Powered By Blogger

Sunday, May 25, 2025

শ্রীশ্রীঠাকুরের কোনও মাহাত্ম্য নেই। (পর্ব ১)

ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু এদের গুরুতর অসুস্থতার খবর আগে জানা যেত না। দুর্ঘটনার খবর আগে জানা যেত না। এখন ফেসবুকের দৌলতে ঘন ঘন জানা যায়। ইনাদের জন্য এদের প্রিয়জনদের কাছ থেকে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য ফেসবুকে সবসময় আবেদন করতে দেখা যায়। ইনারা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বস্ত্যয়নী ও পাঞ্জাধারী কর্মী। ইনারা যখন রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতাতে আক্রান্ত হ'য়ে গুরুতর অসুস্থ হন, ইনাদের ঘরে যখন পরিবারে, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা বাসা বাঁধে তখন মনে হয় শ্রীশ্রীঠাকুর মিথ্যা। মিথ্যা তাঁর অভয় বাণী। মিথ্যে তাঁর আব্রির্ভাব। শ্রীশ্রীঠাকুর অকাল মৃত্যুর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা সত্ত্বেও, অকাল মৃত্যুকে অনুমোদন না করা সত্ত্বেও যখন অকাল মৃত্যু শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎ মন্ত্রে দীক্ষিত পরিবারে হানা দেয় তখন মনে হয় শ্রীশ্রীঠাকুরের সব কথাগুলি ছিল বকোয়াস।

আর, তখন দীক্ষিত ও অদীক্ষিত সাধারণ-অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের মনে প্রশ্ন চিহ্ন ভেসে ওঠে, আমি ঋত্বিক, আমি যাজক, আমি অধ্বর্য্যু, আমি স্বস্ত্যয়নী, আমি দীক্ষিত, আমি শিষ্য, আমি ভক্ত, ঠাকুর ধ'রে আমার কি হ'লো? ঠাকুর ধ'রে ঋত্বিক, যাজক, অধ্ব্যর্য্যু, স্বস্ত্যয়নী, দীক্ষিত, শিষ্য, ভক্ত এদের কি লাভ হ'লো? কেন এরা কষ্ট পাচ্ছে? কেন এরা ভুগছে? কেন এদের ঘরে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা এদের ঘরে হানা দিচ্ছে? কেন শয়তান ছোবল মেরে এদের ঘর, এদের জীবন তছনছ ক'রে দিচ্ছে? শ্রীশ্রীঠাকুর অন্তর্যামী, সব দেখছেন, বুঝতে পারছেন তবে রক্ষা করছেন না কেন এদের বিপদের হাত থেকে? যারা ঠাকুরকে ধরেনি তাদের সঙ্গে এদের তফাৎ কোথায়? বরং যারা ঠাকুর ধরেনি তারা এদের থেকে ভালো আছে। কিছু না করেও জীবনের উল্টো পথে চলেও ভালো আছে। আবার যারা ঠাকুর ধরেছে তারা আজ দয়ালের দয়ায় ভালো তো কাল খারাপ। কেন? অতএব ঠাকুরের এমন বিশেষ কিছু মাহাত্ম্য নেই।
ক্রমশঃ
( লেখা ২১শে ফেব্রুয়ারী' 

No comments:

Post a Comment