Powered By Blogger

Tuesday, February 18, 2014

রাজনীতি সত্যিই কি বিষ?




রাজনীতি সত্যিই কি বিষ!!!!!!!! ছেলে রাহুলকে লেখা মা সোনিয়ার চিঠি প্রমাণ করে আমরা সবাই রবীন্দ্রনাথের প্রিয় শিষ্য! তাঁর গান "আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান" আজ আমাদের চলার প্রেরণা, চলার সাথী! তাই সাথীদের উদ্দেশ্যে বলবার জন্যই এই লেখা সাথী হাত বাড়ানা............ 

মানুষের মুখের ভাষা বলে দেয় রাজনীতি মানবজাতিকে কোথায় টেনে নাবিয়েছে! এই ভাষাতে আর যে কেঊ আসুক 'মানুষ' নিজের টানে আসে না আজকের বাংলা আর বাঙালী জীবনানন্দের "আবার আসিব ফিরে, ধানসিড়িটির তীরে, এই বাংলায়", সেই সোনালী রোদে ভরা আলো ঝলমলে বাংলা আর নির্মল ভালোবাসাময় বাঙ্গালী নয় কোথায় যে হারিয়ে গেল বাঙ্গালীর সেই আপন করে নেওয়া হৃদয়-মন! কোথায় গেল হারিয়ে সেই নম্র-সভ্য-ভদ্র-শালীনতায় ভরা ভাষা আর ব্যবহার! এই ভাষা প্রয়োগ, এই ভাষা ব্যবহার, এই ভাষার প্রশ্রয়, এই ভাষার প্রচার প্রমাণ করে দেয় একটা মানুষের অন্তর কতটা শূন্যতায় ভরা, কতটা যন্ত্রণায় আচ্ছন্ন, কতটা অন্ধকারে ঢাকা! এই অন্ধকারে মানুষের ছায়াও মানুষকে ত্যাগ করে চলে যায় এটা যেন ভুলে না যায় আর এই শূন্যতা, এই যন্ত্রণা, এই অন্ধকার অন্তঃসারশূন্য ফাঁপা ভাষার জন্ম দেয় আর এই ভাষা দিয়ে তৈরী লাল টুকটুকে গোল নিটোল মসৃণ কিন্তু কাটলে কাকের 'গু'-এর মত বীভৎস সাদা-কালোয় মেশানো 'মাকাল ফল'- মত কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের বাংলা সাহিত্যকে পুষ্ট করে চলেছে অবিরাম গতিতে কোথায় চলেছি আমরা? বই মেলায় লোকের ভিড় দেখে কবি, সাহিত্যিক আর উদ্যেক্তারা তৃপ্ত! তৃপ্ত আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সফলতার ছোয়ায়! কিন্তু তার প্রতিফলন? প্রতিনিয়ত তার প্রতিফলন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে! কি দেখতে পায়? সাধারণ মানুষের কথা না হয় বাদ দিলাম লেখাপড়াজানা শিক্ষিত(?) মানুষেরা প্রতিনিয়ত মাঠে-ময়দানে, স্কুলে-কলেজে, কলে-কারখানায়, পথে-ঘাটে, অফিসে-কাছাড়িতে, রেডিও-টিভিতে, স্থলে-জলে-অন্তরিক্ষে যেভাবে যে ভাষা প্রয়োগ করছে তা'তে শঙ্কিত 'তে হয় এই ভেবে যে বই মেলার সার্থকতা বজায় আছে তো? মানুষ আজকে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ে তো? শঙ্কিত হতে হয় যে এই ভাষার দাপটে জীবনানন্দরা এই বাংলায় ফিরে আসবে কিভাবে? ফিরে আসার, নেবে আসার সেই মাটি, সেই বীজ কোথায়? আজ যে মাটি দূষিত! বীজ যে নষ্ট, পোকায় কাটা! আর এটা তো বিজ্ঞান যে দূষিত মাটিতে, নষ্ট বীজে দূষিত, নষ্ট চারাগাছ জন্মাবেই! বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার মাটি, বাংলার বীজ নষ্ট ' কিভাবে? প্রতিমুহুর্তে নারীদের ওপর পথেঘাটে যে নারকীয় অত্যাচার হয়ে চলেছে তার জন্য শুধু অত্যাচারী দায়ী? আমরা কি পরোক্ষে দায়ী নই? কোন নারীর প্রতি অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ বা সম্ভাষণ এবং তাকে প্রচারের মাধ্যমে সমর্থন বা প্রশ্রয় কি ধর্ষণকারীর সমান মানসিকতার পরিচয় দেয় না? কোনো পুরুষের প্রতি তুই-তোকারি সম্বোধন বা ছবির মাধ্যমে অসম্মান প্রদর্শন কি প্রমাণ করে না সেই তথাকথিত শিক্ষিত লোকের দ্বারা প্রচারিত ব্যঙ্গচিত্র পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে পরবর্তী প্রজন্মকে? আজকের নতুন রক্ত কার থেকে শিখল সেই Tradition বয়ে নিয়ে যাওয়ার মহামন্ত্র? এই বাংলায় কে বা কারা আমদানি করল এই সংস্কৃতি? শতাব্দী বুড়ি কি জোয়ান সেই কথা তুলে তাকে অপমান করার অর্থ আকাশের দিকে মুখ তুলে থুথু ছেটালে নিজের গায়েই পড়ে, এটা ভুলে গেলে যে চলবে না! শতাব্দী নিজেই নিজের সম্বন্ধে অন্যদের থেকে বেশী ভালো জানে; জানে আজকের শতাব্দী আর কয়েক বছর আগের শতাব্দীর ভাবমূর্তি! তার ওপরই ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে মূল্যায়নের ব্যাপারটা জনসভার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক টানা মানে বিশাল জনসভার উপস্থিতিকে অপমান করা আর 'মুকুল দেখে যা' বলে মনের কোণে উৎকট তৃপ্তি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু বাংলা যে আর কোনদিনই গোটা ভারতের আগে ভাবতে পারবে না এটা বাংলার আকাশে স্থির নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই! ভুলে যেন না যায় আজ আমি যে কৃষ্টিকে, যে সংস্কৃতিকে, যে ভাষাকে আমার চলার পথে সাথী করেছি, করছি সেই পথকেই মজবুত সেই বাঁধানো পথেই, দেখানো পথেই, সাজানো পথেই একদিন পা রাখবে আমার আত্মজ, আমার পরবর্তী প্রজন্ম! সেদিন যেন নীরব ব্যথা অশ্রু হয়ে নেবে না আসে চোখের কোলে!!!!!!!!!!!

No comments:

Post a Comment