Powered By Blogger

Saturday, September 13, 2025

উপলব্ধিঃ মহাভারতের ভীষ্ম ও ধর্ম্মাশোক।

বিনাশকালে যেমন হরির নাম, যেমন সব ধ্বংসের নায়ক হওয়ার পর মানবতা, প্রেম-ভালোবাসা, মিলনের জ্ঞান, সৃষ্টির গান, ঠিক তেমনি দুর্দশাতে কাবু যখন তখন মহাভারতের ভীষ্মের বৃত্তি কাবু হয়েছে আর তখন তাঁর মুখে বিধি পালনের কথা মনে উদয় হয়েছে। মাত্র ১৮দিনের নহাভারতেরর যুদ্ধে ভারতকে ধ্বংস করার পর যখন ব্যষ্টি, সমষ্টি, পরিবার, পরিজন, সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, যখন সব শ্মশান আর শ্মশান, যখন মৃতদেহের ওপর শকুন, শেয়াল, কুকুরেরা মহাভোজ করছে মহানন্দে তখন নীতিকথার সাগর জেগে উঠেছে হিংসার ভয়ংকর ভুমিকম্পে ফেটে চৌচির হ'য়ে ধ্বংসের বীভৎস লাভার স্রোতে ভেসে যাওয়া রুখোশুকো প্রাণহীন মাটির বুকে ফল্গুধারার মত মহামতি ভীষ্মের মুখে।

যেমন নাকি মহামতি অশোক অর্থাৎ মহান মানবতাবাদী অশোক, অত্যন্ত বুদ্ধিমান, মহানুভব, বা উদারহৃদয় অশোক। চন্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক। রাজত্বের প্রথম আট বছর, অশোকের নৃশংসতার দরুন তার প্রচলিত নাম ছিল চন্ডাশোক, যার অর্থ হলো 'নৃশংস অশোক'। তিনি তাঁর নিম্ন স্বভাব, উচ্চ মেধা, বা বিরাট প্রজ্ঞাকে কলিঙ্গের নৃশংস যুদ্ধে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং যুদ্ধের পর সেই বীভৎস মারণ যজ্ঞের দৃশ্য দেখে শোকে অনুতাপে সহনশীল মনোভাব নিয়ে পরিবর্তিত হৃদয়ে তাঁর উন্নত স্বভাব, মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে অশোক যখন রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন, তার নাম তখন চন্ডাশোক থেকে পাল্টে প্রচলিত হয় ধর্মাশোক,যার অর্থ হলো 'ধার্মিক অশোক'। হায় নিয়তি!!!!!!! প্রবি।
( লেখা ১৩ই সেপ্টেম্বর'২০২৪)

No comments:

Post a Comment