি?
গোটা পৃথিবীটা অগ্নিগর্ভ হ'য়ে উঠেছে। বারুদের গন্ধে, ধোঁয়ায় বায়ুমন্ডল ঢেকে গেছে। অসহায় নারীপুরুষ, শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা সমস্ত অসহায় ভয়ার্ত মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হ'য়ে গেছে। তবুও মানুষের কানে পৌঁছচ্ছে না সেই অসহায় যন্ত্রণাকাতর কান্নার আওয়াজ। পৃথিবীর একদিকে ক্ষমতাধর মানুষ হিংস্র পশুর চেয়েও হিংস্র উন্মত্ত উন্মাদ হ'য়ে মেতে উঠেছে মানুষকে হত্যা লীলায়। আর একদিকে ক্ষমতাধর মানুষ তা চেয়ে চেয়ে দেখছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধ্বংসাত্মক যজ্ঞ দেখার পরও মানুষ দেশে দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কারণে অকারণে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে প্রতিবাদের জন্য বিপ্লবের নামে, বিদ্রোহের নামে উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল্ভাবে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাচ্ছে। সরকার পক্ষ সেই প্রতিবাদের বিপ্লবের আগুন, বিদ্রোহের আগুন নেভাবার জন্য পাল্টা শাসনের নামে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে কিংবা দমন পীড়ন চালাচ্ছে। ক্ষমতা দখলের জন্য, ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিপ্লব, বিদ্রোহের Blue print নীল নকশাকারীরা যে কোনও ইস্যুকে মূল্ধন ক'রে সাধারণ মানুষকে দাবাড় বোড়ের মত নিজেদের উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছে। সরকার ও ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য বিরোধী দল পারস্পরিক লড়াইয়ে মেতে উঠেছে সামাজিক নানা ইস্যুতে সেই সাধারণ আমজনতাকে ঢাল ক'রে। দেশের ভেতরে সংঘাত ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংঘাত, যুদ্ধ দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ও আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনাবলীর কারণে। দেশের অভ্যন্তরে সংঘাত ও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সংঘাত, যুদ্ধ নানান কারণে হয়। ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, ব্যক্তিগত শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধ বাধে। বর্তমানে অনেক দেশের অভ্যন্তরে ক্ষমতা দখলের সংঘাত হচ্ছে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে বা যুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় হামাস ও ইজরায়েলের যুদ্ধ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। বর্তমানে যুদ্ধরত দেশগুলো হচ্ছে - ইউক্রেন - রাশিয়া, ইজরায়েল - ইরান।
বর্তমানে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, পারমাণবিক বোমা এসবের মধ্যে শুধু যুদ্ধ সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমান যুদ্ধ প্রতিনিয়ত হ'য়ে চলেছে স্লো পয়েজনের মত কূটনীতি ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার ক'রে, যা আরও ভয়াবহ, ভয়ংকর। যার প্রভাব এসে পড়ছে সাধারণ মানুষের মনে, মস্তিষ্কের চাপে মানুষ আজ দিশাহারা।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতি যে বিদ্যমান এর মধ্যে ইউক্রেন এবং রাশিয়া, এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশেও সংঘাতের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন এখনো চলছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ কার্যক্রম চলমান।
অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে।
পাকিস্তানের বালুচিস্তান, ভারতের পি ও কে এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান ঘটনাও আমরা ওয়াকিবহাল আছি। ২০২৪ এর জুলাই আগষ্ট থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই আমরা রাজনৈতিক শত্রুতা ও ক্ষমতাদখল, জাতিগত কারণে সংঘাত দেখতে পাচ্ছি।
আমরা সম্প্রতি মায়ানমারে ভয়ংকর ভূমিকম্প এবং দীর্ঘদিন ধ'রে চলা গৃহযুদ্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থা দেখেছি ও দেখছি। এইভাবে বলতে গেলে দেখা যাবে মৃত্যু ও ধ্বংসের তালিকা শেষ হবে না। এইভাবে আমরা সারা পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু ও ধ্বংসের লীলা দেখেছি ও দেখে চলেছি। ইতিহাস তার সাক্ষী।

তাহ'লে কি মানবজাতি এইভাবে একদিন ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, কারণ অকারণ পারস্পরিক শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে শেষ হ'য়ে যাবে? বাঁচার ও রক্ষা পাওয়ার কোনও উপায় নেই? মানবতা আজ শুধু একটা অভিধানের শব্দ? মানবতা ও মানবিকতা, শান্তির কোনও মূল্য নেই? শান্তির পুরষ্কার প্রাপক ও বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের মনে, চিন্তায় বিশ্বকে রক্ষা ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে কোনও সওয়াল নেই? নেই কোনও প্রথম ও প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা? লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা কেন বিশ্বকে রক্ষা ও শান্তির পক্ষে তাঁদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার চালায় না? তাঁরা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুধু তাঁদের কলমে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের আগুন ছেটায় কিন্তু শান্তির পক্ষে ছিটেফোঁটা কালী খরচ করে নয়া। এত অসহায় আমরা? এ দায় কার? কারো একার নাকি সবার? কোনও একটা দেশের নাকি সমস্ত দেশের? যদি পৃথিবীতেই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে না পারি তাহ'লে কি দরকার মহাশূন্যে গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি দিয়ে? সেখানেও তো দখলদারী নিয়ে হবে ধুন্ধুমার। তাহ'লে কার কাছে যাবো আমরা? কে আমাদের রক্ষা করবে? কে থামাবে মানুষের এই ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, ব্যক্তিগত শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধ বাধাবার নগ্ন উন্মাদনা, উন্মত্ততা, পাগলামো? কেউ নেই? কে আছো কোথায়? বাঁচাও বাঁচাও! ঘোর ঘুটঘুটে অন্ধকারে এই করুণ আর্তনাদ ভেসে আসছে আকাশে বাতাসে, কেউ কি শুনতে পাচ্ছো না? তবে কি আবার করোনা আসুক ফিরে!? ফিরে আসুক করোনা বিশ্বজুড়ে!? করোনা নামক এক মারণ ভাইরাস ফিরিয়ে দিয়েছিল শান্তি ও পারস্পরিক সম্প্রীতি। তবে কি আমরা তাই চাইছি? ঈশ্বরের কাছে আমাদের এই প্রার্থনা?

সত্যদ্রষ্টা সর্বজ্ঞ জীবন্ত সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর প্রেমিক পুরুষ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন, তোদের সামনে এমন একদিন আসছে সেদিন একমুঠো সোনার বদলে একমুঠো চাল পাবি না। দুনিয়ার সামনে একটা সর্বনাশ আসছে যার তুলনাই এই মহাযুদ্ধ (২য় বিশ্বযুদ্ধ), এই লোকক্ষয়, এই সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয় মনুষত্বের মূল বুনিয়াদটাই লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়।

আরও বললেন, আমার লাভ হ'লো, অপরের ক্ষতি হ'লো এতে কিন্তু আমার ঠিক ঠিক লাভ হ'লো না। পরিবেশকে ক্ষতি করলে সে ক্ষতি আমাকে একদিন না একদিন আক্রমণ করবেই। আমি যদি রেহাই পাই আমার ভবিষ্যৎ বংশধর হয়তো রেহাই পাবে না। আর, স্থুলতঃ আমি ক্ষতিগ্রস্ত না হ'লেও আমার মস্তিষ্ক ও অভ্যাস-ব্যবহার ঐ আচরণের ফলে blundering blend ( ভ্রান্তিপ্রবণ বাঁক) নেবেই। আর্থিক ক্ষতির চাইতে এ ভীষণতর ক্ষতি বেশী। মানুষ চিন্তা করে না, তাই অসাড়ে অপকর্মের আরাধনা ক'রে চলে।"

তাই সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, বিশ্বজুড়ে এই অপকর্মের আরাধনার ফলে আমাদের মনুষত্বের বুনিয়াদটাই লোপ পেয়ে যাবার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক ও অভ্যাস-ব্যবহার ঐ 'আমার লাভ হ'লো, অপরের ক্ষতি হ'লো, আমার গায়ে আঁচ নয়া লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' এই আচরণের ফলে blundering blend ( ভ্রান্তিপ্রবণ বাঁক) নিয়ে নিয়েছে ইতিমধ্যেই বহুদিন আগেই। তাই শুরু হ'য়ে গিয়েছে সর্বনাশ। নিজেকে নিজের আয়নায় দাঁড় করাবার সময় কি এখনও আসেনি? মনুষ্যত্ব বলতে বোঝায় মানুষের মধ্যে থাকা মানবিক গুণাবলী, যেমন - দয়া, সহানুভূতি এবং মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার। ব্যবহারই একমাত্র জীবনের পানীয়। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, Behaviour is the bevarage of life. এটি হলো মানবতা, যা পশুত্বের বিপরীত।
আমাদের সৎসঙ্গীদের আজ নিজেদের নিজের বিবেকের আয়নায় দাঁড় করিয়ে দেখতে হবে, আমাদের মধ্যে দয়া, সহানুভূতি আছে কিনা, আমরা সৎসঙ্গীরা মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার করছি কিনা। যা ঠাকুর আমাদের কাছে চান। ঠাকুর আমাদের বীর হ'তে বলেছেন, সাহসী হ'তে বলেছেন। আমাদের হিংস্র হ'য়ে বাঘ ভাল্লুক সেজে বসতে বারণ করেছেন। স্পষ্টবাদী হ'তে বলেছেন কিন্তু মিষ্টভাষী হ'তে বলেছেন। কিন্তু আমরা কি সৎসঙ্গীরা ঠাকুরের মনের মত হচ্ছি, হ'তে পেরেছি বা হ'তে চেষ্টা করছি? আজ এই প্রশ্নই সৎসঙ্গীদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
আমরা সবাই ধ্বংস হ'য়ে যাবো। মৃত্যু তার অক্টোপাশের মত হাজারো শুঁড় বের ক'রে আমাদের পেঁচিয়ে ফেলছে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করবে বলে। তাই সৎসঙ্গীরা সাবধান। আসুন শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা স্মরণ করি। "মরো না, মেরো না, পার তো মৃত্যুকে অবলুপ্ত করো।" তাই মৃত্যুকে অবলুপ্ত করতে হ'লে আমাদের মৃত্যুঞ্জয়ী হ'তে হবে। আর, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে শ্রীশ্রীঠাকুরের সাবধান বাণী ও তাঁর বাঁচা-বাড়ার বাণী। আগামী যে ভয়ংকর দিন আসছে যদি এই ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে, অকাল যন্ত্রণাদায়ক ভয়াবহ মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের বাঁচতে হয় তবে আমাদের তাঁর শরণাপন্ন হতেই হবে। তাঁর কথা ছড়িয়ে দিতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সমস্ত দেশে, গোটা পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের কাছে। তবেই আমরা সবাই বাঁচবো। হ্যাঁ বাঁচবো, নিশ্চিত বাঁচবো, পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই বাঁচবো। মিলেমিশে বাঁচবো। আমাদের মিলেমিশে বাঁচতে হবে। মাথার ওপর আমাদের মালিক শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আছেন। আছেন তাঁর পরিবারের সমস্ত শ্রদ্ধেয় পূজনীয় আত্মজরা। আমাদের সৎসঙ্গীদের কোনও ভয় নেই। শুধু উদাত্ত কন্ঠে গাইতে হবে ঐ গান "মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষের সনে"। শ্রীশ্রীঠাকুরের আত্মজদের সকলের প্রতি আমার আভূমি প্রণাম জানাই।

একবার প্রফুল্লদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন, বাইবেলে নাকি আছে, পৃথিবীতে ধ্বংস নেমে আসছে, বহু মানুষ মরবে, সেদিন নিকটবর্তী।

বর্তমানে আমরা কি ইউক্রেন - রাশিয়া, ইজরায়েল - ইরান, ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়া, পাকিস্তানের বালুচিস্তান, ভারতের পি ও কে, বাংলাদেশ, মায়ানমার, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশে যুদ্ধ, সংঘাত, প্রাকৃতিক ভয়াবহ বিপর্যয় কি প্রভু যীশুর বাইবেলে বলা বাণীর ইঙ্গিত কি বহন করছে না?
বাইবেলে কি আছে? আবার একবার শুনে নিই প্রফুল্লদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন, বাইবেলে নাকি আছে, পৃথিবীতে ধ্বংস নেমে আসছে, বহু মানুষ মরবে, সেদিন নিকটবর্তী।
এ ব্যাপারে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, আবার বাইবেলে একথাও আছে যার কপালে Ticket of my new name ( আমার নতুন নামের ছাপ) থাকবে, তারা বেঁচে যাবে! যাদের থাকবে না তারা মারা যাবে। কুরুক্ষেত্রের সময়ও এসব ছিল! তখনও তো মুছে যায়নি।"
প্রভু যীশু পৃথিবী ধ্বংসের কথা, বহু মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, সেটা মিলে গেছে ও যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে।
আবার শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, প্রভু যীশু বলেছিলেন তাঁর নতুন নামের ছাপ যার কপালে থাকবে সে বেঁচে যাবে।
অর্থাৎ তাঁর নতুন নাম বলতে প্রভু যীশু বলেছিলেন বর্তমানে প্রভু যীশুর নতুন রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দেওয়া নাম যার কপালে থাকবে সে বেঁচে যাবে এই ভয়ংকর ঘোর অন্ধকারে, বিষাক্ত হাওয়ায়।

তাই সৎসঙ্গ ীদের বলি, প্রভু যীশুর কথামত আমরা তাঁর নতুন রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দেওয়া নতুন নামের ছাপ আমাদের কপালে আছে, আমরা বাঁচবো, হ্যাঁ সবাই বাঁচবো ও সবাইকে বাঁচাবো। ভয় কি? আমাদের কোনও ভয় নেই। আসুন আমরা দীক্ষিত-অদীক্ষিতদের মাঝে এই কথা পৌঁছে দিই। আর দীক্ষিতদের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
"ঝড় ঝঞ্ঝা যতই আসুক মনেতে রাখিস জোর, মাথায় আছেন দয়াল ঠাকুর, ভাবনা কি বা তোর?"
একজন বিশেষ একটা ঘটনার কথা জানিয়ে বললেন, আমার ভয় ভয় করে।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, যাঃ! তোর ভয় কিসের? তুই নাম নিয়েছিস, তোর গুরু আছেন, ভগবান আছেন, তুই সেই পথে চলবি। ভগবানকে ভালোবাসবি, ভগবান কাউকে ছাড়েন না। তোরাও তেমনি কাউকে ফেলবি না। কাউকে ছাড়বি না। সবাইকে ভালোবাসবি, তাদের সেবা করবি। খু'ব ক'রে নাম করবি। স্ফুর্তিসে কাম-কাজ করবি।

আসুন আমরা সবাই মিলে স্ফুর্তিতে তাঁর নাম করি, শয়নে, স্বপনে, জাগরণে, ভোজনে, অবগাহনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে, ফিরতে, উঠতে বসতে সংসারের সব কাজের মধ্যে তাঁর নাম করি আর তাঁর কাজ করি। মৃত্যুভয় ব'লে কিচ্ছু থাকবে না। অকাল মৃত্যু হবে না। আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই।

No comments:

Post a Comment