Powered By Blogger

Friday, May 30, 2025

বিচিত্রা ১৪৯

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রেরসর্বশ্রেষ্ঠ অবদান ও সর্বশ্রেষ্ঠ লীলা:
শ্রীশ্রীবড়দা ও পিতাপুত্রের লীলা!!

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের
একইসঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তান
পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা।

সরকার গঠনের জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঈশ্বরের নামে মিথ্যে শপথ পাঠ বন্ধ হ'ক নয়তো শপথ বাক্য অমান্য করার অপরাধে কঠোর সাজা হ'ক।
( লেখা ৩০শে  মে' ২০১৯)

ঈশ্বর যখন স্বয়ং নেবে আসেন মানুষের রূপে তখন তার মুখনিঃসৃত বাণী সম্বলিত গ্রন্থ গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরাণ, চৈতন্য চরিতামৃত, রামকৃষ্ণ কথামৃত ও শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রায় ২৫ হাজার বাণী সম্বলিত গ্রন্থ ও বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ মানুষের প্রথম গ্রহণীয় নাকি প্রাচীন মুণি ঋষিদের ব'লে যাওয়া প্রবচন পাঠ প্রথম গ্রহণযোগ্য?

ডাল রোটি খাও আউড় প্রভু কা গুণ গাও।
গাতে গাতে রাধাস্বামী নাম তুম গাও।
রোগ শোক গ্রহদোষ
বুদ্ধি বিপর্যয় আউড় দারিদ্রতা সব সে তুম মুক্ত হো যাও।
( লেখা ৩০শে  মে' ২০২২)









































































































ঈশ্বর যখন স্বয়ং নেবে আসেন মানুষের রূপে তখন তার মুখনিঃসৃত বাণী সম্বলিত গ্রন্থ গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরাণ, চৈতন্য চরিতামৃত, রামকৃষ্ণ কথামৃত ও শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রায় ২৫ হাজার বাণী সম্বলিত গ্রন্থ ও বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ মানুষের প্রথম গ্রহণীয় নাকি প্রাচীন মুণি ঋষিদের ব'লে যাওয়া প্রবচন পাঠ প্রথম গ্রহণযোগ্য?


Wednesday, May 28, 2025

বিচিত্রা ১৪৮

শুভ সকাল।আসুন শুভ বপন করি জনে জনে ঘরে ঘরে।
পরমপিতার দয়ায় স্নাত হ'ই।
( লেখা ২৮শে মে'২০২২)

আজ যা বপন করবে কাল তা বৃক্ষ হ'য়ে
তেমন ফল দান করবে। সাবধান।
এসো শুভ বপন করি।

ভগবান ভগবান ব'লে ছুটে বেড়াচ্ছো কিন্তু জীবনটা দেখে যেন মনে না হয় আস্ত একটা শয়তান! সাবধান।

ধর্ম আছে কোথায়? ঈশ্বর কে?
ধর্ম আছে ভালোবাসায়, প্রেমে।
ঈশ্বর পরমপ্রেমময় যে।
( লেখা ২৮শে মে'২০২৩)











বিচিত্রা ১৪৭

ভাষা তোমার যেমন কর্মও তোমার তেমন;
আর
কর্ম যেমন, নিয়তিও অপেক্ষা করছে তেমন।

নিয়তি মানে বিধাতার বিধান,
নিয়তি মানে অবশ্যম্ভাবি ঘটনা,
নিয়তি মানে "নিয়ে যায়"'
মুখের ভাষা আর কর্ম স্বর্গে বা নরকে নিয়ে যায়।
( লেখা ২৮শে মে'২০১৭)

ভোট শেষ, ভোটের ফলাফলও শেষ কিন্তু তৃণমূল স্তরে চলছে মারামারি-কাটাকাটি আর উপরতলায় বিন্দাস পরিবেশ!! কে দায়ী?

ভোটে হারজিৎ স্বাভাবিক ব্যাপার মাত্র আর সবটাই জনগণের হাতে; সেখানে পুরুষোত্তম শ্রীরামকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া কেন!?

ভোটের ফলাফল শেষে পরাজিত সেনাপতির বিজয়ীর সাথে সহযোগিতার আশ্বাস কিন্তু ভোটের আগে জ্বালানো আগুনে পুড়ছে কে?! নেভাবে কে?!---

বুকের মাঝে রেখো না গরল চলো ধ'রে রেখা সরল! 
ইষ্টকাজে হবে জয়ী অহং হবে গলে তরল!!

ইষ্টকাজ করতে গিয়ে যদি অনিষ্ট চিন্তা চেপে বসে মনে 
তখন ইষ্ট হন নারাজ বিপদ আসে ক্ষণে ক্ষণে!!

বাংলায় বাঙালির নাকি দাবি হওয়া উচিত জয় শ্রী রামের বদলে জয় মা দুর্গা! জয় মা কালি! আমি বলি, স্লোগান হ'ক, 'জয় শ্রী 3X RUM!

বাংলার কৃষ্টি হ'ক গালাগালি আর সংস্কৃতি হ'ক আংলি! শুয়োরের মাংস আর গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে এলিটদের হ'ক গলাগলি-দলাদলি!!
( লেখা ২৮শে মে'২০১৯)















































Tuesday, May 27, 2025

বিচিত্রা ১৪৬

বন্ধু! বন্ধু হওয়া নয়কো সহজ কথা!
নোংরা ভাষার ফেরিওয়ালা তুমি, 
নোংরা ফেরি করো যেথা-সেথা!!
( লেখা ২৭শে মে' ২০১৭)

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
 "মাছ মাংস খাসনে আর, রসুন পেয়াজ মাদক ছাড়।" 
আর বর্তমান সময়ঃ
মাছ মাংস বারবার রসুন পেয়াজ মাদক আর----
আর কি? চার মকারের আর এক 'ম'।

শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন রাত্রে একটি ছেলেকে বললেন, "এমনভাবে চলবি যে তোর সংসর্গে মানুষ যেন সোনা হয়ে যায়। তোর তো হওয়াই চাই।"

আর আমি কি হচ্ছি? আমি কি সোনা হয়েছি? আমার সংস্পর্শে কেউ সোনা হয়েছে? আমি সৎসঙ্গী আমার সংসর্গে যে আসছে সে-ই ছাই হ'য়ে যাচ্ছে! সে-ই ভালো মানুষ সেজে লোক ঠকানোর কালো কাজ করায় দক্ষ হ'য়ে উঠছে! ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে নিচ্ছে! সৎসঙ্গ প্ল্যাটফর্মকে বৃত্তি-প্রবৃত্তি পালন-পোষণের মদিরালয় বানিয়ে তুলছে! আমি ঠাকুরকে ধ'রেও নিজে সব রকমের 'ম'-কারে ডুবে আছি আর সবাইকে ডুবিয়ে মারছি। হে দয়াল! আমি সৎসঙ্গী!!
( লেখা ২৭শে মে' ২০২১)

দয়াল ঠাকুরের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে?
এর মানে শয়তান গাল চাটছে।
তাই ঘা দগদগে বিষাক্ত হওয়ার আগেই এক কোপে কাটো শয়তানের গলা নতুবা শেষের সেদিন ভয়ংকর! ( লেখা ২৭শে মে' ২০২১)

দয়ালের প্রতি অবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিও না।
দয়ালের ছোটো-ছোটো দয়া তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অপেক্ষা করো আরও বড় দয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
( লেখা ২৭শে মে' ২০২২)

দয়ালের অফুরন্ত দয়া। তার দয়ার সু্যোগ থেকে বঞ্চিত হ'য়ো না। ধৈর্য ধরো। অতি দ্রুত ও ব-ড় দয়ার জন্য বিচলিত হ'য়ে তাকে অবিশ্বাস 
ক'রো না। শয়তান আড়ালে হাসছে আর অপেক্ষায় আছে কখন তুমি দয়ালকে ছেড়ে দেবে।

দয়াল আছে যার জীবনে তার জীবনে রোগ নেই, শোক নেই, নেই গ্রহদোষ। হয় না বুদ্ধি বিপর্যয়, ঘেরে না দারিদ্রতা যদি না হারায় জোশ আর হোশ।

অমূর্ত ভগবান ছেড়ে মূর্ত ভগবান দয়ালকে জীবনে গ্রহণ করো, আষ্টেপৃষ্টে বেধে নাও তাঁকে। তাঁর চরণতলে বসো ও তোমার শিশু সন্তানকেও বসাও। তাঁর চলনপূজায় নিজে বাঁচো আর তোমার সন্তানকেও বাঁচাও। নতুবা ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

সূর্যকে যেমন মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না ঠিক তেমনি সৎসঙ্গী (?) গুরুভাইয়েরা আমার কেন্দ্রে মন্দিরে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার নামে মিথ্যে দিয়ে সত্যকে অর্থাৎ নিজের অপরাধকে ঢেকে রাখা যায় না।
( লেখা ২৭শে মে' ২০২১/২৫)

দয়াল ভুলে মাটির মায়ের সামনে নিরীহ জীবকে বলি দিয়ে মায়ের দয়া পাওয়ার অর্থ শয়তানের হাড়িকাঠে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে জন্মজন্মান্তর বলি হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হওয়া। কারণ কর্মফল তোমাকে ভুগতে হবেই আজ নয়তো কাল, কাল নয়তো পরশু, এ জন্মে কিংবা পরবর্তী কোনও জন্মে। পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না। শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

দয়ালকে ধরেই তুমি কর্মফল মুক্ত হবে? 
না, সে গুড়ে বালি, সে আশায় ছাই।
হ্যাঁ, কর্মফল তুমি মুক্ত হবে, নিশ্চিত মৃত্যুকে
তুমি আটকে দিতে পারবে, পারবে কুষ্ঠী ওলোট পালোট ক'রে দিতে যদি দয়াল তোমার না, তুমি দয়ালের হও, দয়ালের জন্য পাগল হও।
( লেখা ২৭শে মে'২০২৫)






























Sunday, May 25, 2025

অভিমতঃ শ্রীশ্রীআচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা সম্পর্কে আমার অভিমত।

কিছু কিছু ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বেশী অনুভব করতে পারি কিনা জানি না, তবে বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে শ্রীশ্রীঠাকুরকে আমি স্পষ্ট জীবন্ত দেখতে পাই। SriSriAcharyadeb is the living Manifestation of SriSriTHakur . Sri Sri Acharyadeva is the living embodiment of Sri Sri Thakur.
ঐ যে আছে, "আজও লীলা করে গৌরচাঁদ রায়, কোনও কোনও ভাগ্যবানে দেখিবারে পায়।" আর ঠাকুর বলে গেলেন, "ইষ্টগুরু- পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর, রেত- শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর।"
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "পুরুষোত্তমকে direct (সরাসরি) যারা না পায়, তারা তদনুবর্ত্তী আচার্য্য-পরম্পরার ভিতর দিয়ে তার ভাবটাই কিছু-না-কিছু পায়।"
শ্রীশ্রীঠাকুর যে আচার্যদেবের মধ্যে জ্যান্ত আছেন এটা শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা। কে মানলো আর না-মানলো তা দেখা আমার কাজ নয়। আমার কাজ যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে তা ভেবে দেখা।
আবার শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "ঐ ভাব যখন মলিন বা ম্লান হয়ে যায়, উবে যাবার মত হয়, বিকৃতিতে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে, মানুষকে ঈশীস্পর্শে সঞ্জীবিত করে তোলবার জন্য তখন তিনি আবার মানুষ হয়ে আসেন"।
অতএব ঐ ভাব এখনও মলিন হয়নি, বিকৃতিতে উবে যাওয়ার মত হয়নি। যেদিন হবে সেদিন শ্রীশ্রীঠাকুর আবার স্বয়ং আসবেন। আর কিছু বলার ইচ্ছা নেই। জয়গুরু। প্রবি।
( লেখা ১৪ই জুন'২০২৪)

শ্রীশ্রীঠাকুরের কোনও মাহাত্ম্য নেই। (পর্ব ১)

ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু এদের গুরুতর অসুস্থতার খবর আগে জানা যেত না। দুর্ঘটনার খবর আগে জানা যেত না। এখন ফেসবুকের দৌলতে ঘন ঘন জানা যায়। ইনাদের জন্য এদের প্রিয়জনদের কাছ থেকে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য ফেসবুকে সবসময় আবেদন করতে দেখা যায়। ইনারা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বস্ত্যয়নী ও পাঞ্জাধারী কর্মী। ইনারা যখন রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতাতে আক্রান্ত হ'য়ে গুরুতর অসুস্থ হন, ইনাদের ঘরে যখন পরিবারে, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা বাসা বাঁধে তখন মনে হয় শ্রীশ্রীঠাকুর মিথ্যা। মিথ্যা তাঁর অভয় বাণী। মিথ্যে তাঁর আব্রির্ভাব। শ্রীশ্রীঠাকুর অকাল মৃত্যুর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা সত্ত্বেও, অকাল মৃত্যুকে অনুমোদন না করা সত্ত্বেও যখন অকাল মৃত্যু শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎ মন্ত্রে দীক্ষিত পরিবারে হানা দেয় তখন মনে হয় শ্রীশ্রীঠাকুরের সব কথাগুলি ছিল বকোয়াস।

আর, তখন দীক্ষিত ও অদীক্ষিত সাধারণ-অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের মনে প্রশ্ন চিহ্ন ভেসে ওঠে, আমি ঋত্বিক, আমি যাজক, আমি অধ্বর্য্যু, আমি স্বস্ত্যয়নী, আমি দীক্ষিত, আমি শিষ্য, আমি ভক্ত, ঠাকুর ধ'রে আমার কি হ'লো? ঠাকুর ধ'রে ঋত্বিক, যাজক, অধ্ব্যর্য্যু, স্বস্ত্যয়নী, দীক্ষিত, শিষ্য, ভক্ত এদের কি লাভ হ'লো? কেন এরা কষ্ট পাচ্ছে? কেন এরা ভুগছে? কেন এদের ঘরে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা এদের ঘরে হানা দিচ্ছে? কেন শয়তান ছোবল মেরে এদের ঘর, এদের জীবন তছনছ ক'রে দিচ্ছে? শ্রীশ্রীঠাকুর অন্তর্যামী, সব দেখছেন, বুঝতে পারছেন তবে রক্ষা করছেন না কেন এদের বিপদের হাত থেকে? যারা ঠাকুরকে ধরেনি তাদের সঙ্গে এদের তফাৎ কোথায়? বরং যারা ঠাকুর ধরেনি তারা এদের থেকে ভালো আছে। কিছু না করেও জীবনের উল্টো পথে চলেও ভালো আছে। আবার যারা ঠাকুর ধরেছে তারা আজ দয়ালের দয়ায় ভালো তো কাল খারাপ। কেন? অতএব ঠাকুরের এমন বিশেষ কিছু মাহাত্ম্য নেই।
ক্রমশঃ
( লেখা ২১শে ফেব্রুয়ারী' 

Tuesday, May 20, 2025

বিচিত্রা ১৪৫

Science is a curse in the hands of the agents of the evil one. Therefore, there is no need for scientific progress.

Scientific discoveries are a blessing when they are under the control of God's angels. In their hands, mankind is safe.

Either ban Artificial Intelligence or campaign against misuse. Create a cultural environment or take strict action.

Lifeism is Godism, all the rest, deathism.

If you want to escape from Satanism and deathism, take refuge in lifeism, that is, Godism.

Satan's smile is sweeter than God's. He is more skilled at speaking sweetly than God. Beware.

Satan speaks with a smile, a sample of Satan's devilishness.

The shadow of Satan surrounds you. Come under the shadow of God, save yourself and save everyone.

Find the doctrine of life, avoid all the doctrines of death.
Both those who believe in idols and the gods of the sky and those who do not believe in God are messengers of death to you. Turn away from them, be different, be different.
( Witten on 18th May' 2025)














বিচিত্রা ১৪৪

অন্যকে নকল করবো আবার আসলের মত বুক চেতিয়ে চলবো!!!

নকল কি? 'ঘি' এর পাশে যেমন 'খাঁটি ঘি' !!
( লেখা ২০শে মে'২০১৭)

মানুষ সবচেয়ে নিজেকেই বেশী ভালোবাসে
আর মানুষই নিজের ক্ষতি নিজেই বেশী করে।

ঠাকুর ধরেছো অথচ মনে সুখ নেই, শান্তি নেই
মানে তুমি প্রতিনিয়তই অসুখকে সাথী করেছো আর অশান্তিকে করেছো সখা। ঠাকুর বাহানা মাত্র।
( লেখা ২০শে মে' ২০১৮)

কথাটা অপ্রিয় হ'লেও সত্যিঃ
ফেসবুক থেকে সৎসঙ্গীদের সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। তা হ'লো high quantity less quality, high living & less thinking. আর যারা কোয়ালিটি ম্যান তারা স্ট্রং ইগোর অধিকারী।
( লেখা ২০শে মে' ২০২৩)

কবিতাঃ সোনার দিনগুলি।

সাড়া দাও দয়াল! সাড়া দাও।
প্রতিদিন প্রতিরাত আমি বসে থাকি
অপেক্ষায়, তোমার সাড়া পাবো ব'লে।
সাড়া পাই না, সাড়াপ্রবণ ন'ই বলে?
নাকি সুকেন্দ্রিকতার অভাব?
তুমি যদি সাড়া দাও আর আমি
যদি না পাই, এ আমার ত্রুটি।
কিন্তু তুমি যদি অপেক্ষা করাও?
শবরীর মতো তা' আমি কেমনে
সহিতে পারি? শবরীর আধার আর
আমার সমান তো নয় প্রভু দু'জনার;
এক একটা দিন যে কি যন্ত্রণার
কেটে যায় যার সে ছাড়া বুঝিবে কে আর!
সাজানো বাগান গেল শুকিয়ে দৈত্যের কারণে
শিশুরা ভয়ে লুকালো মুখ, বিশুরা হ'লো বিমুখ
কানে কানে ঢেলে দিয়ে বিষ অহর্নিশ
ঠেলে দিল সবারে মরণে।
তোমারে বেসেছি ভালো তাই পারি না
বলিতে কিছু। বলিতে গেলে মনে পড়ে তব মুখ
ভাবি আগুপিছু। যদি ভুল হয় করে ভয় যদি লাগে
তব বুকে ব্যথা কি জানি কি বলিতে গিয়া ভুল ক'রে
কি বলে ফেলি কথা। তাই হে প্রভু! হে দয়াল!
তুমি তো অন্তর্যামী! তুমি সর্বজ্ঞ!!
তুমি জানো কে কি করেছে
আর না-করেছে, কি করেছি আমি।
তোমার মিশন যে করেছে বা করছে শ্মশান
তার বিচারক তুমি, শুধু শ্রীচরণে তোমার
আকুল প্রার্থনা আমার ফিরায়ে দাও আমারে
সে সোনার দিনগুলি। ( লেখা ২০শে মে' ২০২৩)

Thursday, May 15, 2025

উপলব্ধিঃ বকোয়াস।

এইসব বালখিল্য তুলনা বকোয়াস।

কেউ পিছিয়ে নেই, কেউ এগিয়ে নেই। উভয়ের যৌথ সহযোগীতায় সংসার সুন্দর হ'য়ে ওঠে। সংসারকে টেনে চলে বাবা-মা দু'জনেই আমৃত্যু ঘরে-বাইরে সমস্ত্রকম প্রতিকুলতাকে মোকাবিলা করেই। এটা আমরা যেন ভুলে না যায় একচক্ষু হরিণ হওয়ার কারণে। নতুবা এই বড় ছোটোর আলোচনায় একটা অকারণ বিভেদের সম্ভাবনা দেখা দেয়, যা মিথ্যে বালখিল্য ইগোর থেকে জন্ম হয়। ফলে সংসারে সবার জীবন ধ্বংস হয়। আর, আমরা যেন ভুলে না যায় উভয়ের পরিশ্রমে সংসার গড়ে উঠলেও স্বামী, পুত্র, বাবা, ভাই সে যে পুরুষই হ'ক না কেন সবার নাড়ীর টান সেই সবার মায়ের সঙ্গে। তাই মা মা-ই, আর বাবা বাবা-ই। বাবা-মা উভয়েই সংসারের জন্য, সন্তানের জন্য প্রাণপাত ক'রে সংসার থেকে বিদায় নেয়, তা করে কোনও বাহবা বা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়, করে নিজের আত্মজর জন্যে। এখানে কোনও জ্ঞানগর্ভ খবরদারী চলে না।
 
কিন্তু সেই যে ১০মাস ১০দিন নিজের শরীরের সঙ্গে অন্য একটা শরীর ব'য়ে বেড়ায়, তা সে পুত্র বা কন্যা যাই-ই হ'ক না কেন,----- মনে রাখতে হবে পুরুষ-নারী উভয়েই নারীর পেটেই জন্ম নেয়, ---- তা; এই যে ব'য়ে বেড়ানো, এ ব'য়ে বেড়ায় নানা কষ্ট যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে, তারপর সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত, সাবালক হওয়া পর্যন্ত যে তাকে নিজের হাতে মা প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শত কষ্ট হ'লেও আনন্দের সঙ্গে লালন পালন করে তা কিন্তু একদিনের জন্যও বাবারা করে না। তাই সন্তানের কোনও বিপদ ঘটলে তা সে যে বয়সেই ঘটুক, আগে মায়ের মনে কু ডাক দেয়, বাবার মনে দেয় না। কারণ, নাড়ির টান থাকে মায়েদের, বাবাদের নয়। এটা বিজ্ঞান। এটা যেন ভুলে না যায়। আর, ব্যতিক্রমী পুরুষ অবশ্যই আছে, যেমন আছে ব্যতিক্রমী নারী। ব্যতিক্রম ব্যতিক্রমই। তাই, এটাও দেখা গেছে প্রতি সংসারে বাবাদের টান মেয়েদের প্রতি বেশী থাকে, তার মর্মার্থ বুঝি আর না-বুঝি, অজান্তেই সেই টান থাকে মেয়েদের প্রতি বাবাদের। ব্যস এইটুকু তফাৎ মনে রাখলেই হবে। এখানে বড় ছোটোর কোনও ব্যাপার নেই। আছে হীনমন্যতার ব্যাপার। আছে অবান্তর ইগোর ব্যাপার। আছে স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপার। কারণ সংসারে মায়েদের আধিপত্য থাকে স্বাভাবিক নিয়মেই তা বাবা যতই পাহাড় ভাঙ্গুক না কেন বাইরে। এক্ষেত্রে সমাধান একমাত্র খোলা মনে সত্যকে স্বীকার করা। সংসারে স্বামীস্ত্রীর উভয়ের যথাযথ স্থানে বৈশিষ্ট্যমাফিক সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করা। অহেতুক বালখিল্য আলোচনায় সম্পর্কে চনা পড়ে মা-বাবার মধুর সম্পর্ক কেটে গিয়ে ছানা কাটার মত হ'য়ে যায়। তাই, সাধু সাবধান, এমনতর আলোচনা থেকে। যে আলোচনায় আলো আছে ঠিক কথা কিন্তু তার সঙ্গে আছে চনা।
( লেখা ১৫ই মে' ২০২৪)
.

Wednesday, May 14, 2025

বিচিত্রা ১৪৩

স্বাভাবিক ছন্দ, তাল, লয় হারিয়ে অস্বাভাবিকতায় 
কেউ কি বাঁচতে পারে? এ মৃত্যুর হাতছানি।
দয়ালের দয়া ভিন্ন বাঁচার নেই কোন উপায়।

হে বন্ধু!
হতাশা আর অবসাদের ছবি 
আঁকো কেন বারবার!?
তোমার সঙ্গ করা পাপ, মহাপাপ।
( লেখা ১৪ই মে'২০২২)

তোমার দেখানো পথেই চলবো
তোমার বুকে লাথি মেরে।
বাঃ! বন্ধু বাঃ!!

সত্যকে স্বীকার করার সৎ সাহস নাই
অথচ ইষ্টপ্রতিষ্ঠার ডঙ্কা বাজায়!?

মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা!?
বাহবাঃ! বাহবাঃ!! আহা কি মজা!!!

কপট বাপের আকাট পোলা!
চোরের মায়ের বড় গলা!!

ধার ক'রে চলবো
আর রাজার হালে থাকবো!!

চেহারায় দারোগা আর চরিত্রে রোগা!!

অনিষ্টের বর্ম পড়ে ইষ্টের নিশান উড়ায়!
সত্যের মুখে কালি মাখিয়ে মিথ্যার মিশন ছড়ায়!!

মনকে ক'রে নিয়ে সাথী
বিবেকের বুকে মারো ক'ষে লাথি!

দয়াল একপাশে অন্যপাশে ভয়াল!
অমৃতের পুত্র আমি জেনো বিষ কয়াল!!

পৃথিবীর যেখানে শেষ সেখানে 'সৎসঙ্গ' শুরু।
ঠাকুরের বলাগুলি বলার জন্যে,করার জন্যে নয় গুরু!?

ঠাকুর আমার আয়ের উপকরণ;
তাই ঠাকুর আমার দারু।
দারুর নেশায় মত্ত আমি
ধার ধারি না কারু।

পুরোহিতের মন্ত্রঃ ওঁ প3 নমঃ!
প3=প্রণাম, প্রণামী, প্রসাদ!!

ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা আর ইষ্টস্বার্থরক্ষা?
ভাই গুরু; লোহে গরম হ্যায়, লাগা দো হাতোড়া!!
( লেখা ১৫ই মে'২০১৭)

।।ধর্মাত্মাদের প্রতি।।
হয় ধর্ম্ম বুঝে ধর্ম্ম পালন করুন
নতুবা অধর্ম্ম পালন করুন।
ধর্ম্মের নামে অধর্ম্ম পালন ক'রে 
সাধারণ ধর্ম্ম বিশ্বাসীদের বিভ্রান্ত করবেন না।

মর্তি পূজা ও আকাশের ঈশ্বর বিশ্বাসীদের প্রতি আহবানঃ
সাধারণ মানুষকে বিপথে চালিত করবেন না। 
Unseen নয় Seen God, অমূর্ত নয় জীবন্ত ঈশ্বরের 
পূজা করুন।

নিজের মাকে পূজো ক'রে ঠাকুর অনুকূল কি তাঁর পূর্বরূপ রামকৃষ্ণ রূপে ব'লে যাওয়া "পূর্ণজ্ঞান দিলাম না খুব শিগ্রি আসছি" বাণীর কথা রাখলেন। চিন্ময়ী মায়ের পূজা ক'রে ভেংগে দিলেন মৃণ্ময়ী মায়ের মিথ।

পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ কি মা কালীর মূর্তি পূজা ক'রে ভুল করেছিলেন নাকি অপূর্ণ জ্ঞানের নমুনা বা সঙ্কেত দিয়েছিলেন?পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের চেয়েও কি মা কালীর বড় ভক্ত পূজারী কেউ আছে? তিনি কেন মায়ের কাছে জীব বলি দিয়ে পুজো দেননি?

শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের শিষ্য পরম ভক্ত পরবর্তীতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পরম ভক্ত শিষ্য ও ঠাকুরের 'নারায়ণী কেরানী' শ্রদ্ধেয় প্রফুল্ল দাসদা কি বিবেকানন্দ ব্যতিত ঠাকুর রামকৃষ্ণের এক ও একমাত্র পরম ভক্ত?
( লেখা ১৫ই মে' ২০২২)








(


 









  

 


Tuesday, May 13, 2025

প্রবন্ধঃ পোষ্টদাতারা সাবধান/ শিরদাঁড়ার তফাৎ।

ফেসবুকে একটা পোষ্ট দেখলাম। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পরে পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ ক'রে নানারকম পোষ্ট হ'তে দেখলাম। ইউ টিউবেও পাল্লা দিয়ে তাঁকে নীচা দেখাতে ভিডিও প্রকাশ হ'য়ে চলেছে। পাঠকের বোঝার জন্য কয়েকটা হেড লাইন তুলে ধরলাম।

যেমন,
ভারত নাকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল তাই ভুল বুঝে নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধ বিরতি করেছে।
ভুল রাজনীতির জন্যেই নাকি বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত ক্রমশ একলা হ'য়ে যাচ্ছে, একলা হয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজের দোষেই তিনি এখন একা, বন্ধুহীন মোদী।
জয়ের দ্বোরগোড়ায় এসেও ভয়ে পিছিয়ে গেল ৫৬ইঞ্চির মোদী।
আমেরিকার কাছে নতজানু মোদী।

আর, যে বিষয় নিয়ে আমি লিখতে বসেছি, সেটা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিষয়। পোষ্টে দু'জনের শিরদাঁড়ার পার্থক্য তুলে কটাক্ষ করা হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে বলা হচ্ছে, "আমেরিকার মহাশক্তিশালী সপ্তম নৌবহর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমেরিকার রাষ্ট্রপতির হুমকির সামনে মাথা না ঝুঁকিয়ে পাকিস্তান ভেঙে দু'টুকরো করেছিলেন।"
আর, "দুর্বল পাকিস্তানকে চার খন্ডে বিভক্ত করার সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু মাত্র আমেরিকার রাষ্ট্রপতির চাপে জেতা যুদ্ধ ছেড়ে দিয়ে এলেন।
এখানেই শিরদাঁড়ার পার্থক্য।

এই ছিল শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও শ্রীনরেন্দ্র মোদী দুই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে পোষ্টের বিষয়বস্তু। 
পোষ্টদাতাদের অনুরোধ, পোষ্টদাতারা এরকম বিতর্কিত নোংরা পোষ্ট করা থেকে সাবধান হ'ন! শিরদাঁড়া সোজা রাখুন।

এই পোষ্টে শিরদাঁড়ার পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। একদিক থেকে ঠিকই বলেছে। সেটা কিরকম? আসুন পোষ্টদাতার শিরদাঁড়া সম্পর্কিত বক্তব্য কতটা সঠিক ও বাস্তবোচিত তা' বিশ্লেষণ ও সংশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে দেখে নিই।
দেশের ক্রাইসিস পিরিয়ডে দেশের ঐক্যকে মজবুত করার মানসিকতা ও চরিত্রের মানুষগুলোর সঙ্গে দেশকে টুকরো টুকরো করার মানুষগুলোর মানসিকতা ও চরিত্রের মধ্যে শিরদাঁড়ার পার্থক্য কোথায় দেখে নিই।
এই মুহুর্তে দেশের বর্তমান ক্রাইসিস পিরিয়ডে কারা তৈরী করছে এই ধরণের পোষ্টার? আর কারাই বা প্রচার করছে? এরা কি দেশপ্রেমিক? এরা কি দেশের নাগরিক? এরা কি ঘর শত্রু দুর্যোধন নয়?

যারা এই ধরণের বিতর্কিত মিথ্যে ভুল প্রচারের মাধ্যমে আমার দেশের দুই মহান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শিরদাঁড়ার তফাৎ দেখিয়ে একজনকে তথাকথিত বড় করে, বড় ক'রে দেখাতে গিয়ে কলঙ্কিত করে, দোষী করে এবং অন্যজনকে ছোটো ও অসম্মান করতে দ্বিধা করে না, ঘৃণা ছড়াতে, নীচা দেখাতে, কলঙ্কিত করতে জনগণকে বিভ্রান্ত করে, বিষিয়ে তোলে জনগণের পরস্পরের মধ্যে, যারা দেশের শত্রুদের সরকারের বিরুদ্ধে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে, যারা বর্হিশক্তির এজেন্ট হ'য়ে কাজ করে এবং দেশের ঐক্যকে ধ্বংস করে, দেশকে টুকরো টুকরো হওয়ার জন্য ইন্ধন যোগায় তাদের চিহ্নিত করার কি সময় আসেনি? জনগণের কি এখনও ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার সময় হয়নি?
দেশ যখন সংকটে তখন এই ধরণের মানুষদের তা' সে যে দলেরই সদস্য হ'ক না কেন, যত বড় কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, বুদ্ধিজীবী পন্ডিত ব্যক্তিত্ব হ'ক না কেন, যত বড় ধনী হ'ক না কেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে তাদের জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা কি অনুচিত বা অযৌক্তিক?

আজ সময় এসেছে ভেবে দেখার শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী কি পাকিস্তানকে দু'টুকরো করার জন্যই দু'টুকরো করেছিলেন? নাকি একেবারে গায়ে গায়ে লাগানো পার্শ্ববর্তী দেশের ৩০লক্ষ জনগণের উপর পাকিস্তান দরিন্দাদের নারকীয় অত্যাচার, হত্যালীলা এবং প্রায় ৪ লক্ষ মা-বোনেদের উপর নৃশংস যৌন অত্যাচার শেষে নির্ম্মম অট্টহাস্যে উন্মত্ত উল্লাসে পাশবিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ভয়ঙ্কর মা দূর্গা, ভয়াবহ মা কালী রূপে আবির্ভূত হয়ে রক্ষা করেছিলেন অবশিষ্ট বাংলাদেশীদের? কোনটা?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যে মহান বাঁচা ও বাড়ার ধর্ম পালন করেছিলেন তা' আজ ৫৪ বছর পর অবৈধ ও অনৈতিকভাবে চোরের মত পিছনের দরজা দিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ড মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে আবার ভয়ঙ্কর সংকটের মুখোমুখি। শান্তির নোবেল হাতে তিনি বাংলাদেশের দায়িত্বে এসেই ভারতের বিরুদ্ধে ভারতকে টুকরো করার হুমকি দিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে বিদ্রোহী ক'রে তুললেন, ঘৃণার জন্ম দিলেন। এটাকে কি বলবো? ড মহম্মদ ইউনুসের মানবতা ও শিক্ষার মহান পরিচয়? এই শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পরিচয়? নোবেল পুরস্কারের এই মহিমা? নোবেল কমিটির এই প্রজ্ঞা?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কি পাকিস্তানকে দু'টুকরো করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন? একটা দেশকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার ঘৃণ্য মানসিকতা কি প্রশংসার কাজ, গৌরবের কাজ? প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মানবতা, মানবিকতা ও মনুষ্যত্ব রক্ষার পক্ষে উৎসর্গিত জীবনকে আজ কলঙ্কিত করা হচ্ছে প্রশংসার মোড়কে পাকিস্তান নামক দেশকে দু'টুকরো করার দায় চাপিয়ে তাঁকে নরেন্দ মোদীর তুলনায় বড় দেশপ্রেমিক হিসেবে তুলে ধরে? মানবতার পক্ষে তাঁর গৌরবান্বিত ভূমিকাকে ছোটো করা হচ্ছে, পদদলিত করা হচ্ছে শিরদাঁড়ার পার্থক্যকে প্রচার করে?

আর, বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? পাকিস্তান নামক দেশটিকে চার টুকরো করার নোংরা খেলায় নেমেছে? নাকি ভারতের নিরীহ সাধারণ নাগরিককে হত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তানের জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে? পাকিস্তান নামক দেশটি একদিন ভারতেরই অংশ ছিল। ব্রিটিশের প্ররোচনায় মুসলিমদের একাংশের মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবীতে পাকিস্তান নামক দেশটির জন্ম হয়েছিল। জন্ম হয়েছিল অদ্ভুত ভাবে। ভারতের একেবারে পশ্চিমদিকের একটা অংশ ও পূর্বদিকের ভারত দিয়ে ঘেরা মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল রিকেট পাকিস্তানের। কিন্তু সেদিন কেউ দেশের কোনও নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে সোচ্চার হননি বা বাধা দেননি। শুধু দূরদ্রষ্টা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আন্তরিক শুদ্ধ পবিত্র প্রচেষ্টায় অখন্ড বাংলা থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ ক'রে, পাকিস্তানের থেকে আলাদা ক'রে ভারতের সঙ্গে যুক্ত রাখতে পেরেছিল।

দেশভাগের পর থেকে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে শত্রুতার লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হ'তে লাগলো। পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দেশভাগের ভয়ংকর ভচিষ্যত পরিণতি সম্পর্কে বারবার সাবধান করেছিলেন এবং দেশ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন। তখন তিনি হিন্দু মুসলমানের সমস্যা দেশ ভাগ ক'রে সমাধান করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেছিলেন, "Dividing compromise is the hatch of animosity " অর্থাৎ ভাগ ক'রে সমাধান করার অর্থ তা' দিয়ে দিয়ে শত্রুতার ডিম ফোটানো। যা' আজ স্বাধীনতার ৭৮বছর ধ'রে ও পরেও প্রমাণ হ'লো ধর্মের ভিত্তিতে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে পাকিস্তানের মুসলিম জঙ্গীরা নির্ম্মম নৃশংসভাবে হত্যা করলো।

আর, সেই ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের হত্যার প্রতিশোধ নিতে, সেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ক্ষমাহীন বদলা নিতে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী জঙ্গি নিধনে নারীদের সিঁথির পবিত্র সিঁদুরকে স্মরণ ক'রে 'অপারেশন সিন্দুর' নামে শপথ নিলেন এবং জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ভয়াল নির্ম্মম প্রত্যাঘাত করলেন তখন এই কালবৈশাখী অভিযানকে, এই দয়ামায়াহীন প্রত্যাঘাতকে, এই সাফল্যকে, এই উদ্যোগকে কলঙ্কিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতে অবস্থানকারী ভারত বিরোধী শক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দু'জনের সাফল্যের তুলনামূলক নোংরা আলোচনায়।

আলোচনায় তারা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে শ্রী নরেন্দ মোদীর চেয়ে বড় ক'রে দেখাতে গিয়ে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা ও মা-বোনেদের ইজ্জৎ রক্ষায় তাঁর মহান অবদানকে, তাঁর মানবিক মুখকে, তাঁর মনুষ্যত্বকে চরম অপমান ক'রে তাঁকে পাকিস্তান দেশ ভাঙ্গার কলঙ্কিত নায়িকা রূপে প্রতিষ্ঠা করলো। এই তথাকথিত ইন্দিরা প্রেমী নরাধমরা ১৯৭১ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর আমেরিকার চোখে চোখ রেখে লড়াই করার অদম্য সাহস ও বীরত্বকে, ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতকে কৃতিত্ব দিতে গিয়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর নেতৃত্বে চলা ভারত সরকার তথা ভারতবর্ষকে অন্য দেশকে টুকরো টুকরো করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করলো। তারা এও চেয়েছিল বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীও 'অপারেশন সিন্দুর' প্রত্যাঘাতের মধ্যে দিয়ে এই একইরকম দেশ ভাঙ্গার নোংরা খেলার ট্রাডিশান বজায় রাখুক। নরেন্দ্র মোদীও পাকিস্তানকে এই সুযোগে চার টুকরো করে দিক।

আমরা যেন ভুলে না যাই, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকটে পাকিস্তান জেরবার। ব্রিটিশ মুক্ত ভারতবর্ষকে জোর ক'রে ব্রিটিশের সহায়তায়, ব্রিটিশের ঘৃণ্য চক্রান্তে ও মুসলিম লিগের নেতাদের চক্রান্তে দেশ ভাগ করার ও ক্ষমতা ভোগ করার ফল আজকের এই পাকিস্তান।

আজ থেকে ৫৬ বছর আগে তাদের নিজেদের ভিতরেই পাকিস্তানের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার তাগিদে ও স্বাধীন বাংলাদেশের দাবীতে আলাদা বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশে পাকিস্তানের মুসলমান বাংলাদেশের মুসলমানকেই হত্যা করেছিল ও মুসলমান মা বোনেদের ওপর যৌন অত্যাচার করে কাম লালসা ভোগ করেছিল ও পরে নির্ম্মম ও নৃশংস ভাবে অত্যাচার ক'রে ক'রে হত্যা করেছিল। ফলে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশীদের স্বাধীনতার যুদ্ধ।
আর, বর্তমানে বালুচিস্তান, পাসতুনিস্তান সব জায়গার মানুষ পাকিস্তানের অত্যাচারের হাত থেকে স্বাধীন হ'তে চাইছে। আজাদ কাশ্মীর পাকিস্তানের অত্যাচারে ভারতের সাথে যুক্ত হ'তে চাইছে। তারা প্রায় সবাই মুসলমান। ফলে সেখানে পাকিস্তানের ভাঙন, তাদের চার টুকরো কি হাজার টুকরো সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ জনগণের বিষয়। সেখানে শ্রীনরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের কি প্রয়োজন? সেখানে তাঁর ব্যর্থতা কোথায়? আমেরিকার চাপে নতি স্বীকার কোথায়? কেন ভারত অন্য কোনও দেশকে টুকরো টুকরো করার নোংরা খেলায় অংশগ্রহণ করবে? হাজার বছরের ভারতের ইতিহাস কি তাই বলে? ভারত কি কখনও কোনও দেশ আক্রমণ করেছে? নাকি ভারতের ওপর আক্রমণ হয়েছে বারবার বর্হিশক্তি দ্বারা? বালুচিস্তান, পাসতুনিস্তান যদি বাঁচার জন্য, আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য চায় সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। সেটা সম্পূর্ণ অন্য ও পরবর্তী বিষয়। জঙ্গি হামলার বদলা আর এই দেশ ভাগ বা টুকরো করা এক বিষয় নয়। এসব ঘর ভাঙ্গা ব্রিটিশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি। অখন্ড ভারতবর্ষকে কে ভাগ করেছিল? কেন ভাগ করেছিল? কি উদ্দেশ্যে ভাগ করেছিল? সেই ভাগের পরিণতি কি? কারা ভোগ করছে এই ভাগ করার ফল? কারাই বা সেই অভিশপ্ত নির্ম্মম ভয়ংকর ক্ষমাহীন ঘৃণ্য ভাগের সংস্কৃতি জান্তে-অজান্তে চর্চা ক'রে চলেছে? কেন ক'রে চলেছে? কাদের প্ররোচনায় ক'রে চলেছে? তাদের শিক্ষা, চেতনা, বোধ, বুদ্ধি, মনুষ্যত্ব কি লুপ্ত হ'য়ে গেছে? তারা কি রোবোট? এটা যেন ভুলে না যায় ভাঙ্গার কৃষ্টি-সংস্কৃতির চর্চাকারীরা, কারিগরেরা, প্রচারকেরা এই ল্যাংড়া খোঁড়া ভারতের অধিবাসী তারাও, তাদের পরিবার পরিজন। অভিশপ্ত দেশভাগের ফলে হওয়া এই ল্যাংড়া খোঁড়া যদি আরও ল্যাংড়া খোঁড়া হয় সেই বিষফোঁড়ার বিষাক্ত ঘায়ের বিষে সর্ব্বাঙ্গ জর্জরিত হ'য়ে তারাও নিকেশ হ'য়ে যাবে প্রকৃতির নির্ম্মম কষাঘাতে। এটাই প্রকৃতির নিখুঁত বিচার।

তারা যেন ভুলে না যায়, কথায় আছে, Every action has opposite and equal reaction. অর্থাৎ ক্রিয়ার বিপরীত ও সমান প্রতিক্রিয়া আছেই।

আর, পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর ফলও পাবে ঠিক তেমনি। যা ইচ্ছা তাই করবে তুমি তা করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থতি ছাড়বে না।"

আর, অভিশপ্ত ঘৃণ্য ক্ষমাহীন ভয়ংকর ভাঙ্গনের সেই কৃষ্টি-সংস্কৃতির ধারক বাহক দেশভাগের কুশীলবদেরই রেখে যাওয়া এই প্রচারকারীরা, যারা ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো এইধরণের ঘর ভাঙ্গা ভাঙির নোংরা প্রচারের খেলায় দুই মহান প্রধানমন্ত্রীর একজনকে কমজোরি, দুর্বল, ভীরু ব্যক্তিত্বের অধিকারী প্রমাণে মরীয়া। কিন্তু হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যময় ভারতের কৃষ্টি সংস্কৃতি এসব নোংরা ভাঙ্গাভাঙ্গির কৃষ্টি সংস্কৃতি নয়।

কিন্তু বর্তমান ভারত আর স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের অতীতের ভারত এক নয়। অতীতের ভারতের ইতিহাস অন্য কথা বলে। শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাশিয়া ইউক্রেণ যুদ্ধের সময় রাশিয়ার পক্ষে না থাকার জন্য, রাশিয়ার সঙ্গে তেল চুক্তি না করার জন্য, রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করার জন্য, রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য আমেরিকার ভয়ঙ্কর চাপের সামনে সামনা সামনি মুখোমুখি এই ভারতই তার জোরালো শক্তিশালী ভূমিকা তুলে ধরেছিল। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমেরিকা সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ৫৬ ইঞ্চি সিনার প্রমাণ পেয়েছিল। আর এই মুহুর্তের আন্তর্জাতিক খবর সবারই জানা। আর, ২০১৪ পরবর্তী সময়ে ২০১৬ (উরি) ২০১৯ (পুলবামা) সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ভুলে যায়নি ভারতবাসী।

তাই এই ধরনের উস্কানিমূলক বিষাক্ত পোষ্ট দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করে, দেশের ও দেশের জনগণের পক্ষে এই পোষ্ট বিপদজনক। দেশকে ও দেশের জনগণকে বিপদে ফেলবেন না। দেশকে দুর্বল করা ও ধ্বংস করা এবং দেশের জনগণকে মৃত্যুর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত থেকে বিরত থাকুন, নিজেকে প্রকৃত দেশপ্রেমী ক'রে তুলুন। তাই পোষ্টদাতারা বিতর্কিত পোষ্ট করা থেকে সাবধান!
( লেখা ১১ই মে' ২০২৫)



প্রবন্ধঃ যুদ্ধ বিরতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী।

আসুন সত্যকে জানি।

যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হ'য়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে দেশের ভিতরেই তাঁর বিরোধীদের তাঁর ওপর বলাৎকার। শাঁখের করাতের মত বিরোধীদের চরিত্র। যেতে ও আসতে উভয়দিকেই চিড়ে দেয়। গত ২২ তারিখের মর্ম্মান্তিক বেদনাদায়ক ঘটনার পর শুরু হয়েছিল প্রতিবারের মত তাঁর ওপর সমালোচনার বোমা বর্ষণ। বলা শুরু হ'লো, অযোগ্য, অদক্ষ, নিকম্মা দুর্বল দল ও নেতৃত্বের হাতে পড়ে দেশ ও দেশের মানুষের আজকে এই ভয়াবহ অবস্থা। এই মর্মান্তিক হত্যার জন্য তিনি দায়ী, তাঁর দুর্বল নেতৃত্ব দায়ী। কেউ কেউ বললেন এ সমস্ত পুলবামার মত সাজানো ঘটনা। কেউ কেউ ২২শে এপ্রিলের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কেন কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, কেন দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী চুপ ক'রে বসে আছে এরকম নানা রংবেরঙের কথার বোমা ফাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষের আনন্দ উল্লাসের মত সমালোচনার উল্লাসে মাতোয়ারা। আবার যখন ৬-৭ তারিখের এক রাতে অতর্কিত ভয়ংকর আঘাতে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি একেবারে গুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে স্ত্রীদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার, শিশুদের বাবা ডাক চিরদিনের মতো কেড়ে নেবার ঘৃণ্য বর্ব্বোরোচিত ক্ষমাহীন অপরাধের বদলা হিসেবে ভয়াল হ'য়ে উঠলো ভারত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সমস্ত দল, মত নির্ব্বিশেষে ১৪০ কোটি দেশবাসীর আবেদনে, সহযোগীতায় তখন আবার শোনা গেল বিরোধীতার কন্ঠস্বর, উঠলো পথে পথে মানবতা, মানবিকতা রক্ষার শ্লোগান। রাস্তায় মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে, মিটিং ভারতের যুদ্ধ ঘোষণার বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের ওপর হামলার প্রতিবাদে শ্লোগান ও বক্তব্য রাখা হচ্ছে পথে। কি অদ্ভুত মানুষ আর মানুষের মানবতা, মানবিকতা।

এই মিছিলে যারা হাঁটছে, এই শ্লোগান যারা তুলছে এদের মধ্যে নারী পুরুষ সবাই আছে। এইসমস্ত মিছিলে হাঁটা, শ্লোগান তোলা, মিটিং-এ বক্তব্য রাখা নারীদের ঘরে তাদের স্বামী আছে, আছে বাবা, আছে ভাই। আবার মিছিলে অংশগ্রহণকারী, শ্লোগান তোলা ও বক্তব্য রাখা পুরুষদেরও ঘরে আছে স্ত্রী, বোন ও কন্যা। এদের কাছে নারীর, মায়ের, স্ত্রীর, বোনের, কন্যার সিঁথির সিঁদুরের কোনও মূল্য নেই? জংগীদের এইরকম বিষাক্ত মানসিকতা ও হত্যা এবং এই নৃশংস বর্ব্বোরোচিত ঘৃণ্য নারকীয় অপরাধকে পরোক্ষভাবে সমর্থনকারীদের টলারেট করে এদের ঘরের সমস্ত সদস্যেরা?

এইজন্যেই বোধহয় বিশ্ব জয়ে বেরোনো গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার নিজে সাম্রাজ্যবাদী হয়েও দূরদৃষ্টি দিয়ে বোধহয় তখনই বুঝতে পেরেছিলেন ভারতের অন্তরাত্মার কষ্ট, যন্ত্রণা! তাই সেদিন তিনি সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতায় ভারতের অন্তরাত্মার কষ্ট যন্ত্রণার উৎস এই অদ্ভুত মানুষদের কথা ভেবেই বোধহয় তাঁর সেনাপতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন," সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!!

আবার যখন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভারত সম্মত হ'লো তখন আবার শুরু হ'য়ে গেল আরো এক খেলা। ঘুরে গেল গিরগিটির রঙ বদলানোর চেয়েও দ্রুত মতামতের রঙ বদলানোর দক্ষ খেলোয়ারদের পাশার দান। শুরু হ'য়ে গেল নরেন্দ্র মোদীকে নীচা দেখাবার খেলা। নরেন্দ্র মোদীর একই সঙ্গে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মহান ব্যক্তিত্বকে, তাঁর মানবতার পূজারী ও মনুষ্যত্বকে রক্ষা, পালন করার ভাবমূর্তিকে, তাঁর একই সঙ্গে কঠোর ও কোমল মুখকে নীচা দেখাবার জন্য বলা শুরু হ'য়েছে মিডিয়া জুড়ে,

ভারত নাকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল তাই ভুল বুঝে নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধ বিরতি করেছে।
ভুল রাজনীতির জন্যেই নাকি বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত ক্রমশ একলা হ'য়ে যাচ্ছে, একলা হয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজের দোষেই তিনি এখন একা, বন্ধুহীন মোদী।
জয়ের দ্বোরগোড়ায় এসেও ভয়ে পিছিয়ে গেল ৫৬ইঞ্চির মোদী।
আমেরিকার কাছে নতজানু মোদী।

এরকম বহু মন্তব্যে ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে জনগণের সমর্থন, ভালোবাসা, নির্ভরতা যাতে বৃদ্ধি না পায় ও তাঁর দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে যাতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হ'য়ে না ওঠে তার জন্য শুরু হ'য়ে ঘর শ্ত্রু দুর্যোধনেদের মিশন।
২২শে মে ২৬জন নিরীহ পুরুষ পর্যটককে তাদের স্ত্রীর সামনে গুলি ক'রে মেরে সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার পর, ছোটো শিশুদের বাবা ডাক কেড়ে নেবার পর ভারতের নারীর সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার বদলা হিসেবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিন্দুর' নামে অল আউট খতম অভিযানে নামা প্রধানমন্ত্রী নুরেন্দ্র মোদীর মিশনকে বলা হচ্ছে ভারত নাকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। আর তাই ভুল বুঝে তড়িঘড়ি যুদ্ধ বিরতি করেছে। এই সমস্ত ঘর শ্ত্রু দুর্যোধনদের কি বলবে ভারতের নারীরা, মায়েরা, বোনেরা ও মেয়েরা? তারাই ঠিক করুক। আমি এর উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো।

বলা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ও নরেন্দ্র মোদীর ভারত বিশ্বে ও বিশ্ব রাজনীতিতে একলা হ'য়ে যাচ্ছে। একলা হ'য়ে যাচ্ছে নিজের দোষে। বন্ধু আমেরিকাও পাশে নেই। কেউ নেই।

যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুম থেকে উঠেই বাসি মুখে বসে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথার জাবড় কাটতে তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনি বা আপনারা কি জীবনে কারও সাহারা নিয়ে চলেন নাকি একা চলেন? আপনি বা আপনারা যারা এই কথা বলছেন, বিষোদ্গার করছেন দেশের ভয়ংকর ঘোর সংকটজনক পরিস্থিতিতে, দেশের বিপদের সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা নিজেরাই নিজের কথাটাই একবার ভেবে দেখুন। ধ'রে নিলাম আপনি কারও সাহারা নিয়ে চলেন। কেন চলেন? মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না এই যদি মানুষের স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচা ও বেড়ে ওঠার মানবতা বা মানবিকতার দর্শন হয়, মনুষ্বত্বের মূল ভিত হয় তাহ'লে মানুষ মানুষের সাহারা নিয়েই বাঁচবে ও বেড়ে উঠবে নতুবা ধ্বংস অনিবার্য, সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

আর যদি আপনি কারও সাহারা ছাড়াই একলা চলেন, তাহ'লে কেন একলা চলেন? কারণ আপনি সত্যের পথে চলেন তাই একলা চলেন। এটা দেখা গেছে এবং এটা সত্য ও সিদ্ধ যে, সত্যের পথে যে চলে সে সব সময় একাই চলে, সে বন্ধুহীন হয়। কারণ সত্য সবসময় একা। মিথ্যার পথে চলার জন্য লোকের সাহারার দরকার হয়। কারণ মিথ্যা ল্যাংড়া, খোঁড়া ও অন্ধ। তাই তাকে কারও না কারও ওপর ভর দিয়েই চলতে হয়। তাই মিথ্যার বন্ধু অনেক, অগুন্তি। এসব কথা আপনি ও আপনারা সবাই জানেন। এসব মায়ের কাছে মাসীর গল্পের মতো। তবুও বললাম।

আর, আপনি সত্যের পথে যদি না চলেন, মিথ্যের পথে চলেন, আপনি যদি ন্যায়ের পথে না চলেন, অন্যায়ের পথে চলেন, আপনি ন্যায্যের পথে না চলে অন্যায্য পথ অনুসরণ করেন, আপনি সততার পথ ছেড়ে অসততার পথ বেছে নেন, আপনি বাঁচা ও বেড়ে ওঠার নীতির পথ ছেড়ে মৃত্যুর বা ধ্বংসের দুর্নীতির পথে হাঁটেন, আপনি যদি সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ ক'রে ও বেড়িয়ে না এসে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে আবার চুপিচুপি পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যান, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হ'য়ে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, প্রেম ভালোবাসায় সিক্ত হ'য়ে ক্ষমতায় আসার পরিবর্তে পিছনের দরজা দিয়ে, গায়ের জোরে, টাকা ছিটিয়ে, ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে, অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসতে চান ও ক্ষমতা ভোগ করতে চান ক্ষমতার লালসায় তাহ'লে আপনার ট্রাম্পের মত কাউকে দরকার হবে। দরকার হবে বিশ্বকে, খেতে হবে বিশ্ব রাজনীতি ঘোলা জল, দরকার হবে বৃহৎ শক্তির কাছে নতজানু হ'তে, লাথি খেতে, আত্মসমর্পণ করতে, গোলামী করতে। তখন আপনি হবেন শয়তানের পৃষ্টপোষক।

আর, যদি মিথ্যের পথে না চলেন? নতজানু না হন, আত্মসমর্পণ না করেন, গোলামী না করেন, আর তার জন্য কেউ যদি সাহায্যের হাত না বাড়ায়, পাশে না দাঁড়ায়, আপনি যদি স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচা-বাড়ার জন্য সত্যের পথে চলেন, ন্যায়ের পথে চলেন, নীতির ওপর দাঁড়ান, সততার হাত ধ'রে চলেন, সামনের দরজা দিয়ে ঢোকেন ও বেরোন, গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেন, প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে জয় করার শিক্ষায় শিক্ষিত হন, ভাবিত হন, প্রয়োজনের সময় বিপদ্গ্রস্থের পাশে দাঁড়ান তাহ'লে কারও সাহারার দরকার হবে কি? কারও সাহায্যের জন্য কাঁদতে হবে কি?

এছাড়া কথায় আছে, হাতি চলে বাজার মে কুত্তা ভোঁকে হাজার, সাধুয়োঁ কো দুর্ভাবন নেহী যব ঘেরে সংসার।" কা'কে ভয়? কিসের ভয়? কেন ভয়? আর একটা কথা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন সেটা হ'ল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা্‌ "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।" এই সত্যের পথে একলা চলায় মুক্তিধামে, সত্যধামে, অমরধামে পৌঁছনো 'দের হ্যাঁয় লেকিন আন্ধের নেহি হ্যাঁয়।'
এই একলা চলার পথ সত্য মিথ্যা সবাই নিতে পারে, আপনিও পারেন। আমিও পারি। সৎ অসৎ সবাই পারে। তবে সত্য মিথ্যার চলার পথে সত্য ও মিথ্যা অনুযায়ী শেষের সেদিন মধুর কিংবা ভয়ংকর হয়। কিন্তু মিথ্যার পথে একলা চলা কখনোই সম্ভব নয়। কোনোদিনই সম্ভব ছিল না, সম্ভব নয়, সম্ভব হবেও না। নৈব নৈব চ। আজও আগের মতো, তেমন।
মিথ্যুকেরা বরাবরই জোট বাঁধে। তাদের কোনও আদর্শ নেই।
এটাই আজ আবার প্রমাণ হলো সৎ পথে চলা, ন্যায় বা ন্যায্য ভাবে, নীতির ও যোগ্যতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা, সামনের দরজা দিয়ে ঢোকা ও বেরোনো মানুষকে, গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত হ'য়ে ভালোবাসার জোরে, প্রেম দিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসা মানুষকে ক্ষমতাধর নেগেটিভ সমাজ, দেশ ও বিশ্ব ও তাদের প্রতিনিধিরা হজম করতে পারে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের মায়েদের, স্ত্রীদের, বোনেদের, কন্যাদের চোখের জলের বদলা নিয়েছেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হ'য়ে নিজের ও নিজের দেশের ক্ষমতায়, ১৪০কোটি দেশবাসীর সহযোগীতায় জঙ্গিদের ও জঙ্গিগোষ্ঠীদের ঘাঁটিগুলি ধ্বংস ক'রে। প্রয়োজনে আবার নেবেন, বারবার নেবেন, নেবেন জঙ্গীগোষ্ঠীদের মদদদাতা, লালনপালনকারীদের ওপরও সম্পূর্ণ নিজের ক্ষমতায়, নিজ দেশের ক্ষমতা ও জনগণের প্রতি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হ'য়ে 'পাছে লোকে কিছু বলে' মৃত্যুর দর্শনকে পদাঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ ক'রে।

আমার পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি দেশের নেতৃবৃন্দ সবাই এমন বীর মানসিকতা ও মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হ'ক। তাঁদের হাতেই দেশের সবার জীবন। তাঁদের হাতেই সবার বাঁচা বাড়া। তাঁরাই মানুষকে বাঁচাতে পারে। তাঁরাই মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। তাঁদের হাতেই সব ক্ষমতা। তারা ইচ্ছে করলেই এই দেশকে সুন্দর ক'রে গড়ে তুলতে পারে। আর এই গড়ে তোলার জন্য ভারতের কৃষ্টি-সংস্কৃতিই যথেষ্ট। বাইরের কোনও কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রয়োজন নেই। ভারত আজ দাঁড়িয়ে আছে হাজার বছরের সেই কৃষ্টি, সেই সংস্কৃতির ওপর, যে কৃষ্টি সংস্কৃতি সারা পৃথিবীকে আকৃষ্ট করে। কথায় আছে, বসুঢৈব কুটূম্বকম। এটা ভারতের দর্শন। ভারত এই দর্শনে বিশাস করে। গোটা পৃথিবীটাই একটা পরিবার। গোটা পৃথিবীর মানুষ সবাই সবার আত্মীয়। আসুন আমরা এই ভাবনায় ভাবিত হ'য়ে বিশেষ ক'রে সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর সোনার সৎসঙ্গীদের ওপর এই আশা, এই ভরসা রেখেই এই পৃথিবী থেকে দেহ ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি সুক্ষ্ম শরীরে অবস্থান করছেন আমাদের সকলের মাঝে অবস্থান করছেন আমাদের পথ দেখাবার জন্য শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে দিয়ে, আসুন আমরা তাঁর নির্দেশ মতো চলে অন্তত আমরা চেষ্টা করি সবাই মিলে সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের যে দর্শন তাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে একটু হ'লেও দাগ রেখে যাই, আমাদের জীবনের শেষ সময়টুকু অন্তত তাঁর জন্য খরচ ক'রে যাই। নমস্কার। জয়গুরু।

Saturday, May 10, 2025

বিচিত্রা ১৪২

"মাতৃভক্তি অটুট যত সেই ছেলে হয় কৃতি ততপিতায় শ্রদ্ধা মায়ে টান সেই ছেলে হয় সাম্যপ্রাণ।"---শ্রীশ্রীঠাকুর।
ফেসবুকের মধ্যে দিয়ে এখন সব 'ডে ' জানতে পারি। যারা যারা 'মাদার্স ডে'-তে মাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে তারা যেন পরবর্তী সময়ে 'বউ সর্বস্ব' হ'য়ে না পড়ে আর বউ-রা যেন একথা মনে রাখে 'মেয়েই তো মা'; আর 'বৌ' মানেই মেয়ে!

সম্পর্ক যখন অকারণ সমস্যার ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়
তখন দয়ালের বুকের ব্যথা অশ্রু হ'য়ে বৃষ্টি রূপে ঝ'রে পড়ে!
( লেখা ২১শে মে' ২০২০)

সেই যে কবে থেকে তমসার পার অচ্ছেদ্যবর্ণ মহান পুরুষ ইষ্টপ্রতীকে আবির্ভূত পরমপিতা বারবার যুগে যুগে তার সন্তানদের ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার কথা ব'লে চলেছেন, ব'লে চলেছেন আচার্য পরম্পরার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎ ভয়ংকর বিপদ থেকে, মহাপ্রলয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য "জাগার লগন এলো তোরা জাগনা ওরে" ব'লে, ব'লে চলেছেন নিরন্তর চেতনাবাহী স্মৃতি যুক্ত জীবন বৃদ্ধির কথা, সাবধান ক'রে চলেছেন মনুষ্যত্বের ভিত লুপ্ত হ'য়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা কিন্তু কেউই তার কথা শুনছে না! কারোরই শোনার সময় নেই! সবাই দৌড়চ্ছে এক অলীক মায়ার মোহন বাশির পিছনে! এর থেকে নির্ম্মম যন্ত্রণা আর কি হ'তে পারে!?
( লেখা ২১শে মে' ২০২০)

সাবধান! জীবনে হতাশা, অবসাদ আর অবিশ্বাস ব'লে কিছু রেখো না।
'রা - - -' ব'লে ডাকো একবার বিশ্বাস বুকে নিয়ে
আর দাও ঝাপ দেখো কি হয়!

প্রভুর কাছে কিছু চেও না ।তোমার কি প্রয়োজন তা সব প্রভু জানে।
এইটা ওইটা চেয়ে সময় নষ্ট করার চেয়ে
নিরন্তর নাম করো আর দেখো পদে পদে কি হয়!

পরমপিতা তোমায় তোমার প্রয়োজনীয়
সবকিছু দেবে ব'লে বসে আছে
তুমি অবিশ্বাসের কারণে নিতে পারছো না; 
বঞ্চিত হচ্ছো আর সময় নষ্ট হচ্ছে।
বিশ্বাস করো, বিশ্বাস করো, বিশ্বাস করো।

বাড়ির পরিবেশ এমন ক'রে রাখো 
ঢুকলেই মনে হবে এক পজিটিভ শক্তি
ব'য়ে যাচ্ছে বাডির ওপর দিয়ে।
সবাই মিলে তাকে আহবান করো
দেখবে চারিদিকে প্রভুর উপস্থিতি
অনুভব করতে পারবে।
( লেখা ১১ই মে' ২০২২)

জনবহুল রাস্তায় অপর্যাপ্ত আলো
আর মাইলের পর মাইল মাইকে
গাঁক গাঁক ক'রে নির্বাচনী বক্তৃতা!!
একেই কি বলে সভ্যতা?
( লেখা ১১ই মে' ২০২৪)






















বিচিত্রা ১৪১

সৎসঙ্গ' শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের দুরন্ত প্রতীক!
বিশৃঙ্খলা আর কুৎসিতের আলিঙ্গনে 
ক'রো না তাকে অতীত।

সৎসঙ্গ' বিশ্বে মানুষের সর্বশ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান!
অমানুষের ভিড়ে ক'রো না তাকে খানখান।

'সৎসঙ্গ' শ্রীশ্রীঠাকুরের চোখ, 
শ্রীশ্রীবড়দা সেই চোখে মণি।
আর, মণিতে আছে জেনো 
ঠাকুর জ্ঞানের খনি।
মণির মাঝে আছে যে দৃষ্টি
জেনো তা' আচার্য পরম্পরার কৃষ্টি।

'সৎসঙ্গ' শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রাণ,
শ্রীশ্রীবড়দা সেই প্রাণের প্রাণভোমরা।
ত্তা' যতনে রক্ষা করে আচার্য পরম্পরা।
তাঁরই ছত্রছায়ার বাঁচি-বাড়ি সৎসঙ্গীরা।

কেন্দ্র মাঝে অন্য কেন্দ্র চালায় কোদাল!
এ কেমনতর কৃষ্টি!?
ঠাকুর কি চেয়েছিলেন
এই অনাসৃষ্টি!!??

কেন্দ্র হ'য়ে কেন্দ্র মাঝে বিভেদ ঘটাও? 
সৃষ্টি কর গোষ্টি!?
ভাগ করো আর মজা লোটো
এই তোমাদের ঠাকুর প্রীতি!?

বিশ্বে 'সৎসঙ্গ' দেওঘর দ্বারা পরিচালিত কোনও "...কেন্দ্র" 
অন্য কোনও কেন্দ্রে গিয়ে কি কোদাল চালায়? 
তা কি বিধিসম্মত ও শৃঙ্খলিত?
( লেখা ১১ই মে' ২০১৮)


বিচিত্রা ১৪০

কি যে করি আর কি যে বলি কিছুই বুঝতে পারছি না দয়াল! 
প্রভু আমার! দয়া করো হে দয়াল! দেখাও পথ প্রভু! 
ঘোর আঁধারে আমি নাজেহাল!!

তোমার দয়ায় দয়াল সব বুঝতে পারি আজ, 
দেখতে পারি সবেতেই সত্য! 
তোমার দয়ায় খুলেছে চোখ, 
ধরতে পারি ভুল আর মুলেতে গলদ নিত্য!!

সব বুঝেও আজ অসহায়, বড়ই যাতনা বুকে!
করিতে পারি না কিছু, পারি না কিছুই বলিতে!
সমর্পিত এ জীবন শ্রীচরণে তোমার
যাবার আগে প্রভু রেখো লাজ আমার!!
( লেখা ১৯শে' ২০১৯)

আত্মপ্রতিষ্ঠা কিম্বা অর্থের লোভে 
সত্যকে হত্যা করতে দ্বিধা করলে না বন্ধু!
শেষের দিনগুলি কিন্তু ভয়ংকর
একথা রেখো মনে।

ইহকালে শুধু ব্যবহার ক'রে নিজের কাজ বাগিয়ে নিলে 
আর অবশেষে ছিবড়ে ক'রে ফেলে দিলে বন্ধু তোমরা। 
ঠিক আছে ভালো থেকো।
দেখা হবে শেষের সেদিনে,
দেখা হবে বন্ধু পরকালে।

দয়ালের দয়াল রূপ দেখেছো বন্ধু
দেখোনি তার ভয়াল রূপ।
দয়ালের দেখেছো মধুর হাসি
দেখোনি তার গম্ভীর মুখ।
































ইহকালে শুধু ব্যবহার ক'রে নিজের কাজ বাগিয়ে নিলে 
আর অবশেষে ছিবড়ে ক'রে ফেলে দিলে বন্ধু তোমরা। 
ঠিক আছে ভালো থেকো।
দেখা হবে শেষের সেদিনে,
দেখা হবে বন্ধু পরকালে।

দয়ালের দয়াল রূপ দেখেছো বন্ধু
দেখোনি তার ভয়াল রূপ।
দয়ালের দেখেছো মধুর হাসি
দেখোনি তার গম্ভীর মুখ।

এতটা শিয়ালের মত ধূর্ত তুমি বন্ধু!
মিষ্টি কথা আর মধুর হাসিতে ভুলিয়ে
পিছনে মারলে ছুরি আর ভেঙে দিলে 
তিল তিল ক'রে গড়ে তোলা দয়াল সৌধ বাগাতে সিন্ধু!

ভাঙার কারিগর তুমি!
গাঁইতি ছেনী হাতুড়ি তোমার সাথী।
তুমি নও গড়ার রাজমিস্ত্রী,
নও তুমি দয়ালের সাথী। 
দয়ালের দরবারে এই কলঙ্কের টিকা 
কপালে লাগালে তুমি বন্ধু!

বন্ধু! কি ভয়ংকর তোমার শান্ত চোখ!
বীভৎস মিষ্টি মধুর হাসি!!
হাসতে হাসতে পাশে ডেকে
কাছে নিয়ে দিয়ে দিলে ফাঁসি!!!

একাই তুমি সব ভোগ করবে বন্ধু!
তোমার আজকের সাফল্যের পিছনে
যে বা যারা ছিল কারিগর তাদের ভুলে গেলে!? 
সত্যিই কি তুমি সফল?
শেষের সেদিন হতাশা আর অবসাদে ভরা নয়তো?

হ্যাঁ আমি থাকবো! আমি থাকবো বেঁচে!
তুমিও থাকবে। থাকবে বেঁচে।
দেখে যাবো দু'জনে
সত্য ও মিথ্যার পরিণতি নেচে কেঁদে।
( লেখা ১০ই লেখা'২০২২)





























Thursday, May 8, 2025

অপারেশন সিন্দুর!



নারীর সিঁথির সিঁদুরের ইজ্জৎ ভূলুন্ঠিত হওয়ার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের নারী শক্তি ভয়ংকর জবাব দিয়ে আবার প্রমাণ করলো ভারত জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনের অধিকারী।

যে অন্যকে ভালোবাসতে পারে না, পারেনি সে কখনও নিজেকে কখনই ভালোবাসতে পারেনা, পারেনি। ঠিক তেমনি যে অন্যকে ভালবাসতে জানে না, শেখেনি সে নিজেকেও ভালোবাসতে জানে না, শেখেনি।

হিন্দু ধর্মে মা দূর্গার অসুর নিধনের কাহানী আছে আমরা তা’ দেখতে পাই। আর সেই মা দূর্গাকে নারীপুরুষ সবাই পূজা করে অর্থাৎ স্বাগত জানায়। অপারেশন সিন্দুর প্রমাণ করলো নারী মাত্রেই মা দূর্গা! সেখানে হিন্দু-মুসলমান ইত্যাদি কোনও ভেদ নেই।



Wednesday, May 7, 2025

গানঃ সৎসঙ্গী ভাইবোন ভুলিয়া দিনক্ষণ

সৎসঙ্গী ভাইবোন ভুলিয়া দিনক্ষণ
মিলিয়া গড়িলাম নব বৃন্দাবন।
দেখ কি সুন্দর দিন অনুক্ষণ (তোমরা)
দেখ কি সুন্দর দিন অনুক্ষণ।

দিন আমার আইতো রাত গড়াইতো
জীবন বীণার তারে শুধু রাধা নাম গাইতো।
দয়াল বলে ডাকিলে সাড়া মেলে অন্তরে
পরাণ রশি দিয়া তারে কইষ্যা বাঁধিলাম।
দেখ কি সুন্দর দিন রচিলাম (তোমরা)
দেখ কি সুন্দর দিন রচিলাম।

সৎসঙ্গী ভাইবোন আনন্দে প্রাণমন
ছলাৎ ছল ছলাৎ ছলাৎ
করে রে রে।
দেখ কি সুন্দর দিন হাসে রে (তোমরা)
দেখ কি সুন্দর দিন হাসে রে।

চারিদিকে লাল নিল দ্যাখো আলো ঝিলমিল
আলোক ছটার ঝলকানিতে নয়ন তোমার কাঁপিছে।
দয়ালের নয়ন যুগল তোমারে ডাকিছে
দয়ালের হাসিতে দেখ জগৎ হাসিছে ।

দেখ কি সুন্দর দিন আসিছে (তোমরা)
দেখ কি সুন্দর দিন আসিছে।

সৎসঙ্গী ভাইবোন তন মন দিয়া ধন
ধিনাধিন তা ধিনাধিন
নাচো রে-এ-এ।
দেখ কি সুন্দর দিন হাসে রে।
আজ দ্যাখো কি সুন্দর দিন হাসে রে!

জীবন হাসে জীবন কাঁদে পরাণ বলে রাধে রাধে
জীবন জুড়ে শুধুই রাধা স্বামী আমি গাইতাম
দয়াল বলে কত কাঁদিলাম রাধা নামে ভাসিলাম
আনন্দে মাতোয়ারা
হয়ে আমরা (সব) নাচিলাম।
দেখ কি সুন্দর দিন বাঁধিলাম (তোমরা)
দেখ কি সুন্দর দিন বাঁধিলাম।

সৎসঙ্গী ভাইবোন শোনো শোনো দিয়া মন
তাতা থৈ তাথৈ তাথৈ২
পরাণ আমার নাচে রে।
দেখ কি সুন্দর দিন হাসে রে।

শান্তি নগরে সৎসঙ্গ হইলো
আনন্দে নগরবাসী নাচিতে লাগিলো
অনুকূল পেয়ালায় রাধা নাম ঢালিলাম
নামমদে ডুবে মোরা সব মাতাল হইলাম।

আমরা কি সুন্দর দিন কাটাইলাম (আজ)
আমরা কি সুন্দর দিন কাটাইলাম।-

রাম আউর RUM

রাম নাম সত্য হ্যায় জিসমে হ্যায় আরাম!
রাম বিনা আরাম হ্যায় হারাম!
RUM ভি এক নাম হ্যায় জো লায়ে ব্যায়রাম (বীমারী)
জিন্দেগী কে লিয়ে উহ RUM হ্যায় হারাম!
বিনা RUM হারাম আরাম মে বদল যাতি হ্যায়!
হা! রাম! হারাম! দোনহী রাজনীতি কা আজ হিস্যা বন গ্যায়া ভাই!!









Monday, May 5, 2025

বিচিত্রা ১৩৯

মতের অমিল হয় হ'ক 
মনের মিলনে যেন না পড়ে ছেদ, থাকে অমলিন! 
মতান্তর স্বাভাবিক মনান্তর ডেকে আনে 
পরিণতি অস্বাভাবিক!

মতান্তরে থাকে জোশ, আমিত্বের আস্ফালন, হারায় হুঁশ!
এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জীবন মাঝে যদি থাকে দয়াল 
জীবন খুঁজে পায় পথ, থাকে খুশ!

জীবন খুঁজে পাবে পথ যতই থাকুক আমিত্বের ছোবল! 
মতান্তরে হবে না মনান্তর যদি সদা বলো মুখে অকপটে 
'হরি বোল! হরি বোল!!

জীবন মাঝে আছে দয়াল ভয় কি মোদের আর? 
মতান্তরের তুফান উঠুক শক্ত হাতে হাল ধরেছি, 
দয়ালকে নিয়ে পণ করেছি একসাথে বাইবো মোরা দাঁড়!!

এইখানেতেই জীবন আছে, জীবন মাঝে আলো আছে; 
সেই আলোতেই জীবন খুঁজে পাবি! 
মতান্তরেই পথ আছে যদি দয়াল সাথে যাবি!!

দয়াল আমার বড়ই দয়াল সেথায় জীবন খুঁজে পাবি! 
মতান্তরে দোষ নাই মাঝে দয়াল যদি থাকে 
কিন্তু মনান্তরে জীবন হারাবি, দয়াল সেথায় কাঁদে!

এসো বন্ধু! হাতটি ধরো! একসাথে হাতে হাত রাখি! 
নামের বাদাম তুলে দিয়ে পরাণ খুলে বলি, 
এসো বন্ধু! এসো সবাই হেথায় জীবন খুঁজে পাবি!

মতান্তর হয় হ'ক, মনে যেন না থাকে কোনও ক্ষোভ! 
দয়ালের দয়ায় সব যায় মিটে, 
মনান্তর হয়না জেনো মোটেই 
দয়ালের দয়ার প্রতি যদি থাকে লোভ!
( লেখা ৫ই মে' ২০১৯)

প্রশ্ন: আত্মমর্যাদা পূর্ণ মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্ট কি!
উত্তর: যখন কাছের লোকেরা সেই মানুষ সম্পর্কে ভুল বিশ্লেষণ করে।
( লেখা ৫ই মে' ২০২০)

কারও কাছে প্রমাণ দিতে হবে না তুমি সৎ, 
তুমি পবিত্র, তুমি নির্দোষ, তোমার মন পরিষ্কার, 
শুধু দেখ বিবেক কি বলে। দয়াল সব দেখছেন।
( লেখা ৫ই মে' ২০২৪)

Saturday, May 3, 2025

বিচিত্রা ১৩৮

সরল মনে যদি কিছু বলি 
সেথায় গরল খোঁজে! 
গরল পুষে রেখে মনে যখন সযতনে কিছু বলি 
তখন পরমাত্মা বোঝে!!

ফণী আসছে ফণা তুলে 
বাজার মূল্যে মারতে ছোবল; মার ছক্কা! 
এই তো মওকা! চালাও কোদাল! চালাও শাবল!!

ফণী যেই তুলছে/তুলেছে ফণা 
অমনি উঠেছে পরমপিতা বাঁচাও বাঁচাও রব! 
বৃত্তি-প্রবৃত্তির ফণার বিষাক্ত ছোবলে
আমরা জ্যান্ত মরা সব!!

ফণীর ফণায় ভয় পাও বৃত্তি কাবু তাই!
বৃত্তি-প্রবৃত্তি যখন ফণা তুলে সামনে পিছনে, 
উপরে-নীচে উদোম মারছে ছোবল
হুঁশ তখন নাই!!

ফণীর ফণার বিষাক্ত বিষে মরতেই যদি হয় 
একবারই যেন মরি। 
বৃত্তি-প্রবৃত্তির বিষাক্ত বিষে প্রতিদিনই 
একটু একটু ক'রে কেন মরি!?

রাণী রাসমণির বড় মেয়ের কথা বাদ দিলাম, 
কিন্তু জামাই শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র আটা সত্যি সত্যিই 'আটা' 
তবে 'বি আটা'; হজম করা অসম্ভব!!
( লেখা ৩রা মে' ২০১৯)
























Friday, May 2, 2025

প্রবন্ধঃ এ সব ভাবা কি ইউটোপিয়া?

রাস্তার কুকুর নিয়ে সব জায়গায় একটা সমস্যা রয়েছে। কুকুর প্রেমী ও কুকুরদের প্রতি কারণে ও অকারণে অত্যাচার করা মানুষের মধ্যে আছে বিরোধ। কুকুরদের সম্পর্কে মানবতা, নৈতিকতা ও ভয়, আতঙ্ক নিয়ে আছে তর্কবিতর্ক। পরিশেষে হয় মানুষে মানুষে বিরোধ ও বিভেদ।
কুকুরদের নিয়ে ভালোমন্দ এর দু'টো দিকই আছে। রাতের বেলা এরা ভয়ঙ্কর হ'য়ে ওঠে। বিশেষ ক'রে এরা যখন দল বেঁধে রাস্তায় ও গলির মধ্যে থাকে। একজন ঘেঊ করলে সকলেই তেড়ে আসে। স্বাভাবিকভাবে বেশীরভাগ মানুষ কুকুর ভর্তি ঐসব রাস্তায় চলাফেরা করতে, বিশেষ ক'রে রাতের বেলা ভয় পায়। তারপর যদি রাস্তার কোনও কুকুর যে কোনও কারণে পাগল হ'য়ে যায় তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হ'য়ে ওঠে। এর ওপর আছে এদের বংশ বিস্তার। এই বিশেষ সময়ে এরা ভয়ঙ্কর হ'য়ে ওঠে। দিনেরাতে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা বিপদের এবং লজ্জারও কারণ হ'য়ে ওঠে। যদিও এই বিশেষ সময়ের পরিধি এখন আর সীমাবদ্ধ নেই, পরিধির বিস্তার হয়েছে।

আর, আছে রাস্তায় বেপরোয়া সাইকেল, বাইক চালক বা গাড়ী চালক। এদের উচ্ছৃঙ্খল গাড়ী চালানোর জন্য যদি এদের কারও গায়ে আঘাত লাগে বা বাচ্চা কুকুরের কিছু হ'য়ে যায় তখন সেই রাস্তা বেশ কিছুদিন মানুষজনের যাতায়াতের জন্য ভয়ঙ্কর হ'য়ে ওঠে। বিশেষ ক'রে দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে যাওয়া সাইকেল, বাইক বা গাড়ী চালকের কাছে।

এরপর আছে যখন তখন, মাঝরাতে কিংবা অতি ভোরে এদের হঠাৎ দলবদ্ধভাবে কান ফাটানো চীৎকার, যা বয়স্ক লোকের কাছে হঠাৎ স্ট্রোকের কারণ হ'য়ে মৃত্যুকে পর্যন্ত ডেকে আনে। বিশেষ ক'রে যদি রাস্তার ধারে বা গলির মধ্যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি হয়।

এছাড়া আছে রাস্তায় এদের যত্রতত্র মল ত্যাগ। বিশেষ ক'রে বর্ষার সময় যত্রতত্র এদের মলত্যাগ বিভীষিকা হ'য়ে দাঁড়ায়, যা চন্দনের মতো রাস্তা জুড়ে লেপটে যায় মানুষ ও গাড়ী চলাচলের কারণে। মানুষের পায়ে পায়ে তা' মিলিয়ে যায় রাস্তায়, কখনো বা রাস্তায় লুটোতে থাকা পড়নের কাপড়ে। আর, নারীপুরুষ তা পাড়িয়ে জুতো বা পায়ে ক'রে বা কাপড়ে লাগিয়ে ঘরে আসে।

এ সমস্ত কিছু এরা করে অবলা প্রাণী হওয়ার কারণে। এরাও ট্রেনিং পেলে উন্নত সভ্য মানুষের চেয়েও উন্নত ও সভ্য হ'য়ে ওঠে। কিন্তু রাস্তার কুকুরের জন্য কার আছে সেই মাথাব্যথা? মানুষ যেখানে মানুষের কাছে সামান্য সহানুভূতি পায় না সেখানে পশুদের নিয়ে কার মাথা ব্যথা আছে, পশু প্রেমী ছাড়া? আবার পশু প্রেমীরাও রাস্তায় খাবার দিয়ে এদের প্রেম সারে। কেউ কেউ বা মানবিকতার উন্নত প্রকাশও ঘটায় এদের নানারকম চিকিৎসা ক'রে। এরা বিভিন্ন ভাবে পশুদের প্রতি তাদের প্রেম ব্যক্ত করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এর চেয়ে বেশী কি করতে পারে? করতে পারে না। এটা একক কাজ নয়।
আবার এই কুকুরদের প্রতি প্রেম প্রসঙ্গে আসে মায়ের সামনে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পুজোর নামে বলি প্রথা বা জীব হত্যার কৃষ্টি-সংস্কৃতি। আর এ আছে প্রায় সব ধর্মের মানুষের মধ্যে। এই যে মা কালীর সামনে যুগ যুগ ধ'রে অবলা ছোট্ট ছোট্ট শিশু ছাগলগুলিকে বলি দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ আছে কুকুর প্রেমীদের? হয়তো ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু যারা কুকুর প্রেমী তাদেরও তখন দেখি পাঁঠা বলির বিরুদ্ধে রক্তমাংসহীন অমূর্ত মাটির তৈরী মায়ের নামে প্রতিবাদে ভয়ে কুঁকড়ে যেতে, কারণ মা রাগ করবে, মা অভিশাপ দেবে। কিন্তু সেই মা কখনও আজ পর্যন্ত মায়ের পূজার নামে হত্যা যজ্ঞের সময় সেই ব'য়ে যাওয়া ছোট্ট ছোট্ট ছাগ শিশুদের আর্তনাদ, ছিন্ন ভিন্ন রুক্তাক্ত মাথা ও শরীর এবং রক্তের ব'য়ে যাওয়া স্রোতের সামনে এসে ঐরকম ভয়াল চোখে খাঁড়া হাতে এসে দাঁড়ান নি, দাঁড়ান না। আর, সেই কচি পাঁঠার মাংস ভক্তি ভরে কপালে ঠেকিয়ে মায়ের প্রসাদ হিসেবে কুকুর প্রেমীরা রসিয়ে তৃপ্তি ভরে খায়।

ডাকাত, ঠগীদের আরাধ্যা দেবী মা কালী যার সামনে পুজো দিয়ে ডাকাত ও ঠগীরা লুটপাট ও মানুষ হত্যা করতে বের হ'তো সেই ডাকাত, ঠগীদের কালী পূজাও সাধারণ মানুষের কাছে জাগ্রত, জীবন্ত কালী হিসেবেও কালে কালে জনপ্রিয় হয়েছে, মায়ের প্রতি ভক্তি বিশ্বাস হয়েছে তীব্রতর। এমনকি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এমনই প্রবল যে প্রচলিত আছে ডাকাত কালীকে সিদ্ধেশ্বরী কালী হিসেবেও পূজা করা হয়, এবং অনেকে মনে করেন যে দেবী এতটাই শক্তিশালী যে তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়। কি সীমাহীন ভয়ংকর অজ্ঞানতা, অজ্ঞতা এবং মিথ্যা ও পাপাচার ও তার প্রচার যে স্বয়ং জগন্মাতাকে জগন্মাতার সৃষ্ট জীব মানুষ তার ঠুনকো শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে পারে এমন আহাম্মকি ঔদ্ধত্বপূর্ণ আস্পর্ধা দেখায়!

তাহ'লে অন্যায় অধর্ম করতে, মানুষের ধনসম্পদ লুটপাট করতে, মানুষকে হত্যা করতে, মায়ের সামনে মায়ের পূজার নামে মায়ের সন্তানকে বলির নামে হত্যা করতে, এমনকি কোথাও কোথাও সিদ্ধি লাভের জন্য নরবলি দিতেও যে ডাকাত, ঠগী বা তান্ত্রিক নাম্নী মানুষদের হাত কাঁপে না, বুক কাঁপে না, মানবতার ধার ধারে না, মনুষ্যত্ব যাদের লুপ্ত হ'য়ে গেছে তাঁদের পূজা পদ্ধতির পৃষ্টপোষক কে? মা, নাকি আমরা সাধারণ মানুষেরা? আমরা কেন ডাকাত, ঠগীরা মানুষকে হত্যা করা ও মানুষের ধন সম্পদ লুঠ করার জন্য যে আরাধ্য দেবতার আরাধনা করে ও আরাধনা শেষে লুঠ করে, হত্যা করে আমরা কেন সেই দেবতার পুজো করবো? প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই জাগে সচেতন মানুষের মনে।

আরও প্রশ্ন জাগে, মা তো বোবা, মা তো কথা বলতে পারে না, বলতে পারে না, 'তোরা অন্যায় করছিস, অপরাধ করছিস, ঘোর পাপ করছিস আমার কাছে পুজো দিয়ে তোরা আমারই সন্তানের ধন সম্পদ লুট করতে বের হচ্ছিস, লুটপাট করার সময় মানুষ আমার সন্তানদের হত্যা করছিস, আমার সামনে আমার পূজার নামে আমার সৃষ্টি অসহায় নিরীহ ছোট্ট ছোট্ট জীবগুলিকে নারকীয় মানসিকতায় হত্যা ক'রে আমাকেই আমার সন্তানের রক্ত দিয়ে স্নান করাচ্ছিস, আমাকেই আমার সন্তানের মাংস রান্না ক'রে ভোগের নামে, প্রসাদের নামে আমাকে খাওয়াবার নাম ক'রে নিজেরা খাচ্ছিস, সাধারণ মানুষের সামনে ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরী ক'রে আমাকে আমার সন্তানদের কাছে ভয় বিভীষিকার মূর্ত প্রতীক ক'রে তুলছিস ও তাদের আমার নামে, ভক্তির নামে, পূজার নামে, সিদ্ধিলাভের নামে, মনস্কামনা পূরণের নামে বোকা বানাচ্ছিস, জীব বলি দেওয়ার জন্য মানত করাচ্ছিস?' মা বলতে পারে না, 'তুই তোর অজ্ঞানতা, অজ্ঞতার কারণে, নিজের কপট ভক্তির কারণে আমাকে মিথ্যে মিথ্যে 'কারও কাছে ভক্তি, কারও কাছে ঘৃণার পাত্র ক'রে তুলছিস?' মা তো এতো রক্তপাতের পরেও, এত হাজার হাজার নির্ম্মম নৃশংস নারকীয় বীভৎস ভয়াবহ হত্যার পরেও কখনও ভয়ঙ্কর ভয়াল রূপ ধারণ ক'রে বলতে পারে না, 'তুই আমার সন্তান? তুই এতো বড় পাপী, পাষন্ড, নরাধম?' বলতে পারে? বলেছে কখনও? ভয়াল কঠোর প্রতিবাদ করেছে কখনও? বলেনি, করেনি।

উল্টে আমরা কি শুনেছি? শুনেছি, মা নাকি ঐ নরাধম পাপী পাষন্ড ভক্তদের স্বপ্ন দেখিয়েছে, স্বয়ং দেখা দিয়েছে আর বলেছে, 'আমাকে রক্ত দে, আমার বড় তৃষ্ণা পেয়েছে, আমাকে পাঁঠা, মোষ বলি দে।' আর, আমরা সীমাহীন ভাঙাচোরা, মূর্খ, বেকুব, ভীরু, দুর্বল, অজ্ঞ, অন্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন মানুষ তা বিশ্বাস করেছি, আর তাদের বলিষ্ট পৃষ্টপোষক হয়েছি।

তাই সুযোগসন্ধানী কপট ভক্তিপূর্ণ মানুষও এই ভয়মিশ্রিত দৃশ্যমান বোবা ভগবানকে দুর্বল, ভীরু, মূর্খ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের পৃষ্টপোষতায় জাগ্রত ভগবানে পরিণত করেছে। যার ফল, ধর্মের নামে, ঈশ্বরের নামে শুধু হত্যা, হত্যা আর হত্যা। কিছু না ক'রে ফোকটে অলৌকিকভাবে কিছু পাওয়ার মানসিকতায় মগ্ন ক'রে সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষকে মত্ত ক'রে তুলেছে। তাই আজ এই অমুর্ত ভগবানের রমরমা বাজার।

যাই হ'ক, পরিশেষে শুধু এটাই বলতে পারি, রাস্তার কুকুরের প্রতি প্রেম বা অমানবিক আচরণ যেটাই হ'ক না কেন, আর, মায়ের পুজোর নামে জীব হত্যা এবং মানুষকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে বের ক'রে আনা, মানুষকে মানবিক ও বিবেকবান ক'রে তোলা, মানুষের মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়ে রাখা ইত্যাদি এ সমস্ত কিছুর মাঙ্গলিক সমাধান একমাত্র রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্র চাইলেই সব হ'তে পারে, স্বর্গ তৈরী করতে পারে দেশকে রাষ্ট্র।
আছে কি দেশে এমন আদর্শবান ইষ্টপ্রাণ কর্ণধার? এ সব ভাবা কি ইউটোপিয়া?