যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হ'য়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে দেশের ভিতরেই তাঁর বিরোধীদের তাঁর ওপর বলাৎকার। শাঁখের করাতের মত বিরোধীদের চরিত্র। যেতে ও আসতে উভয়দিকেই চিড়ে দেয়। গত ২২ তারিখের মর্ম্মান্তিক বেদনাদায়ক ঘটনার পর শুরু হয়েছিল প্রতিবারের মত তাঁর ওপর সমালোচনার বোমা বর্ষণ। বলা শুরু হ'লো, অযোগ্য, অদক্ষ, নিকম্মা দুর্বল দল ও নেতৃত্বের হাতে পড়ে দেশ ও দেশের মানুষের আজকে এই ভয়াবহ অবস্থা। এই মর্মান্তিক হত্যার জন্য তিনি দায়ী, তাঁর দুর্বল নেতৃত্ব দায়ী। কেউ কেউ বললেন এ সমস্ত পুলবামার মত সাজানো ঘটনা। কেউ কেউ ২২শে এপ্রিলের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কেন কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, কেন দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী চুপ ক'রে বসে আছে এরকম নানা রংবেরঙের কথার বোমা ফাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষের আনন্দ উল্লাসের মত সমালোচনার উল্লাসে মাতোয়ারা। আবার যখন ৬-৭ তারিখের এক রাতে অতর্কিত ভয়ংকর আঘাতে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি একেবারে গুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে স্ত্রীদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার, শিশুদের বাবা ডাক চিরদিনের মতো কেড়ে নেবার ঘৃণ্য বর্ব্বোরোচিত ক্ষমাহীন অপরাধের বদলা হিসেবে ভয়াল হ'য়ে উঠলো ভারত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সমস্ত দল, মত নির্ব্বিশেষে ১৪০ কোটি দেশবাসীর আবেদনে, সহযোগীতায় তখন আবার শোনা গেল বিরোধীতার কন্ঠস্বর, উঠলো পথে পথে মানবতা, মানবিকতা রক্ষার শ্লোগান। রাস্তায় মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে, মিটিং ভারতের যুদ্ধ ঘোষণার বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের ওপর হামলার প্রতিবাদে শ্লোগান ও বক্তব্য রাখা হচ্ছে পথে। কি অদ্ভুত মানুষ আর মানুষের মানবতা, মানবিকতা।
এই মিছিলে যারা হাঁটছে, এই শ্লোগান যারা তুলছে এদের মধ্যে নারী পুরুষ সবাই আছে। এইসমস্ত মিছিলে হাঁটা, শ্লোগান তোলা, মিটিং-এ বক্তব্য রাখা নারীদের ঘরে তাদের স্বামী আছে, আছে বাবা, আছে ভাই। আবার মিছিলে অংশগ্রহণকারী, শ্লোগান তোলা ও বক্তব্য রাখা পুরুষদেরও ঘরে আছে স্ত্রী, বোন ও কন্যা। এদের কাছে নারীর, মায়ের, স্ত্রীর, বোনের, কন্যার সিঁথির সিঁদুরের কোনও মূল্য নেই? জংগীদের এইরকম বিষাক্ত মানসিকতা ও হত্যা এবং এই নৃশংস বর্ব্বোরোচিত ঘৃণ্য নারকীয় অপরাধকে পরোক্ষভাবে সমর্থনকারীদের টলারেট করে এদের ঘরের সমস্ত সদস্যেরা?
এইজন্যেই বোধহয় বিশ্ব জয়ে বেরোনো গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার নিজে সাম্রাজ্যবাদী হয়েও দূরদৃষ্টি দিয়ে বোধহয় তখনই বুঝতে পেরেছিলেন ভারতের অন্তরাত্মার কষ্ট, যন্ত্রণা! তাই সেদিন তিনি সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতায় ভারতের অন্তরাত্মার কষ্ট যন্ত্রণার উৎস এই অদ্ভুত মানুষদের কথা ভেবেই বোধহয় তাঁর সেনাপতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন," সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!!
আবার যখন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভারত সম্মত হ'লো তখন আবার শুরু হ'য়ে গেল আরো এক খেলা। ঘুরে গেল গিরগিটির রঙ বদলানোর চেয়েও দ্রুত মতামতের রঙ বদলানোর দক্ষ খেলোয়ারদের পাশার দান। শুরু হ'য়ে গেল নরেন্দ্র মোদীকে নীচা দেখাবার খেলা। নরেন্দ্র মোদীর একই সঙ্গে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মহান ব্যক্তিত্বকে, তাঁর মানবতার পূজারী ও মনুষ্যত্বকে রক্ষা, পালন করার ভাবমূর্তিকে, তাঁর একই সঙ্গে কঠোর ও কোমল মুখকে নীচা দেখাবার জন্য বলা শুরু হ'য়েছে মিডিয়া জুড়ে,
ভারত নাকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল তাই ভুল বুঝে নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধ বিরতি করেছে।
ভুল রাজনীতির জন্যেই নাকি বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত ক্রমশ একলা হ'য়ে যাচ্ছে, একলা হয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজের দোষেই তিনি এখন একা, বন্ধুহীন মোদী।
জয়ের দ্বোরগোড়ায় এসেও ভয়ে পিছিয়ে গেল ৫৬ইঞ্চির মোদী।
আমেরিকার কাছে নতজানু মোদী।
নিজের দোষেই তিনি এখন একা, বন্ধুহীন মোদী।
জয়ের দ্বোরগোড়ায় এসেও ভয়ে পিছিয়ে গেল ৫৬ইঞ্চির মোদী।
আমেরিকার কাছে নতজানু মোদী।
এরকম বহু মন্তব্যে ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে জনগণের সমর্থন, ভালোবাসা, নির্ভরতা যাতে বৃদ্ধি না পায় ও তাঁর দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে যাতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হ'য়ে না ওঠে তার জন্য শুরু হ'য়ে ঘর শ্ত্রু দুর্যোধনেদের মিশন।
২২শে মে ২৬জন নিরীহ পুরুষ পর্যটককে তাদের স্ত্রীর সামনে গুলি ক'রে মেরে সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার পর, ছোটো শিশুদের বাবা ডাক কেড়ে নেবার পর ভারতের নারীর সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার বদলা হিসেবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিন্দুর' নামে অল আউট খতম অভিযানে নামা প্রধানমন্ত্রী নুরেন্দ্র মোদীর মিশনকে বলা হচ্ছে ভারত নাকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। আর তাই ভুল বুঝে তড়িঘড়ি যুদ্ধ বিরতি করেছে। এই সমস্ত ঘর শ্ত্রু দুর্যোধনদের কি বলবে ভারতের নারীরা, মায়েরা, বোনেরা ও মেয়েরা? তারাই ঠিক করুক। আমি এর উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো।
বলা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ও নরেন্দ্র মোদীর ভারত বিশ্বে ও বিশ্ব রাজনীতিতে একলা হ'য়ে যাচ্ছে। একলা হ'য়ে যাচ্ছে নিজের দোষে। বন্ধু আমেরিকাও পাশে নেই। কেউ নেই।
যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুম থেকে উঠেই বাসি মুখে বসে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথার জাবড় কাটতে তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনি বা আপনারা কি জীবনে কারও সাহারা নিয়ে চলেন নাকি একা চলেন? আপনি বা আপনারা যারা এই কথা বলছেন, বিষোদ্গার করছেন দেশের ভয়ংকর ঘোর সংকটজনক পরিস্থিতিতে, দেশের বিপদের সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা নিজেরাই নিজের কথাটাই একবার ভেবে দেখুন। ধ'রে নিলাম আপনি কারও সাহারা নিয়ে চলেন। কেন চলেন? মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না এই যদি মানুষের স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচা ও বেড়ে ওঠার মানবতা বা মানবিকতার দর্শন হয়, মনুষ্বত্বের মূল ভিত হয় তাহ'লে মানুষ মানুষের সাহারা নিয়েই বাঁচবে ও বেড়ে উঠবে নতুবা ধ্বংস অনিবার্য, সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
আর যদি আপনি কারও সাহারা ছাড়াই একলা চলেন, তাহ'লে কেন একলা চলেন? কারণ আপনি সত্যের পথে চলেন তাই একলা চলেন। এটা দেখা গেছে এবং এটা সত্য ও সিদ্ধ যে, সত্যের পথে যে চলে সে সব সময় একাই চলে, সে বন্ধুহীন হয়। কারণ সত্য সবসময় একা। মিথ্যার পথে চলার জন্য লোকের সাহারার দরকার হয়। কারণ মিথ্যা ল্যাংড়া, খোঁড়া ও অন্ধ। তাই তাকে কারও না কারও ওপর ভর দিয়েই চলতে হয়। তাই মিথ্যার বন্ধু অনেক, অগুন্তি। এসব কথা আপনি ও আপনারা সবাই জানেন। এসব মায়ের কাছে মাসীর গল্পের মতো। তবুও বললাম।
আর, আপনি সত্যের পথে যদি না চলেন, মিথ্যের পথে চলেন, আপনি যদি ন্যায়ের পথে না চলেন, অন্যায়ের পথে চলেন, আপনি ন্যায্যের পথে না চলে অন্যায্য পথ অনুসরণ করেন, আপনি সততার পথ ছেড়ে অসততার পথ বেছে নেন, আপনি বাঁচা ও বেড়ে ওঠার নীতির পথ ছেড়ে মৃত্যুর বা ধ্বংসের দুর্নীতির পথে হাঁটেন, আপনি যদি সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ ক'রে ও বেড়িয়ে না এসে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে আবার চুপিচুপি পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যান, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হ'য়ে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, প্রেম ভালোবাসায় সিক্ত হ'য়ে ক্ষমতায় আসার পরিবর্তে পিছনের দরজা দিয়ে, গায়ের জোরে, টাকা ছিটিয়ে, ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে, অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসতে চান ও ক্ষমতা ভোগ করতে চান ক্ষমতার লালসায় তাহ'লে আপনার ট্রাম্পের মত কাউকে দরকার হবে। দরকার হবে বিশ্বকে, খেতে হবে বিশ্ব রাজনীতি ঘোলা জল, দরকার হবে বৃহৎ শক্তির কাছে নতজানু হ'তে, লাথি খেতে, আত্মসমর্পণ করতে, গোলামী করতে। তখন আপনি হবেন শয়তানের পৃষ্টপোষক।
আর, যদি মিথ্যের পথে না চলেন? নতজানু না হন, আত্মসমর্পণ না করেন, গোলামী না করেন, আর তার জন্য কেউ যদি সাহায্যের হাত না বাড়ায়, পাশে না দাঁড়ায়, আপনি যদি স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচা-বাড়ার জন্য সত্যের পথে চলেন, ন্যায়ের পথে চলেন, নীতির ওপর দাঁড়ান, সততার হাত ধ'রে চলেন, সামনের দরজা দিয়ে ঢোকেন ও বেরোন, গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেন, প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে জয় করার শিক্ষায় শিক্ষিত হন, ভাবিত হন, প্রয়োজনের সময় বিপদ্গ্রস্থের পাশে দাঁড়ান তাহ'লে কারও সাহারার দরকার হবে কি? কারও সাহায্যের জন্য কাঁদতে হবে কি?
এছাড়া কথায় আছে, হাতি চলে বাজার মে কুত্তা ভোঁকে হাজার, সাধুয়োঁ কো দুর্ভাবন নেহী যব ঘেরে সংসার।" কা'কে ভয়? কিসের ভয়? কেন ভয়? আর একটা কথা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন সেটা হ'ল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা্ "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।" এই সত্যের পথে একলা চলায় মুক্তিধামে, সত্যধামে, অমরধামে পৌঁছনো 'দের হ্যাঁয় লেকিন আন্ধের নেহি হ্যাঁয়।'
এই একলা চলার পথ সত্য মিথ্যা সবাই নিতে পারে, আপনিও পারেন। আমিও পারি। সৎ অসৎ সবাই পারে। তবে সত্য মিথ্যার চলার পথে সত্য ও মিথ্যা অনুযায়ী শেষের সেদিন মধুর কিংবা ভয়ংকর হয়। কিন্তু মিথ্যার পথে একলা চলা কখনোই সম্ভব নয়। কোনোদিনই সম্ভব ছিল না, সম্ভব নয়, সম্ভব হবেও না। নৈব নৈব চ। আজও আগের মতো, তেমন।
মিথ্যুকেরা বরাবরই জোট বাঁধে। তাদের কোনও আদর্শ নেই।
এটাই আজ আবার প্রমাণ হলো সৎ পথে চলা, ন্যায় বা ন্যায্য ভাবে, নীতির ও যোগ্যতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা, সামনের দরজা দিয়ে ঢোকা ও বেরোনো মানুষকে, গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত হ'য়ে ভালোবাসার জোরে, প্রেম দিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসা মানুষকে ক্ষমতাধর নেগেটিভ সমাজ, দেশ ও বিশ্ব ও তাদের প্রতিনিধিরা হজম করতে পারে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের মায়েদের, স্ত্রীদের, বোনেদের, কন্যাদের চোখের জলের বদলা নিয়েছেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হ'য়ে নিজের ও নিজের দেশের ক্ষমতায়, ১৪০কোটি দেশবাসীর সহযোগীতায় জঙ্গিদের ও জঙ্গিগোষ্ঠীদের ঘাঁটিগুলি ধ্বংস ক'রে। প্রয়োজনে আবার নেবেন, বারবার নেবেন, নেবেন জঙ্গীগোষ্ঠীদের মদদদাতা, লালনপালনকারীদের ওপরও সম্পূর্ণ নিজের ক্ষমতায়, নিজ দেশের ক্ষমতা ও জনগণের প্রতি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হ'য়ে 'পাছে লোকে কিছু বলে' মৃত্যুর দর্শনকে পদাঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ ক'রে।
আমার পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি দেশের নেতৃবৃন্দ সবাই এমন বীর মানসিকতা ও মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হ'ক। তাঁদের হাতেই দেশের সবার জীবন। তাঁদের হাতেই সবার বাঁচা বাড়া। তাঁরাই মানুষকে বাঁচাতে পারে। তাঁরাই মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। তাঁদের হাতেই সব ক্ষমতা। তারা ইচ্ছে করলেই এই দেশকে সুন্দর ক'রে গড়ে তুলতে পারে। আর এই গড়ে তোলার জন্য ভারতের কৃষ্টি-সংস্কৃতিই যথেষ্ট। বাইরের কোনও কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রয়োজন নেই। ভারত আজ দাঁড়িয়ে আছে হাজার বছরের সেই কৃষ্টি, সেই সংস্কৃতির ওপর, যে কৃষ্টি সংস্কৃতি সারা পৃথিবীকে আকৃষ্ট করে। কথায় আছে, বসুঢৈব কুটূম্বকম। এটা ভারতের দর্শন। ভারত এই দর্শনে বিশাস করে। গোটা পৃথিবীটাই একটা পরিবার। গোটা পৃথিবীর মানুষ সবাই সবার আত্মীয়। আসুন আমরা এই ভাবনায় ভাবিত হ'য়ে বিশেষ ক'রে সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর সোনার সৎসঙ্গীদের ওপর এই আশা, এই ভরসা রেখেই এই পৃথিবী থেকে দেহ ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি সুক্ষ্ম শরীরে অবস্থান করছেন আমাদের সকলের মাঝে অবস্থান করছেন আমাদের পথ দেখাবার জন্য শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে দিয়ে, আসুন আমরা তাঁর নির্দেশ মতো চলে অন্তত আমরা চেষ্টা করি সবাই মিলে সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের যে দর্শন তাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে একটু হ'লেও দাগ রেখে যাই, আমাদের জীবনের শেষ সময়টুকু অন্তত তাঁর জন্য খরচ ক'রে যাই। নমস্কার। জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment