যার যার বিশ্বাস যার যার কাছে যেমন ঠিক, তেমনি ঠিক যার যার মন্তব্য তার তার মতন। আপনারা যারাই এই লেখায় আমাকে ফোনে ও মেসেঞ্জারে বিরুপ মন্তব্য করছেন তারাই আমার লেখা আর্টিকেলের গভীরে অবগাহন করা তো দূরের কথা লেখার ধারে কাছে দিয়েও যাচ্ছেন না। এমন ভাব দেখাচ্ছেন আপনি ও আপনারা এক একজন মায়ের বিরাট ভক্ত! একজন বলছেন আমরা সকলেই মায়ের রক্ত খেয়ে বড় হয়েছি; কথাটা ঠিক বুঝলাম না। আমি আপনি কার রক্ত খেয়ে বড় হয়েছি? জগন্মাতা মা কালীর নাকি আমাদের জন্মদাত্রী জাগতিক মায়ের? জানি না বক্তা কার রক্ত খেয়ে বড় হয়েছেন তবে উনি সবার কথা বলেছেন সেখানে আমি বলি, না, আমি মা কালীরও রক্ত খাইনি আর আমার জন্মদাত্রী মায়েরও রক্ত খাইনি। আর অমূর্ত ঈশ্বর মা কালির রক্ত খাওয়ার কথা মূল্যহীন। তবে হ্যাঁ আমি আমার জন্মদাত্রী মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছি। সেটাকে যদি রক্তের সমতুল্য বলেন তাহ'লে অন্য কথা। কিন্তু আমি যদি আমার মাকে আমার রক্ত খেতে দিই বা কেউ দেয় তা কি আমার জন্মদাত্রী মা পান করবেন? প্রশ্নটা এখানেই। আর আমার মাকে যদি দুধ খেতে দিই মা নিশ্চয়ই তা পান করবেন। ঠাকুরের প্রতি বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন এখানে উঠলো কেন? আমার মন্তব্যে কোনও অবিশ্বাসের বিষয় আছে বা ছিল? আলটপকা মন্তব্য করেন কেন সবাই? আপনাদের কথামত ঠাকুরের প্রতি বিশ্বাস আদি অনন্তকাল ধ'রে ছিল ঠিক; তেমনি আমি বলি, আদি অনন্তকাল ধ'রে ঠাকুর দেবতার প্রতি অবিশ্বাস যেমন প্রগাঢ় ছিল ঠিক তেমনি ভয়ংকরভাবে অন্ধবিশ্বাসও ছিল। যার পরিণতি আজকের দিনেও বহু মহাত্মা ও স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর পরমাত্মার ব'লে যাওয়া সত্ত্বেও হাড় রক্ত মাংসের ভয়ংকর নারকীয় দাপাদাপির তুফান হ'য়ে চলেছে আপনাদের মত অন্ধবিশ্বাসীদের প্রত্যক্ষ মদতে মায়ের পূজার নামে জগন্মাতা মা কালীকে রাক্ষসী পিশাচ সাজিয়ে মাতৃপূজার মাধ্যমে। আর আপনারা যারা সৎসঙ্গী তারা জানেন না আমাদের ঠাকুর The greatest phenomenon of the world পুরুষোত্তম সদগুরু জীবন্ত ঈশ্বর পরমাত্মা পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এই বিষয়ের কি ব'লে গেছেন, নিজের জীবন দিয়ে এই বলী প্রথার বিরুদ্ধে কি দৃষ্টান্ত স্থাপন ক'রে গেছেন? আশ্চর্য হ'য়ে যেতে হয় আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের অবস্থান দেখে। এরকম নানা বহু বিষয় থেকে বুঝতে পারি, ঠাকুরের কাছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ আসা সত্ত্বেও কেন ঠাকুর 'তোমরা আমায় মানুষ ভিক্ষা দিতে পারো' ব'লে কেন ৮২ বছর ধ'রে কেদেছিলেন। সৎসঙ্গীদের উচিত সব ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ও বলা।
আর আপনাদের মানা, না মানা আপনার আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ; সেখানে আমার নাক গলাবার ইচ্ছা নেই। ভগবানকে আমি আপনি দেখিনি এটা যেমন ঠিক তেমনি অনেক সাধক মহাত্মা আছেন যারা দেখেছেন, উপলব্ধি করেছেন। আর ভগবান তো মূর্ত রূপে আবির্ভূত হয়েছেন অনেকবার। সৎসঙ্গীরা জানেন না ঈশ্বর কতবার মানুষের রূপকথা ধ'রে এসেছেন? যে দেখার দেখেছেন স্বয়ং তাকে আর যে না দেখার দূর্ভাগ্য নিয়ে এসেছেন সে দেখেছেন অমূর্ত ভগবান মা কালিকে। যাক গিয়ে আমার 'কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী মায়ের পুজা ও সৎসঙ্গীবৃন্দ' সিরিজগুলি ভালো ক'রে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ক্রমশঃ। ( লেখা ২রা মে, ২০২২)
No comments:
Post a Comment