Powered By Blogger

Tuesday, May 27, 2025

বিচিত্রা ১৪৬

বন্ধু! বন্ধু হওয়া নয়কো সহজ কথা!
নোংরা ভাষার ফেরিওয়ালা তুমি, 
নোংরা ফেরি করো যেথা-সেথা!!
( লেখা ২৭শে মে' ২০১৭)

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
 "মাছ মাংস খাসনে আর, রসুন পেয়াজ মাদক ছাড়।" 
আর বর্তমান সময়ঃ
মাছ মাংস বারবার রসুন পেয়াজ মাদক আর----
আর কি? চার মকারের আর এক 'ম'।

শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন রাত্রে একটি ছেলেকে বললেন, "এমনভাবে চলবি যে তোর সংসর্গে মানুষ যেন সোনা হয়ে যায়। তোর তো হওয়াই চাই।"

আর আমি কি হচ্ছি? আমি কি সোনা হয়েছি? আমার সংস্পর্শে কেউ সোনা হয়েছে? আমি সৎসঙ্গী আমার সংসর্গে যে আসছে সে-ই ছাই হ'য়ে যাচ্ছে! সে-ই ভালো মানুষ সেজে লোক ঠকানোর কালো কাজ করায় দক্ষ হ'য়ে উঠছে! ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে নিচ্ছে! সৎসঙ্গ প্ল্যাটফর্মকে বৃত্তি-প্রবৃত্তি পালন-পোষণের মদিরালয় বানিয়ে তুলছে! আমি ঠাকুরকে ধ'রেও নিজে সব রকমের 'ম'-কারে ডুবে আছি আর সবাইকে ডুবিয়ে মারছি। হে দয়াল! আমি সৎসঙ্গী!!
( লেখা ২৭শে মে' ২০২১)

দয়াল ঠাকুরের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে?
এর মানে শয়তান গাল চাটছে।
তাই ঘা দগদগে বিষাক্ত হওয়ার আগেই এক কোপে কাটো শয়তানের গলা নতুবা শেষের সেদিন ভয়ংকর! ( লেখা ২৭শে মে' ২০২১)

দয়ালের প্রতি অবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিও না।
দয়ালের ছোটো-ছোটো দয়া তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অপেক্ষা করো আরও বড় দয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
( লেখা ২৭শে মে' ২০২২)

দয়ালের অফুরন্ত দয়া। তার দয়ার সু্যোগ থেকে বঞ্চিত হ'য়ো না। ধৈর্য ধরো। অতি দ্রুত ও ব-ড় দয়ার জন্য বিচলিত হ'য়ে তাকে অবিশ্বাস 
ক'রো না। শয়তান আড়ালে হাসছে আর অপেক্ষায় আছে কখন তুমি দয়ালকে ছেড়ে দেবে।

দয়াল আছে যার জীবনে তার জীবনে রোগ নেই, শোক নেই, নেই গ্রহদোষ। হয় না বুদ্ধি বিপর্যয়, ঘেরে না দারিদ্রতা যদি না হারায় জোশ আর হোশ।

অমূর্ত ভগবান ছেড়ে মূর্ত ভগবান দয়ালকে জীবনে গ্রহণ করো, আষ্টেপৃষ্টে বেধে নাও তাঁকে। তাঁর চরণতলে বসো ও তোমার শিশু সন্তানকেও বসাও। তাঁর চলনপূজায় নিজে বাঁচো আর তোমার সন্তানকেও বাঁচাও। নতুবা ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

সূর্যকে যেমন মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না ঠিক তেমনি সৎসঙ্গী (?) গুরুভাইয়েরা আমার কেন্দ্রে মন্দিরে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার নামে মিথ্যে দিয়ে সত্যকে অর্থাৎ নিজের অপরাধকে ঢেকে রাখা যায় না।
( লেখা ২৭শে মে' ২০২১/২৫)

দয়াল ভুলে মাটির মায়ের সামনে নিরীহ জীবকে বলি দিয়ে মায়ের দয়া পাওয়ার অর্থ শয়তানের হাড়িকাঠে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে জন্মজন্মান্তর বলি হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হওয়া। কারণ কর্মফল তোমাকে ভুগতে হবেই আজ নয়তো কাল, কাল নয়তো পরশু, এ জন্মে কিংবা পরবর্তী কোনও জন্মে। পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না। শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

দয়ালকে ধরেই তুমি কর্মফল মুক্ত হবে? 
না, সে গুড়ে বালি, সে আশায় ছাই।
হ্যাঁ, কর্মফল তুমি মুক্ত হবে, নিশ্চিত মৃত্যুকে
তুমি আটকে দিতে পারবে, পারবে কুষ্ঠী ওলোট পালোট ক'রে দিতে যদি দয়াল তোমার না, তুমি দয়ালের হও, দয়ালের জন্য পাগল হও।
( লেখা ২৭শে মে'২০২৫)






























No comments:

Post a Comment