Powered By Blogger

Wednesday, April 30, 2025

কবিতাঃ বিভেদের মাঝে মিলন মহান।

অনুকূল পদ্মার বুকে শিক্ষা-ধর্ম-রাজনীতির কালো ছায়ায়
বাংলার কুৎসিত রূপ দেখেছিল, অমরেন্দ্রও একদিন বাংলায়
গঙ্গার বুকে হতাশা নিয়ে বৃথা বাঁচার গান শুনেছিল।
সেদিন ফিরিয়ে নিয়েছিল মুখ দুই বাংলার কৃতি ভীষ্মেরা
লজ্জায় ঢেকেছিল মুখ জীবনানন্দ, রবিঠাকুরের সোনার বাংলা।
তবুও দয়াল প্রভু একবুক ব্যথা নিয়ে বেসেছিল ভালো বাংলারে,
বলেছিল, বাংলা বাঁচলে ভারত বাঁচবে, ভারত বাঁচলে বাঁচবে বিশ্ব।
তুমি কি দেখিয়াছো সেই শরমের মুখ? দেখিয়াছো সেই কুৎসিত রূপ?
তুমি কি শুনিয়াছো সেই কথা? অনুভব করিয়াছো সেই দয়ালের ব্যথা?
তুমি কি নিজেরে ক্ষমা করিয়াছো? তুমি কি বেসেছো ভালো দয়াল প্রভুরে?

আমরাও আশায় মরে চাষার মত আজও বেঁচে আছি হেথায়----
পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাত হ'য়ে বাঙালির বুকে এঁকে দিয়ে
কলঙ্কের ছবি---যে বাংলায় এসেছিল নেমে দয়াল প্রভু যেচে,
এসেছিল এ বাংলায়ও এক ঝাঁক আশা বুকে নিয়ে, সেদিন
চিনতে পারেনি তাঁরে দুই বাংলার কৃতি সেরা বাঙ্গালীরা, কিন্তু
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ব'লে গেয়ে উঠেছিল কৃতি বাঙালির প্রাণ নেচে।

বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফুল ফল
বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ ঘাট
আজ নীরবে নিভৃতে একাকী প্রভুর বিরহ বেদনায় ফেলে
চোখের জল পাপে পরিপূর্ণ হৃদয়ে অপরাধকে ক'রে সাথী।
বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা
বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন
সেদিন আশাহত দয়াল প্রভুকে করেছিল ব্যথিত,
করেছিল উপেক্ষা ও অবহেলায় ক্ষতবিক্ষত, লাঞ্ছিত।

পদ্মা গঙ্গার দুই পাড়ের কাছে নিজেকে মনে হয়েছিল অবাঞ্ছিত,
তাই ছুটে গিয়েছিল বর্ষার জলে স্ফীত গ্রীষ্মের শুখা দারোয়ার তীরে
ভগীরতের মতো চেয়েছিল গঙ্গাকে বইয়ে দিতে দারোয়ার বুকে।
মিলনের তীব্র আকাঙ্কায় অশ্রুসজল চোখে ব্যথাহত কন্ঠে অবিরত
নীরবে নিভৃতে গেয়ে উঠতো গান প্রভু একাকী আপন মনে,
মিলন হবে কতদিনে আমার গঙ্গা-দারোয়া সনে।

আজও দয়াল আছে বসে আচার্য মাঝে সেই মধুর মিলন
দেখবে ব'লে, আমরাও আছি বসে যত হিন্দু, মুসলমান,
শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, বসে আছি আচার্যের সাথে বিশ্ব জুড়ে
আছে যত সব সম্প্রদায়ের সৎসঙ্গী সবাই হাতে নিয়ে
'সৎসঙ্গ'-এর নিশান আর স্বপ্ন নিয়ে বুকে
বিভেদের মাঝে মহান মিলনের তরে। 

কবিতাঃ বাংলার মুখ।

বাংলার মুখ।

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি তাই আমি কারও মুখ
দেখিতে চাই না আর। অন্ধকারে জেগে উঠে বাড়ির উঠোনে
চেয়ে দেখি সাদা আলখাল্লার আস্তিনের নীচে লুকোন আছে
মরণের চাবিকাঠি, খঞ্জর----চারিদিকে চেয়ে দেখি শয়তানের মুখ
কবি-সাহিত্যিক-চিত্রকর- শিক্ষক-ধার্মিকেরা ক'রে আছে চুপ;
ছোটো শিশু ও নবীন প্রজন্মের মুখে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
জীবন তরী বেয়ে না জানি সে কবে অনুকূল পদ্মার বুকে
এমনই শিক্ষা-ধর্ম-রাজনীতির কালো ছায়ায় বাংলার কুৎসিত রূপ
দেখেছিল, অমরেন্দ্রও একদিন গঙ্গার বুকে হতাশা নিয়ে------
আশা-ভরসার স্বপ্ন যখন মরিয়া গিয়াছে বাংলার মাটিতে-
সোনার বাংলায় অসংখ্য ধার্মিক-রাজনীতিবিদ দেখেছিল, হায়,
বাঁচার আশার গান শুনেছিল----একদিন দরবারে গিয়ে
ছিন্নমূল উদ্বাস্তু হয়ে যখন সে মেঙ্গেছিল আশ্রয় বিধানের সভায়
বাংলার আর্ত-অর্থার্থী-জিজ্ঞাসু-জ্ঞানী নীরবে চেয়েছিল তায়।
( লেখা ২৮শে এপ্রিল'২০২৫)

উপলব্ধিঃ ঈশ্বর আছে কি নেই?

ঈশ্বর আছে কি নেই জিজ্ঞাসে কোনজন?
অহং মত্ত বেকুব মস্ত জ্ঞানী পন্ডিত যে জন।
কথায় আছে,
"মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন।"
প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা, যুক্তি আছে যত সব ত্যাজি
ঈশ্বর যদি পেতে চাও সে পথ করো অনুসরণ।

ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নে যাদের জীবন দোলে তাদের সবাই তো লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারে না। আর, সবাই হনূমান, অর্জুন, উপগুপ্ত, মীরা, আলি, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ ও শ্রীশ্রীবড়দা হ'তে পারে না। এটা জন্মগত বায়োলজিক্যাল মেক আপের ব্যাপার। এর ভিত্তি বহু বহু জন্মের পূণ্য কর্মের ফল।

আর, শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর। অন্য সকল ইষ্টপ্রাণ ভক্তের সঙ্গে তাদের জীবনের তফাৎ-ই তার প্রমাণ। তাই ঈশ্বর আছে কি নেই সে সম্বন্ধে আমার প্রমাণের কোনও প্রয়োজন নেই। আমার কাছে ইষ্টপ্রাণ হনুমান, অর্জুন, উপগুপ্ত, মীরা, আলি, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ, শ্রীশ্রীবড়দা ইত্যাদিদের জীবনই আমার কাছে প্রমাণ। আর মাথার ওপর আছে স্বয়ং মালিক সৃষ্টিকর্তার জীবন্ত রূপ শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর। 
প্রমাণ কিস বাত কি?
( লেখা ২৭শে এপ্রিল'২০২৫)

Tuesday, April 29, 2025

প্রবন্ধঃ কোন্নগর শ্রীশ্রীশকুন্তলা রক্ষাকালী মায়ের পুজোয় সৎসঙ্গীরা।

গত ২৬ এপ্রিল বাংলার ১২ই বৈশাখ, শনিবার মা শকুন্তলার পুজো কোন্নগরে হ'য়ে গেল। কোন্নগরে ১৩৬ বছরের এই পুজো ঘিরে জেলা ও জেলার বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়েছিল। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার মায়ের পূজার আয়োজন করা হয় বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। বলা হ'য়ে থাকে কোন্নগর তথা হুগলি জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ এই শ্রীশ্রীশকুন্তলা রক্ষাকালী মায়ের পূজা। মায়ের এই পুজোকে ঘিরে মেতে উঠেছিল শররতলি কোন্নগর এলাকা গত শনিবার।

এই পুজোর বিষয় নিয়ে আমি "ধর্মের নামে কাশ্মীরে মানুষ হত্যা ও কোন্নগরে শকুন্তলা মায়ের পূজায় জীব হত্যা" এই নামে আমার আগের ভিডিওতে বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আজ আমি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনদের সম্পর্কে কিছু বলবার জন্য এসেছি।

বহু সৎসঙ্গী দাদা ও মায়েদের দেখেছি শকুন্তলা রক্ষাকালী পুজোয় যায় জল ঢালতে ও পুজো দিতে। আজ থেকে ৪০বছর আগে যৌবনে যখন গিয়েছিলাম পুজো দেখতে তখনও দেখেছিলাম আর আজও দেখছি আমার পরিচিত সৎসঙ্গী

বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী গুরুভাইবোন মায়ের পুজো দিতে যায় কোন্নগর শকুন্তলা মন্দিরে। দেখেছি নধর কচি শিশু ছাগলকে মায়ের সামনে বলি দিতে নিয়ে যেতে। আর দেখেছি সেই ছোট্ট অবলা শিশু ছাগল ছানার কচি মাংস মায়ের প্রসাদ কষা ক'রে রান্না ক'রে খেতে ও আশেপাশের মানুষকে সেই প্রসাদ বিলোতে। আর, মায়ের পূজার নামে সেই অধর্মীয় পাপ আচরণ থেকে উদ্ভূত মায়ের প্রসাদ নামে অভিহিত তামসিক পাপান্ন অভুতপূর্ব ভক্তি ভ'রে মাথায় ঠেকিয়ে গ্রহণ করতে দেখেছি সৎসঙ্গী দাদা ও মায়েদের। অথচ এই সমস্ত সৎসঙ্গীদের মধ্যে অনেকেই জানেন বাংলাদেশে সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে অনতিদূরে তান্ত্রিকের তন্ত্র সাধনায় সিদ্ধি লাভের জন্য তান্ত্রিকের আখড়ায় হাঁড়িকাঠের সামনে বেঁধে রাখা ছাগশিশুকে উদ্ধার করার জন্য ঠাকুরের বুকফাটা আকুল কান্না, ছটফটানির কাহিনী। ঠাকুরের সেই আকুল কান্না আর পাগলের মত ছটফটানি দেখে না থাকতে পেরে ঠাকুরের এক ভক্ত প্রাণের মায়া ত্যাগ ক'রে অসীম সাহসে তান্ত্রিকের ডেরায় ঢুকে তান্ত্রিকের সামনে থেকে ছোট্ট ছাগল ছানাকে ছিনিয়ে আনে। আর, ভয়ংকর আক্রোশে পিছন পিছন খাঁড়া হাতে অভিশাপ দিতে দিতে ছুটে আসে সেই ভয়ংকর উন্মাদ তান্ত্রিক। কিন্তু তা'তে ভয় পায় না সেই মূর্খ ভক্ত শিষ্য। ছুটে এসে ঠাকুরের কোলে তুলে দেয় সেই ছোট্ট ছাগলছানাকে। সেই ছোট্ট ছাগশিশুকে কোলে নিয়ে আনন্দে চোখের জলে ভাসতে থাকে ঠাকুর ছোট্ট শিশুর মত। সামনে এসে দাঁড়ায় সেই তান্ত্রিক। ঠাকুরের সেই ছোট্ট ছাগ শিশুকে নিয়ে পাগলের মত আদর করা ও শিশুর মত আনন্দ করা দেখে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হ'য়ে দাঁড়িয়ে পড়ে তান্ত্রিক! হাত থেকে খসে পড়ে যায় তান্ত্রিকের খাঁড়া। চোখের সামনে দেখতে পায় জীবন্ত মহাদেবকে। ছোট্ট ছাগ শিশুকে গভীর ভালোবাসায় বুকে জড়িয়ে ধ'রে কাঁদতে থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরকে দেখে অনুশোচনায় অনুতপ্ত হৃদয়ে তান্ত্রিকের দু'চোখ বেয়ে নেমে আসে জলের ধারা। হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে তান্ত্রিক ঠাকুরের সামনে। সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ঠাকুরকে। তারপর চোখের জলে ভাসতে ভাসতে চলে যায় সেই তান্ত্রিক। পরদিন সকাল থেকে আর দেখা যায় না গ্রামে সেই তান্ত্রিককে। তাঁর ডেরা ছেড়ে চলে যায় দূরে, অনেক দূরে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে তান্ত্রিকের সেই সাধনার অপবিত্র স্থান। এই ঘটনা সৎসঙ্গীরা জানে। তারা শুনে থাকবে সৎসঙ্গে, পড়ে থাকবে বইয়ের পাতায়।

ভাবলে আশ্চর্য লাগে এই ঘটনা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে শোনার পরও ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীদের কেউ কেউ সৎসঙ্গীরা আজও ভিড় করে মায়ের কাছে ছাগশিশুকে বলি দিয়ে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য। এ আমাদের সৎসঙ্গীদের লজ্জা, অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা জীব হত্যাকারী সৎসঙ্গীরা আর তাবিজ, মাদুলি, আংটি, মালা, শেকড়, হাতে লাল কালো সুতো ধারণকারী, ৩৩ কোটি দেবদেবতায় বিচরণকারী, কুসংস্কার ও মৃত্যুকে আবাহনকারী সৎসঙ্গীরা নাকি ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গী!!!!!! আমাদের মাথায় সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ দয়াল ঠাকুরও আছেন ও সমস্ত গ্রহরাও আছে, আছে তাবিজ, মাদুলি, আংটি, শেকড়, জলপড়া, তেলপড়া, হাতে লাল কালো সুতো, গলায় মালা ও কোমরে পাথর, ৩৩ কোটি দেবদেবতা, হাজারো গুরু, কুলগুরু, কুসংস্কার। আছে মাথার ওপর মৃত্যুর দেবতা যমের উপস্থিতি।একসঙ্গে সব গিজগিজ করছে। মাথার ওপর যমের উপস্থিতি এইজন্যে বললাম, মায়ের সামনে বলির জন্য রাখা হাঁড়িকাঠ সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদারা ও এমনকি মায়েরা। এ কি ক'রে সম্ভব!? যেখানে নিরীহ কচি অসহায় ছাগল ছানার গলা আটকে রেখে নির্ম্মম নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথাকে আলাদা ক'রে দেওয়া হয় ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে সেই স্থানকেও কেউ পুজো করতে পারে, বিশেষ ক'রে মায়েরা পুজো করতে পারে তখন সহজেই তাদের বায়োলজিক্যাল মেক আপ বোঝা যায়।
যাই হ'ক, এই পুজোর নাকি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। কঠোর নিয়ম ছিল সূর্যাস্তের পরে মূর্তি তৈরী হবে, আবার সূর্য উদয়ের আগেই এই পূজো শেষ হবে। আর, পরের দিন অতি প্রত্যুষেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। কে তৈরী করেছিল এই নিয়ম? এই নিয়ম তৈরীর পিছনে আধ্যাত্মিক বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কি ছিল? কি ছিল যুক্তি?? কি ছিল জানি না। কেউ বলতেও পারেনি। তবে যেটা ছিল সেটা হ'লো একটা রহস্যময় গা ছমছম করা ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরী করা। কারণ একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করলে ভক্তি আসে না ভক্তদের। অর্থাৎ ভয়ে ভক্তি, কিছু না ক'রে পাওয়ার ভক্তি। কিন্তু শুনেছি এখন নিয়ম পাল্টে গেছে। কবে থেকে এই নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে আমার জানা নেই। কেন পাল্টে গেল? কে পাল্টে দিল? এই পাল্টে যাওয়ার পিছনেই বা কি আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? কোন যুক্তিতে কোন আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় নেতার বিধানে এই নিয়ম পাল্টে গেল? এর বাস্তবতাটা কি?
এই নিয়ম পাল্টে যাওয়ার পিছনে যে বাস্তবতা আছে সেটা জানা যায় যে, এখন এলাকায় পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেখানে একটা সময় শকুন্তলা কালীপুজোর দিনে এখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা দু'টো ক'রে বাড়তে বাড়তে মোট নয়টি পূজা হত। এখন সেখানে পুজোর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন। ফলে বেড়েছে মূর্তি তৈরীর চাপ। সেই কারণে এখন আর আগের নিয়মে এক রাতে সূর্যাস্তের পরে মূর্তি এই নিয়মে পুজো হয় না, মূর্তি তৈরির চাপে আগে থেকেই ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এর থেকে প্রমাণ হয়, নিয়মের কোনও মা-বাপ নেই। প্রকৃত কোনও উৎস নেই। সবটাই মানুষের ইচ্ছেমতো তৈরী।

আর যদি নিয়মের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎস থেকেও থাকে, সেই উৎস আবার কোন নিয়মকে মেনে ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করার তাগিদে ভাঙ্গা হয়? প্রশ্নগুলি উঠবে না? উঠতে পারে। কিন্তু তা'তে না উদ্যোক্তাদের, না সাধারণ মানুষের কারও কিচ্ছু এসে যায় না। এর থেকে এটা স্পষ্ট মানুষ নিজে নিজেই নিয়ম তৈরী করে ও নিয়ম ভাঙে। এই নিয়ম তৈরী করার পিছনে যেমন মানুষের জীবনীয় উপাদান আছে আবার আছে মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের ভয়ংকর লোভ ও মরণীয় উপাদান। তাই সবকিছু না জেনে, না বুঝে কুসংস্কার ব'লে যেমন উড়িয়ে দেওয়ার কিছু নেই, ঠিক তেমনি তলিয়ে দেখতে হয় এইসমস্ত সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কার, ধর্মীয় আচার-আচরণ ইত্যাদির পিছনে বিশেষ কি জ্ঞান অন্তর্নিহিত আছে যা জীবনীয়। যদি মরণীয় কিছু থেকে থাকে তাকে খুঁজে বের ক'রে সমূলে উৎখাত করতে হয়, আর, যদি জীবনীয় কিছু থেকে থাকে তাকে রক্ষা করতে হয়। আর, এসবই করতে হয় মানব জাতির বাঁচা ও বাড়ার স্বার্থে, সভ্যতার বিকাশে। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবসময় তাঁর মায়ের বলা কথাটা বলতেন, "যেখানেই দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।" কিন্তু আমরা তা' কখনোই করি না। ছাই উড়িয়ে দেখি না ছাইয়ের স্তুপের নীচে কিছু আছে কিনা। হয় ছাইকে একনিমেষে ফুঁৎকারে উরিয়ে দিই, নতুবা সেই ছাইয়ের গাদার ওপর বংশ পরম্পরায় ও যুগের পর যুগ নিমজ্জিত থাকি; তা' সে যতই কেউ মহান সংস্কারক, Fulfller the great মহান পরিপূরণকারী বা Fulfiller the best সর্ব্বোত্তম পরিপূরণকারী কেউ আসুক না কে্‌ন আর এসে আমাদের চোখ খুলে দেবার চেষ্টা করুক না কেন। বরং সেই মহান সংস্কারক বা পরিপূরককে কিংবা মহান সর্ব্বোত্তম সংস্কারক সর্ব্বোত্তম পরিপূরককে হেনস্থা হ'তে হয়েছে এইসমস্ত
মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের হাতে। কোনও সরকারও চেষ্টা করেনি এইসমস্ত সংস্কার বা কুসংস্কার সম্বন্ধে মানূষকে সচেতন ক'রে তুলে, চোখ খুলে দিতে।, অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে আলোর বুকে ফিরিয়ে আনতে। আবার কোনও কোনও রাজনৈতিক দল সংস্কার-কুসংস্কার বিচার না করেই সমূলে উৎখাত ক'রে দিতে চেয়েছে সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস, ঐতিহ্যকে। আর, সাধারণ মানুষ কোনোদিনই চায়নি, চায়ও না জেগে উঠতে, চোখ খুলতে, জানতে, বুঝতে তা সে তাকে যতই বলা হ'ক বা বোঝানো হ'ক না কেন। তাদের ধারণা, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। কিন্তু তারা এতটাই অজ্ঞ, অদূরদর্শী, এতটাই বেকুব, এতটাই মূর্খ, অলস, দূর্বল, ভীরু আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে, এই আগুনের আঁচ যে একদিন তাদের গায়ে এসে লেগে তাদের খাক ক'রে দেবে পরিবার পরিজন সহ সেদিকে কোনও হুঁশ নেই। কারণ বিজ্ঞানের ভাষায় যেমন আছে Every action has oposite and equal reaction. ঠিক তেমনি যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর উনুকূলচন্দ্র বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি।" "যা ইচ্ছা তাই করবে তুমিই তা' করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না।"

যেখানে বলীর নামে মায়ের সন্তানকে হত্যা করা হবে সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদা ও মায়েরা এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে ভাবি, কি অদ্ভুত দৃশ্য! হত্যাস্থানের প্রতি কি ভালোবাসা, ভক্তি ও মমত্ববোধ মায়ের ভক্তদের!!!

এর একটা কারণও আছে, যারা শিক্ষক, শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হ'য়ে শিক্ষা দান ক'রে এদের অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকার থেকে বের ক'রে আনবে তারা মুখে এক আর কাজে আর এক রকমের, অর্থাৎ জালি, কপট চরিত্রের। যাকে বলা হ'য়ে থাকে সর্ষের মধ্যেই ভুত। যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়াবে সেই সর্ষকেই ভূতে ধ'রে ফেলেছে। তাই তারা সাধারণ মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থাকে, আর দিনে দিনে আরও অন্ধকারে ডুবে যায়। যদিও এইসমস্ত শিক্ষকেরাও দিনের শেষে নিজেদের হাতে তৈরী এই ভয়ংকর অশিক্ষার, অজ্ঞানতার ঘোর পাপের অন্ধকারে ডুবে যায়, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়।

এরকম সৎসঙ্গীদের মধ্যেও দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা সহজ, সরল, বেকুব, দুর্বল, ভীরু, মূর্খ, অলস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সৎসঙ্গী যেমন দেখা যায় ঠিক তেমনি দেখা যায় বিশ্বের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় যুগাবতার যুগপুরুষোত্তম পরম পুরুষ, পরম উৎস, পরম কারণ, পরম অস্তিত্ব, পরম সত্ত্বা, পরম কারণ, সর্ব্বশক্তিমান, সর্ব্বব্যাপি, সর্ব্বজ্ঞ রক্তমাংসঙ্কুল জীবন্ত ঈশ্বর পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের যারা প্রথমসারীর বার্তাবাহক, যারা তাঁর বীজনাম বহনকারী ও দানকারী ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু তাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় তাবিজ, মাদুলি, আংটি, হাতে গলায় মালা, হাতে লাল হলুদ কালো সুতো, তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, তেলপড়া, জলপড়া ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। আবার এরাই জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বলবে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা, তিনি অবতারী, তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, তিনি মহেশ্বর, তিনি গণেশ, তিনিই কালী, তিনি দূর্গা, তিনিই তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার মূর্ত রূপ!!!!!!! তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও শরিক নেই। তিনি সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ। তিনিই সমস্ত স্পন্দনাত্মক, ধন্যাত্মক, কম্পনাত্মক যত রকমের নাম আছে সমস্ত নামের আধার। এরকম নানারকম জ্ঞানগর্ভ ভাষণ দেবে হাতে গলায় আংটি, মাদুলি, মালা ঝুলিয়ে। এদের সারা শরীরে তাবিজ, আংটি, মাদুলি, মালা আর ঘরে আছে নানা দেবদেবীর মূর্তি, এরাই আবার বহুনৈষ্ঠিক নিয়ে লম্বাচওড়া বক্তৃতা দেবে।

এরা এতটাই চতুর নিজের কাজের স্বপক্ষে দুর্বলতাকে ঢাকতে অজুহাত হিসেবে ঠাকুরকেও ঢাল করতে ছাড়ে না। এরা সগর্বে বলে, ঠাকুরের হাতেও তাবিজ ছিল, আবার কেউ বা বলে ঠাকুরের ডান হাতে নাকি হীরে বাঁধা আছে। হাতে মালা নিয়ে বলে নাম করার সুবিধার জন্য বিক্ষিপ্ত মনকে নিয়ন্ত্রিত করতে হাতে মালা রাখে। ঠাকুর আর্য কৃষ্টির কিছুই বাদ দেননি। তিনি কোনওকিছুকেই অশ্রদ্ধা করেননি, ত্যাগ করেননি, তিনি এটা করেছেন, ওটা করেছেন ইত্যাদি নানা বাক্যবাণে নিজেকে ত্রুটিহীন একনিষ্ঠ ইষ্টপ্রাণ ভক্ত হিসেবে তুলে ধরেন নিজের দুর্বলতাকে ঢাকতে। কিন্তু ভুলে যান এ কথা যে, আমরা কোনটা পালন করবো? তিনি সমগ্র জীবনে যা যা করেছেন সেটা পালন করবো নাকি আমাদের যা যা পালন করতে ব'লে গেছেন সেটা পালন করবো? যতবার ঈশ্বর মানুষের রূপ ধ'রে মটির বুকে নেমে এসেছেন মানুষকে বাঁচাতে ও বেড়ে ওঠার দিকে ন্যে যেতে ততবারই জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজুরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-এর মিশন প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির কারণ হয়েছে তথাকথিত তাঁদের ভক্তরা। মানুষের বাঁচা-বাড়ার ও জীবনে নির্মল আনন্দ লাভের পথে শত্রু তারাই।
আজ এই পর্যন্তই। নমস্কার। জয়গুরু।

বিচিত্রা ১৩৭

কঠিন দুঃসহ এক আগুন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।জানি না কেন এমন হ'লো ও হচ্ছে!
সবসময় নিজেকে নিজের মনের আয়নায় দেখি আর বিবেককে অনুসরণ করি।
জানি না দয়ালের এ কঠিন পরীক্ষা কিনা আর জানি না এ পরিক্ষায় পাশ করবো কিনা। যদি পরীক্ষা হয় তাহ'লে নিশ্চিত better upliftment-এর পরীক্ষা। হে দয়াল! এই কঠিন কঠোর অসহনীয় পরীক্ষায় যেন পাশ করি।
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২২)

ভগবানের নামাবলী জড়িয়ে গায় 
শয়তানের ডঙ্কা বাজায়! কে?
ভগবান ঈশ্বর মানি না। চরিত্রও নাই। 
কিন্তু নীতিকথা আওড়ায়! কে?
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২৩)

ঈশ্বর মানি না; ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানি না। 
কিন্তু আমি অস্তিত্ব মানি! আমি নাস্তিক।
আমি ঈশ্বর মানি; ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানি।
আমি আস্তিক।
সত্যি অবাক করলে বন্ধু! 
দু'জনেই অস্তিত্ব মানি।

গড়তে না পারো, রক্ষা করতে না পারো, 
কিন্ত ভেঙো না, ভাঙার কারণ হ'য়ো না, 
ভাঙতে সাহায্য ক'রো না। দয়াল খুশি হবেন। 

অনেক কষ্ট ক'রে গড়ে তোলা জিনিস যে বা যারা ভেঙে দেয় 
তারা নিজ সন্তানের জীবনকেও রক্ষা করতে পারে না। 
যেকোনও সৃষ্টি সন্তান তুল্য।

মা সংসারের মূল খুঁটি।
সুসন্তান হওয়া না-হওয়ার মূল কারণ জন্মবিজ্ঞানের 
পরে মূলত মায়েদের স্বাস্থকর ও অসাস্থ্যকর মানসিকতা।
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২৪)

































বিচিত্রা ১৩৬

করোনা গরীবদের বন্ধু! সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী!!
কমিউনিস্টদের পরম সুহৃদ!!!
ধনীদের শত্রু, যম!!!.
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২০)


সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার ১% -এরও কম। এর থেকে সুখবর আর কিছু নেই। আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। মাভৈঃ! শ্রীশ্রীঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীরা চলো এগিয়ে চলি। অমৃত পথের যাত্রী আমরা!! অমৃতের পুত্র আমরা! হ্যাঁ! আমরা, আমরাই পারি করতে বিশ্বজয়!


বন্ধু, কে কোথায় কিভাবে কাকে সাহায্যের হাত বাড়ালো তা না দেখে, তাতে সময় নষ্ট না ক'রে আসুন আমি এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কি করছি, কি করেছি, আমার কন্ট্রিবিউশান কি সেটা দেখি, সেদিকে নজর দিই। এইসময় অন্যের দোষ যে দেখে, অন্যের খুঁত যে খুঁজে বেড়ায়, অন্যে কি ক'রলো আর ক'রলো না তার চুলচেড়া বিশ্লেষণে সময় কাটায় সে আর যাই করুক তার এই চুলকানি রোগের দ্বারা মানুষ, সমাজ তথা দেশের কোনোদিনই গঠনমূলক ও অস্তি বৃদ্ধির সহায়ক কোনও কাজ হবে না। এমন সঙ্গ, এমন বন্ধু করোনার চেয়েও বিষাক্ত ও ভয়ংকর!! মৃত্যু অবশ্যম্ভাবি। প্রকৃত সাহায্যকারীর পিছন ফিরে তাকাবার সময় নেই।
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২১)













 


Monday, April 28, 2025

প্রবন্ধঃ সৎসঙ্গীরা বিশ্বজুড়ে ঐক্যবদ্ধ ভালোবাসাময় এক বৃহৎ সৎসঙ্গী পরিবার।

আজ বহুবছর ধ'রে দেশে বিদেশে মুসলমান ভাইদের সম্বন্ধে হিন্দুভাইদের মনের ভিতর এবং হিন্দু ভাইদের সম্বন্ধে মুসলমান ভাইদের মনের ভিতর এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের পরস্পরের একে অপরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত কুৎসিত ধারণা বা সংস্কার গেঁথে আছে যার ফলস্বরুপ আজকের এই ভয়ংকর হিংসার যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে, রাজনৈতিক নেতা ও ধর্মীয় নেতাকে ধর্মের প্রকৃত অর্থ, মূল অর্থ বুঝতে হবে এবং তা বোঝাতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে মানবজাতীকে রক্ষা করার স্বার্থেই। মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ ধ্বংস হওয়ার আগেই ধর্মের ভিত্তির ওপর গঠন করতে হবে রাষ্ট্রকে। আর এর জন্য আদর্শের প্রয়োজন। প্রয়োজন একজন সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শের, সর্বশ্রেষ্ঠ পরিপূরণকারীর, fulfiller the best-এর প্রয়োজন অর্থাৎ fulfiller the best হলেন পুরুষোত্তম। আর এ যদি না হয় তাহ'লে ভবিষ্যৎ পৃথিবী শ্মশানে পরিণত হবে নিশ্চিতভাবেই।

ধর্ম্মের মূর্ত রূপ হ'লো জীবন্ত আদর্শ। ধর্ম মূর্ত্ত হয় জীবন্ত আদর্শে এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হলেন ধর্মের মূর্ত্ত আদর্শ। তিনি হলেন fulfiller the best. তিনি কোন সম্প্রদায়-বিশেষের নন, বরং সব সম্প্রদায়ই তাঁর। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন-“একজন মানুষের বিনিময়ে আমি একটি সাম্রাজ্য ত্যাগ করতে পারি, কিন্তু একজন মানুষকে ছাড়তে পারি না।"

তিনি বললেন, "হিন্দু ধর্ম্ম, মুসলমান ধর্ম্ম, খৃষ্টান ধর্ম্ম, বৌদ্ধ ধর্ম্ম ইত্যাদি কথা ভুল, বরং ও-সবগুলি মত।"

আমরা হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের মানুষেরা যারা ধর্মের প্রকৃত অর্থ না বুঝেই, প্রকৃত অর্থে ধর্ম পালন না করেই ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করি তারা জানিই না, জানার ইচ্ছাও নেই আমাদের যে "মত বহু হ'তে পারে, এমন কি যত মানুষ তত মত হ'তে পারে, কিন্তু তাই ব'লে ধর্ম বহু হ'তে পারে না।"

আমরা যারা ধর্ম নিয়ে হানাহানি করি তারা জানিই না, "কোনও মতের সঙ্গে কোনও মতের প্রকৃতপক্ষে কোনও বিরোধ নেই, ভাবের বিভিন্নতা, রকমফের-----একটাকেই নানাপ্রকারে একরকম অনুভব।" অর্থাৎ হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি মতের কোনওটার সঙ্গে কোনও মতের বিরোধ নেই। সব আলাদা আলাদা ভাব, আলাদা আলাদা রকমফের অর্থাৎ একই বস্তু বা বিষয়ের ভিন্নরূপ। ঐ এককেই নানাভাবে শেষে এসে একইরকম অনুভব করা।"
আমরা ধর্ম বিরুদ্ধবাদীরা জানিই না, "সব মতই সাধনা বিস্তারের জন্য। তবে তা' নানাপ্রকারে হ'তে পারে; আর যতটুকু বিস্তারে যা হয় তাই অনুভূতি, তাই জ্ঞান। তাই ধর্ম্ম অনুভূতির ওপর।"

এসব কথা আমাদের চোখ খুলে দেবার জন্য, অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে, কয়লা থেকে হীরেকে বের ক'রে আনার মত আমাদের সামনে ব'লে গেলেন সেই fulfiller the best অর্থাৎ পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ আবার আমাদের মাঝে যুগ পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র রূপে এসে। সেই এক ও অদ্বিতীয় একজনই রক্তমাংসের নোতুন রূপে এসে ব'লে গেলেন আমাদের পারস্পরিক হানাহানি, কাটাকাটি, ঘৃণা, বিদ্বেষ থেকে রক্ষা করার জন্য। আমরা হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি সব সম্প্রদায়ের মানুষ যে সেই এক ও অদ্বিতীয় পুরুষোত্তম পরমপিতার সন্তান, আমরা যে সবাই যুগের প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আসা সেই একজনেরই আশ্রিত, দীক্ষিত, অনুসারী তা' মনে করিয়ে দেবার জন্য তিনি বারবার আসেন আর আমাদের যুগ অনুযায়ী বলে যান, সত্যকে তুলে ধরেন।

এবার এই কলিযুগের কালো ঘুটঘুটে ঘোর অজ্ঞানতার অন্ধকার মাঝে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র রূপে এলেন এবং সব ডিস্ক্লোজ ক'রে দিয়ে গেলেন আর আমাদের সামনে রেখে গেলেন আমাদের মাঝে তাঁরই প্রতিনিধিস্বরুপ শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে, যাতে আমরা কাল এবং কর্মের জালে জড়িয়ে দমবন্ধ অবস্থায় হাঁসফাঁস করতে থাকা মানুষ বুকভরে ফ্রেস অক্সিজেন নিতে পারি, প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে আবার উঠে দাঁড়াতে পারি, ঘুরে দাঁড়াতে পারি, বাঁচতে পারি, পারি বেড়ে উঠতে আবার নোতুন উদ্যমে হতাশাকে, জীর্ণতাকে, দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণাকে ঝেড়ে ফেলে আত্মবিশ্বাসকে মূলধন ক'রে।

সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীআচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা এমনই একজন সুন্দর ভদ্র সভ্য সৎ জ্ঞানী মানুষ যার জীবনে ধর্ম মূর্ত হ'য়ে উঠেছে। অর্থাৎ ধর্ম তাঁর জীবনে, তাঁর চরিত্রে, আচারে, আচরণে, কথায় বার্তায়, ব্যবহারে, চেহারায়, চাউনিতে, হাসিতে জীবনের প্রতিমুহুর্তে মূর্ত হ'য়ে উঠেছে, জীবন্ত হ'য়ে উঠেছে।

পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা বললেন, "জল, ওয়াটার, পানী ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন ভাবে বললেও জলের কাজ তৃষ্ণা মেটানো ।
ঠিক এমন ধর্মের ক্ষেত্রেও। মন কে স্থির রাখা, সরল মনের অধিকারী হওয়া আর সবাইকে ভালবাসতে পারাই হলো সব ধর্মের মূল বিষয়।"
সব ধর্মই যে এক আর প্রকৃতপক্ষে কারও সঙ্গে কারও যে কোনও বিরোধ নেই, ভাবের বিভিন্নতা, রকমফের----একটাকেই নানাপ্রকারে একরকম অনুভব আর ভালোবাসাই যে এক ও একমাত্র শক্তি তার এক সুন্দর উদাহরণ শ্রীশ্রীআচার্দেবের এই কথামৃত |

এরই নাম সৎসঙ্গ! শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নেতৃত্বে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ!!

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত 'সৎসঙ্গ' শৃঙ্খলার যে অপূর্ব সৌন্দর্য বহন করে তার প্রমাণ এই ঋত্বিক সম্মেলন! শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী "এক আদেশে চলে যারা, তাদের নিয়ে সমাজ গড়া" তার প্রমাণ জ্বলন্ত উজ্জ্বল সূর্যের মত জ্বলজ্বল করছে এই সৎসঙ্গ ঋত্বিক কনফারেন্স ও লক্ষ লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত নীরব সুশৃঙ্খল উৎসব স্থান।
শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আদেশে শৃঙ্খলিত ঋত্বিক সম্প্রদায় ও বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের এই শৃঙ্খলিত মাধুর্যময় চলা আজ সমগ্র বিশ্বের কাছে সুখ শান্তির প্রতীক! আজ সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সুযোগ্য সুদক্ষ নিখুঁত নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে ঐক্যবদ্ধ ভালোবাসাময় এক বৃহৎ সৎসঙ্গী পরিবার। এই বৃহৎ পরিবারের সৎসঙ্গী সদস্যদের একটাই লক্ষ্য, একটাই ধ্যান, একটাই জ্ঞান শ্রীশ্রীঠাকুরকে খুশী করা, খুশী করা, খুশী করা। পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের ইচ্ছেমতো প্রেমময়, ভালোবাসাময় এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা।

প্রার্থনা করি দয়ালের রাতুল চরণে শ্রীশ্রীআচার্যদেব ও বিশ্বজুড়ে সমস্ত ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু ও সাধারণ সৎসঙ্গীরা ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক, সুস্থ থাকুক, আলোময়, রূপময়, মধুময়, রসময় হ'য়ে দীর্ঘজীবী হ'ক আর ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময় হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে যত মত বা সম্প্রদায়ের জট মানুষ আছে সমস্ত মতের বা সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণে প্রাণে অমৃতময় ভালোবাসার ডালি নিয়ে । নেমে আসুক সত্য যুগ। জয়গুরু।

Sunday, April 27, 2025

বিচিত্রা ১৩৫

সমস্যার পিছনেই আছে সমাধান।
আর সমাধান আছে সমাধানি পুরুষের হাতে।
তাঁর হাত ধরে যদি থাকো সমস্যাও থাকে না,
সমস্যা আসলে তার সমাধানও হয় সহজেই।

Think before you say or do.
Then proceed with the fire of Dayal's mercy.

আপনি বলার বা করার আগে চিন্তা করুন.
অতঃপর দয়ালের রহমতের আগুন নিয়ে এগিয়ে যান।

Be absorbed in good ideas in your own way,
your feelings will bloom according to your aptitude.

সবাইকে আপন ক'রে নিয়ে
সবাইকে আনন্দ বিলিয়ে আনন্দে থাকুন।

May you embrace everyone and be happy.
Human brain becomes dull gradually due to non-observance. Swimmers understand the agony of swimming against the current.
( লেখা ২৭শে এপ্রিল'২০২৪)


























বিচিত্রা ১৩৪

ধর্ম ও ঈশ্বর কারও কারও কাছে অ্যালার্জি।
সেই অ্যালার্জি ক'রে Inject পায় এনার্জি!!
( লেখা ২৭শে এপ্রিল'২০১৭)

বাংলার বুদ্ধিজীবী কিছু তো বলো! 
শেষমেশ ভাগাড়ের মাংস পাতে এলো!? 
কত মনীষীর এই বাংলা হায়! 
ভেসে যাবে সব ভোটের গরম হাওয়ায়!!
( লেখা ২৭শে এপ্রিল'২০১৮)

কোটি টাকা দিয়েও যা যায় না কেনা
নাম দিয়ে যায় তা কেনা! 
নাম মূল্যে নিশ্চিত শান্তি পাবে, 
মানুষ যাবে চেনা।

প্রকৃতির উষ্ণতা সঙ্গে শরীরের উষ্ণতা 
দুইয়ে মিলে নাভিশ্বাস! 
নাম প্রাণায়ামে শরীরের উষ্ণতা কমে 
শিথিল হয় নিশ্বাস-প্রশ্বাস!!

প্রকৃতির গরমে তুমি করছো হাঁসফাঁস? 
শোনো, অন্তরে নামের আগুন জ্বালো! 
নামের গরমে শান্ত হবে প্রকৃতির গরম নিঃস্বাস!

এত কিছু করলে জীবনে কি পেলে? 
দিন শেষে অবশেষে ভাইবন্ধু হারালে! 
দারাপুত্র পরিবার ভয় নেই কিছু হারাবার 
নামের গভীরে ডুব দিলে!

নামের বাদাম তুলে দে না ঝাঁপ!
মরণ দুয়ারে পড়বে ঝাপ!!

নাম-নামীর কথা লাগে না ভালো খালি 
বৃত্তি-প্রবৃত্তির আলোচনায় মগ্ন থেকে
তায় কেবল চনা ফেলি, তাই না? 
নামের জ্বেলে আলো বন্ধু, অন্ধকারে পথ চলো।

বৃত্তি -প্রবৃত্তিতে দিলে হাত হাতটা কেটে নেব!
বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে দিলে সুড়সুড়ি গালে চুমা দেবো!!

ঠাকুর আত্মজদের গালি দিয়ে অশ্রদ্ধার চাষ করলি! 
সেই চাষেরই ফসল তুই তোর নিজের রেত: ধারায় ফলালি!!

নিজের জ্বালায় জ্বলছ অন্যের কাছে চাও কৈফিয়ৎ! 
হিংসার আগুন জ্বলছে বুকে পুড়ে খাক হচ্ছো 
কি জানি কি সুখে! এই কি তোমার নিয়ত!?

ঠাকুর পরিবার থেকে কৈফিয়ৎ চাও 
এত বড় পান্ডা তুমি!? 
বাবাধামের পান্ডারা যেমন কাঁপিয়েছিল 
দয়াল ভূমি!!

ঠাকুর আত্মজদের করে অশ্লীল গালাগালি 
আবার বলে সৎসঙ্গী, সাজে ঠাকুরপ্রেমী! 
কলিযুগের এমন প্রেমী কি 
ঠাকুরপ্রেমী নাকি জাত হারামী!!

ঠাকুর আমার পরম প্রেমময়! 
কিন্তু ঠাকুরপ্রেমী সেজে ঠাকুর আত্মজদের 
গালি দিয়ে যারা পতিত হ'তে পায় না কোনও ভয়!? 
এরা কারা!? 

সৎসঙ্গের কলঙ্ক যারা 
আবার সতের ঢাক পেটায় তারাই
বাজায় ঠাকুর প্রেমের তবলা! 
যেমন চোরের মায়ের বড় গলা!!

ঠাকুরকে চোখের জলে ভাসিয়ে যারা 
একদিন গিয়েছিল চ'লে তাদের উত্তরসূরীরা 
সেই ট্র্যাডিশন চলেছে ব'য়ে সমানে 
যত্ন ক'রে নিয়ে বগলে!!
( লেখা ২৭শে এপ্রিল'২০১৯)
























Friday, April 25, 2025

বিচিত্রা ১৩৩

নাম পেয়েও তুমি গাইলে না তাঁর গান, 
করলে অবহেলা উল্টে তাঁর রথের দড়ি ধ'রে 
মারছো কষে টান; এর পরেও চাও 
শয়তান থেকে পরিত্রাণ!

নাম ভিন্ন এ সংসারে আর কিছু নাই, কেহ নাই।
নামের মধ্যেই কিন্তু নামীর অবস্থান পাই 
তাই করো অবিরাম নাম প্রাণায়াম।

যা ইচ্ছা তাই করছো তুমি সাবধান কিন্তু হ'চ্ছো না; 
সাবধান নাহ'লে বন্ধু ভবিষ্যতে ভুগতে হবে 
একথা এখন বুঝতে পারছো না।

'রাণী রাসমণি' সিরিয়ালে জামাই রামচন্দ্রের ব্যবহারে 
রাণী জিজ্ঞেস করলেনঃ
'এ আমি কোন রামচন্দ্রকে দেখছি বাবা!?'
উত্তর কি এখন? উত্তরঃ স্ত্রী সর্বস্ব রামচন্দ্র!
(লেখা ২৪শে এপ্রিল'২০১৯)

সাদা পোশাক আর কাঁধে কালো ব্যাগ 
সৎসঙ্গীদের দেখে মনে পড়ে যায় 
৭০দশকের কাঁধে লম্বা ঝোলা ব্যাগ আর 
পাঞ্জাবীতে কমিউনিষ্টদের কথা। 
(লেখা ২৪শে এপ্রিল'২০২৪)








Tuesday, April 22, 2025

প্রবন্ধঃ বিশ্বজুড়ে ধ্বংস ও মৃত্যু এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস ও মৃত্যুর লীলা চলছে। এর হাত থেকে বাঁচার উপায় কি?
গোটা পৃথিবীটা অগ্নিগর্ভ হ'য়ে উঠেছে। বারুদের গন্ধে, ধোঁয়ায় বায়ুমন্ডল ঢেকে গেছে। অসহায় নারীপুরুষ, শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা সমস্ত অসহায় ভয়ার্ত মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হ'য়ে গেছে। তবুও মানুষের কানে পৌঁছচ্ছে না সেই অসহায় যন্ত্রণাকাতর কান্নার আওয়াজ। পৃথিবীর একদিকে ক্ষমতাধর মানুষ হিংস্র পশুর চেয়েও হিংস্র উন্মত্ত উন্মাদ হ'য়ে মেতে উঠেছে মানুষকে হত্যা লীলায়। আর একদিকে ক্ষমতাধর মানুষ তা চেয়ে চেয়ে দেখছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধ্বংসাত্মক যজ্ঞ দেখার পরও মানুষ দেশে দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কারণে অকারণে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে প্রতিবাদের জন্য বিপ্লবের নামে, বিদ্রোহের নামে উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল্ভাবে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাচ্ছে। সরকার পক্ষ সেই প্রতিবাদের বিপ্লবের আগুন, বিদ্রোহের আগুন নেভাবার জন্য পাল্টা শাসনের নামে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে কিংবা দমন পীড়ন চালাচ্ছে। ক্ষমতা দখলের জন্য, ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিপ্লব, বিদ্রোহের Blue print নীল নকশাকারীরা যে কোনও ইস্যুকে মূল্ধন ক'রে সাধারণ মানুষকে দাবাড় বোড়ের মত নিজেদের উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছে। সরকার ও ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য বিরোধী দল পারস্পরিক লড়াইয়ে মেতে উঠেছে সামাজিক নানা ইস্যুতে সেই সাধারণ আমজনতাকে ঢাল ক'রে। দেশের ভেতরে সংঘাত ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংঘাত, যুদ্ধ দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ও আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনাবলীর কারণে। দেশের অভ্যন্তরে সংঘাত ও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সংঘাত, যুদ্ধ নানান কারণে হয়। ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, ব্যক্তিগত শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধ বাধে। বর্তমানে অনেক দেশের অভ্যন্তরে ক্ষমতা দখলের সংঘাত হচ্ছে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে বা যুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় হামাস ও ইজরায়েলের যুদ্ধ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। বর্তমানে যুদ্ধরত দেশগুলো হচ্ছে - ইউক্রেন - রাশিয়া, ইজরায়েল - ইরান।
বর্তমানে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, পারমাণবিক বোমা এসবের মধ্যে শুধু যুদ্ধ সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমান যুদ্ধ প্রতিনিয়ত হ'য়ে চলেছে স্লো পয়েজনের মত কূটনীতি ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার ক'রে, যা আরও ভয়াবহ, ভয়ংকর। যার প্রভাব এসে পড়ছে সাধারণ মানুষের মনে, মস্তিষ্কের চাপে মানুষ আজ দিশাহারা।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতি যে বিদ্যমান এর মধ্যে ইউক্রেন এবং রাশিয়া, এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশেও সংঘাতের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন এখনো চলছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ কার্যক্রম চলমান।
অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে।
পাকিস্তানের বালুচিস্তান, ভারতের পি ও কে এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান ঘটনাও আমরা ওয়াকিবহাল আছি। ২০২৪ এর জুলাই আগষ্ট থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই আমরা রাজনৈতিক শত্রুতা ও ক্ষমতাদখল, জাতিগত কারণে সংঘাত দেখতে পাচ্ছি।
আমরা সম্প্রতি মায়ানমারে ভয়ংকর ভূমিকম্প এবং দীর্ঘদিন ধ'রে চলা গৃহযুদ্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থা দেখেছি ও দেখছি। এইভাবে বলতে গেলে দেখা যাবে মৃত্যু ও ধ্বংসের তালিকা শেষ হবে না। এইভাবে আমরা সারা পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু ও ধ্বংসের লীলা দেখেছি ও দেখে চলেছি। ইতিহাস তার সাক্ষী।

তাহ'লে কি মানবজাতি এইভাবে একদিন ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, কারণ অকারণ পারস্পরিক শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে শেষ হ'য়ে যাবে? বাঁচার ও রক্ষা পাওয়ার কোনও উপায় নেই? মানবতা আজ শুধু একটা অভিধানের শব্দ? মানবতা ও মানবিকতা, শান্তির কোনও মূল্য নেই? শান্তির পুরষ্কার প্রাপক ও বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের মনে, চিন্তায় বিশ্বকে রক্ষা ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে কোনও সওয়াল নেই? নেই কোনও প্রথম ও প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা? লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা কেন বিশ্বকে রক্ষা ও শান্তির পক্ষে তাঁদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার চালায় না? তাঁরা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুধু তাঁদের কলমে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের আগুন ছেটায় কিন্তু শান্তির পক্ষে ছিটেফোঁটা কালী খরচ করে নয়া। এত অসহায় আমরা? এ দায় কার? কারো একার নাকি সবার? কোনও একটা দেশের নাকি সমস্ত দেশের? যদি পৃথিবীতেই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে না পারি তাহ'লে কি দরকার মহাশূন্যে গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি দিয়ে? সেখানেও তো দখলদারী নিয়ে হবে ধুন্ধুমার। তাহ'লে কার কাছে যাবো আমরা? কে আমাদের রক্ষা করবে? কে থামাবে মানুষের এই ক্ষমতা দখলের জন্য, জাতিগত কারণে, ভূখণ্ড নিয়ে, ব্যক্তিগত শত্রুতা ইত্যাদি নানা কারণে সংঘাত ও যুদ্ধ বাধাবার নগ্ন উন্মাদনা, উন্মত্ততা, পাগলামো? কেউ নেই? কে আছো কোথায়? বাঁচাও বাঁচাও! ঘোর ঘুটঘুটে অন্ধকারে এই করুণ আর্তনাদ ভেসে আসছে আকাশে বাতাসে, কেউ কি শুনতে পাচ্ছো না? তবে কি আবার করোনা আসুক ফিরে!? ফিরে আসুক করোনা বিশ্বজুড়ে!? করোনা নামক এক মারণ ভাইরাস ফিরিয়ে দিয়েছিল শান্তি ও পারস্পরিক সম্প্রীতি। তবে কি আমরা তাই চাইছি? ঈশ্বরের কাছে আমাদের এই প্রার্থনা?

সত্যদ্রষ্টা সর্বজ্ঞ জীবন্ত সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর প্রেমিক পুরুষ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন, তোদের সামনে এমন একদিন আসছে সেদিন একমুঠো সোনার বদলে একমুঠো চাল পাবি না। দুনিয়ার সামনে একটা সর্বনাশ আসছে যার তুলনাই এই মহাযুদ্ধ (২য় বিশ্বযুদ্ধ), এই লোকক্ষয়, এই সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয় মনুষত্বের মূল বুনিয়াদটাই লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়।

আরও বললেন, আমার লাভ হ'লো, অপরের ক্ষতি হ'লো এতে কিন্তু আমার ঠিক ঠিক লাভ হ'লো না। পরিবেশকে ক্ষতি করলে সে ক্ষতি আমাকে একদিন না একদিন আক্রমণ করবেই। আমি যদি রেহাই পাই আমার ভবিষ্যৎ বংশধর হয়তো রেহাই পাবে না। আর, স্থুলতঃ আমি ক্ষতিগ্রস্ত না হ'লেও আমার মস্তিষ্ক ও অভ্যাস-ব্যবহার ঐ আচরণের ফলে blundering blend ( ভ্রান্তিপ্রবণ বাঁক) নেবেই। আর্থিক ক্ষতির চাইতে এ ভীষণতর ক্ষতি বেশী। মানুষ চিন্তা করে না, তাই অসাড়ে অপকর্মের আরাধনা ক'রে চলে।"

তাই সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, বিশ্বজুড়ে এই অপকর্মের আরাধনার ফলে আমাদের মনুষত্বের বুনিয়াদটাই লোপ পেয়ে যাবার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক ও অভ্যাস-ব্যবহার ঐ 'আমার লাভ হ'লো, অপরের ক্ষতি হ'লো, আমার গায়ে আঁচ নয়া লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' এই আচরণের ফলে blundering blend ( ভ্রান্তিপ্রবণ বাঁক) নিয়ে নিয়েছে ইতিমধ্যেই বহুদিন আগেই। তাই শুরু হ'য়ে গিয়েছে সর্বনাশ। নিজেকে নিজের আয়নায় দাঁড় করাবার সময় কি এখনও আসেনি? মনুষ্যত্ব বলতে বোঝায় মানুষের মধ্যে থাকা মানবিক গুণাবলী, যেমন - দয়া, সহানুভূতি এবং মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার। ব্যবহারই একমাত্র জীবনের পানীয়। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, Behaviour is the bevarage of life. এটি হলো মানবতা, যা পশুত্বের বিপরীত।
আমাদের সৎসঙ্গীদের আজ নিজেদের নিজের বিবেকের আয়নায় দাঁড় করিয়ে দেখতে হবে, আমাদের মধ্যে দয়া, সহানুভূতি আছে কিনা, আমরা সৎসঙ্গীরা মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার করছি কিনা। যা ঠাকুর আমাদের কাছে চান। ঠাকুর আমাদের বীর হ'তে বলেছেন, সাহসী হ'তে বলেছেন। আমাদের হিংস্র হ'য়ে বাঘ ভাল্লুক সেজে বসতে বারণ করেছেন। স্পষ্টবাদী হ'তে বলেছেন কিন্তু মিষ্টভাষী হ'তে বলেছেন। কিন্তু আমরা কি সৎসঙ্গীরা ঠাকুরের মনের মত হচ্ছি, হ'তে পেরেছি বা হ'তে চেষ্টা করছি? আজ এই প্রশ্নই সৎসঙ্গীদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
আমরা সবাই ধ্বংস হ'য়ে যাবো। মৃত্যু তার অক্টোপাশের মত হাজারো শুঁড় বের ক'রে আমাদের পেঁচিয়ে ফেলছে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করবে বলে। তাই সৎসঙ্গীরা সাবধান। আসুন শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা স্মরণ করি। "মরো না, মেরো না, পার তো মৃত্যুকে অবলুপ্ত করো।" তাই মৃত্যুকে অবলুপ্ত করতে হ'লে আমাদের মৃত্যুঞ্জয়ী হ'তে হবে। আর, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে শ্রীশ্রীঠাকুরের সাবধান বাণী ও তাঁর বাঁচা-বাড়ার বাণী। আগামী যে ভয়ংকর দিন আসছে যদি এই ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে, অকাল যন্ত্রণাদায়ক ভয়াবহ মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের বাঁচতে হয় তবে আমাদের তাঁর শরণাপন্ন হতেই হবে। তাঁর কথা ছড়িয়ে দিতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সমস্ত দেশে, গোটা পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের কাছে। তবেই আমরা সবাই বাঁচবো। হ্যাঁ বাঁচবো, নিশ্চিত বাঁচবো, পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই বাঁচবো। মিলেমিশে বাঁচবো। আমাদের মিলেমিশে বাঁচতে হবে। মাথার ওপর আমাদের মালিক শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আছেন। আছেন তাঁর পরিবারের সমস্ত শ্রদ্ধেয় পূজনীয় আত্মজরা। আমাদের সৎসঙ্গীদের কোনও ভয় নেই। শুধু উদাত্ত কন্ঠে গাইতে হবে ঐ গান "মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষের সনে"। শ্রীশ্রীঠাকুরের আত্মজদের সকলের প্রতি আমার আভূমি প্রণাম জানাই।

একবার প্রফুল্লদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন, বাইবেলে নাকি আছে, পৃথিবীতে ধ্বংস নেমে আসছে, বহু মানুষ মরবে, সেদিন নিকটবর্তী।

বর্তমানে আমরা কি ইউক্রেন - রাশিয়া, ইজরায়েল - ইরান, ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়া, পাকিস্তানের বালুচিস্তান, ভারতের পি ও কে, বাংলাদেশ, মায়ানমার, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশে যুদ্ধ, সংঘাত, প্রাকৃতিক ভয়াবহ বিপর্যয় কি প্রভু যীশুর বাইবেলে বলা বাণীর ইঙ্গিত কি বহন করছে না?
বাইবেলে কি আছে? আবার একবার শুনে নিই প্রফুল্লদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন, বাইবেলে নাকি আছে, পৃথিবীতে ধ্বংস নেমে আসছে, বহু মানুষ মরবে, সেদিন নিকটবর্তী।
এ ব্যাপারে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, আবার বাইবেলে একথাও আছে যার কপালে Ticket of my new name ( আমার নতুন নামের ছাপ) থাকবে, তারা বেঁচে যাবে! যাদের থাকবে না তারা মারা যাবে। কুরুক্ষেত্রের সময়ও এসব ছিল! তখনও তো মুছে যায়নি।"
প্রভু যীশু পৃথিবী ধ্বংসের কথা, বহু মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, সেটা মিলে গেছে ও যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে।
আবার শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, প্রভু যীশু বলেছিলেন তাঁর নতুন নামের ছাপ যার কপালে থাকবে সে বেঁচে যাবে।
অর্থাৎ তাঁর নতুন নাম বলতে প্রভু যীশু বলেছিলেন বর্তমানে প্রভু যীশুর নতুন রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দেওয়া নাম যার কপালে থাকবে সে বেঁচে যাবে এই ভয়ংকর ঘোর অন্ধকারে, বিষাক্ত হাওয়ায়।

তাই সৎসঙ্গ ীদের বলি, প্রভু যীশুর কথামত আমরা তাঁর নতুন রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দেওয়া নতুন নামের ছাপ আমাদের কপালে আছে, আমরা বাঁচবো, হ্যাঁ সবাই বাঁচবো ও সবাইকে বাঁচাবো। ভয় কি? আমাদের কোনও ভয় নেই। আসুন আমরা দীক্ষিত-অদীক্ষিতদের মাঝে এই কথা পৌঁছে দিই। আর দীক্ষিতদের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
"ঝড় ঝঞ্ঝা যতই আসুক মনেতে রাখিস জোর, মাথায় আছেন দয়াল ঠাকুর, ভাবনা কি বা তোর?"
একজন বিশেষ একটা ঘটনার কথা জানিয়ে বললেন, আমার ভয় ভয় করে।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, যাঃ! তোর ভয় কিসের? তুই নাম নিয়েছিস, তোর গুরু আছেন, ভগবান আছেন, তুই সেই পথে চলবি। ভগবানকে ভালোবাসবি, ভগবান কাউকে ছাড়েন না। তোরাও তেমনি কাউকে ফেলবি না। কাউকে ছাড়বি না। সবাইকে ভালোবাসবি, তাদের সেবা করবি। খু'ব ক'রে নাম করবি। স্ফুর্তিসে কাম-কাজ করবি।

আসুন আমরা সবাই মিলে স্ফুর্তিতে তাঁর নাম করি, শয়নে, স্বপনে, জাগরণে, ভোজনে, অবগাহনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে, ফিরতে, উঠতে বসতে সংসারের সব কাজের মধ্যে তাঁর নাম করি আর তাঁর কাজ করি। মৃত্যুভয় ব'লে কিচ্ছু থাকবে না। অকাল মৃত্যু হবে না। আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই।

Monday, April 21, 2025

বিচিত্রা ১৩২

যদি পছন্দই না হয় তবে দূরে সরে যাও।
ঝগড়া ক'রো না আর ঝগড়া ক'রে অন্যকে আঘাত ক'রো না,
নিজে ম'রো না। জীবন দু'দিনের!

তুমি কিছু করলেও কাল সূর্য উঠবে না করলেও উঠবে।
সূর্য ওঠা তোমার করা, না করার ওপর নির্ভর করে না; 
তাই যাবার আগে দাগ রেখে যাও।

মানুষের অহংকারঃ
সে সেরা বুদ্ধিমান জীব!
তাই সে ঈশ্বর মানে না।
তুমি মানুষ হ'য়ো না, 
ঈশ্বরের সন্তান হও!!

আস্তিকের অহংকারঃ
সে ঈশ্বরের পূজারী।
তাই
সে ঈশ্বরের মূর্ত রূপ মানে না। 
তুমি আস্তিক হ'য়ো না;
জীবন্ত ঈশ্বরের সেবক হও।

ধার্মিকের অহংকারঃ
সে ঈশ্বরের প্রতিনিধি।
তাই,
সে ঈশ্বরের সিংহাসনেই বসে পড়ে!
তুমি ধার্মিক হ'য়ো না;
ঈশ্বরের ভক্ত হও।
( লেখা ২১শে' এপ্রিল ২০১৮)




 

















Sunday, April 20, 2025

উপলব্ধিঃ আমার চাওয়া।

চলে যেতে হয় সকলকেই একদিন। একদিন আগে আর একদিন পরে। আজ নয়তো কাল, কাল নয়তো পরশু। আজ তুমি চ'লে গেলে কাল হয়তো আমার যাবার দিন কিম্বা অন্য কোনও একদিন। যেতে কিন্তু হবেই। সব পিছনে ফেলে একেবারে খালি হাতে উলঙ্গ শরীরে। কিন্তু কি রেখে গেলাম!? কি রেখে যাবো? ঐ যে ছোট্ট শিশু যে আমাকে আজ সকালেই গলা জড়িয়ে ধ'রে আঙুল তুলে আধো আধো স্বরে ব'লে গেল, 'দাদু! এক্তু বচো, আমি একুনি আচচি।' এসে যদি আর না দেখে আমাকে!? আমার যে অনেক কিছু বলার ছিল তাকে! সে বুঝুক আর না বুঝুক হাতে কলমে ক'রে করিয়ে যে অনেক কিছু শেখাবার ছিল তাকে! কিন্তু আমি যদি চলে যাই, সুযোগ না পাই আর দাদুভাইকে শেখাতে বা বলতে তা হ'লে? যদি না পাই সময় বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে অবাস্তবের রঙ তুলির ক্যানভাস সরিয়ে বাস্তবের কঠিন রঙ চটা ফ্যাকাসে ছবি তুলে ধ'রে তাকে দেখাতে ? তখন কি হবে!? হে দয়াল! হে পরমপিতা!! হে আমার জীবন সর্বস্ব ঠাকুর!!! আমি যাবার আগে তোমাকে ঘিরে আমার সব ইচ্ছা তুমি পুরণ ক'রে দিও। এই আমার চাওয়া। 
( ২১শে এপ্রিল'২০২১)

বিচিত্রা ১৩১

মাস্ক আর মার্ক্স। 

এই দুই এর মধ্যে ধ্বনিগত মিল স্বাভাবিকভাবেই আরও একটা সংকেত ব'য়ে আনে আর তাই মনে হয় ভয় নাই, ভয় নাই, নাই করোনাতে ভয়! মার্ক্স যেমন একসময় প্রায় গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল কিন্তু তারপরে নিভে গিয়েছিল সেই হাউইবাজির সাময়িক প্রচুর আলোর ঝলকানি আকাশের অনেক ওপরে ওঠার পরে ঠিক তেমনি করোনার ভয়ে সর্বক্ষণ মাস্ক পড়ার তীব্রতা ও বিরক্তিও একদিন স্তিমিত হ'য়ে যাবে। তাই ভয় নেই বন্ধুরা! ভয় নেই!! শুধু সময়ের অপেক্ষা বন্ধু! সময়ের অপেক্ষা!! আবার সুর্য উঠবে! কালো মেঘ কেটে আকাশ হাসবে!!
মাস্ক আর মার্ক্স দুই ভাই তাই ভয় নাই, ভয় নাই!!
( লেখা ২০শে এপ্রিল'২০২১)

ঠাঁই দাও।

কত মানুষ কত কষ্ট বুকে নিয়ে চলে গেছে পৃথিবী ছেড়ে কাউকে বলতে পারেনি তার কষ্টের কথা আবার কত মানুষ কাউকে না বলতে পারা কত কষ্ট বুকে নিয়ে বেচে আছে আজও শূন্য বুকে উদাস দৃষ্টিতে আকাশের দিকে চেয়ে।
হে মানব! এসো পরমপিতা দয়ালের চরণে মাথা নোয়াও, তার কাছে বসো, কথা বলো, প্রার্থনা করো, মনের কথা সব তার কাছে খুলে বলো, তাকে জানাও। দয়াল-ই পারেন একমাত্র তোমার সব সমস্যার নিখুঁত সমাধান করতে। তার উপর বিশ্বাস রাখো আর নির্ভর করো। সমাধান অবশ্যম্ভাবী।
হে দয়াল! তুমি এদের দেখো। তোমার বুকে এদের তুমি ঠাই দিও। আর আনন্দের দরজা এদের জন্য তুমি খুলে দাও দয়াল! বাকী দিনগুলি এদের আনন্দ কাটুক।
( লেখা ২০শে এপ্রিল'২০২২)

বিচিত্রা ১৩০

তুমি মহারাজ সাধু হ'লে আজ
আমি আজ চোর বটে;
আমার ঘর দিলে আঁধারে ভরিয়ে বন্ধু,
তোমার ঘরে যেন প্রতিদিন সূর্য ওঠে।

পথে পথে ঘুরে ক্লান্ত অবসন্ন বিধস্ত তুমি
খুঁজে পেয়েছিলে ঘর,
ঘরের শান্ত নির্মল ছায়ায় শুয়ে সবল হ'য়ে
ক'রে দিলে তাঁকে নিমেষে পর।

এমনিভাবেই বেলা গেল
বন্ধুকে হারিয়ে বন্দুককে করলে সাথী,
ভালোবাসা গেল হারিয়ে আর
দিন শেষে সন্ধ্যা ছায়ায়
কেবল মারামারি আর হাতাহাতি।

দিনের শেষে সন্ধ্যা ছায়ায় রাতের ঘন আঁধারে
যদি মনে হয় তুমি একা,
অনুতপ্ত হৃদয়ে এসো তুমি বন্ধু
আছি বসে দয়ালের সাথে ঘরে ফাঁকা।

দোঁহে মিলি গাহিবো দয়ালের গান
জুড়াইবো অশান্ত মনপ্রাণ,
চড়িয়া দয়ালের রথে আনন্দ সাগরে
ভাসিবো জোয়ারে তুলে দিয়ে নামের নিশান।

কি হ'লো লাভ দয়ালকে ধ'রে যদি
মন ডাস্টবিন মুক্ত না হ'লে?
মনকে ডাস্টবিন মুক্ত ক'রে ছুটে এসো
ত্বরা ক'রে এসে ব'সো দয়ালের চরণ তলে।

দয়ালকে সাথে নিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে
ভাবছো করবে তুমি বাজিমাৎ?
দয়ালকে ছেড়ে যা ইচ্ছা হয়, যা খুশী করবে তুমি
হবে না মাথার ওপর বজ্রপাত?

প্রদীপের নীচে অন্ধকার এ কথা সত্যি, নয় মিথ্যা।
তুমি নও তো সে অন্ধকার?
দয়ালের চোখে চোখ রেখে ভেবে দেখো একবার।
নতুবা সব বৃথা।

দয়ালের রাজ্যে ঢুকেছো বন্ধু হও সাহসী, হও বীর।
বিশ্বাস, নির্ভরতা আর আত্মত্যাগ এই তিন বিষয়ে হও স্থির,
নতুবা নরক নিশ্চিত।
( লেখা ২০শে এপ্রিল'২০২৪)



































বিচিত্র ১২৯

এক ধরণের ফেসবুক বন্ধু আছে
যারা ঝোলের লাউ আর অম্বলের কদু।
আমসার লেখাতেও লাইক দেয় আবার
যারা আমায় গালাগালি করে তাদেরও দেয়!
তারা হাদু আর ভোঁদু।

মনে মনে ভাবি
এ বাংলায় আমরা থাকি কারা?
কাদের এই বাংলা?
বাংলার গাধা নাকি গাধার বাংলা?
ঠাকুরের করছো কাজ সেখানেও বাধা!?

ছেলে মেয়ে বউ সবাই আপন, থাকলে মৌ।
না থাকলে মৌ, আপন নয় কেউ,
শুধুই ঘেউ ঘেউ!!

এ কোন বাংলা!
যেখানে বপন হয় প্রতিনিয়ত হিংসার বীজ,
ছড়ানো হয় এ কোন আলো!?
ক্ষমতা দখলের জন্যে যত ইচ্ছা
মানুষ খেপিয়ে তোল!!

এ কোন বাংলা রেখে যাচ্ছো?
কাদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছো এই বাংলা!?
তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে বন্ধু
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ক'রে দিয়ে
খোঁড়া আর ল্যাংড়া!!
( লেখা ২০শে এপ্রিল' ২০১৮)

আজ যাকে দান করছো কাল তোমাকে
হাত পেতে সেই দান গ্রহণ করতে না হয়!
সাবধান! চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়!

করোনার বিপর্যয়ে যাকে করছো আজ করুণা
সেই করুণা বুমেরাং হ'য়ে ফিরে না আসে তোমার কাছে!
সাবধান! চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়!

হাত পেতে যে নিচ্ছে সাহায্য তার ফটো তুলে
তুমি তাকে করছো খাটো!
সাবধান! চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়!
ভাগ্যের পরিহাসে কাল হয় না যেন এর উল্টো
কিংবা হ'য়ে না যাও নিজেই ফটো!!
(লেখা ২০শে এপ্রিল' ২০২০)

সৎসঙ্গী কে?বাপ কা বেটা সহিস কা ঘোড়া
কুছ নেহী তো থোড়া থোড়া।
বাপ কে? পুরুষোত্তম পরমপিতা।
(লেখা ২০শে এপ্রিল' ২০২৩)

Saturday, April 19, 2025

বিচিত্রা ১২৮

ডাইনী ছাঁচঃ
শালা দিই লাগিয়ে ঝগড়া
আর দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে 
বাদাম ভাজা খাই, 
আর মুচকি মুচকি হাসি ছড়িয়ে 
অম্ল ঢেঁকুর তুলে যাই।
( লেখা ১৯শে এপ্রিল'২০১৮)

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে। (১৩)
ছোটবেলায় ইজ্জতের কাঙাল দেখেছি 
এখন ইজ্জৎ বিকিয়ে অন্যের ইজ্জৎ নষ্ট করার 
কাঙাল চরিত্র দেখছি।

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে।(১৪)
আগে সবাই সবার সঙ্গে যেচে কথা বলতো 
এখন সবাই অপেক্ষা করে থাকে
অন্যে আগে বলুক কথা 
ফলে সবাই থাকে একা-বোবা।

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে। (১৫)
আগে সরল মনে মানুষ আগেভাগে কথা বলতো 
এখন আগ বাড়িয়ে কথা বললেই ভাবে, 
নিশ্চয়ই কোনও ধান্দা আছে!
( লেখা ১৯শে এপ্রিল'২০১৯)

ঈশ্বরের কাজে নিজেকে যুক্ত রেখে যত থাকবে ব্যস্ত
শরীরে-মনে ও আত্মায় তুমি হবে তত পবিত্র আর সুস্থ!
( লেখা ১৯শে এপ্রিল'২০২০)

কানে বিষ ঢালা লোকেদের হাত থেকে বাঁচার উপায় 
যে কানে বিষ ঢালছে আর যার কানে ঢালছে 
দুজনের থেকে সম্মান জনক দূরত্ব বজায় রেখে চলা।

The only way to avoid poisoners is 
to keep a respectful distance from both 
the poisoner and the recipient.
( লেখা ১৯শে এপ্রিল'২০২৪)




























Wednesday, April 16, 2025

প্রবন্ধঃ ছদ্ম বড়দা ভক্ত।

"বড়দার এই ইষ্ট পুরুষোত্তম ভক্তি কে যারা তাচ্ছিল্য করে বড়দাকে ঠাকুরের পাসে বসিয়ে নাচানাচি করে আসলে তারাই হল এ-যুগের শাতন। তারা আসলে বড়দাকে ও মানে না, ঠাকুর কেও মানে কিনা সন্দেহ কারণ তাদের সত্তাই হল বিকৃত।বড়দা আমাদের সুযোগ্য সৎসঙ্গ পরিচালক প্রধান কিলক, অবশ্যই আচার্য নয়। যারা বড়দা কে আচার্য বানায় আর তাদের কাজই হল সত্য সনাতন কে বিকৃত করে নিজেকে ভ্রান্ত ইষ্ট নিষ্ঠা ভক্ত সাজার অভিনেতা।"

----------------'উন্নয়ন সুপ্রজনন ও রিসার্চ' নামে পেজে এই পোষ্টটা দেখলাম। দেখলাম, 'ইষ্টপ্রসঙ্গে' গ্রন্থ থেকে নেওয়া শ্রীশ্রীবড়দার কথোপকথন তুলে শেষে উপরের লিখিত কথাগুলি লিখে কোনও একজন বালখিল্য শক্ত ভক্ত কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মাঝে নিজেকে অনেক বড় ভক্ত সিদ্ধপুরুষ মহাপুরুষ প্রমান করতে চেয়েছেন। এরকম অনেক গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল জাতীয় বালখিল্য ভক্তের দল মাঝে মাঝে ফেসবুকে বিপ্লব খেদাতে আসে। কুজের যেমন শখ হয় চিত হ'য়ে শোয়ার এরকম কিছু বালখিল্য ভক্তের মাঝে মাঝে শখ হয় জ্ঞানী ভক্ত সাজার। তারা এমনই চিমটাধারী স্বঘোষিত সন্ন্যাসী যে চিমটার খটখটানিতে গাজনের পশ্চাদ্দেশ ঘা ক'রে ছেড়ে দিয়েছে আর এখন সেই দগদগে ঘা বি-টেক্স আর ঢোল কোম্পানীর মলম লাগিয়ে লাগিয়ে সারাতে না পেরে মাথার ঘায়ে আর মলদ্বারের ঘায়ে কুত্তা পাগল-এর মত বনবন ক'রে লাট্টুর মত ঘুরে মরছে আর শিং ভেঙ্গে বাছুরের দলে ঢুকে বাছুর সাজার মত বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মাঝে সৎসঙ্গী সেজে শ্রীশ্রীবড়দা প্রেমী হ'য়ে শ্রীশ্রীবড়দার কথাকে হাতিয়ার ক'রে শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামীদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কামান দেগে বালখিল্য বিপ্লবী সেজে মহা উপলব্ধিবান সিদ্ধপুরুষ, মহাপুরুষ হওয়ার তীব্র বাসনায় দিনের শেষে অবশেষে ক্লীবলিঙ্গে বা নপুংসকে পরিণত হয়েছে।

শ্রীশ্রীবড়দার ইষ্ট পুরুষোত্তম ভক্তিকে এরা এমনই উপলব্ধি করেছে যে এইসব বালখিল্য ক্লীবলিঙ্গের দল শ্রীশ্রীবড়দার নামের আগে শ্রীশ্রী বসাতে দ্বিধা বোধ করে আবালের জ্ঞান ভান্ডারের ভাণ্ডারী হ'য়ে!!!!! এরা শ্রীবড়দা লেখে। দুটো 'শ্রীশ্রী' লিখতে এদের বোধের ঘরে চুলকায়। 'শ্রীশ্রী' শব্দের মানে এরাই বোঝে, কোথায় প্রয়োগ হবে আর হবে না এই জ্ঞান একমাত্র এইসমস্ত বালখিল্য মহাপন্ডিতদেরই আছে, আর কারও নেই।

এদের জ্ঞান ভক্তি এতই উচ্চমার্গের যে এরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বলা ছিরু বিশ্বাসের দলে পরিণত হয়েছে। ছিরু বিশ্বাসের পরিণতি এদের পরিণতি। এরা ছিরু বিশ্বাসের মত কলঙ্কিত জীবনের অধিকারী। এরা সৎসঙ্গ-এর কলঙ্ক।

এইসমস্ত আবালরা শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামীদের শাতন বলে। এইসমস্ত গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত উচ্ছিষ্ট বালখিল্য স্বঘোষিত সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামী শ্রীশ্রীঠাকুর প্রেমীদের সত্তাকে বিকৃত বলে। খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মত, শক্তিশালী দূরবিনেও যাদের অস্তিত্ব ধরা পড়ে না এইসমস্ত তিন নম্বর ছাগল ছানার দল নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ছাগল মায়ের বাঁটের দু'পাশে তিড়িং বিড়িং ক'রে লাফিয়ে বেড়াবার মত মূল কেন্দ্র বিরোধী, শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী, শ্রীশ্রীদাদা বিরোধী এককথায় ঠাকুরবাড়ি বিরোধী নানা কুৎসায় এরা মত্ত থেকে ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে লাফিয়ে ছটপটিয়ে মরে। সেই যে ছটফটানি নরকের মরা কান্না শুরু হয়েছে ঠাকুর দেহ রাখার পরেপরে শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ক'রে, কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি ক'রে সেই নরক তুল্য ঘৃণ্য বিষাক্ত তীব্র কটু দুর্গন্ধময় কার্যকলাপের ট্রাডিশন সমানে ব'য়ে চলেছে বংশ পরম্পরায়! আর এদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস এদের সংস্পর্শে আসা যাদের গায়ে লেগেছে তারাই বিষাক্ত হ'য়ে পড়েছে ও পড়ছে।

এইসমস্ত ছিরু বিশ্বাসের দল নাকি ঠাকুর প্রেমী! এরা নাকি সৎসঙ্গী! এরা নাকি ভক্তপ্রবর! এইসমস্ত বালখিল্য ঋষিরা নাকি ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা, ঠাকুরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করবে বিশ্বব্যাপী!!!!!! যাদের মুখ দিয়ে টাট্টি কা মাফিক বাত বের হয়, কথাবার্তায় মুখ দিয়ে সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো বের হয়, যাদের আচার-আচরণে শুধুই ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে, শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি ছাড়া আর কিছুই বের হয় না, যাদের নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে বিষাক্ত কার্বণ ডাইঅক্সাইড বের হয়, যাদের মনেপ্রাণে শুধুই হিংসা আর হিংসা তারা নাকি পরমপ্রেময়ের প্রেমের পূজারী!!!!! ঐ যে বাংলাদেশে কি একটা প্রবাদ আছে, "আস্তে কন দাদা ঘোড়ায়ও হাসবো"---ঠিক তেমনি এদের মুখে ঠাকুরের নাম শুনলে তেমনই মনে হয়, ঘোড়া গাধায় হাসে। এরা যখন ঠাকুর আত্মজদের নিয়ে কুৎসা করে, নিন্দা করে, গালাগালি করে তখন কি এদের ঠাকুরের ব'লে যাওয়া হাজার হাজার বাণীর কথা মনে পড়ে না!? এদের যারা অভিভাবক তারা কি এদের শাসন করে না!? এদের ঠাকুরের শিক্ষায় শিক্ষিত ক'রে তোলার শিক্ষা দেয় না!? ঠাকুর যা যা পছন্দ করতেন না সেইসমস্ত বদগুণগুলিই এদের চরিত্রে জ্বলজ্বল করছে বিগত ৫০ বছর ধ'রে!!!!

এরা ঠাকুরকে নিয়ে দেখি শোভাযাত্রা করে ঠাকুরকে রাস্তার ঠাকুর, গলির ঠাকুর, বস্তির ঠাকুর, চোরুয়া ঠাকুর সাজিয়ে! থালার মধ্যে মা মনসা, মা শেতলার মত ঠাকুরের ফটো বসিয়ে, মাথার ওপরে ঠাকুরের ফটো নিয়ে ঠাকুরকে বাবাজি, দাদাজি সাজিয়ে, ছুমন্তর ফুসমন্তর বাবা সাজিয়ে এরা যেমন তেমন সাজে নিজেরাও সেজে, মায়েরাও যেমন তেমন পোশাক পড়ে রাস্তায় ঢোল পিটিয়ে বেড়িয়ে পড়ে!!!! এইসমস্ত দু'পয়সার যোগ্যতাহীন ভক্তপ্রাণ বিচার করে কে আচার্য আর কে আচার্য নয়! এরা শ্রীশ্রীবড়দাকে এখন চালাকি ক'রে প্রেম দেখিয়ে বড়দা প্রেমী সেজেছে! এরা এখন বড়দাকে বলছে বড়দা নাকি সুযোগ্য সৎসঙ্গ পরিচালক প্রধান কিলক! আবার ঠাকুর পরবর্তী এই বড়দারই নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তের এরা তীব্র বিরোধী ও কটু সমালোচক ছিল ও সেই ধারা বজায় রেখে চলেছে এখনও নিজেদের গাঁয়ে মানে আপনি মোড়ল সাজিয়ে! এরা বড়দাকে ত্যাগ ক'রে চলে গিয়ে পালটা সংগঠন করতে দ্বিধা করেনি! এরা ঠাকুর জীবিত থাকতেই মাথায় ঠাকুরের ফটো নিয়ে বন্দে পুরুষোত্তম ধ্বনি দিয়ে জীবন্ত ঠাকুরকে ত্যাগ ক'রে, ঠাকুরকে তীব্র ব্যথা দিয়ে সংগঠনকে ঠাকুরের উপস্থিতিতেই ভাঙতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি! এরা এদের পূর্বসূরি বড় বড় ভক্তরা বড়দাকে স্বীকার করতে, বড়দার নেতৃত্বকে মানতে চাননি! বড়দাকে অমান্য করতে, অপমান করতে, জনসমক্ষে হেয় করতে, ছোট করতে, সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি। ঠাকুরের পরম আদরের বড়খোকাকে, ঠাকুরের প্রথম সন্তানকে, ঠাকুরের পরম ভক্তকে, ঠাকুরের আত্মজকে, ঠাকুরের চোখের মণিকে অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছিল এই সমস্ত তথাকথিত ভন্ডদের দল। এরাই এখন বালখিল্য ঋষির মত লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে আকাশের চাঁদ ধরার মত অলীক স্বপ্ন দেখে চলেছে বড়দাকে ভক্তি দেখিয়ে আম সৎসঙ্গীদের বুরবক বানাবার প্রচেষ্টায়! হে ভন্ড! হে জালি শক্ত ভক্তের দল জেনে রেখো সে গুড়ে বালি! মনে রেখো হে দু'পয়সার ভন্ড ভক্তের দল ঠাকুরের বাণী, "-----------ঠাকুর কি তোর এতই বেকুব! ফাঁকি দেখে নয় সামাল!?"

ভন্ডামি আর কপটতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, উদাহরণ এরা!
যারা ঠাকুরের পরম ভক্ত, প্রধান ভক্ত, ঠাকুরের বড়খোকাকে, সৎসঙ্গের বড়ভাই সৎসঙ্গ জগতের সবার বড়দাকে মানে না তারা নিজেরাও নিজেদের ঘরের বড়ভাইকে মানে না, শ্রদ্ধা সম্মান করে না, ভালোবাসে না। এমনকি তারা যারা বাড়ির বড়ভাই তারাও তাদের ছোটোদের কাছে বড়ভাইয়ের শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা পায়না, বড়ভাই তথা বড়দার স্বীকৃতি পায় না।

হে আমার পরম বোদ্ধা ভক্তগণ!
শ্রীশ্রীঠাকুরের নিম্নলিখিত এই বাণীটা ব্যখ্যা ক'রে বুঝিয়ে দেবেন।
"পুরুষোত্তমই রাজা-প্রজা জীবন যশের খেই,
জন্মগত গুরু-আচার্য্য ঋত্বিক-অধ্বর্য্যুও সেই;
যাজক-পূজক-শিষ্য তিনি গরীব-ধনী একই জন,
হৃদয় জোড়া সৃষ্টিছাড়া সৎ-অসৎ-এর বিশ্রয়ণ।"--------শ্রীশ্রীঠাকুর (অনুশ্রুতি ১)
অপেক্ষায় রইলাম। 
( লেখা ১৭ই এপ্রিল' ২০২১)

বিচিত্রা ১২৭

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে! (১)

যে বাটি ছাঁট কাটের জন্য নরসুন্দররা খেত হ্যাটা,  
পেতো না খেতে, সে ছাঁটের দাম এখন একশো টাকা!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে! (২)
ছোটোবেলায় স্নান ক'রে চুল না আচঁড়ালে 
শুকিয়ে গেলে বলতো রাস্তার ছেলে!
এখন সেটা দারুণ স্টাইল ঘরের ছেলের!!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে! (৩)
সজারু দেখতে এখন আর যেতে হয় না চিড়িয়াখানায়। 
সজারুরা ঘোরে এখন ছেলেদের মাথায় মাথায়!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে।(৪)
ছোটোবেলায় মোজা ছাড়া জুতো পড়লে বলতো, শালা খোটুয়া!
এখন সেটা নবীন প্রজন্মের নবীন সংস্কৃতির সাথুয়া!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে। (৫)
ছোটবেলায় ভাই ছিল সাথী, বন্ধু ছিল বোন, 
মাথার ছাতা ছিল বাবা, আশ্রয় ছিল মায়ের আঁচল! 
নবীন প্রজন্মের সাথী মোবাইল কেবল!!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে।(৬)
ছোটবেলায় দেখেছি হয় উন্নতি নয় দুর্নীতি!
এখন হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটে 
দুই ভাই উন্নতি-দুর্নীতি!

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে। (৭)
ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ভাঁড় মে যায় দেশ, 
ভাঁড় মে যায় সংস্কৃতি-সমাজ! 
ক্ষমতা দখলের শেষে গণতন্ত্রের নামে 
সহযোগিতার আশ্বাস।

সত্যি সত্যিই দিন বদলেছে। (৮)
ধর্মের নামে, ঈশ্বরের নামে সিঁটকায় নাক! 
বাড়িতে ও তারাপীঠে মায়ের পুজোর প্রসাদ 
'মাল' খেয়ে 'মা তারা' ব'লে দেয় হাঁকডাক!!
( লেখা ১৭ই এপ্রিল'২৯১৭)










































































বিচিত্রা ১২৬

দীপক ঠিক! জ্বালিয়ো না প্রদীপ।
ভাববার দরকার কি?
বেশী ভাবলেই বুদ্ধিজীবী!!!

নিজেকে বড় প্রমাণ করতে চাও?
বড়কে পায়ের তলায় নাও।

প্রচারে আসার সহজ উপায়?
এসো প্রাতঃস্মরণীয়র মুন্ড চিবায়!!

নিজের প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যের অপ্রতিষ্ঠা,
অসম্মান বুদ্ধিজীবীদের মূল মন্ত্র?

জীবন শুরু দিয়ে যার ভুল
আর ভুল! জানো কি তার মাশুল?
সকালেই বিকেলের ফুল। 

ছোটো হ'তে চাও? 
তাহ'লে বড়কে ছোটো আর ছোটোকে 
আরও ছোটো ক'রে লাথি মেরে 
পাতালে ঢুকিয়ে দাও।

গগন এসো হাতে হাত রেখে হ'ই মগন!

জীবন শুরু দিয়ে যার ভুল আর ভুল, 
জানো কি তার মাশুল?
সকালেই বিকেলের ফুল।

ছেলে মেয়ে বউ,
ভাই বন্ধু প্রতিবেশী
কাউকেই কিছু যাবে না বলা 
যেন ভিনদেশি!
আমাদের ইচ্ছেটা আমাদেরই 
আমরা আয়েশি!!

রাধার ধারা বহে যায়, ভেসে যায়, কারা!?
জীব জগৎ, জীবন কারণ, যত চন্দ্র সূর্য তারা!!
( লেখা ১৭ই এপ্রিল'২০১৭)







































কবিতাঃ সাজানো বাগান!

সাজানো বাগানে সেজেগুজে এলে
আর ফুল তুললে বিনা বাধায়
ঘুরলে ফিরলে মোস্তি করলে
পরে সেই বাগান ভেঙে দিলে নির্দ্বিধায়;
বাগান গড়লেও না নিজে
আর গড়তে দিলেও না কাউকে।
ঘরে ঘরে ঘুরে আর কানে কানে বিষ ঢেলে
বাগান নষ্ট করার নীল নকশা এঁকে
বিজয়ীর বেশে ব্যঙ্গ হেসে বললে এসে দাঁড়িয়ে,
সব ঠিক হ্যাঁয় না? ও কে?
আঁখি জলে মিশে আমি বললাম মলিন হেসে
ঠিক ইয়া ভুল উহ ঠাকুরজী দেখ রহা হ্যায়
আপকা যো মর্জি আপ করে।
কারও ভাঙতে আনন্দ, কারও বা গড়তে;
কারও বা বসে থাকতে আনন্দ, কারও বা দৌড়তে।
কেউ আসে শুধু বলতে, চায় কথার স্রোতে ভাসতে;
কেউ থাকে মুখ বুজে, কেউ বা মুখ বুঝে করতে।
কেউ আসে আত্মপ্রতিষ্ঠায়, কেউ আসে ইষ্ট------
কেউ আসে নিষ্ঠায়, কেউ আসে করতে অনিষ্ট।
তুমি বন্ধু এলে পাশে, দিলে কথা থাকবে ব'লে সাথ;
দিনশেষে দেখি বন্ধু দিলে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকার রাত!
( লেখা ১৭ই এপ্রিল'২০২৩)

উপলব্ধিঃ বিচারক।

God is the only judge. 

Arrogance of power, pride of money and Luxurious life.
The foundation of this pride, arrogance and luxurious life of the powerful people is the blind, irrational love; love of unseen God of the poor, foolish people.
This is God's blessing!!!
The poor are just spectators watching this arrogance of power, pride of money and luxurious life.

So, God is the only judge. probi.

ঈশ্বরই একমাত্র বিচারক।

ক্ষমতার দম্ভ, অর্থের অহংকার, বিলাসবহুল জীবন। ক্ষমতাবানদের এই দম্ভ, অহংকার ও বিলাসবহুল জীবনের ভিত্তি হলো অন্ধ, অযৌক্তিক ভালোবাসা; দরিদ্র, মূর্খ মানুষের অমূর্ত ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা।

এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ!!!
দরিদ্ররা কেবল এই দম্ভ, অহংকার ও বিলাসবহুল জীবন দেখছে দর্শক হিসেবে।

তাই, ঈশ্বরই একমাত্র বিচারক। প্রবি।

বিচিত্রা ১২৫

নব বর্ষ নব ফুর্তি
নতুন খেয়াল নতুন কীর্তি!
নূতন নূতন নিত্য নূতন
মজা বিনা কিসের জীবন?
( লেখা ১৬ই এপ্রিল'২০১৭)

ঠাকুর আত্মজ সম্পর্কে সন্দেহ!? 
এর পরও বলবো শুদ্ধ, পবিত্র
আমার মন আর দেহ!?
ত্রিশংকু আত্মার দশা কি
বলতে পারো কেহ!?

চারিদিকে শুধুই কার্বনডাইঅক্সাইড! 
একটু অক্সিজেন দিতে পারো কি কেউ?
নাস্তিকেরা হাসে আস্তিকের শুনে
অন্তহীন ঘেউ ঘেউ!!


চারিদিকে আস্তিকেরা এত আস্তানা গোটাচ্ছে 
যে দেখে উঠছে ভীষণ হাঁপ!
নাস্তিকেরা বিষম খেয়ে বলছে, বাপরে বাপ! 
আস্তিক নাস্তিকের বাপ!
( লেখা ১৬ই এপ্রিল'২০১৮)





Tuesday, April 15, 2025

উপলব্ধিঃ শ্রীশ্রীহনুমানজী ও শ্রীশ্রীবড়দা।

হনুমানজীর পূজা না করলে রামজির পূজা হয় না।---শ্রীশ্রীঠাকুর।
তেমনি শ্রীশ্রীবটফার পূজা করলে শ্রীশ্রীঠাকুরের পূজা সম্পূর্ন হয় না, ----প্রবি।

প্রশ্নঃ হনুমানের পূজা কেন করবো? শ্রীশ্রীবড়দার পুজো করা কেন উচিত?
উত্তরঃ শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, আমার কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করলে, হস্তক্ষেপ ভেদ ক'রে যাওয়া লাগবে। যত আপদ আসুক, বিপদ আসুক, দুঃখ আসুক, কষ্ট আসুক, সব অতিক্রম ক'রে ইষ্টকাজ যত করতে পারব ততই সেগুলি আমার উন্নতির সহায়ক হ'য়ে উঠবে। হনুমান তাই-ই চেয়েছিল, আর আজও তাই মানুষ হনুমান পূজা করে। হনুমান পূজা না করলে রামজীর পূজা সম্পূর্ণ হয় না।

ঠিক তেমনি, শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
"এই শোন মনি, বড়খোকা হল তোদের বড়দা। ওর কিছু হওয়া মানে তোদের হওয়া, নাকি কইস? ঐ যে কুকুর, বাড়ী, গাড়ী যা' যা' দেখিস, ও-সব কিছুই ও আমার কাছে চায় না। আমি ওকে কই রাখতি। আমার কথা শুনেই ও চলে। দ্যাখ, আমি যদি ওর উপর Sincere না হই, তবে তোদের উপর হই কেমন ক'রে? যারা শুনবার চাই, তুই ঠিকমত কইস।"
"পরমপিতা যদি বাঁচিয়ে জীইয়ে রাখেন, তবে বড় খোকাই সব দেখাশুনা করবে, সব কিছু পরিচালনা করবে, সে তোমাদের কমিটির ভিতর থেকে হউক, কিংবা বাইরে থেকেই হোক।"

"বড়খোকার বাইরের রূপ দেখে ওর স্বরূপ বোঝা কঠিন। ও বড় সাচ্চা। কেউ যদি ওর ভিতরে ঢুকতে পারে, বুঝে নেবে কেইসা মাল।"

"বড়খোকা শুধু যে আমার Son by birth(ঔরস জাত সন্তান)তাই নয়, Son by culture(কৃষ্টিজাত সন্তান)-ও বটে। সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না।"

"যদি আমার কিছু হ'য়ে যায়, আমি না বাঁচি, তবে বড়খোকা রইল, তা'কে মাথায় নিয়ে তোরা সবাই চলিস। তা'র আদেশ ও নির্দ্দেশ মত সবাই যেন চলে"

"খোকার সাথে সবাই'র যা' সম্বন্ধ, আমার সাথেও তাই। ওর সাথে থাকা মানেই আমার সাথে থাকা। আমার মনের কথা বললাম, অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।"
"বড়খোকা যা' বলবে শুনবি, আমিই বড়খোকা। বড়খোকার সাথে থাকা মানেই আমার সাথে থাকা।"
"আমাকে প্রণাম ক'রে যে বড়খোকাকে প্রণাম করে না তার প্রণাম আমি নিই না।
শ্রীশ্রীবড়দাকে তিনি নিজের বিছানায় বসতে ব'লে বলেছিলেন, "তুই এখানে আমার বিছানায় বস, আমি একটু পিছনের ঘরে গিয়ে বসি। বড়দা বসতে না চাইলে ঠাকুর তাঁকে জোর ক'রে বসতে ব'লে বলে উঠেছিলেন, না, তুই এখানে ব'স। তুই-ই তো আমি।"

তাই, প্রভু শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের পূজা করার আগে শ্রীশ্রীহনুমানের পূজা করা উচিত।
আর এইজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীজী প্রভু শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের মন্দির উদবোধনের আগে শ্রীশ্রীহনুমানজীর মন্দিরে গিয়েছিলেন প্রণাম নিবেদন করতে।

ঠিক তেমনি, শ্রীশ্রীঠাকুর পূজার আগে শ্রীশ্রীঠাকুরের নয়নের মণি প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা পরম ভক্ত এ যুগের শ্রীশ্রীহনূমান শ্রীশ্রীবড়দার পূজা করা উচিত।
( লেখা ১৬ই এপ্রিল'২০২৪)

বিচিত্রাঃ ১২৪

নতুনের ঔজ্জ্বল্যে পুরোনো বিবর্ণ!
নতুনকে স্বাগত পুরোনো ছিন্ন!

এক হাতে আলিঙ্গন, অন্য হাতে বর্জন!!
নতুনের হাতে পুরনোর কর্তন!!!
স্বাগতম নববর্ষ।

নববর্ষ! নব শাড়ি
দেদার নাচন হাউই গাড়ি
গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে নারী
উড়িয়ে আঁচল দিচ্ছে পাড়ি!

নতুনকে ভালোবেসে দিচ্ছো লম্ফঝম্প!
যা ছিল কাল নতুন, আজ হ'লেই পুরনো!?

নতুন বছর! লুটে নাও, পুটে খাও;
ফুর্তির হাওয়ায়, ভেসে উড়ে যাও।
কাল কে দেখেছে?

ফলমূল বেলপাতা আর চালকলা ফুল ধূপধুনো
চন্দন তুলসী সিন্দুর দুর্বা ধর্মের গলাশি জেনো!!
( লেখা ১৫ই এপ্রিল' ২০১৭)














































কবিতাঃ হ্যাঁ! তুমিও পুরুষ!!

হ্যাঁ! তুমিও পুরুষ, প্রকাশ!
কিন্তু কেন পুরুষ ভেবে
স্বপনের মত তোমার লজ্জা হবে?
কেন কাঁপবে ঠোঁট আর
ব্যথায় বুক ভরে যাবে?
হ্যাঁ! তুমিও পুরুষ প্রকাশ!
কেন চোখ বুঝে যাবে তোমার
নিজেকে পুরুষ ভেবে
স্বপনের মত ঘৃণায় আর ধিক্কারে!?
কেন নিজেকে নিজে বলবে স্বপনের মত,
থুথু ছিটিয়ে করো আমায়
নিক্ষেপ ভাগারে!?
কি দোষ তোমার প্রকাশ?
আফিসার ধর্ষকের মত তুমিও এক পুরুষ, তাই!?
কেন রাবণের জন্য তোমার
মাথা হবে হেঁট, হবে লজ্জিত?
কেন কংসেরা করবে তোমার
দরাজ বুক ব্যাথায় জর্জরিত!?
তুমিও পুরুষ তাই?
কেন দুঃশাসনের কারণে তোমার
মনে হবে তোমারও হয়েছে বস্ত্রহরণ!?
কেন অন্ধকারের দিকে চেয়ে আছো বসে?
আলোর দিকে মুখ ফেরাও আর ভেবে দেখো .........
কেন রাম নামে হবে না জীবন
উদ্বেলিত? হবে না মস্তক উত্থিত!?
কেন শয়নে, স্বপনে, জাগরণে
হে প্রকাশ! হয় না কৃষ্ণ আবির্ভূত!?
কেন রাম আর কৃষ্ণ নামে হও না গর্বিত!?
কেন বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ
মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ প্রেমে হও না উন্মদ!?
অনুকূল নামে এলেন আবার
হ’য়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়!
কেন তাঁতে প্রাণ হয় না ব্যাকুল নিতে আশ্রয়?
তিনারাও তো পুরুষ, পুরুষ অর্থে পুরুষ!
পরম পুরুষ পুরুষোত্তম, সর্বোত্তম!
কেন তাঁতে মন প্রাণ করো না নিমজ্জন?
হ্যাঁ! তুমিও পুরুষ প্রকাশ! তুমিও পুরুষ!
এ কোন পুরুষ তুমি, জানো না তা?
যার চোখে ফোটে কমল,
স্বপ্নরা যেথায় বিছায় শয্যা
সেই চোখে লজ্জা!?
নরাধম পিশাচ সে যে, নয় সে পুরুষ
নারী অঙ্গে এঁকে দেয় যে কাম কামনার জৌলুষ।
তুমি কি সেই পুরুষ? তুমি কি সেই নরাধম?
তবে কেন করো বৃথা আপনারে দোষেরও কারণ?
কেন আফিসা হত্যার কারণে করো অভিসম্পাত নিজেকে?
যদি করতেই হয় প্রায়শ্চিত্ত
তবে হও উত্থিত! করো নিজেকে জাগরিত!
ভাবো,
তুমি সেই স্বপ্নপুরুষ!
পূরণ স্বভাব যার অস্থিমজ্জায়
করে বসবাস, করে সবার দিলখুশ!
তুমি সেই পুরুষ!
যে বুকে পুরুষোত্তম করে লীলা,
করে প্রেম সঞ্চারণ, অবিরাম ওড়ায় ভালোবাসার
ফানুশ! তুমি সেই পুরুষ!
কেন তুমি ফেল হতাশার দীর্ঘশ্বাস,
গলা টিপে ধরো বিশ্বাসের, যায় নিঃশ্বাস!?
দুষ্টরা ফ্যালে ফেলুক বিষাক্ত নিঃশ্বাস
ভ’রে যায় যাক আকাশ বাতাস।
শক্ত ক’রে ধরো তাঁর নামের হাল আর
চালাও জীবন পানশি, উঠুক দুষ্টের নাভিশ্বাস!
মনে রেখো তুমিও পুরুষ!
তুমি পরমপিতার সন্তান, শক্তির তনয়!
বুকে আছে সাহস দুর্বার দুর্জয়!
ওঠো! জাগো! বলো, কে আছো কোথায়?
এসো, সমবেত হও, এক উদ্দেশ্যে
অভিগমন করি, জীবন আছে যেথায়!
বুক ফাটিয়ে বলো তুমি,
বাজি রেখে বলতে পারি
যদি থাকো তাঁর বাড়ি
আর থাকো তাঁর রাঙা চরণ চুমি
সত্য যুগে থাকবে তুমি!
লাঞ্ছিত আর অপমানিত
হবে না আর কোনদিনও
মা, বোন আর কন্যাসম কোনও নারী!
জীবন খুঁজে পাবি বন্ধু, আয়রে সবাই আয়
জীবন খুঁজে পাবি বন্ধু, জীবন খুঁজে হেথায়!!
( ১৫ই এপ্রিল'২০১৮)

কবিতাঃ মা করোনা।

এসো মা করোনা, বসো মা করোনা
থাকো মা করোনা আমার ঘরে!
থাকো আমাদের সাথে, দু'মুঠো অন্ন
পড়িবে গরীবের পাতে, নইলে এমনিতেই
তো আছি মরে, গেছে কত প্রিয়জন
না খেয়ে খেয়ে মরে, তুমি আসিলে তাই
দু'মুঠো অন্ন জুটিল যে হায়! তোমারি তরে!
তুমি এসো, বসো, থাকো মোদের ঘরে ঘরে!!
তুমি থাকো মোদের চোখে, মুখে, হৃদয় জুড়ে!!!
( ১৫ই এপ্রিল'২০১৫)

Monday, April 14, 2025

বিচিত্রা ১২৩

ধর্ম মানে কি লম্ফঝম্ফ হৈ হুল্লোড়?
ধর্মপ্রাণ চরিত্র ঈশ্বরের নেত্র।
ধর্মহীন চরিত্র শয়তানের মিত্র।
ঈশ্বর মানেই রক্তমাংস সংকুল জীবন্ত চিত্র।
আর ঈশ্বর বিহীন জীবন মানেই ধর্মহীন চরিত্র।
জীবনে ঈশ্বর নেই ;মানে ভালোবাসি শয়তানকেই।
জীবনে ঈশ্বর নেই ;
মানে ভালোবাসি শয়তানকেই।
ঈশ্বর মানে ভালোবাসার সমুদ্র।
ঈশ্বর নেই জীবনে ভালোবাসা নেই।
ভালোবাসা নেই জীবন নেই।
ঈশ্বর যখন আসেন স্বয়ং মানুষ রূপে ধরাধামে।
গরুর মত গুরুগিরি
কিসের লোভে? কিসের টানে?
লেখা ১৪ই এপ্রিল'২০১৭)








All reactions

Sunday, April 13, 2025

বিচিত্রা ১২২

ঈশ্বর এক ও একমাত্র গণতন্ত্র প্রেমী গণদেবতা।
তিনি মানুষকে স্বাধীন ও স্বরাট ক'রে পাঠিয়েছেন
আর সেই মহৎ সুযোগের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ
করছে অকৃতজ্ঞ, নেমকহারাম, বেইমান ও বিশ্বাসঘাতক মানুষ।


'সৎসঙ্গ' জ্ঞানের গোলাঘর আর
সৎসঙ্গীরা বিশ্বের সেরা ধনী;
তবুও আজ ঘরে ঘরে সৎসঙ্গীরা 
মূর্খ ও গরীব! কেন?
\
সৎসঙ্গ সত্যযুগ আনয়নের পথিকৃৎ
আর, সৎসঙ্গীরা 'সৎসঙ্গ'-এর সৈনিক।
তবু সৎসঙ্গীরা পড়ে রয়েছে ,
বুঁদ হ'য়ে দিন কাটাচ্ছে মিথ্যা যুগে দৈনিক।

অনেক জনম পরে ভাগ্যক্রমে 
যদিও পেলে ঠাঁই তাঁর চরণ তলে 
তবুও অভাগা তুমি রইলে মেতে 
অমূর্ত ভগবানে, মূর্ত পিছনে ফেলে!

ইষ্টপূজার নামে করছো ইষ্ট বিরোধীতা
বুঝেও না বুঝে আছো তুমি,
দেখছে বিধাতা।
এমন অভাগা তুমি!?
দিন কেটে আসছে রাত
সামনে দেখবে শ্মশান ভূমি।

"রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর";
বাবাইদাদা রূপে প্রভু লীলা করেন কি সুন্দর!!
( লেখা ১৩ই ডিসেম্বর'২০১৮)


























































 

























বিচিত্রা ১২১

ঈশ্বরের সাথে বেইমানি করেছে কে?
তুমি নাস্তিক নাকি যে আস্তিক!

যেদিকে তাকাই শুধু জুডাসের চুমু!
তুমিও কি জুডাস? নাকি আমি?

জুডাস কি মীরজাফর নাকি নাস্তিক!?

আস্তিকের আস্তিনে আস্তানা গেড়েছ লুকিয়ে! 
কে তুমি? তুমি কি জুডাস নাকি মীরজাফর?

কবি, শিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী
ঈশ্বরের চেয়েও মহান, জ্ঞানী!!
( লেখা ১৩ই এপ্রিল' ২০১৭)

প্রভু! জানি তুমি চাও
তোমার কাজ আমি করি;
কিন্তু
রিপু তাড়িত আমি বৃত্তি-প্রবৃত্তির চরণ ধ'রে মরি! 
বাঁচার নেই কোনও আর উপায়।

তুমিও করছো ঠাকুর পূজা,
আমিও করছি তাই;
দু'জনের মাঝে তবে কেন উঠছে দেওয়াল?
ফাটল ধরছে কেন ভাই!?
গলদ কোথায়!!

গলদ পুষে রেখে মনে
করছো প্রভুর পূজা!
শয়তান মুচকি হেসে বলছে,
ওরে নরক যাবি সোজা, 
তুই প্রভুর যতই ওড়া ধ্বজা!

আমার কোনও কাজ নয়,
আমার নিজের জীবনে নিজের কাজে
সারা জীবন করেছি ভুল, প্রভু! 
তোমার কোনও কাজে যেন কোনও ভুল না হয়।

মানব সেবার নামে
তুমি করছো ধনের সেবা?
ঝাঁকি মেরে তুই দ্যাখ একবার 
'শয়তান না ভগবান'
অন্তরেতে আছে বসে কেবা!?

লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে ছোটাচ্ছো তাঁর মিশন রথ?
গোলকধাঁধায় মরছো ঘুরে,
মরছো খুঁজে পথ!!

দোষ ধরে কারা?
কোনও কাজ করে না, আর
সেজেগুজে এসে
মঞ্চে বসে যারা।


সাজানো বাগানে ফুল তোলে কারা?
মুখে মারিতং জগৎ, আর
সেজে গুজে বাগানে
বেড়াতে আসে যারা।

ঈশ্বরের কাজে ভুল
আর
নিজের ব্যক্তিগত কাজে ভুল
আকাশ পাতাল তফাৎ ভাই;
মনে রেখে এই তফাৎ
সতর্ক থেকো তাই।

ঘরে ঝগড়া, বাইরে ঝগড়া
টিভির চ্যানেলে চ্যানেলেও তাই! 
ঝগরা মারামারি এখন অক্সিজেন, 
প্রেম ভালোবাসা কার্বনডাইঅক্সাইড!!

কাল তো দু'মুঠো ভাত জুটতো না, 
চোখের জল দেখেছি তোমার
আর আজ এত অহংকার!
কাঞ্চন টঙ্কারে দিগ্বিদিক অন্ধকার!!
( লেখা ১৩ই এপ্রিল'২০১৮)