একজন মেসেঞ্জারে তার বক্তব্য পাঠিয়েছেন। বলছেন, আপনি যতই লিখুন আর বলুন না কেন এই হত্যালীলা বলুন, অপবিত্র পুজা পদ্ধতি বলুন এই আবহমানকাল ধ'রে চলে আসা রক্তনদী, হাড় ও মাংসের স্তুপ সমৃদ্ধ পূজোর লীলা, ট্রাডিশন সমানে ব'য়ে চলছে, চলবে। আপনি যতই ঘেউ ঘেউ করুন না কেন। আমরা বুঝবো না, আপনার ফালতু অধর্মীয় নাস্তিক্যবাদের কথা শোনা ও বোঝার আমাদের কোনও দরকার নেই।
আমি এর উত্তরে বলি, ঠিকই বলেছেন আপনাকে বা আপনাদের ব'লে কোনও লাভ নেই, আপনার বা আপনাদের বুঝেও লাভ নেই। কারণ কথায় আছে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। চোরের কাজ চুরি করা আর চুরির স্বার্থে চুরির উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা। আর ধার্মিকের কাজ ধর্ম পালন করা আর তার প্রচার। ওই যে কথা আছে না, হাতি চলে বাজার মে কুত্তা ভোকে হাজার, সাধুও কো দূর্ভাবন নেহী যব ঘেরে সংসার। আমি ঘেউ ঘেউ করতে বেরোয়নি। আমি বেরিয়েছি সত্য প্রচারে ঐ হাতির মত বিশাল দেহ হেলিয়ে দুলিয়ে রাজার মত আর আপনারা আমার পিছনে ঘেউ ঘেউ করতে ছুটে বেরিয়ে এসেছেন কানা অন্ধগলি থেকে। এছাড়া আপনারা ঐ চিলের কান নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থার দাস। চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে ছুটে বেরিয়ে পড়েছেন চিলের পিছনে পিছনে নিজের কানে হাত না দিয়েই। আরে বাবা অন্যের মুখে ঝাল না খেয়ে নিজের মুখে ঝাল খান না। দেখুন না সত্যি সত্যিই খাবার ঝাল না মিষ্টি, টক না নোনতা! আমার লেখা মন দিয়ে ভালো ক'রে পড়ুন, বুঝুন, দেখুন তারপর মন্তব্য করুন না।
আর একটা কথা আছে, মোষের পেছনে বিন বাজিয়ে লাভ নেই কারণ মোষ ঐসব বিন বাজানোর ধার ধারে না। সে একগুঁয়ে হ'য়ে নিজের পথে হেটে যায়। তা আপনারা যদি তা-ই করেন করুন, আমার বলার কিছু নেই। এতসব কথা বলতাম না যদি না আপনি আপনারা আমার আলোচনায় আপনার আপনাদের নাক গলাতেন, অযৌক্তিক কটু কথা না বলতেন। আমি আপনাদের কিছু বলতে যায়নি আপনি আপনারা নিজে এসে মন্তব্য করেছেন করছেন ফোনে, মেসেঞ্জারে আমার "শকুন্তলা কালি মায়ের পুজো ও সৎসঙ্গীবৃন্দ" লেখাগুলি পড়ে। মন্তব্য করছেন আর উত্তর দিলে বলছেন এত দীর্ঘ আলোচনা করার মতো আপনার আপনাদের ক্ষমতা নেই। তাহ'লে মন্তব্য করতে এসেছিলেন কেন যদি না উত্তর শোনার ধৈর্য, সহ্য ও অভ্যাস না থাকে? আর শুনুন আপনি আপনারা যে বড়ো বড়ো মায়ের পীঠস্থানের কথা বলেছেন আপনি আপনারা কটা পীঠস্থানের খবর রাখেন? সেইসমস্ত অনেক বহু আপনাদের কথামতো তথাকথিত বড় বড় পীঠস্থানে আজ মায়ের পুজার বলির মত অধর্মীয় প্রথা বন্ধ হ'য়ে গেছে। একদিন কোন্নগড়েও বন্ধ হ'য়ে যাবে। আজ না হয় কাল। শুধু সময়ের অপেক্ষা। সময় সবসে বড়া বলবান। সেই সময় তৈরির প্রস্তুতি নিয়ে চলেছি মাত্র নিজের শক্তি সামর্থ্য মত।
আচ্ছা পাঠক বলুন তো জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ তো মা কালীর পুজো করতেন তিনি কোনোদিন মায়ের সামনে তার সন্তানের বলী দিয়ে পুজো করেছেন? সাধক রামপ্রসাদ, সাধক বামাক্ষ্যাপা ইত্যাদি আরও অনেক মহাত্মা মায়ের পুজারীরা কি মায়ের সামনে জীব বলি দিয়ে মায়ের আরাধনা করেছেন? আর আমার কথাগুলি আপনাদের কাব্য ব'লে মনে হ'লো? যাক, ঐ যে একজন বলেছেন তার মন্তব্যে, যার যার যা ভাবনা। ঠিক তাই। আপনার ভাবনা আপনার একান্ত নিজস্ব আর আমারটা আমার। ভালো থাকবেন।
( লেখা ২রা মে, ২০২২)
No comments:
Post a Comment