একজন আমাকে এই বিষয়টা লেখালেখির জন্য নাস্তিক বললেন। আর একজন গুরুবোন বললেন, আমার ঠাকুর দেবতার প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভক্তি কিছু নেই। মায়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করছি। এর চেয়ে আর বেশী কিছু বলতে চাই না ব'লে বলা থামালেন। আমি তাকে এই লেখার মধ্যে দিয়ে সবার জ্ঞাতার্থে আবারও বলতে চায়, আপনাকে বেশী কিছু বলতে হবে না আগে আসুন শুধু বলুন আপনি নাস্তিক বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নাস্তিক মানে কি? আর বলি, একটা অপবিত্র প্রথার সঙ্গে পবিত্র ঠাকুর বিশ্বাস করাকে, শ্রদ্ধাভক্তি ও সম্মান করাকে গুলিয়ে দেবেন না। আমার কথাবার্তা শুনে আপনার যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে আপনি বায়াসড হ'য়ে আমার লেখা পড়েছেন, পড়েছেন আগের থেকে হ'য়ে থাকা মাইন্ড সেট আপ নিয়ে আর তাই আমার লেখা পড়ে আমাকে আপনার নাস্তিক মনে হয়েছে, মনে হয়েছে ঈশ্বর অবিশ্বাসী। আর ঈশ্বর বিশ্বাস এত হালকা বা সস্তা কথা নয় যে আলটপকা আউড়ে দিলাম। যাই হ'ক, ভালো থাকুন ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা জানাই। আর জেনে রাখুন শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, কেউ আমরা নাস্তিক নই, সবাই আস্তিক। সবাই আমরা নিজের নিজের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করি। সেই অর্থে আমরা সবাই আস্তিক। কারণ বন্ধু অস্তিত্বের পিছনে যে অস্তিত্ব আছে, সেই অস্তিত্বের উৎস, অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব আছে আর তাই আমরা সবাই জানি আর না জানি, মানি আর না মানি সবাই আমরা আস্তিক। অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার সেই নাস্তিক। আর অস্তিত্ব বিশ্বাস করে না এমন মানুষ ত্রিভুবন ব'লে যদি কিছু থাকে তাহ'লে সেখানে কোথাও নেই।
ক্রমশঃ ( ২রা মে, ২০২২ )
No comments:
Post a Comment