আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।
আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে –
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার – ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে –
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,
আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;
আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।
মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!----কাজী নজরুল ইসলাম।
Tuesday, September 30, 2025
বিচিত্রা ১৮৪
সহযোগিতা নেই, নেই কোনও কর্মযজ্ঞ!
অর্থ, মান, যশ ইত্যাদিতে যখন মানুষ শক্তিমান হ'য়ে ওঠে
আছে বিরোধীতা, আছে সমালোচনা
এরা নাকি ঠাকুর ভক্ত!!
এরা নাকি ঠাকুর ভক্ত!!
( ২০শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)
Mahalaya's call.
Think positive, look positive, Listen positive, say & do positive, be positive and finally have positive
মহালয়ার ডাক।
ইতিবাচক চিন্তা করুন, ইতিবাচক দেখুন, ইতিবাচক শুনুন, ইতিবাচক বলুন এবং করুন, ইতিবাচক হন এবং ইতিবাচক প্রাপ্ত হন।
তখন ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে তার মন?
( ১লা অক্টোবর'২০২৪)
Sunday, September 28, 2025
উপলব্ধিঃ মার্কন সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদিজি।
মার্কিন সফরে ভারতকে তুলে ধরতে মোদি নিজেই একমাত্র বক্তা হতে চেয়েছিলেন৷ তাই অরুণ জেটলি, নীতিন গড়করি-সহ মন্ত্রিসভার সাত নেতাকে আমেরিকা যেতে বাধা দেন৷ প্রধানমন্ত্রী চাননি তাঁর সঙ্গে মার্কিন সফরে গিয়ে অন্য কেউ ভারতের নীতি নিয়ে মুখ খুলুক৷ এমনই দাবি করেছেন আমেরিকায় মোদির বিভিন্ন্ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা৷
যদি এই খবরের কোনও সত্যতা থাকে তাহ'লে বলতেই হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক ও যথার্থ। কথায় আছে, 'অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট'। হতে পারে সবাই সন্ন্যাসী কিন্তু কেউ কেউ সন্ন্যাসী নয় কারন সম্যকভাবে ন্যস্ত থাকার নাম সন্ন্যাস আর যিনি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অর্জুনের মাছের চোখের মত সম্যকভাবে ন্যস্ত থাকেন ও থেকে লক্ষ্য পূরণ করেন তিনিই সন্ন্যাসী। বিদেশে ভারতকে কীভাবে তুলে ধরা হবে সে ব্যাপারে সবাই যদি এক সুরে বাঁধা না থাকে তাহ'লে অঙ্কুরেই বিরাট সম্ভাবনার বীজ নষ্ট হ'তে বাধ্য। আর দেশের মুখ সবাই হয় না, এটা নিয়ে বিতর্কের চেষ্টা মানে ছিদ্রান্বেষির আগমন। আর সবার vision অর্থাৎ দর্শনশক্তি একই label-এর নয়। Faculty of seeing অথবা The power of looking ahead কিম্বা Insight সবার যদি এক হ'ত তাহ'লে ডাল আর চাল-এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য হ'ত না, খিচুড়ি হ'য়ে যেত। এটা না বোঝার মত এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। আর সংহতিতে ভাঙ্গন ধরাবার কাজ ছেদকের!!!!!!!!!!
এ প্রসঙ্গে শুধু একটাই কথা স্মরণ করা যেতে পারে "হিংসুক জ্বলে পুড়ে মরুক তার হিংসার আগুনে, তুমি ভাই কাজ করে যাও আপন মনে"।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৪)
যদি এই খবরের কোনও সত্যতা থাকে তাহ'লে বলতেই হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক ও যথার্থ। কথায় আছে, 'অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট'। হতে পারে সবাই সন্ন্যাসী কিন্তু কেউ কেউ সন্ন্যাসী নয় কারন সম্যকভাবে ন্যস্ত থাকার নাম সন্ন্যাস আর যিনি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অর্জুনের মাছের চোখের মত সম্যকভাবে ন্যস্ত থাকেন ও থেকে লক্ষ্য পূরণ করেন তিনিই সন্ন্যাসী। বিদেশে ভারতকে কীভাবে তুলে ধরা হবে সে ব্যাপারে সবাই যদি এক সুরে বাঁধা না থাকে তাহ'লে অঙ্কুরেই বিরাট সম্ভাবনার বীজ নষ্ট হ'তে বাধ্য। আর দেশের মুখ সবাই হয় না, এটা নিয়ে বিতর্কের চেষ্টা মানে ছিদ্রান্বেষির আগমন। আর সবার vision অর্থাৎ দর্শনশক্তি একই label-এর নয়। Faculty of seeing অথবা The power of looking ahead কিম্বা Insight সবার যদি এক হ'ত তাহ'লে ডাল আর চাল-এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য হ'ত না, খিচুড়ি হ'য়ে যেত। এটা না বোঝার মত এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। আর সংহতিতে ভাঙ্গন ধরাবার কাজ ছেদকের!!!!!!!!!!
এ প্রসঙ্গে শুধু একটাই কথা স্মরণ করা যেতে পারে "হিংসুক জ্বলে পুড়ে মরুক তার হিংসার আগুনে, তুমি ভাই কাজ করে যাও আপন মনে"।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৪)
প্রবন্ধঃ ম্যাডিসনে মোদী ম্যাজিক (M3)।
ম্যাডিসন স্কোয়ার নয় যেন ‘মোদীসন’ স্কোয়ার।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মোদীকে স্বাগত জানানো হয়। মোদীর ভাষণ শুনতে সেখানে সমবেত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনুষ্ঠানের খরচ হয়েছে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অত লোকের সমাবেশের জন্য জায়গা না থাকার কারণে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ১০০০ ডলার, ৫০০০ ডলার খরচ ক’রে মানুষ বহু দূর দূর অঞ্চল থেকে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এছাড়াও টাইম স্কোয়ারে রাস্তায় বড় বড় পর্দায় মোদীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তা ছাড়া নানা প্রান্তে টিভি, ট্যাবলেট, মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন আইনপ্রণেতা, তারকা ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ভারতীয়রাও উপস্থিত হয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বিশ্বের ৮০টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান। ভারতের জাতীয় চ্যানেলগুলিতে সরাসরি দেখানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। প্রায় এক ঘন্টা ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী।
• গোটা বিশ্ব আসে আমেরিকায়, কিন্তু গোটা বিশ্বে থাকে ভারতীয়রা!
• এ বার সরকার ও সাধারণ মানুষ উন্নয়নের কাজ করবে এক সঙ্গে।
• ভারত গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত।
• বড় স্বপ্ন নয়। ছোট ছোট পা ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
• সাপ নিয়ে নয় ভারত ‘মাউস’ নাড়লে সারা দুনিয়া নড়ে ওঠে।
• ভারতের শক্তি ‘থ্রি-ডি’ অর্থাৎ ডেমোক্রাসি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও ডিম্যান্ড।
• একবিংশ শতক এশিয়ার।
• একবিংশ শতকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে ভারত।
• দেশবাসীর মাথা নিচু হতে দেব না কখনো।
• দেশের উন্নয়নে কোন খামতি রাখতে দেব না।
• ১০০ কোটির দেশে অনেক চাহিদা জানি। চাহিদা পূরণে কাজ করব।
ভারতীয়রা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ শুনেছেন আশা করি। শুনেছেন
কি ?????????
ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হ’য়ে গেছে সমালোচনার পালা। নিন্দুকের নিন্দা, হিংসুকের হিংসা, ছেদকের ছিদ্র অন্বেষণ থামিয়ে দেবে কি প্রধানমন্ত্রীর নয়া ভারত গড়ার স্বপ্ন?????????????????
এই প্রসঙ্গে একটাই কথা মনে পড়ে যায়,
“হিংসুক জ্বলে পুড়ে মরুক তার হিংসার আগুনে, তুমি ভাই কাজ করে যাও আপন মনে”।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৪)।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মোদীকে স্বাগত জানানো হয়। মোদীর ভাষণ শুনতে সেখানে সমবেত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনুষ্ঠানের খরচ হয়েছে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অত লোকের সমাবেশের জন্য জায়গা না থাকার কারণে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ১০০০ ডলার, ৫০০০ ডলার খরচ ক’রে মানুষ বহু দূর দূর অঞ্চল থেকে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এছাড়াও টাইম স্কোয়ারে রাস্তায় বড় বড় পর্দায় মোদীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তা ছাড়া নানা প্রান্তে টিভি, ট্যাবলেট, মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন আইনপ্রণেতা, তারকা ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ভারতীয়রাও উপস্থিত হয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বিশ্বের ৮০টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান। ভারতের জাতীয় চ্যানেলগুলিতে সরাসরি দেখানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। প্রায় এক ঘন্টা ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী।
• গোটা বিশ্ব আসে আমেরিকায়, কিন্তু গোটা বিশ্বে থাকে ভারতীয়রা!
• এ বার সরকার ও সাধারণ মানুষ উন্নয়নের কাজ করবে এক সঙ্গে।
• ভারত গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত।
• বড় স্বপ্ন নয়। ছোট ছোট পা ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
• সাপ নিয়ে নয় ভারত ‘মাউস’ নাড়লে সারা দুনিয়া নড়ে ওঠে।
• ভারতের শক্তি ‘থ্রি-ডি’ অর্থাৎ ডেমোক্রাসি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও ডিম্যান্ড।
• একবিংশ শতক এশিয়ার।
• একবিংশ শতকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে ভারত।
• দেশবাসীর মাথা নিচু হতে দেব না কখনো।
• দেশের উন্নয়নে কোন খামতি রাখতে দেব না।
• ১০০ কোটির দেশে অনেক চাহিদা জানি। চাহিদা পূরণে কাজ করব।
ভারতীয়রা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ শুনেছেন আশা করি। শুনেছেন
কি ?????????
ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হ’য়ে গেছে সমালোচনার পালা। নিন্দুকের নিন্দা, হিংসুকের হিংসা, ছেদকের ছিদ্র অন্বেষণ থামিয়ে দেবে কি প্রধানমন্ত্রীর নয়া ভারত গড়ার স্বপ্ন?????????????????
এই প্রসঙ্গে একটাই কথা মনে পড়ে যায়,
“হিংসুক জ্বলে পুড়ে মরুক তার হিংসার আগুনে, তুমি ভাই কাজ করে যাও আপন মনে”।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৪)।
বিচিত্রা ১৮৩
আজ প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারি সৎসঙ্গ-এর প্রয়োজনীয়তা!
অন্যকেও মারে!
ভন্ডামির চরম উদাহরণ:
ঠাকুর যা ভালোবাসেন না তা করি
আর
যা ভালোবাসেন তা করি না
ভন্ডামির চরম নিদর্শন:
শারীরিক, মানসিক সদাচারের লেশমাত্র নেই জীবনে
শিক্ষা লাভ করি না, চেষ্টাও করি না, ইচ্ছেও নেই অথচ সৎসঙ্গী।
সৎ-এর সঙ্গ পেয়েও যে নিজেকে
পরিবর্তন করতে পারে না সৎ-এর পথে
তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নয়!
সৎসঙ্গে আছি অসৎ-এর হাত ধ'রে
নিজেও মরে পরিবার-পরিজন সহঅন্যকেও মারে!
সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ি সম্পর্কে স্ট্রং সেন্টিমেন্ট না থাকলে
গুরুভাইদের ঠাকুরবাড়ি না আসায় ভালো!
ঠাকুর যা ভালোবাসেন না তা করি
আর
যা ভালোবাসেন তা করি না
অথচ আমি তাঁর ফলোয়ার!
শারীরিক, মানসিক সদাচারের লেশমাত্র নেই জীবনে
আর আত্মিক সদাচার তো দূরের কথা;
অথচ আমি সৎসঙ্গী!
ভন্ডামির চরম নিদর্শন:
ঠাকুরের কথা বলি কিন্তু তা বিন্দুমাত্র মেনে চলি না, চলার চেষ্টাও করি না, ইচ্ছেও নেই, অথচ আমি সৎসঙ্গ
ভন্ডামির চরম নিদর্শন:
ভুল করি, ভুল বলি, ভুল হয় প্রতিমুহূর্তে!শিক্ষা লাভ করি না, চেষ্টাও করি না, ইচ্ছেও নেই অথচ সৎসঙ্গী।
ঠাকুরের কথা যদি বলি এসো একটু হ'লেও কথাগুলি মানি
আর যদি একটুও না মানি এসো চুপ ক'রে থাকি!
প্রকৃত সৎসঙ্গী চিনে নিন:
ঠাকুর আদর্শ আর ঠাকুরবাড়ির প্রতি গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, সমালোচনা, অপমান, অশ্রদ্ধা ভক্তের অলংকার!ঠাকুরের পরম ভক্ত এযুগের হনুমান শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের প্রতি তীব্র ঘৃণা, কটূক্তি ও সমালোচনাকারীর জিভ পাপে ভারী,
তারা নরাধম।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)
প্রবন্ধঃ কিছু না বলা
Khardaha Satsang Kendra-এর পোস্ট শেয়ার করা নিয়ে প্রতিদিনই ফোনে, ইনবক্সে নানারকম প্রশ্নের মুখোমুখি হ'তে হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য হচ্ছে প্রায় একইরকম। তাদের বক্তব্য, আমরা সবাই গুরুভাই, আমাদের মধ্যে এইরকম পরস্পর ঝগড়া বিবাদ হ'লে তো মুশকিল! আমাদের সকলের মিলেমিশে চলা উচিত; আর ফেসবুকে ঠাকুর নিয়ে এইসব ঝামেলা ঠিক নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ফোনে ও ইনবক্সে এত কথার উত্তর দিতে না পারার জন্য এখানে আমি আমার বক্তব্য সবার সুবিধার্থে তুলে ধরলাম।
আপনারা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু মানছে কে? আজ ঠাকুরকে সবচেয়ে বদনাম করেছে বা করছে কারা? মুখে বলছে জয়গুরু আর প্রতিমুহূর্তে ঠাকুর আমাদের নোংরা ধান্দাবাজি মানসিকতার জন্য হেরে যাচ্ছে, পরাজিত হচ্ছে, কিন্তু সেদিকে আমাদের কারও নজর নেই। এটা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি? বুকে হাত দিয়ে বলুন একজন গুরুভাইবোনও যে ঠাকুর যেমন আমাদের দেখতে চেয়েছেন আমরা তেমন ১০০ভাগের একভাগ হ'য়ে উঠতে পেরেছি? সেই ছোট বয়স থেকে আজ পর্যন্ত বহু মানুষের মুখোমুখি হয়েছি, সৎসঙ্গীদের সঙ্গে বহু অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছে জীবন, নীরবে লক্ষ্য করেছি সব! মাঝে মাঝে ঠাকুরের নীতিবিধি অনুযায়ী সরব হয়েছি, হওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় নীরব কর্মী হওয়ার চেষ্টা করেছি। যাকে যাকেই মনে করেছি ভীষণ ইষ্টপ্রাণ মানুষ, গুরুভাই, গুরুবোন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বার্থের লেজে পা পড়লেই হঠাৎ তাদের বেরিয়ে আসা ভীষণ মুখ ও ব্যবহার দেখেছি! কোথায় তখন সেখানে ঠাকুর ও ঠাকুরের কথা! নাম তুলে ধরলে চমকে উঠবে সৎসঙ্গী সাধারণ গুরুভাইবোন! কিন্তু তা ঠাকুর চান না। তাই থাক সেইসমস্ত নিজেকে সৎসঙ্গের কেউকেটা মনে করা, প্রথিতযশা, সামনের সারিতে থাকা সৎসঙ্গীদের নাম উহ্য!
তাই যারা ঠাকুরকে নিজের রোজগার আর প্রতিষ্ঠার জন্য উপকরণ বানিয়ে নিয়েছে তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত গতিতে ছুটে চলেছে। জীবন খুবই ছোট! অল্প কয়েকদিনের সফর! এই অল্প কয়েকদিনের সফরে গুরুভাইবোনরা যদি সত্যি সত্যিই ঠাকুরকে ঠাকুরের ইচ্ছা, ঠাকুরের স্বার্থ নিয়ে জড়িয়ে ধরতো তাহ'লে এই ভয়ঙ্কর দিন দেখতে হ'তো না। কিন্তু কথায় আছে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। যাদের কাছে 'টাকা আপন মানুষ পর, যত পারিস টাকা ধর' প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য জীবনে, তাদের কাছে এইসমস্ত নীতিকথা বাল ফেলাইন্না কথা! তারা এসবের কোনও ধার ধারে না, মূল্য দেয় না। তারা সাধারণ সৎসঙ্গীদের সরলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বার্থ সিদ্ধি করে। তাদের বিরুদ্ধে কবে প্রকৃত সৎসঙ্গীরা ঐক্যবদ্ধ হবে? হবে না। সবার একটাই চিন্তা, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। আর এই ধরণের মানসিকতার অধিকারী 90% গুরুভাইবোন। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় সব জায়গায় কালকে দীক্ষা নিয়ে আজকেই ভাতকে অন্ন বলা ভন্ড ভক্তের দল।
তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে! আর ব্যতিক্রম আছে বলেই আজও সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়। ঠিক তেমনি এই ব্যতিক্রম আছে বলেই সারা পৃথিবীতে আজ ছড়িয়ে পড়েছে ও পড়ছে হু হু ক'রে ঠাকুরের বাঁচা-বাড়ার মধুর বাতাস! আপনারা আমার গুরুভাইবোনেরা আমার এসব কথায় মনে অন্য কিছু নেবেন না।
আর, ফেসবুক ঝামেলারই জায়গা। আজ এই স্ট্রং মাধ্যমটা যা পজিটিভ মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র হ'য়ে উঠতে পারতো তা হ'লো না পরিবর্তে নেগেটিভ লোকেদের আঁতুর ঘর হ'য়ে দাঁড়িয়েছে।
আর, মুশকিল আসান করে ওগো মানিক পীর! তাই চিন্তা করি না। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, নিজেদের মধ্যে তখনই লড়াই লাগে যখন পক্ষ-প্রতিপক্ষ কপট ও অকপট হয়। আর সেই লড়াই চিরন্তন!
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০২০)
আপনারা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু মানছে কে? আজ ঠাকুরকে সবচেয়ে বদনাম করেছে বা করছে কারা? মুখে বলছে জয়গুরু আর প্রতিমুহূর্তে ঠাকুর আমাদের নোংরা ধান্দাবাজি মানসিকতার জন্য হেরে যাচ্ছে, পরাজিত হচ্ছে, কিন্তু সেদিকে আমাদের কারও নজর নেই। এটা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি? বুকে হাত দিয়ে বলুন একজন গুরুভাইবোনও যে ঠাকুর যেমন আমাদের দেখতে চেয়েছেন আমরা তেমন ১০০ভাগের একভাগ হ'য়ে উঠতে পেরেছি? সেই ছোট বয়স থেকে আজ পর্যন্ত বহু মানুষের মুখোমুখি হয়েছি, সৎসঙ্গীদের সঙ্গে বহু অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছে জীবন, নীরবে লক্ষ্য করেছি সব! মাঝে মাঝে ঠাকুরের নীতিবিধি অনুযায়ী সরব হয়েছি, হওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় নীরব কর্মী হওয়ার চেষ্টা করেছি। যাকে যাকেই মনে করেছি ভীষণ ইষ্টপ্রাণ মানুষ, গুরুভাই, গুরুবোন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বার্থের লেজে পা পড়লেই হঠাৎ তাদের বেরিয়ে আসা ভীষণ মুখ ও ব্যবহার দেখেছি! কোথায় তখন সেখানে ঠাকুর ও ঠাকুরের কথা! নাম তুলে ধরলে চমকে উঠবে সৎসঙ্গী সাধারণ গুরুভাইবোন! কিন্তু তা ঠাকুর চান না। তাই থাক সেইসমস্ত নিজেকে সৎসঙ্গের কেউকেটা মনে করা, প্রথিতযশা, সামনের সারিতে থাকা সৎসঙ্গীদের নাম উহ্য!
তাই যারা ঠাকুরকে নিজের রোজগার আর প্রতিষ্ঠার জন্য উপকরণ বানিয়ে নিয়েছে তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত গতিতে ছুটে চলেছে। জীবন খুবই ছোট! অল্প কয়েকদিনের সফর! এই অল্প কয়েকদিনের সফরে গুরুভাইবোনরা যদি সত্যি সত্যিই ঠাকুরকে ঠাকুরের ইচ্ছা, ঠাকুরের স্বার্থ নিয়ে জড়িয়ে ধরতো তাহ'লে এই ভয়ঙ্কর দিন দেখতে হ'তো না। কিন্তু কথায় আছে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। যাদের কাছে 'টাকা আপন মানুষ পর, যত পারিস টাকা ধর' প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য জীবনে, তাদের কাছে এইসমস্ত নীতিকথা বাল ফেলাইন্না কথা! তারা এসবের কোনও ধার ধারে না, মূল্য দেয় না। তারা সাধারণ সৎসঙ্গীদের সরলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বার্থ সিদ্ধি করে। তাদের বিরুদ্ধে কবে প্রকৃত সৎসঙ্গীরা ঐক্যবদ্ধ হবে? হবে না। সবার একটাই চিন্তা, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। আর এই ধরণের মানসিকতার অধিকারী 90% গুরুভাইবোন। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় সব জায়গায় কালকে দীক্ষা নিয়ে আজকেই ভাতকে অন্ন বলা ভন্ড ভক্তের দল।
তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে! আর ব্যতিক্রম আছে বলেই আজও সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়। ঠিক তেমনি এই ব্যতিক্রম আছে বলেই সারা পৃথিবীতে আজ ছড়িয়ে পড়েছে ও পড়ছে হু হু ক'রে ঠাকুরের বাঁচা-বাড়ার মধুর বাতাস! আপনারা আমার গুরুভাইবোনেরা আমার এসব কথায় মনে অন্য কিছু নেবেন না।
আর, ফেসবুক ঝামেলারই জায়গা। আজ এই স্ট্রং মাধ্যমটা যা পজিটিভ মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র হ'য়ে উঠতে পারতো তা হ'লো না পরিবর্তে নেগেটিভ লোকেদের আঁতুর ঘর হ'য়ে দাঁড়িয়েছে।
আর, মুশকিল আসান করে ওগো মানিক পীর! তাই চিন্তা করি না। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, নিজেদের মধ্যে তখনই লড়াই লাগে যখন পক্ষ-প্রতিপক্ষ কপট ও অকপট হয়। আর সেই লড়াই চিরন্তন!
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০২০)
Tuesday, September 23, 2025
বিচিত্রা ১৮২
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ু।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ু।
হয় শয়তানের নতুবা ভগবানের,
যে কোনও একজনের হাত ধরে
চলতে হবে পিছু পিছু।
মাঝামাঝি নেই কিছু।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ু।
শয়তানের দয়া বাঁধভাঙা,
অকুল দরিয়ায় ভেসে যাওয়া।
ভগবানের দয়া স্থির শান্ত জলে
পাড় ছুঁয়ে যাওয়া।
যদি পুরো আয়ু ভোগ করতে চাও
কিংবা এক্সটেনশান চাও তাহ'লে
চারপাশের শব্দদূষণ থেকে নিজেকে বাঁচাও।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ু।
যদি সুস্থ ও আয়ু পর্যন্ত থাকতে চাও
তবে ঘরে বাইরে নেগেটিভ হাওয়া এড়িয়ে চলো
আর নামের খোলসে ঢুকে যাও।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ু।
এসো তাড়াতাড়ি নিজেকে পাল্টাই,
ভবিষ্যৎ ভয়ংকর আগুন সময়ের হাত থেকে
নিজের শিশু সন্তানকে বাঁচাই।
( লেখা ২৪শে সেপ্টেম্বর'২০২৪ )
Monday, September 22, 2025
বিষয় যখনঃ প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ কার?
এই বাংলাদেশ মেটিকুলাস ডিজাইনে সব ধ্বংস করার ও রি-সেট বাটন টিপে সব অতীত মুছে ফেলার স্রষ্টা শান্তির পুরষ্কার হাতে অশান্তি যজ্ঞের পুরোহিত মহম্মদ ইউনুস সাহেব। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষকে ভাগ করেছিল ব্রিটিশ ২০০বছর দেশ শাসন ক'রে ভারতবর্ষকে ভোগ করার পর। ২০০ বছর যে দেশকে ভিতরে ও বাইরে হাড়ের ওপর লেগে থাকা মাংস ও ভিতর থেকে মজ্জা চুষে বের ক'রে নেওয়ার মত ভোগ করেছিল যারা, সেই বৃটিশ ভারত ছেড়ে চলে যাবার আগে ভারতের সংগে বেইমানী নেমকহারামী করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। ভারতকে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হিন্দু-মুসলমানে ভাগ ক'রে দিয়ে চিরকালীন দুই সম্প্রদায়কে পরস্পরের শত্রু বানিয়ে দিয়ে ভারতকে দুইভাগে ভাগ ক'রে দিয়ে গিয়েছিল। এবং এমনভাবে ভাগ করেছিল ভারতকে যার দ্বিতীয় উদাহরণ পৃথিবীর কোথাও নেই।
ভারতের পশ্চিমে এক টুকরো অংশ এবং ভারতের পূর্বের একটুকরো অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছিল অদ্ভুত একটা দেশ পাকিস্তান। আর দুই টুকরো অংশের মাঝখানে ছিল বিশাল অবশিষ্ট ভারত। এই বিশ্বকে শাসন করা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সভ্য দেশ বৃটেন এই ব্যবস্থা ক'রে গেছিল ভারত ছেড়ে যাবার আগে। ভারত ভাগ ক'রে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে চিরকালীন শত্রুতার বীজ বপন ক'রে গিয়েছিল ভারতকে ২০০বছর ভোগ করা বেইমান অকৃতজ্ঞ বৃটিশ সুকৌশলে দ্রষ্টাপুরুষের মত। তারা জানতো তাদের সূর্য একদিন অস্ত যাবে, জোর ক'রে চিরদিন নিজের আধিপত্য বজায় রাখা যায় না, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। কর্মফল সবাইকেই একদিন ভোগ করতে হয়; তা সে ব্যক্তি হ'ক, সমষ্টি হ'ক আর দেশ, বিদেশ যাই-ই হ'ক। ভারতের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে যুগ যুগ ধ'রে ভিতরে ও বাইরে সময় তার হিসাব বুঝে নেবে একদিন এ আমার গভীর বিশ্বাস। বিজ্ঞানের ভাষায় "Every action has opposite and equal reaction অর্থাৎ প্রতিটি ক্রিয়ার বিপরীত ও সমান প্রতিক্রিয়া আছে" এই কথা যদি সত্য হয় তাহ'লে আমরা এর চরম পরিণাম দেখতে পাবো একদিন।
বৃটিশেরা মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারতকে দু' ভাগ করেছিল এমনভাবে যাতে ভবিষ্যতে তিনভাগ হ'তে পারে। তিনভাগ হওয়াটা অর্থাৎ পাকিস্তানের দু'টুকরো হওয়াটা নিশ্চিত ছিল, শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর হয়েছেও তাই। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ তিন টুকরো হয়েছে অখন্ড ভারত। আরও একটা সূক্ষ সম্ভাবনা ব্রিটিশ ক'রে রেখেছিল দূরদর্শীর মত ভবিষ্যতে যাতে ভারতকে ভাঙা যায়। মাত্র ২২কিলোমিটার শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে যুক্ত পূর্ব ভারতের ৭টা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সামনে রেখে ভারত রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে, ১৯৭১ সালে ভারতের রাষ্ট্রনেতারা বুঝতে পারেনি বা খেয়াল করেনি কিংবা বুঝলেও, খেয়াল করলেও গুরুত্ব দেয়নি ভারত ভাঙ্গার সূক্ষ্ম সম্ভাবনাকে। আজ সেটা সময়ের সংগে সংগে উন্মোচিত হয়েছে। বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির যে সেদিকে নজর ছিল তা' আজ প্রমাণিত। এরকম ভাঙ্গার বহু সূক্ষ্ম সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে গেছে বৃটিশ ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের দাদাগিরি অব্যাহত এবং ভারতকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে রত।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দানবদের হাতে বাংলাদেশের অবশিষ্ট জনগণ ও মা-বোনেদের নিহত ও যৌন অত্যাচার হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান ও আমেরিকার শত্রু হয়েছিল ভারত আর তার পুরষ্কার স্বরূপ বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ শাসক আমেরিকার এজেন্ট ইউনুস অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবৈধভাবে, অন্যায় ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার ক'রে মেটিকুলাস ডিজাইনে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানকে সরিয়ে দিয়ে, নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের সিংহাসনে ৮ই আগষ্ট'২০২৫ বসেই ভারতের বিরুদ্ধে ভারত ভাঙ্গার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের সাত রাজ্য অর্থাৎ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দিলেন। এই প্রথম ভারতের তথা দুনিয়ার সাধারণ মানুষ জানতে পারলো সেভেন সিস্টার্সের গল্প। বোঝাই গেল মহম্মদ ইউনুসের এই হুমকি রাতারাতি মস্তিষ্ক প্রসূত না। এই ছক তিনি বৃটিশদের মত ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শাসক আমেরিকার মদতে মেটিকুলাস ডিজাইনে বহুদিন থেকে মস্তিষ্কে ধারণ করে এসেছেন আর প্রথম রাতেই বিড়াল মারার মত রাজনীতির খেলার মাঠে ব্যাট হাতে এসেই বিরাট ছক্কা হাঁকাবার মত রাজনীতির ব্যাট হাতে ভারত ভাঙ্গার ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছেন,। আর, এখন প্রতিদিন চলছে তাঁর ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স ভাঙ্গার নেশায় বুঁদ হ'য়ে ভাঙ্গার বালখিল্য স্বপ্ন দেখা।
প্রশ্ন জাগে মনে, এই জন্যেই কি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল? ভারতকে ভাঙ্গার জন্যই কি আমেরিকার বুকে লালিত পালিত ও অর্থ, মান, যশ লাভে লাভিত মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের শাসনভার হাসিনার পরিবর্তে তুলে দেওয়া হয়েছিল? ভারতকে ভাঙ্গার অলীক বালখিল্য স্বপ্ন দেখার জন্যই কি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, সাধারণ জনগণ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল? নাকি বাংলাদেশ গঠনের জন্যই আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল? তাহ'লে এত উগ্র ভারত বিরোধীতা কেন? কার বা কাদের স্বার্থে? কাদের পরামর্শে, কাদের উসকানিতে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশে শুধু এক ও একমাত্র ভারত বিরোধীতার বিষাক্ত বিষ বপন হ'য়ে চলেছে? পার্শ্ববর্তী আর সব দেশ বাংলাদেশের বন্ধু ও হিতাকাঙ্ক্ষী? সবাই বাংলাদেশের ভালো চায়? যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর ধ্বংসের সময়ে পাশে ছিল না তারা আজ বন্ধু আর ভারত নিজের বিপদের কথা না ভেবে ১৯৭১ সালে বিশ্বের বৃহৎ ভয়ঙ্কর শক্তিশালী দেশ আমেরিকার চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা ক'রে শুধুমাত্র মানবতা ও মনুষ্যত্ব বোধকে সম্মান ও রক্ষা করার তাগিদে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেই ভারত আজ শত্রু বাংলাদেশের!? এটা কি বেঈমানি, অকৃতজ্ঞতা নয়? এটা কি অমানবিকতা ও মনুষ্যত্বহীনতার চরম পরিচয় নয়?
তাহ'লে বাংলাদেশ কার? বাংলাদেশের জনগণের? নাকি বিশ্বের বৃহৎ কোনও শক্তির?
ঈশ্বর বা আল্লা ব'লে যদি কেউ বা কিছু থাকেন বিচারের ভার তাঁর হাতে ছেড়ে দিলাম।
( লেখা ২৯শে আগষ্ট'২০২৫)।
ভারতের পশ্চিমে এক টুকরো অংশ এবং ভারতের পূর্বের একটুকরো অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছিল অদ্ভুত একটা দেশ পাকিস্তান। আর দুই টুকরো অংশের মাঝখানে ছিল বিশাল অবশিষ্ট ভারত। এই বিশ্বকে শাসন করা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সভ্য দেশ বৃটেন এই ব্যবস্থা ক'রে গেছিল ভারত ছেড়ে যাবার আগে। ভারত ভাগ ক'রে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে চিরকালীন শত্রুতার বীজ বপন ক'রে গিয়েছিল ভারতকে ২০০বছর ভোগ করা বেইমান অকৃতজ্ঞ বৃটিশ সুকৌশলে দ্রষ্টাপুরুষের মত। তারা জানতো তাদের সূর্য একদিন অস্ত যাবে, জোর ক'রে চিরদিন নিজের আধিপত্য বজায় রাখা যায় না, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। কর্মফল সবাইকেই একদিন ভোগ করতে হয়; তা সে ব্যক্তি হ'ক, সমষ্টি হ'ক আর দেশ, বিদেশ যাই-ই হ'ক। ভারতের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে যুগ যুগ ধ'রে ভিতরে ও বাইরে সময় তার হিসাব বুঝে নেবে একদিন এ আমার গভীর বিশ্বাস। বিজ্ঞানের ভাষায় "Every action has opposite and equal reaction অর্থাৎ প্রতিটি ক্রিয়ার বিপরীত ও সমান প্রতিক্রিয়া আছে" এই কথা যদি সত্য হয় তাহ'লে আমরা এর চরম পরিণাম দেখতে পাবো একদিন।
বৃটিশেরা মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারতকে দু' ভাগ করেছিল এমনভাবে যাতে ভবিষ্যতে তিনভাগ হ'তে পারে। তিনভাগ হওয়াটা অর্থাৎ পাকিস্তানের দু'টুকরো হওয়াটা নিশ্চিত ছিল, শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর হয়েছেও তাই। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ তিন টুকরো হয়েছে অখন্ড ভারত। আরও একটা সূক্ষ সম্ভাবনা ব্রিটিশ ক'রে রেখেছিল দূরদর্শীর মত ভবিষ্যতে যাতে ভারতকে ভাঙা যায়। মাত্র ২২কিলোমিটার শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে যুক্ত পূর্ব ভারতের ৭টা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সামনে রেখে ভারত রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে, ১৯৭১ সালে ভারতের রাষ্ট্রনেতারা বুঝতে পারেনি বা খেয়াল করেনি কিংবা বুঝলেও, খেয়াল করলেও গুরুত্ব দেয়নি ভারত ভাঙ্গার সূক্ষ্ম সম্ভাবনাকে। আজ সেটা সময়ের সংগে সংগে উন্মোচিত হয়েছে। বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির যে সেদিকে নজর ছিল তা' আজ প্রমাণিত। এরকম ভাঙ্গার বহু সূক্ষ্ম সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে গেছে বৃটিশ ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের দাদাগিরি অব্যাহত এবং ভারতকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে রত।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দানবদের হাতে বাংলাদেশের অবশিষ্ট জনগণ ও মা-বোনেদের নিহত ও যৌন অত্যাচার হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান ও আমেরিকার শত্রু হয়েছিল ভারত আর তার পুরষ্কার স্বরূপ বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ শাসক আমেরিকার এজেন্ট ইউনুস অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবৈধভাবে, অন্যায় ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার ক'রে মেটিকুলাস ডিজাইনে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানকে সরিয়ে দিয়ে, নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের সিংহাসনে ৮ই আগষ্ট'২০২৫ বসেই ভারতের বিরুদ্ধে ভারত ভাঙ্গার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের সাত রাজ্য অর্থাৎ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দিলেন। এই প্রথম ভারতের তথা দুনিয়ার সাধারণ মানুষ জানতে পারলো সেভেন সিস্টার্সের গল্প। বোঝাই গেল মহম্মদ ইউনুসের এই হুমকি রাতারাতি মস্তিষ্ক প্রসূত না। এই ছক তিনি বৃটিশদের মত ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শাসক আমেরিকার মদতে মেটিকুলাস ডিজাইনে বহুদিন থেকে মস্তিষ্কে ধারণ করে এসেছেন আর প্রথম রাতেই বিড়াল মারার মত রাজনীতির খেলার মাঠে ব্যাট হাতে এসেই বিরাট ছক্কা হাঁকাবার মত রাজনীতির ব্যাট হাতে ভারত ভাঙ্গার ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছেন,। আর, এখন প্রতিদিন চলছে তাঁর ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স ভাঙ্গার নেশায় বুঁদ হ'য়ে ভাঙ্গার বালখিল্য স্বপ্ন দেখা।
প্রশ্ন জাগে মনে, এই জন্যেই কি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল? ভারতকে ভাঙ্গার জন্যই কি আমেরিকার বুকে লালিত পালিত ও অর্থ, মান, যশ লাভে লাভিত মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের শাসনভার হাসিনার পরিবর্তে তুলে দেওয়া হয়েছিল? ভারতকে ভাঙ্গার অলীক বালখিল্য স্বপ্ন দেখার জন্যই কি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, সাধারণ জনগণ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল? নাকি বাংলাদেশ গঠনের জন্যই আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল? তাহ'লে এত উগ্র ভারত বিরোধীতা কেন? কার বা কাদের স্বার্থে? কাদের পরামর্শে, কাদের উসকানিতে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশে শুধু এক ও একমাত্র ভারত বিরোধীতার বিষাক্ত বিষ বপন হ'য়ে চলেছে? পার্শ্ববর্তী আর সব দেশ বাংলাদেশের বন্ধু ও হিতাকাঙ্ক্ষী? সবাই বাংলাদেশের ভালো চায়? যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর ধ্বংসের সময়ে পাশে ছিল না তারা আজ বন্ধু আর ভারত নিজের বিপদের কথা না ভেবে ১৯৭১ সালে বিশ্বের বৃহৎ ভয়ঙ্কর শক্তিশালী দেশ আমেরিকার চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা ক'রে শুধুমাত্র মানবতা ও মনুষ্যত্ব বোধকে সম্মান ও রক্ষা করার তাগিদে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেই ভারত আজ শত্রু বাংলাদেশের!? এটা কি বেঈমানি, অকৃতজ্ঞতা নয়? এটা কি অমানবিকতা ও মনুষ্যত্বহীনতার চরম পরিচয় নয়?
তাহ'লে বাংলাদেশ কার? বাংলাদেশের জনগণের? নাকি বিশ্বের বৃহৎ কোনও শক্তির?
ঈশ্বর বা আল্লা ব'লে যদি কেউ বা কিছু থাকেন বিচারের ভার তাঁর হাতে ছেড়ে দিলাম।
( লেখা ২৯শে আগষ্ট'২০২৫)।
বিষয় যখনঃ ভেবে দেখবে না কোনওদিনও?
দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি কি ভেবে দেখবে না কোনোদিনও?
আমরা মানুষেরা তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ইত্যাদি পৃথিবীর ৪৩০০ ধর্ম মতের ও ধর্ম অবিশ্বাসী ৮০০কোটি মানুষ যে বা যারাই আমরা মাংস খাই না কেন তা' সে জীবন ধারণের জন্য খেয়ে থাকি, আর রসনার তৃপ্তির জন্যই খাই না কেন, তা' সেই মাংস খাওয়ার পক্ষে আমরা যতই যুক্তি তুলে ধরি না কেন জীবকে হত্যা করেই আমাদের লোভকে লালন পালন করি এই সত্য অস্বীকার করার অর্থ আমি অন্ধকার আবাহন করতে চাই জেনে বুঝে ইচ্ছে করেই।
তাই নিরপেক্ষ ব'লে কোনও কথা নেই। কথা আছে হয় সত্যের পক্ষে দাঁড়াও নতুবা মিথ্যের পক্ষে দাঁড়াও। হয় আলোর পক্ষে দাঁড়াও নতুবা অন্ধকারের পক্ষে দাঁড়াও। আর, এ নিয়ে অকারণ বিতর্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই কারণ আমরা সবাই বুঝতে পারি আমার নিজের দেশে কখন কার রাজত্বে কতটা কম বেশী মানুষের বাঁচা ও বাড়ার বিরুদ্ধ পরিবেশ ছিল। সেটা স্বীকার না করার অর্থ একচক্ষু হরিণের মত কাজ। আর একচক্ষু হরিণের পরিণতি কি ভয়ঙ্কর হয়েছিল তা' আমরা সবাই জানি।
আর, ঠিক তেমনি, আমরা মাংস খাই ভালো কথা কোনও আপত্তি নেই, তা' সে পাঁঠা হ'ক, গরু হ'ক, উঠ হ'ক, মুরগী হ'ক, শুয়োর হ'ক ইত্যাদি যে পশু আর যে পাখি ই হ'ক না কেন তাকে মেরে, তাকে হত্যা করেই খেতে হয় আর সে খাওয়াকে জীব হত্যাই বলে। এটা বাস্তব, এটা সত্য। কিন্তু সেই হত্যা যখন ঈশ্বরের নামে ঈশ্বরের সৃষ্টিকেই ঈশ্বরের আর এক সৃষ্টি মানুষ নিজের উদর পূর্তির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার নামে, বলির নামে করে, যখন প্রকাশ্যে উন্মুক্ত জনবহুল স্থানে, লোকে লোকারণ্য বাজারে জীবকে হত্যা করা হয়, সেই বিশাল বিশাল পশুকে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, প্রকাশ্যে টুকরো টুকরো ক'রে কেটে বিক্রি করা হয়, থেঁথলে ভর্তা বানিয়ে (যাকে কিমা বলে) খরিদ্দারকে বিক্রি করে তখন সেই নৃশংস দৃশ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের কাছে, অতি উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা লোকের কাছে সভ্যতার নিদর্শন ব'লে পরিগণিত হয় তা' সহজেই অনুমেয়। এই নৃশংস নির্মম দানবীয় দয়ামায়াহীন বিকৃত দৃশ্যের কি প্রভাব পড়ে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষত শিশুদের কোমল মনে তা' কেন যে আজও এত উচ্চ উন্নত শিক্ষার অধিকারী, দেশের শাসক, রাজনৈতিক দল বুঝতে পারলো না তা' ভাব্র অবাক হ'ই। কেন প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় রাস্তার ধারে মুণ্ডুহীন ছাল চামড়া ছাড়ানো জীবের দেহ ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন কাটা মুণ্ডু সামনে পরপর সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চারিদিকে রক্ত, হাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দোকানদার দোকানদারী করছে, কেন যুগ যুগ ধ'রে আবহমান কাল ধ'রে এমন দৃশ্য চলে আসছে তা' কেন ভেবে দেখে না কেউ? কেন যে ঈশ্বরের নামে এই জীব হত্যা না হ'য়ে, কেন যে এই জীব হত্যা প্রকাশ্যে না হ'য়ে, জীবের মাংস প্রকাশ্যে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি না ক'রে, কেন যে প্রকাশ্যে বিক্রি না ক'রে একটু লোকচক্ষুর আড়ালে জীব হত্যা বা জীবের মাংস বিক্রি করে না, কেন যে মাংস খেতে হয় খাও কিন্তু ঈশ্বরকে জড়িয়ে নিয়ে, ঈশ্বরের নামে করো না এই শিক্ষার প্রসারে সরকার উদ্যোগ নেয় না, সতর্ক ও সচেতন করে না, তা' ভাবলে স্পষ্ট বোঝা যায় ভয়ংকর ভাবে ষঢ় রিপু তাড়িত বিকৃত মানুষের মানবতার অবনতি চেতনার এই অবক্ষয়ের এক ও একমাত্র কারণ। মানবতার এই অবনতি সৃষ্টি ধ্বংসের অশনি সংকেত।
তাই, দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি কি একসঙ্গে আলাপ আলোচনা ক'রে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না? এখানে অসুবিধা কোথায়?
( লেখা ৩১শে আগশট'২০২৫)।
তাই নিরপেক্ষ ব'লে কোনও কথা নেই। কথা আছে হয় সত্যের পক্ষে দাঁড়াও নতুবা মিথ্যের পক্ষে দাঁড়াও। হয় আলোর পক্ষে দাঁড়াও নতুবা অন্ধকারের পক্ষে দাঁড়াও। আর, এ নিয়ে অকারণ বিতর্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই কারণ আমরা সবাই বুঝতে পারি আমার নিজের দেশে কখন কার রাজত্বে কতটা কম বেশী মানুষের বাঁচা ও বাড়ার বিরুদ্ধ পরিবেশ ছিল। সেটা স্বীকার না করার অর্থ একচক্ষু হরিণের মত কাজ। আর একচক্ষু হরিণের পরিণতি কি ভয়ঙ্কর হয়েছিল তা' আমরা সবাই জানি।
আর, ঠিক তেমনি, আমরা মাংস খাই ভালো কথা কোনও আপত্তি নেই, তা' সে পাঁঠা হ'ক, গরু হ'ক, উঠ হ'ক, মুরগী হ'ক, শুয়োর হ'ক ইত্যাদি যে পশু আর যে পাখি ই হ'ক না কেন তাকে মেরে, তাকে হত্যা করেই খেতে হয় আর সে খাওয়াকে জীব হত্যাই বলে। এটা বাস্তব, এটা সত্য। কিন্তু সেই হত্যা যখন ঈশ্বরের নামে ঈশ্বরের সৃষ্টিকেই ঈশ্বরের আর এক সৃষ্টি মানুষ নিজের উদর পূর্তির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার নামে, বলির নামে করে, যখন প্রকাশ্যে উন্মুক্ত জনবহুল স্থানে, লোকে লোকারণ্য বাজারে জীবকে হত্যা করা হয়, সেই বিশাল বিশাল পশুকে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, প্রকাশ্যে টুকরো টুকরো ক'রে কেটে বিক্রি করা হয়, থেঁথলে ভর্তা বানিয়ে (যাকে কিমা বলে) খরিদ্দারকে বিক্রি করে তখন সেই নৃশংস দৃশ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের কাছে, অতি উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা লোকের কাছে সভ্যতার নিদর্শন ব'লে পরিগণিত হয় তা' সহজেই অনুমেয়। এই নৃশংস নির্মম দানবীয় দয়ামায়াহীন বিকৃত দৃশ্যের কি প্রভাব পড়ে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষত শিশুদের কোমল মনে তা' কেন যে আজও এত উচ্চ উন্নত শিক্ষার অধিকারী, দেশের শাসক, রাজনৈতিক দল বুঝতে পারলো না তা' ভাব্র অবাক হ'ই। কেন প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় রাস্তার ধারে মুণ্ডুহীন ছাল চামড়া ছাড়ানো জীবের দেহ ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন কাটা মুণ্ডু সামনে পরপর সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চারিদিকে রক্ত, হাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দোকানদার দোকানদারী করছে, কেন যুগ যুগ ধ'রে আবহমান কাল ধ'রে এমন দৃশ্য চলে আসছে তা' কেন ভেবে দেখে না কেউ? কেন যে ঈশ্বরের নামে এই জীব হত্যা না হ'য়ে, কেন যে এই জীব হত্যা প্রকাশ্যে না হ'য়ে, জীবের মাংস প্রকাশ্যে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি না ক'রে, কেন যে প্রকাশ্যে বিক্রি না ক'রে একটু লোকচক্ষুর আড়ালে জীব হত্যা বা জীবের মাংস বিক্রি করে না, কেন যে মাংস খেতে হয় খাও কিন্তু ঈশ্বরকে জড়িয়ে নিয়ে, ঈশ্বরের নামে করো না এই শিক্ষার প্রসারে সরকার উদ্যোগ নেয় না, সতর্ক ও সচেতন করে না, তা' ভাবলে স্পষ্ট বোঝা যায় ভয়ংকর ভাবে ষঢ় রিপু তাড়িত বিকৃত মানুষের মানবতার অবনতি চেতনার এই অবক্ষয়ের এক ও একমাত্র কারণ। মানবতার এই অবনতি সৃষ্টি ধ্বংসের অশনি সংকেত।
তাই, দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি কি একসঙ্গে আলাপ আলোচনা ক'রে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না? এখানে অসুবিধা কোথায়?
( লেখা ৩১শে আগশট'২০২৫)।
বিষয় যখনঃ নেতা বনাম অভিনেতা।
সংবাদের শিরোনামে বর্তমানে তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় অভিনেতা নায়ক বিজয় থালাপতি। এরকম ভারতের বহু বড় বড় স্টার অভিনেতা (আঞ্চলিক অভিনেতা নয়) নেতা হওয়ার জন্য ভারতের রাজনীতির আকাশে উত্থান হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে। কিন্তু তাঁদের পরিণতিটাও একবার পাঠক ভেবে দেখবে আশা করি এবং বিশ্লেষণ করে দেখবে।
আর থালাপাতি বিজয় তো আঞ্চলিক অভিনেতা। এটা নোতুন কিছু ব্যাপার নয়। অনেকের কাছে নোতুন কারণ তারা এসব অতীতের ইতিহাস জানে না। তামিলনাড়ুর নির্বাচনী রাজনীতি অনেকটাই সেখানকার সিনেমা তারকাদের দখলে। বিজয় থালাপতি নোতুন কিছু নয়। শুধু সেই ট্রাডিশানের ব্যাটন কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
আর ভারতের বিখ্যাত স্টার অভিনেতা অভিনেত্রী আর আঞ্চলিক স্টার অভিনেতা অভিনেত্রীর মধ্যে সাধারণ মানুষ তফাৎটাই জানে না। বিজয় থালাপাতি দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা, তিনি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা নন। তিনি যদি নেতা হ'তে চান তবে তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতার মত আঞ্চলিক নেতা হ'তে পারেন, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও হ'তে পারেন তাঁর সিনেমার পর্দার নকল কৃত্রিম বীরত্ব প্রদর্শনের কারণে যেমন অনেকেই জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন মঞ্চ ও সিনেমা জগতের সি এন আন্নাদুরাই, এম করুণানিধি, এমজি রামচন্দ্রণ, জানকি রামচন্দ্রণ ও জে জয়ললিতা-র মত অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
আর রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে যেমনটা আমার দেশে ও রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে এবং নেতা ও অভিনেতাদের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে ঠিক তেমনি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও সম্প্রতি ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবর্তনের মুখ্য কারণ আম জনতা।
তাই, বিজয় থালাপতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় আসেন না, তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা ও নায়ক। দক্ষিণ ভারত ছাড়া ভারতের সমগ্র অঞ্চলে তাঁকে কেউ চেনেন না। ইদানীং ডাবিং এবং ইউ টিউবের দৌলতে একটু আধটু সিনেমাপ্রেমী তাঁকে চেনেন। তিনি আঞ্চলিক হিরো, জাতীয় হিরো হওয়া এখনও বহু সময়ের ব্যাপার। হয়তো হ'তে পারেন ভবিষ্যতে। তবে ক্যামেরার সামনে তাঁর সিনেমাটোগ্রাফি নান্দনিকতা ও আবেগ দিয়ে বাস্তব চলে না। সেটা সময় ব'লে দেবে। সময় সবসে বড়া বলবান। সেজন্য সময় দরকার, অপেক্ষা করতে হবে। আর, মাথায় রাখবেন ভারতের জনগণ নয় তামিলনাড়ুর জনগণ তাঁকে ভোট দেবে নির্বাচনে।
আর, শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে বিজয় থালাপতিকে তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক রাজনৈতিক আলোচনায় টেনে আনা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই অসম বিতর্ক মিডিয়ার কাজ। শ্রীনরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনি রুপোলি পর্দার বালখিল্য অভিনেতা নন। বিজয় থালাপতি তাঁর রাজ্যে লড়াই করুন, দেশের মুখ্যমন্ত্রী হ'ন, হতেই পারেন কোনও আপত্তি নেই; এমনকি ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে ও এম পি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং জাতীয় নেতা হ'য়ে উঠতে পারেন, ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হ'তে পারেন কিন্তু বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে তাঁকে টেনে আনা উভয়ের পক্ষে সম্মান হানিকর। এইসমস্ত অসম অপরিপক্ক আলোচনা সমালোচনা বালখিল্য বোকা মূর্খ জনগণকে হাতিয়ার করেই মিডিয়ার প্রচার ও মিডিয়ার শ্রীবৃদ্ধি নিজেদের বাজার তোইরী করে কিন্তু জনগণ যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই থেকে যায়। আর এটাই যুগ যুগ ধ'রে একটা দেশের মূর্খ জনগণের প্রাপ্য।
আর সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হ'লো, বাংলাদেশ মিডিয়া ও জনগণের একাংশ মিডিয়ার প্রচারে প্রচন্ড উল্লসিত তামিলনাড়ুতে রাজনীতির ময়দানে জনপ্রিয় অভিনেতা এই বিজয় থালাপতির উত্থানের খবরে। আসলে বাংলাদেশের বিশেষ ক'রে মিডিয়ার বর্তমান ট্রেন্ড হচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণকে যেমন আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিক উপায়ে অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে আমেরিকার সাহায্যে পিছন দরজা দিয়ে দেশের শাসক হয়েছেন ঠিক তেমনিভাবে আরও একেবারে রগড়ে দিয়ে থেঁথলে দিতে চাইছেন বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণের মগজ ভারত বিদ্বেষের বিষাক্ত বিষ মস্তিষ্কে ইঞ্জেক্ট ক'রে ক'রে ভয়ংকরভাবে ভারত বিরোধী ক'রে তোলার জন্য। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও করুণ ভয়ংকর পরিণতি ও ধ্বংসের দায় মিডিয়াকেও নিতে হবে আগামীতে। চালিয়ে যান বাংলাদেশ মিডিয়া। সফলতা কামনা করি।
ফিল্মে নকল ঢিসুম ঢিসুম ক'রে আর স্ট্যান্টম্যানদের দৌলতে নাম কামিয়ে বাস্তবে এসেছে ঢিসুম ঢিসুম করতে বিজয় থালাপতি। স্বপ্ন থাকতেই পারে কিংবা মতিভ্রম হ'তেই পারে কারণ বয়সটা এখনও কম, রাজনীতির ম্যাচিয়ুরিটি এখনও আসেনি। আর স্বপ্ন বা এই মতিভ্রম প্রতিটি রাজ্যে সব অভিনেতাদের বেলায় দেখা গেছে। তামিলনাড়ুতে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যারা অভিনেতা থেকে নেতা হয়েছে তাদের সঙ্গে একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে বিজয় থালাপতি। আর আঞ্চলিক অভিনেতার সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা করা বা আলোচনায় টেনে আনা সেটা দেশের সাংবাদিকদের অপরিপক্কতা, বালখিল্য মিডিয়ার খবর। প্রধানমন্ত্রীর সংগে একজন অভিনেতার তুলনা করা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও লজ্জা নয়, লজ্জা সেই আঞ্চলিক নেতারও নয়, লজ্জা অভিনেতার, যে এখন তামিলনাড়ুর গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় অভিনেতা হ'তে পারেনি, আর জাতীয় নেতা তো দূরের কথা, আগে রাজ্যের নেতা হ'ক তারপর না হয় তুলনা করা যাবে জাতীয় নেতা, সর্ব্বোপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সংগে।
তাই বিজয় থালাপতির ক্যারিয়ার খেয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে মিডিয়া।
আর থালাপাতি বিজয় তো আঞ্চলিক অভিনেতা। এটা নোতুন কিছু ব্যাপার নয়। অনেকের কাছে নোতুন কারণ তারা এসব অতীতের ইতিহাস জানে না। তামিলনাড়ুর নির্বাচনী রাজনীতি অনেকটাই সেখানকার সিনেমা তারকাদের দখলে। বিজয় থালাপতি নোতুন কিছু নয়। শুধু সেই ট্রাডিশানের ব্যাটন কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
আর ভারতের বিখ্যাত স্টার অভিনেতা অভিনেত্রী আর আঞ্চলিক স্টার অভিনেতা অভিনেত্রীর মধ্যে সাধারণ মানুষ তফাৎটাই জানে না। বিজয় থালাপাতি দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা, তিনি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা নন। তিনি যদি নেতা হ'তে চান তবে তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতার মত আঞ্চলিক নেতা হ'তে পারেন, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও হ'তে পারেন তাঁর সিনেমার পর্দার নকল কৃত্রিম বীরত্ব প্রদর্শনের কারণে যেমন অনেকেই জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন মঞ্চ ও সিনেমা জগতের সি এন আন্নাদুরাই, এম করুণানিধি, এমজি রামচন্দ্রণ, জানকি রামচন্দ্রণ ও জে জয়ললিতা-র মত অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
আর রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে যেমনটা আমার দেশে ও রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে এবং নেতা ও অভিনেতাদের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে ঠিক তেমনি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও সম্প্রতি ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবর্তনের মুখ্য কারণ আম জনতা।
তাই, বিজয় থালাপতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় আসেন না, তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা ও নায়ক। দক্ষিণ ভারত ছাড়া ভারতের সমগ্র অঞ্চলে তাঁকে কেউ চেনেন না। ইদানীং ডাবিং এবং ইউ টিউবের দৌলতে একটু আধটু সিনেমাপ্রেমী তাঁকে চেনেন। তিনি আঞ্চলিক হিরো, জাতীয় হিরো হওয়া এখনও বহু সময়ের ব্যাপার। হয়তো হ'তে পারেন ভবিষ্যতে। তবে ক্যামেরার সামনে তাঁর সিনেমাটোগ্রাফি নান্দনিকতা ও আবেগ দিয়ে বাস্তব চলে না। সেটা সময় ব'লে দেবে। সময় সবসে বড়া বলবান। সেজন্য সময় দরকার, অপেক্ষা করতে হবে। আর, মাথায় রাখবেন ভারতের জনগণ নয় তামিলনাড়ুর জনগণ তাঁকে ভোট দেবে নির্বাচনে।
আর, শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে বিজয় থালাপতিকে তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক রাজনৈতিক আলোচনায় টেনে আনা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই অসম বিতর্ক মিডিয়ার কাজ। শ্রীনরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনি রুপোলি পর্দার বালখিল্য অভিনেতা নন। বিজয় থালাপতি তাঁর রাজ্যে লড়াই করুন, দেশের মুখ্যমন্ত্রী হ'ন, হতেই পারেন কোনও আপত্তি নেই; এমনকি ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে ও এম পি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং জাতীয় নেতা হ'য়ে উঠতে পারেন, ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হ'তে পারেন কিন্তু বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে তাঁকে টেনে আনা উভয়ের পক্ষে সম্মান হানিকর। এইসমস্ত অসম অপরিপক্ক আলোচনা সমালোচনা বালখিল্য বোকা মূর্খ জনগণকে হাতিয়ার করেই মিডিয়ার প্রচার ও মিডিয়ার শ্রীবৃদ্ধি নিজেদের বাজার তোইরী করে কিন্তু জনগণ যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই থেকে যায়। আর এটাই যুগ যুগ ধ'রে একটা দেশের মূর্খ জনগণের প্রাপ্য।
আর সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হ'লো, বাংলাদেশ মিডিয়া ও জনগণের একাংশ মিডিয়ার প্রচারে প্রচন্ড উল্লসিত তামিলনাড়ুতে রাজনীতির ময়দানে জনপ্রিয় অভিনেতা এই বিজয় থালাপতির উত্থানের খবরে। আসলে বাংলাদেশের বিশেষ ক'রে মিডিয়ার বর্তমান ট্রেন্ড হচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণকে যেমন আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিক উপায়ে অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে আমেরিকার সাহায্যে পিছন দরজা দিয়ে দেশের শাসক হয়েছেন ঠিক তেমনিভাবে আরও একেবারে রগড়ে দিয়ে থেঁথলে দিতে চাইছেন বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণের মগজ ভারত বিদ্বেষের বিষাক্ত বিষ মস্তিষ্কে ইঞ্জেক্ট ক'রে ক'রে ভয়ংকরভাবে ভারত বিরোধী ক'রে তোলার জন্য। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও করুণ ভয়ংকর পরিণতি ও ধ্বংসের দায় মিডিয়াকেও নিতে হবে আগামীতে। চালিয়ে যান বাংলাদেশ মিডিয়া। সফলতা কামনা করি।
ফিল্মে নকল ঢিসুম ঢিসুম ক'রে আর স্ট্যান্টম্যানদের দৌলতে নাম কামিয়ে বাস্তবে এসেছে ঢিসুম ঢিসুম করতে বিজয় থালাপতি। স্বপ্ন থাকতেই পারে কিংবা মতিভ্রম হ'তেই পারে কারণ বয়সটা এখনও কম, রাজনীতির ম্যাচিয়ুরিটি এখনও আসেনি। আর স্বপ্ন বা এই মতিভ্রম প্রতিটি রাজ্যে সব অভিনেতাদের বেলায় দেখা গেছে। তামিলনাড়ুতে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যারা অভিনেতা থেকে নেতা হয়েছে তাদের সঙ্গে একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে বিজয় থালাপতি। আর আঞ্চলিক অভিনেতার সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা করা বা আলোচনায় টেনে আনা সেটা দেশের সাংবাদিকদের অপরিপক্কতা, বালখিল্য মিডিয়ার খবর। প্রধানমন্ত্রীর সংগে একজন অভিনেতার তুলনা করা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও লজ্জা নয়, লজ্জা সেই আঞ্চলিক নেতারও নয়, লজ্জা অভিনেতার, যে এখন তামিলনাড়ুর গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় অভিনেতা হ'তে পারেনি, আর জাতীয় নেতা তো দূরের কথা, আগে রাজ্যের নেতা হ'ক তারপর না হয় তুলনা করা যাবে জাতীয় নেতা, সর্ব্বোপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সংগে।
তাই বিজয় থালাপতির ক্যারিয়ার খেয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে মিডিয়া।
( লেখা ১লা সেপ্টেম্বর'২০২৫)
বিষয় যখনঃ দেশটা তোমার বাপের নাকি?
গায়িকাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে তা' দেশটা এখন কার বাপের? দেশটা তখন হাসিনার বাপের ছিল বলেই "দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা" এই নিয়ে ২০২২ সালে গান বেঁধেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগে যুক্ত গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু এবং গানটি গেয়েছিলেন মৌসুমী চৌধুরী। তিনি কন্ঠ দিয়ে জনপ্রিয় করেছিলেন গানটিকে এবং কর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ দিয়েছিলেন দলের মঞ্চে গানটি গেয়ে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলেও আসলে এর পিছনে ছিল চূড়ান্ত ভারত বিরোধীতা। ছিল পাকিস্তান আর আমেরিকার চক্রান্ত। কারণ ১৯৭১ সালে এই দুই দেশ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য যৌথভাবে হাত মিলিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশকে ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য মেনে নিতে পারেনি এই দুই দেশ। পিছু হটতে হয়েছিল সেদিন পাকিস্তান আর বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী দেশ আমেরিকাকে। আর তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪বছর ধ'রে চেষ্টা চালিয়েছিল ভারতকে শায়েস্তা করার এই দুই দেশ। এর জন্য তাদের একজন নিবেদিত প্রাণ এজেন্টের দরকার ছিল যার সাহায্যে ভারতকে টুকরো টুকরো ক'রে দিতে পারে। আর তা' অবশেষে সফল হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়ে। আর ৫ই আগষ্ট'২৫ আমেরিকার এজেন্ট শান্তির পতাকা হাতে অশান্তির দূত মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় বসেই ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও আমেরিকার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পরিকল্পনাকে সত্য ক'রে দিল। সত্য চিরকাল সত্য তা' কেউ স্বীকার করুক আর না-করুক।
তাই বলি, দেশটা না হয় তখন হাসিনার বাপের ছিল, তাই গান বাঁধা হয়েছিল "দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা', আর দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ হাসিনার বাপের হাত থেকে কেড়ে নিতে পথে নেমেছিল ঐ গানের তালে তালে উদ্বুদ্ধ হ'য়ে। তা' প্রশ্ন জাগে মনে, হাসিনার সময় ছাড়া বাকী সময়গুলিতে দেশটা কাদের বাপের হাতে ছিল এবং বর্তমানে দেশটা কাদের বাপের হাতে আছে? তখন কি দেশটা জনগণের সম্পত্তি ছিল বা এখন ইউনুসের আমলে জনগণের সম্পত্তি হ'য়ে গেছে? এখন ইউনুস সাহেবের মাত্র ১২ মাসে দেশটা কি একেবারে জনগণের বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হ'য়েছে? হাসিনার সময় ছাড়া দেশটা কারও বাপের সম্পত্তি ছিল না বা এখনও কারও বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হয়নি? হাসিনার সময় দেশটা নরক ছিল? আর হাসিনার সময় ছাড়া ৫৪ বছরের বাকী বছরগুলিতে বাংলাদেশ স্বর্গে পরিণত হয়েছিল নাকি এখন স্বর্গে পরিণত হয়েছে?
মেহরুবা খানের অপূর্ব উপলব্ধিকে আশ্রয় ক'রে তাঁর সঙ্গে আমিও বলতে চাই, আলোচনা হ'লে 'আয়না ঘর' এর সঙ্গে সঙ্গে 'হাওয়া ভবন' এবং বর্তমান শান্তির মহান দূত ইউনুস সাহেবের 'খোলা ময়দানে ড্রেসিং টেবিল ঘর' নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হ'ক সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে। কারও পক্ষে দাঁড়াতে হবে না বাংলাদেশের নাগরিককে। মাহরুবা খানের কথায় ভুল কোথায়? এ তো দেশপ্রেমের স্বচ্ছ বর্হিপ্রকাশ! আমার জিজ্ঞাস্য গানের স্রষ্টা ও গায়িকাকে ভারতকে ভাঙ্গার খেলা কার বাপ করছে ও ক'রে চলেছে? পার্শ্ববর্তী দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট ভারত নিয়ে বাংলাদেশী ভাইবোনেদের মন ও মস্তিষ্ক বিষাক্ত ক'রে তুলছে কার বাপ? ৫৪ বছর পরে রাতারাতি মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারত আজ বাংলাদেশের কাছে একেবারে শত্রুদেশে পরিণত হ'ল পুরোনো বন্ধুত্বকে রি-সেট বাটন দিয়ে মুছে দিয়ে আর ভারত ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর চক্রান্তকে ত্বরান্বিত ক'রে। এই মেটিকুলাস ডিজাইন ও রি-সেট বাটনে ভারতের বন্ধুত্ব মুছে দিয়ে শত্রু দেশ বানানোর ও ভারত ভাঙ্গার বাপ কে? পাকিস্তান ও আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস? পাকিস্তান? আমেরিকা? নাকি সম্মিলিত উদ্যোগ?
"দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা" গানের গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু এবং গায়িকা মৌসুমী চৌধুরীকে অনুরোধ ভারত ভাঙ্গার ও পশ্চিমবঙ্গ সহ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার একটা নোতুন গান বাঁধুন, গড়ে উঠুক বৃত্তর বাংলাদেশ ও ভেঙে টুকরো টুকরো হ'য়ে যাক ভারত, স্বপ্ন পূরণ হ'ক বালখিল্য স্বপ্ন দেখার মূল কারিগর আমেরিকা ও পাকিস্তানের।
তাই, সেই মহান গায়িকাকে উদ্দেশ্য ক'রে বলি, দেশ তো স্বা্ধীন হ'ল, ভারতের হাত থেকে মুক্ত হ'ল দেশ, এখন পাকিস্তান আর আমেরিকা, চীন দেশের সাহায্যে ভারতের বিরুদ্ধে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গান বাঁধুক সেই মহান গীতিকার ও গায়িকা যৌথভাবে এবং ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধের গান গেয়ে পথে নামুক এবং যুদ্ধ শুরু করুক আর ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে এবং পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে টুকরো ক'রে নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার গান 'দেশটা এবার বড় হবে জুড়াবো প্রাণের জ্বালা' ভারত ভেঙে টুকরো হবে, হবে বৃহত্তর বাংলা' গেয়ে ভারত ভাঙ্গার লড়াইয়ে নেমে পড়ুক ইউনুস সাহেবের বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের সৈনিকেরা ছদ্ম আন্দোলনের স্বচ্ছতাকে বজায় রেখে। বুঝিয়ে দেওয়া হ'ক ভারতের বাপ শান্তির পতাকা হাতে ইউনুস সাহেব হলেও আসলে বাপ পাকিস্তান আর তার পিছনে মূল বাপ বিশ্বের সর্বশক্তিমান আমেরিকা।
এ স্বচ্ছতা কি প্রমাণ করে আর কি ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে অদূর ভবিষ্যতে এখনও ভেবে দেখার সময় আসেনি ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে এতবড় প্রতারণার পরেও দেশের জনগণের!!
( লেখা ১লা সেপ্টেম্বর' ২০২৫)।
২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলেও আসলে এর পিছনে ছিল চূড়ান্ত ভারত বিরোধীতা। ছিল পাকিস্তান আর আমেরিকার চক্রান্ত। কারণ ১৯৭১ সালে এই দুই দেশ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য যৌথভাবে হাত মিলিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশকে ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য মেনে নিতে পারেনি এই দুই দেশ। পিছু হটতে হয়েছিল সেদিন পাকিস্তান আর বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী দেশ আমেরিকাকে। আর তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪বছর ধ'রে চেষ্টা চালিয়েছিল ভারতকে শায়েস্তা করার এই দুই দেশ। এর জন্য তাদের একজন নিবেদিত প্রাণ এজেন্টের দরকার ছিল যার সাহায্যে ভারতকে টুকরো টুকরো ক'রে দিতে পারে। আর তা' অবশেষে সফল হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়ে। আর ৫ই আগষ্ট'২৫ আমেরিকার এজেন্ট শান্তির পতাকা হাতে অশান্তির দূত মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় বসেই ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও আমেরিকার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পরিকল্পনাকে সত্য ক'রে দিল। সত্য চিরকাল সত্য তা' কেউ স্বীকার করুক আর না-করুক।
তাই বলি, দেশটা না হয় তখন হাসিনার বাপের ছিল, তাই গান বাঁধা হয়েছিল "দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা', আর দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ হাসিনার বাপের হাত থেকে কেড়ে নিতে পথে নেমেছিল ঐ গানের তালে তালে উদ্বুদ্ধ হ'য়ে। তা' প্রশ্ন জাগে মনে, হাসিনার সময় ছাড়া বাকী সময়গুলিতে দেশটা কাদের বাপের হাতে ছিল এবং বর্তমানে দেশটা কাদের বাপের হাতে আছে? তখন কি দেশটা জনগণের সম্পত্তি ছিল বা এখন ইউনুসের আমলে জনগণের সম্পত্তি হ'য়ে গেছে? এখন ইউনুস সাহেবের মাত্র ১২ মাসে দেশটা কি একেবারে জনগণের বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হ'য়েছে? হাসিনার সময় ছাড়া দেশটা কারও বাপের সম্পত্তি ছিল না বা এখনও কারও বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হয়নি? হাসিনার সময় দেশটা নরক ছিল? আর হাসিনার সময় ছাড়া ৫৪ বছরের বাকী বছরগুলিতে বাংলাদেশ স্বর্গে পরিণত হয়েছিল নাকি এখন স্বর্গে পরিণত হয়েছে?
মেহরুবা খানের অপূর্ব উপলব্ধিকে আশ্রয় ক'রে তাঁর সঙ্গে আমিও বলতে চাই, আলোচনা হ'লে 'আয়না ঘর' এর সঙ্গে সঙ্গে 'হাওয়া ভবন' এবং বর্তমান শান্তির মহান দূত ইউনুস সাহেবের 'খোলা ময়দানে ড্রেসিং টেবিল ঘর' নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হ'ক সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে। কারও পক্ষে দাঁড়াতে হবে না বাংলাদেশের নাগরিককে। মাহরুবা খানের কথায় ভুল কোথায়? এ তো দেশপ্রেমের স্বচ্ছ বর্হিপ্রকাশ! আমার জিজ্ঞাস্য গানের স্রষ্টা ও গায়িকাকে ভারতকে ভাঙ্গার খেলা কার বাপ করছে ও ক'রে চলেছে? পার্শ্ববর্তী দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট ভারত নিয়ে বাংলাদেশী ভাইবোনেদের মন ও মস্তিষ্ক বিষাক্ত ক'রে তুলছে কার বাপ? ৫৪ বছর পরে রাতারাতি মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারত আজ বাংলাদেশের কাছে একেবারে শত্রুদেশে পরিণত হ'ল পুরোনো বন্ধুত্বকে রি-সেট বাটন দিয়ে মুছে দিয়ে আর ভারত ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর চক্রান্তকে ত্বরান্বিত ক'রে। এই মেটিকুলাস ডিজাইন ও রি-সেট বাটনে ভারতের বন্ধুত্ব মুছে দিয়ে শত্রু দেশ বানানোর ও ভারত ভাঙ্গার বাপ কে? পাকিস্তান ও আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস? পাকিস্তান? আমেরিকা? নাকি সম্মিলিত উদ্যোগ?
"দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা" গানের গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু এবং গায়িকা মৌসুমী চৌধুরীকে অনুরোধ ভারত ভাঙ্গার ও পশ্চিমবঙ্গ সহ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার একটা নোতুন গান বাঁধুন, গড়ে উঠুক বৃত্তর বাংলাদেশ ও ভেঙে টুকরো টুকরো হ'য়ে যাক ভারত, স্বপ্ন পূরণ হ'ক বালখিল্য স্বপ্ন দেখার মূল কারিগর আমেরিকা ও পাকিস্তানের।
তাই, সেই মহান গায়িকাকে উদ্দেশ্য ক'রে বলি, দেশ তো স্বা্ধীন হ'ল, ভারতের হাত থেকে মুক্ত হ'ল দেশ, এখন পাকিস্তান আর আমেরিকা, চীন দেশের সাহায্যে ভারতের বিরুদ্ধে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গান বাঁধুক সেই মহান গীতিকার ও গায়িকা যৌথভাবে এবং ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধের গান গেয়ে পথে নামুক এবং যুদ্ধ শুরু করুক আর ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে এবং পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে টুকরো ক'রে নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার গান 'দেশটা এবার বড় হবে জুড়াবো প্রাণের জ্বালা' ভারত ভেঙে টুকরো হবে, হবে বৃহত্তর বাংলা' গেয়ে ভারত ভাঙ্গার লড়াইয়ে নেমে পড়ুক ইউনুস সাহেবের বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের সৈনিকেরা ছদ্ম আন্দোলনের স্বচ্ছতাকে বজায় রেখে। বুঝিয়ে দেওয়া হ'ক ভারতের বাপ শান্তির পতাকা হাতে ইউনুস সাহেব হলেও আসলে বাপ পাকিস্তান আর তার পিছনে মূল বাপ বিশ্বের সর্বশক্তিমান আমেরিকা।
এ স্বচ্ছতা কি প্রমাণ করে আর কি ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে অদূর ভবিষ্যতে এখনও ভেবে দেখার সময় আসেনি ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে এতবড় প্রতারণার পরেও দেশের জনগণের!!
( লেখা ১লা সেপ্টেম্বর' ২০২৫)।
বিষয় যখনঃ বিশেষ সৎসঙ্গ।
'বিশেষ সৎসঙ্গ'
এই ছবিটা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত শ্রীশ্রীঠাকুরের ১৩৮তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত একটি 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর ছবি। এরকম বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব্যানারের ছবি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। উদাহরণ হিসেবে আলোচনার জন্য একটি ছবিই যথেষ্ট।
এখন সব জায়গায় বাংলা, ইংরেজি ও ভারতের অন্যান্য ভাষায় 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব্যানার টাঙ্গিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন দেখা যায়। আলোচনা পত্রিকায়ও এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর ঘোষণা দেখা যায়।
এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' লেখা ব্যানার দেখলে একটা বিশেষ ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। স্মৃতি সতত দুঃখের ও সুখের। এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' আয়োজনের একটা ইতিহাস আছে। আমি সেটা আমার পাঠকদের কাছে তুলে ধরবো এখানে।
সময়টা ছিল ২০১২ সালের অক্টোবর মাস। প্রতিবারের মত সেবারও দেওঘর গেছিলাম। সেবারে গেছিলাম মেয়ের কর্মস্থলের এক সমস্যা নিয়ে। আমি শ্রীশ্রীআচার্যদেব দাদার সামনে বসেছিলাম। শ্রীশ্রীদাদার কাছে আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে সমস্যা নিবেদন করার সময় শ্রীশ্রীদাদার সামনে উপবিষ্ট সঞ্জীব মন্ডলদা বললেন এখন যা কিছু নিবেদন বাবাইদাদার কাছে করা হয়। আপনারা কাল সকালবেলা প্রার্থনার পর চলে যাবেন সেখানে, বাবাইদাদার কাছে নিবেদন করবেন।
সেইমত পরদিন সকালবেলা প্রার্থনার পর গিয়েছিলাম শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদার কাছে সমস্যা নিবেদনের জন্য সেইস্থানে যেখানে বর্তমানে শ্রীশ্রীঅবিনদাদা দর্শন দেওয়ার জন্য বসেন। সেইসময় প্রথম প্রথম এত ভিড় হ'তো না, হালকা পরিবেশে দীর্ঘ সময় পাওয়া যেত ধীরেসুস্থে মন খুলে কথা বলার, গল্প করার। গল্প শেষে মনে হ'তো বিরাট একটা পাথর মাথা থেকে কে যেন নামিয়ে নিয়েছে। একটা হালকা ফুরফুরে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে যখন সেই স্থান পার হ'য়ে গেটের বাইরে বেড়িয়ে এসে শ্রীশ্রীবড়দা বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তায় এসে উঠতাম, তারপর গরম চায়ের ভাড়ে চুমুক দিতাম তখন মনে হ'তো আমি যেন ঘোরের মধ্যে আছি আর আমার শরীরের ওপর যেন মাথার জায়গায় সত্যি সত্যিই মাথাটা নেই, এত হালকা অনুভব হচ্ছিল নিজেকে!!!!!!
যাই হ'ক, সেখানে গিয়ে শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদাকে আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তার সমস্যা নিবেদন করার পর সমস্যা সমাধানে কি করণীয় তা' তিনি মেয়েকে বুঝিয়ে দিলেন সুন্দর সহজ ভাবে। সেইসময় আমি পাশে ছিলাম। তারপর আমার সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়। সেই থেকে সরাসরি আচার্যদেবের সান্নিধ্য লাভ করি। সেদিন 'কি করি, কোথায় থাকি, কবে দীক্ষা নিয়েছি ইত্যাদি বহু বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়। তারপর থেকে আজ অবধি তাঁর সান্নিধ্যে লাভে মাঝে মাঝেই সময় পেলে ছুটে যাই।
শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছেল তখন নানা কথার মাঝে তাঁকে এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' সম্পর্কিত বিষয়ে জানাই। ২০০০ সাল থেকে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশ্যে পার্কে, বিভিন্ন নাট মন্দিরে, ক্লাব, লাইব্রেরী, কলেজ ইত্যাদির হলঘরে বড় ক'রে 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর আয়োজন করতাম। সেইসময় উৎসব ব্যতীত ঘরে ঘরে সৎসঙ্গ আয়োজনের চল ছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে উৎসবের আয়োজন থাকলেও এই ধরণের 'বিশেষ সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানের আয়োজন হ'তো' না। বিষয়টা ছিল স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটা। 'বিশেষ সৎসঙ্গ' লিখে ব্যানার টাঙ্গিয়ে ভদ্রকালী ও খরড়া অঞ্চলে অনুষ্ঠান হ'তো। ঘরে ঘরে প্রচলিত সৎসঙ্গ আয়োজনের বাইরে এই ধরণের সৎসঙ্গ আয়োজনে বাধা আসতে লাগলো। ভদ্রকালী অঞ্চলে স্থানীয় মন্দিরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শুরু হ'য়ে গেল 'বিশেষ সৎসঙ্গ' নিয়ে বিতর্ক সমালোচনা। আর, শুরু হ'য়ে গেল সৎসঙ্গীদের মাঝে বিরুদ্ধ প্রচার, সাধারণ সৎসঙ্গীদের মধ্যে মন্দিরের কর্তাব্যাক্তি, ঋত্বিক, যাজকদের দ্বারা শুরু হ'য়ে গেল ব্রেন ওয়াশ। পেটে বোমা মারলে 'অ' বা 'ক' অক্ষর বেরোবে না তারাও পিছনের উস্কানিতে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' কেন? এর অর্থ কি? ঠাকুরবাড়ি কি অনুমোদন করেছে? ইত্যাদি নানা বিতর্কিত খোঁচা মারা প্রশ্ন নিয়ে হৈ চৈ শুরু ক'রে দিল। যেন বিরাট একটা অপরাধ সঙ্ঘঠিত হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো মনে হ'তে লাগলো যেন শ্রীশ্রীঠাকুর বিরোধী, ঠাকুরবাড়ি বিরোধী, 'সৎসঙ্গ' বিরোধী কোনও পরিকল্পনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে স্থানীয় মন্দির, ঋত্বিক, যাজক ও তাদের দলবল সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে, কি করবো আর না-করবো সোল অথরিটি তারাই। এইভাবে যেখানেই বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গানে, নাচে, আবৃত্তিতে, ঠাকুরের আলোচনায় ঝম ঝম ক'রে সৎসঙ্গের আয়োজন হ'তে লাগলো সেখানেই শুরু হ'লো বিরোধীতা এবং সাধারণ সৎসঙ্গীদের বারণ করা হ'তে লাগলো আয়োজিত 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এ না যাওয়ার জন্য। আর, যারা কোনোদিনই কিছু করেনি তারা ফাটা রেকর্ডের মত বাজাতে লাগলো একটা কথা, "হ্যাঁ, হ্যাঁ দেখবো কতদিন চালায়"।
এরকম পরিস্থিতিতে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সঙ্গে ২০১২ সালে এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি বলেছিলেন, "খুব ভালো কথা। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশ্যে বড় ক'রে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' আয়োজন করা যেতেই পারে, আয়োজন করায় কোনও অসুবিধা নেই। তবে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব'লে আলাদা কোনও কথা নেই। সৎসঙ্গ হয় ঠাকুরকে নিয়ে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতিটি সৎসঙ্গ যেন বিশেষ হ'য়ে ওঠে। ঠাকুর যেন প্রমিনেন্ট হয়ে ওঠে সমস্ত কিছুর মধ্যে, সবার মধ্যে। মানুষের কাছে যেন সৎসঙ্গ আনন্দ লাভের ক্ষেত্র হ'য়ে ওঠে, বিরক্তি ও একঘেয়ে না লাগে।"
আজ ভালো লাগবে যখন দেখবো 'বিশেষ সৎসঙ্গ' শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নির্দেশ মত যদি অনুষ্ঠিত হ'য়ে থাকে। আর যারা সেদিন বিতর্ক তৈরী ক'রেছিল, সমালোচনা করেছিল তারা আজকের সারা সৎসঙ্গ জগত জুড়ে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' বাঙলা, হিন্দি, ইংরেজী ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় দেখে নিশ্চয়ই আনন্দ পাচ্ছেন।
এই ছবিটা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত শ্রীশ্রীঠাকুরের ১৩৮তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত একটি 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর ছবি। এরকম বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব্যানারের ছবি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। উদাহরণ হিসেবে আলোচনার জন্য একটি ছবিই যথেষ্ট।
এখন সব জায়গায় বাংলা, ইংরেজি ও ভারতের অন্যান্য ভাষায় 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব্যানার টাঙ্গিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন দেখা যায়। আলোচনা পত্রিকায়ও এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর ঘোষণা দেখা যায়।
এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' লেখা ব্যানার দেখলে একটা বিশেষ ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। স্মৃতি সতত দুঃখের ও সুখের। এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' আয়োজনের একটা ইতিহাস আছে। আমি সেটা আমার পাঠকদের কাছে তুলে ধরবো এখানে।
সময়টা ছিল ২০১২ সালের অক্টোবর মাস। প্রতিবারের মত সেবারও দেওঘর গেছিলাম। সেবারে গেছিলাম মেয়ের কর্মস্থলের এক সমস্যা নিয়ে। আমি শ্রীশ্রীআচার্যদেব দাদার সামনে বসেছিলাম। শ্রীশ্রীদাদার কাছে আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে সমস্যা নিবেদন করার সময় শ্রীশ্রীদাদার সামনে উপবিষ্ট সঞ্জীব মন্ডলদা বললেন এখন যা কিছু নিবেদন বাবাইদাদার কাছে করা হয়। আপনারা কাল সকালবেলা প্রার্থনার পর চলে যাবেন সেখানে, বাবাইদাদার কাছে নিবেদন করবেন।
সেইমত পরদিন সকালবেলা প্রার্থনার পর গিয়েছিলাম শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদার কাছে সমস্যা নিবেদনের জন্য সেইস্থানে যেখানে বর্তমানে শ্রীশ্রীঅবিনদাদা দর্শন দেওয়ার জন্য বসেন। সেইসময় প্রথম প্রথম এত ভিড় হ'তো না, হালকা পরিবেশে দীর্ঘ সময় পাওয়া যেত ধীরেসুস্থে মন খুলে কথা বলার, গল্প করার। গল্প শেষে মনে হ'তো বিরাট একটা পাথর মাথা থেকে কে যেন নামিয়ে নিয়েছে। একটা হালকা ফুরফুরে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে যখন সেই স্থান পার হ'য়ে গেটের বাইরে বেড়িয়ে এসে শ্রীশ্রীবড়দা বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তায় এসে উঠতাম, তারপর গরম চায়ের ভাড়ে চুমুক দিতাম তখন মনে হ'তো আমি যেন ঘোরের মধ্যে আছি আর আমার শরীরের ওপর যেন মাথার জায়গায় সত্যি সত্যিই মাথাটা নেই, এত হালকা অনুভব হচ্ছিল নিজেকে!!!!!!
যাই হ'ক, সেখানে গিয়ে শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদাকে আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তার সমস্যা নিবেদন করার পর সমস্যা সমাধানে কি করণীয় তা' তিনি মেয়েকে বুঝিয়ে দিলেন সুন্দর সহজ ভাবে। সেইসময় আমি পাশে ছিলাম। তারপর আমার সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়। সেই থেকে সরাসরি আচার্যদেবের সান্নিধ্য লাভ করি। সেদিন 'কি করি, কোথায় থাকি, কবে দীক্ষা নিয়েছি ইত্যাদি বহু বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়। তারপর থেকে আজ অবধি তাঁর সান্নিধ্যে লাভে মাঝে মাঝেই সময় পেলে ছুটে যাই।
শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছেল তখন নানা কথার মাঝে তাঁকে এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' সম্পর্কিত বিষয়ে জানাই। ২০০০ সাল থেকে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশ্যে পার্কে, বিভিন্ন নাট মন্দিরে, ক্লাব, লাইব্রেরী, কলেজ ইত্যাদির হলঘরে বড় ক'রে 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এর আয়োজন করতাম। সেইসময় উৎসব ব্যতীত ঘরে ঘরে সৎসঙ্গ আয়োজনের চল ছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে উৎসবের আয়োজন থাকলেও এই ধরণের 'বিশেষ সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানের আয়োজন হ'তো' না। বিষয়টা ছিল স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটা। 'বিশেষ সৎসঙ্গ' লিখে ব্যানার টাঙ্গিয়ে ভদ্রকালী ও খরড়া অঞ্চলে অনুষ্ঠান হ'তো। ঘরে ঘরে প্রচলিত সৎসঙ্গ আয়োজনের বাইরে এই ধরণের সৎসঙ্গ আয়োজনে বাধা আসতে লাগলো। ভদ্রকালী অঞ্চলে স্থানীয় মন্দিরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শুরু হ'য়ে গেল 'বিশেষ সৎসঙ্গ' নিয়ে বিতর্ক সমালোচনা। আর, শুরু হ'য়ে গেল সৎসঙ্গীদের মাঝে বিরুদ্ধ প্রচার, সাধারণ সৎসঙ্গীদের মধ্যে মন্দিরের কর্তাব্যাক্তি, ঋত্বিক, যাজকদের দ্বারা শুরু হ'য়ে গেল ব্রেন ওয়াশ। পেটে বোমা মারলে 'অ' বা 'ক' অক্ষর বেরোবে না তারাও পিছনের উস্কানিতে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' কেন? এর অর্থ কি? ঠাকুরবাড়ি কি অনুমোদন করেছে? ইত্যাদি নানা বিতর্কিত খোঁচা মারা প্রশ্ন নিয়ে হৈ চৈ শুরু ক'রে দিল। যেন বিরাট একটা অপরাধ সঙ্ঘঠিত হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো মনে হ'তে লাগলো যেন শ্রীশ্রীঠাকুর বিরোধী, ঠাকুরবাড়ি বিরোধী, 'সৎসঙ্গ' বিরোধী কোনও পরিকল্পনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে স্থানীয় মন্দির, ঋত্বিক, যাজক ও তাদের দলবল সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে, কি করবো আর না-করবো সোল অথরিটি তারাই। এইভাবে যেখানেই বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গানে, নাচে, আবৃত্তিতে, ঠাকুরের আলোচনায় ঝম ঝম ক'রে সৎসঙ্গের আয়োজন হ'তে লাগলো সেখানেই শুরু হ'লো বিরোধীতা এবং সাধারণ সৎসঙ্গীদের বারণ করা হ'তে লাগলো আয়োজিত 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-এ না যাওয়ার জন্য। আর, যারা কোনোদিনই কিছু করেনি তারা ফাটা রেকর্ডের মত বাজাতে লাগলো একটা কথা, "হ্যাঁ, হ্যাঁ দেখবো কতদিন চালায়"।
এরকম পরিস্থিতিতে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সঙ্গে ২০১২ সালে এই 'বিশেষ সৎসঙ্গ' নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি বলেছিলেন, "খুব ভালো কথা। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশ্যে বড় ক'রে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' আয়োজন করা যেতেই পারে, আয়োজন করায় কোনও অসুবিধা নেই। তবে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' ব'লে আলাদা কোনও কথা নেই। সৎসঙ্গ হয় ঠাকুরকে নিয়ে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতিটি সৎসঙ্গ যেন বিশেষ হ'য়ে ওঠে। ঠাকুর যেন প্রমিনেন্ট হয়ে ওঠে সমস্ত কিছুর মধ্যে, সবার মধ্যে। মানুষের কাছে যেন সৎসঙ্গ আনন্দ লাভের ক্ষেত্র হ'য়ে ওঠে, বিরক্তি ও একঘেয়ে না লাগে।"
আজ ভালো লাগবে যখন দেখবো 'বিশেষ সৎসঙ্গ' শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নির্দেশ মত যদি অনুষ্ঠিত হ'য়ে থাকে। আর যারা সেদিন বিতর্ক তৈরী ক'রেছিল, সমালোচনা করেছিল তারা আজকের সারা সৎসঙ্গ জগত জুড়ে 'বিশেষ সৎসঙ্গ' বাঙলা, হিন্দি, ইংরেজী ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় দেখে নিশ্চয়ই আনন্দ পাচ্ছেন।
প্রশ্নঃ উত্তর বা সমাধান কোথায়?
"বাঙালির শত্রুরা কি জাতি দাঙ্গা শুরু করতে চাইছে?"
( লেখা ২রা সেপ্টেম্বর' ২০২৫)
Sunday, September 21, 2025
প্রবন্ধঃ তিননম্বর ছাগলছানা ও অভয়া, তোফাজ্জেল।
আসল জায়গায় কেউ কোনোদিন হাত দেয়নি, দেয় না। অভয়ার অসহায় যন্ত্রণাময় অপমানজনক নৃশংস যৌন হেনস্থা, বলাৎকার ও হত্যা আইনি জালে জর্জরিত। অভয়া আজ তিন নম্বর ছাগলছানা। তোফাজ্জেলের বেলায় তাই-ই হ'লো। সম্প্রতি উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের হাত ধ'রে স্বৈরাচারী শাসনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া নোতুন স্বাধীনতার গন্ধে বিভোর ছাত্রদের নোতুন বাংলাদেশ আজ মত্ত। তাই তোফাজ্জেলরা আজ হ'য়ে গেছে নোতুন স্বাধীনতার গন্ধে ভরপুর বাংলাদেশে তিন নম্বর ছাগলছানা।
কথায় আছে, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। রাবণ সীতাকে হরণ করেছিল তাই হয়েছিল লঙ্কাকান্ড। আর, দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণে হয়েছিল মহাভারত। রাবণ সীতাকে হরণ করেছিল একথা ঠিক কিন্তু তার সতীত্ব হরণ তো দূরের কথা তার গায়ে হাত দেয়নি, আর তা'তেই হয়েছিল লঙ্কাকান্ড। আর, দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্র স্পর্শ করেছিল তা'তেই হয়েছিল মহাভারত। মাত্র ১০ দিনে শেষ হয়েছিল লঙ্কার যুদ্ধ, পতন হয়েছিল লঙ্কার। আর, মাত্র ১৮দিনে ধ্বংস হ'য়ে গিয়েছিল গোটা ভারত।
কিন্তু বর্তমান সীতা, দ্রৌপদীদের শুধু হরণ আর বস্ত্রহরণ হয়না তাদের উপর বারংবার বলাৎকার ক'রে ক'রে নৃশংভাবে হত্যা করলেও পেরিয়ে যায় বছরের পর বছর আইনি কথার কূটকচালিতে, ঘুম ভাঙে না গা স'য়ে যাওয়া নেশায় আক্রান্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সমাজের।
আর, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথামতো তখন রাবণ একটা ছিল। একটা ছিল দুঃশাসন। বর্তমানে ঘরে ঘরে রাবণ আর দুঃশাসন! যদিও ত্রেতা যুগের রাবণ আর দ্বাপর যুগের দুঃশাসনদের সঙ্গে কলি যুগের রাবণ আর দুঃশাসনদের তুলনা করলে ত্রেতা যুগের রাবণ আর দ্বাপর যুগের দুঃশাসনরাও লজ্জা পেয়ে যাবে, যে লজ্জা তখন সীতা হরণ আর দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের জন্য তারা পায়নি। বর্তমানের সীতা আর দ্রৌপদীদের ওপর অত্যাচারীদের জীবন নামক সংবিধানে লজ্জা শব্দটাই নেই, নেই অনুতাপ ও অপরাধবোধ শব্দটা। এই লজ্জা, অনুতাপ, অপরাধবোধ এইগুলি বায়োলজিক্যালি ভাবেই নেই। বর্তমান সীতা, দ্রৌপদীদের মর্ম্মন্তুদ আর্তনাদ কারও কানে যায় না। কুম্ভকর্ণের মত গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন আজ সততা, মানবতা। আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা, এই মাওনসিকতা সময়ের প্রতিফলন। আগামী ঘোর কলি যুগের অশনি সঙ্কেত। এই সঙ্কেত সত্ত্বেও তবুও টনক নড়ছে না তিননম্বর ছাগল ছানাদের।
আর, মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জেলকে ভালোবেসে ডেকে টেবিল চেয়ারে বসিয়ে দু'মুঠো পেট ভরে খেতে দিয়ে পরে যে এমনতর ভয়ংকর মহার্ঘ উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা ছাত্রদের মনের কোণে সযত্নে লালন পালন হ'য়ে চলেছে তা' কি অসহায় বোকা সহজ সরল বেকুব তোফাজ্জেল বুঝতে পেরেছিল? এইরকম বাকশক্তি হারানো অবাক করে দেওয়া মর্মান্তিক ভয়ংকর বীভৎস ঘটনা দেখলে কবি সুকান্ত তার 'অবাক পৃথিবী! অবাক!' কবিতা কি লিখতো? কি দেখে অবাক হয়ে তিনি তাঁর ১২ লাইনের কবিতায় ৯ বার অবাক শব্দ লিখেছিলেন? তিনি তাঁর কবিতায় কোন পরাধীনতার কথা লিখেছিলেন? তার দেখা বারবার মৃত্যুরই কারবারে অভয়া, তোফাজ্জেলের অবাক করা গা শিউড়ে ওঠা মৃত্যু আছে? সুকান্ত দেখেছেন এমন খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে পেট ভরে খাইয়ে তারপর নৃশংস মৃত্যু দৃশ্য? তার হিসেবের খাতাতে অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত অভয়া, তোফাজ্জেলের মত এমন রক্ত খরচের কথা লেখা আছে? লেখা আছে কবির খাতাতে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের মদতে নাইট ডিউটিরত ডাক্তার ছাত্রীকে সম্মিলিত দানবীয় ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে কপটতার আশ্রয় নিয়ে খাবার খাওয়াবার লোভ দেখিয়ে অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রকে নৃশংস হত্যা, এমন কোনও অবাক করা মৃত্যু?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কপটতার আশ্রয় নিয়ে তোফাজ্জেলকে হত্যা কি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলাদেশে কপট ছাত্র আন্দোলনের টাটকা চরম কপটতার প্রতিফলন?
পৃথিবী জুড়ে কত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে তার কতটুকু আমরা জানতে পারি? কখনো সখনো একটা দুটো ঘটনা সামনে ভেসে আসে সময়ের দাবীতে। মাঝে মাঝে অদ্ভুতভাবে সোনার কাঠির ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে থাকা রাজকন্যার হঠাৎ জেগে ওঠার মত জেগে ওঠে তিন নম্বর ছাগলছানারা। কিছুদিন মায়ের বাঁটের দু'পাশে দুধ খাওয়ার আশায় লাফালাফি করে; পরে আবার হঠাৎ কোন অদৃশ্য হাতের রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় রাজকন্যার মত গভীর ঘুমে ঢলে পড়ে তিন নম্বর ছাগলছানারা। তিন নম্বর ছানারা শুধু মা ছাগলের দুই পাশে লাফিয়েই যায়, আর, মায়ের দুই বাঁটে মুখ দিয়ে শুষে খায় মায়ের দুধ অন্য দুই সন্তান বাটপার। যখন দুধ শেষ হ'য়ে যায় তখনও টেনে চলে অভ্যাসবশত, শেষে দুধ না পেলে রক্ত শুষে খায়। আর, তিন নম্বর ছাগলছানা এদিক ওদিক লাফাতে লাফাতে অবশেষে ক্লান্ত হ'য়ে অভয়া, তোফাজ্জেল হ'য়ে চিরদিনের জন্য মুক্তি পেয়ে যায়।
হে দয়াল! হে প্রভু! তুমি আট আটবার এসেছিলে ত্রেতা যুগে, দ্বাপর যুগে ও শেষ কলি যুগে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ আর সর্ব্বশেষ অনুকূল হ'য়ে। কিন্তু তুমি কেন এসেছিলে, কাদের জন্য এসেছিলে, কি বলে গেছিলে প্রতিবার যুগে যুগে এসে একথা যদি পৃথিবী জুড়ে তিন নম্বর ছাগলছানার মত অভয়া আর তোফাজ্জেলরা বুঝতো, যদি তোমাদের চলনাশ্রিত হয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তুলতো তাহ'লে এই ঘোর কলিযুগে মরীচিকার মত মায়ের বাঁটের দুধ খাওয়ার মিথ্যে আশা ছেড়ে দিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠে দাঁড়াত, নিজেকে নিজের দুই হাত দিয়ে রক্ষা করতে পারতো নিজের দুই পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে আর বর্তমান মূর্তিমান শয়তান রাবণ, দুঃশাসনদের হাত থেকে তারা বেঁচে যেত, নিশ্চিত বেঁচে যেত।
কিন্তু আপশোস অভয়া, তোফাজ্জেলরা বুঝলো না তা, বুঝতে চাইলো না, তাদের বুঝতে দিলো না ধর্ম ও ঈশ্বর অবিশ্বাসী বিরুদ্ধবাদীরা, বুঝতে দিলো না ধর্ম জগতের মূর্তি পূজা, আকাশের ভগবানের পূজা, বোবা ভগবানের পূজারীরা, বুঝতে দিলো না ধর্ম জগতের ঈশ্বর বিশ্বাসী যোগী, ধ্যানী, গোঁসাই, গোবিন্দ, সাধক গুরুরা, বুঝতে দিলো না বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক স্বয়ং রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ রূপে বারবার নেমে আসা জীবন্ত ঈশ্বরের অনুগামী শিষ্যেরা। প্রতিটি প্রফেটের শিষ্যেরা যার যার নিজ নিজ সম্প্রদায়ের, নিজ নিজ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ক'রে চারপাশে গন্ডী কেটে রেখে দিল বারবার নেমে আসা তাদের জীবন্ত ঈশ্বর পরমপিতা, পুরুষোত্তম প্রফেটকে নিজস্ব সম্পদ করে। আর, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমগ্র সৃষ্টির পরম উৎস, পরম কারণ, পরমপিতা, পরমপুরুষের বর্তমান শেষ রূপ পুরুষোত্তম The greatest phenomenon of the world, grestest wonder in the world SriSriThakur Anukulchandra-এর অনুগামী কোটি কোটি শিষ্য সৎসঙ্গীরা কি করছে? সেই একই ট্রাডিশান ব'য়ে চলেছে? কে কতবড় সৎসঙ্গী, কে কতবড় স্বস্ত্যয়নী ব্রতধারী, কে কতবড় বক্তা, কে কতবড় গায়ক, কে কতবড় ঠাকুর বোদ্ধা, কে কতবড় জ্ঞানী, কে কতবড় ভক্ত, কে কতবড় প্রেমী, কে কতবড় মহান, কে কতবড় ইষ্টপ্রাণ, কে কতবড় ঋত্বিক, কে কতবড় সমালোচক ইত্যাদি ইত্যাদি এই নিয়ে চলছে পরস্পরের মধ্যে ফেসবুকে, ইউটিউবে প্রতিযোগীতা, তর্কবিতর্কের ঝড়। চলছে ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে মোচ্ছব। ফেসবুক, ইউটিউবে শ্রীশ্রীঠাকুর এখন একশ্রেণীর সৎসঙ্গী নামধারী দাদা ও মায়েদের ও শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট এক ও একমাত্র মূল কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' বিরোধী সৎসঙ্গী নামধারীদের এবং একশ্রেণীর কট্টর শ্রীশ্রীঠাকুর বিরোধী সনাতনী ধর্ম প্রবক্তাদের আয়ের মোক্ষম উপকরণ। সৎসঙ্গ জগতে যে কোনও নোতুন বিষয়কে কেন্দ্র ক'রে বাদবিতন্ডার মজবুত প্ল্যাটফর্ম এখন ফেসবুক আর ইউ টিউব। ফলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের পর প্রজন্ম অভয়া আর তোফাজ্জেলদের বাঁচাবে কে?
তাই, অভয়া, তোফাজ্জেলদের মত তিননম্বর ছাগলছানাদের আজ সব দিক থেকে বাঁচা ও বেড়ে ওঠা ভয়ংকর কঠিন, কঠিন, কঠিন। শ্রীশ্রীঠাকুত্রের সোনার সৎসঙ্গীরা আমার গুরুভাইবোনেরা সিরিয়াসলি একটু ভেবে দেখবে কি? আসুন আমরা সৎসঙ্গীরা সবাই মিলেমিশে ঝগড়াঝাঁটি ভুলে, তর্কবিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সন্নিধানে একটু ভেবে দেখি।
কথায় আছে, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। রাবণ সীতাকে হরণ করেছিল তাই হয়েছিল লঙ্কাকান্ড। আর, দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণে হয়েছিল মহাভারত। রাবণ সীতাকে হরণ করেছিল একথা ঠিক কিন্তু তার সতীত্ব হরণ তো দূরের কথা তার গায়ে হাত দেয়নি, আর তা'তেই হয়েছিল লঙ্কাকান্ড। আর, দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্র স্পর্শ করেছিল তা'তেই হয়েছিল মহাভারত। মাত্র ১০ দিনে শেষ হয়েছিল লঙ্কার যুদ্ধ, পতন হয়েছিল লঙ্কার। আর, মাত্র ১৮দিনে ধ্বংস হ'য়ে গিয়েছিল গোটা ভারত।
কিন্তু বর্তমান সীতা, দ্রৌপদীদের শুধু হরণ আর বস্ত্রহরণ হয়না তাদের উপর বারংবার বলাৎকার ক'রে ক'রে নৃশংভাবে হত্যা করলেও পেরিয়ে যায় বছরের পর বছর আইনি কথার কূটকচালিতে, ঘুম ভাঙে না গা স'য়ে যাওয়া নেশায় আক্রান্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সমাজের।
আর, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথামতো তখন রাবণ একটা ছিল। একটা ছিল দুঃশাসন। বর্তমানে ঘরে ঘরে রাবণ আর দুঃশাসন! যদিও ত্রেতা যুগের রাবণ আর দ্বাপর যুগের দুঃশাসনদের সঙ্গে কলি যুগের রাবণ আর দুঃশাসনদের তুলনা করলে ত্রেতা যুগের রাবণ আর দ্বাপর যুগের দুঃশাসনরাও লজ্জা পেয়ে যাবে, যে লজ্জা তখন সীতা হরণ আর দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের জন্য তারা পায়নি। বর্তমানের সীতা আর দ্রৌপদীদের ওপর অত্যাচারীদের জীবন নামক সংবিধানে লজ্জা শব্দটাই নেই, নেই অনুতাপ ও অপরাধবোধ শব্দটা। এই লজ্জা, অনুতাপ, অপরাধবোধ এইগুলি বায়োলজিক্যালি ভাবেই নেই। বর্তমান সীতা, দ্রৌপদীদের মর্ম্মন্তুদ আর্তনাদ কারও কানে যায় না। কুম্ভকর্ণের মত গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন আজ সততা, মানবতা। আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা, এই মাওনসিকতা সময়ের প্রতিফলন। আগামী ঘোর কলি যুগের অশনি সঙ্কেত। এই সঙ্কেত সত্ত্বেও তবুও টনক নড়ছে না তিননম্বর ছাগল ছানাদের।
আর, মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জেলকে ভালোবেসে ডেকে টেবিল চেয়ারে বসিয়ে দু'মুঠো পেট ভরে খেতে দিয়ে পরে যে এমনতর ভয়ংকর মহার্ঘ উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা ছাত্রদের মনের কোণে সযত্নে লালন পালন হ'য়ে চলেছে তা' কি অসহায় বোকা সহজ সরল বেকুব তোফাজ্জেল বুঝতে পেরেছিল? এইরকম বাকশক্তি হারানো অবাক করে দেওয়া মর্মান্তিক ভয়ংকর বীভৎস ঘটনা দেখলে কবি সুকান্ত তার 'অবাক পৃথিবী! অবাক!' কবিতা কি লিখতো? কি দেখে অবাক হয়ে তিনি তাঁর ১২ লাইনের কবিতায় ৯ বার অবাক শব্দ লিখেছিলেন? তিনি তাঁর কবিতায় কোন পরাধীনতার কথা লিখেছিলেন? তার দেখা বারবার মৃত্যুরই কারবারে অভয়া, তোফাজ্জেলের অবাক করা গা শিউড়ে ওঠা মৃত্যু আছে? সুকান্ত দেখেছেন এমন খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে পেট ভরে খাইয়ে তারপর নৃশংস মৃত্যু দৃশ্য? তার হিসেবের খাতাতে অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত অভয়া, তোফাজ্জেলের মত এমন রক্ত খরচের কথা লেখা আছে? লেখা আছে কবির খাতাতে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের মদতে নাইট ডিউটিরত ডাক্তার ছাত্রীকে সম্মিলিত দানবীয় ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে কপটতার আশ্রয় নিয়ে খাবার খাওয়াবার লোভ দেখিয়ে অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রকে নৃশংস হত্যা, এমন কোনও অবাক করা মৃত্যু?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কপটতার আশ্রয় নিয়ে তোফাজ্জেলকে হত্যা কি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলাদেশে কপট ছাত্র আন্দোলনের টাটকা চরম কপটতার প্রতিফলন?
পৃথিবী জুড়ে কত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে তার কতটুকু আমরা জানতে পারি? কখনো সখনো একটা দুটো ঘটনা সামনে ভেসে আসে সময়ের দাবীতে। মাঝে মাঝে অদ্ভুতভাবে সোনার কাঠির ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে থাকা রাজকন্যার হঠাৎ জেগে ওঠার মত জেগে ওঠে তিন নম্বর ছাগলছানারা। কিছুদিন মায়ের বাঁটের দু'পাশে দুধ খাওয়ার আশায় লাফালাফি করে; পরে আবার হঠাৎ কোন অদৃশ্য হাতের রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় রাজকন্যার মত গভীর ঘুমে ঢলে পড়ে তিন নম্বর ছাগলছানারা। তিন নম্বর ছানারা শুধু মা ছাগলের দুই পাশে লাফিয়েই যায়, আর, মায়ের দুই বাঁটে মুখ দিয়ে শুষে খায় মায়ের দুধ অন্য দুই সন্তান বাটপার। যখন দুধ শেষ হ'য়ে যায় তখনও টেনে চলে অভ্যাসবশত, শেষে দুধ না পেলে রক্ত শুষে খায়। আর, তিন নম্বর ছাগলছানা এদিক ওদিক লাফাতে লাফাতে অবশেষে ক্লান্ত হ'য়ে অভয়া, তোফাজ্জেল হ'য়ে চিরদিনের জন্য মুক্তি পেয়ে যায়।
হে দয়াল! হে প্রভু! তুমি আট আটবার এসেছিলে ত্রেতা যুগে, দ্বাপর যুগে ও শেষ কলি যুগে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ আর সর্ব্বশেষ অনুকূল হ'য়ে। কিন্তু তুমি কেন এসেছিলে, কাদের জন্য এসেছিলে, কি বলে গেছিলে প্রতিবার যুগে যুগে এসে একথা যদি পৃথিবী জুড়ে তিন নম্বর ছাগলছানার মত অভয়া আর তোফাজ্জেলরা বুঝতো, যদি তোমাদের চলনাশ্রিত হয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তুলতো তাহ'লে এই ঘোর কলিযুগে মরীচিকার মত মায়ের বাঁটের দুধ খাওয়ার মিথ্যে আশা ছেড়ে দিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠে দাঁড়াত, নিজেকে নিজের দুই হাত দিয়ে রক্ষা করতে পারতো নিজের দুই পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে আর বর্তমান মূর্তিমান শয়তান রাবণ, দুঃশাসনদের হাত থেকে তারা বেঁচে যেত, নিশ্চিত বেঁচে যেত।
কিন্তু আপশোস অভয়া, তোফাজ্জেলরা বুঝলো না তা, বুঝতে চাইলো না, তাদের বুঝতে দিলো না ধর্ম ও ঈশ্বর অবিশ্বাসী বিরুদ্ধবাদীরা, বুঝতে দিলো না ধর্ম জগতের মূর্তি পূজা, আকাশের ভগবানের পূজা, বোবা ভগবানের পূজারীরা, বুঝতে দিলো না ধর্ম জগতের ঈশ্বর বিশ্বাসী যোগী, ধ্যানী, গোঁসাই, গোবিন্দ, সাধক গুরুরা, বুঝতে দিলো না বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক স্বয়ং রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ রূপে বারবার নেমে আসা জীবন্ত ঈশ্বরের অনুগামী শিষ্যেরা। প্রতিটি প্রফেটের শিষ্যেরা যার যার নিজ নিজ সম্প্রদায়ের, নিজ নিজ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ক'রে চারপাশে গন্ডী কেটে রেখে দিল বারবার নেমে আসা তাদের জীবন্ত ঈশ্বর পরমপিতা, পুরুষোত্তম প্রফেটকে নিজস্ব সম্পদ করে। আর, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমগ্র সৃষ্টির পরম উৎস, পরম কারণ, পরমপিতা, পরমপুরুষের বর্তমান শেষ রূপ পুরুষোত্তম The greatest phenomenon of the world, grestest wonder in the world SriSriThakur Anukulchandra-এর অনুগামী কোটি কোটি শিষ্য সৎসঙ্গীরা কি করছে? সেই একই ট্রাডিশান ব'য়ে চলেছে? কে কতবড় সৎসঙ্গী, কে কতবড় স্বস্ত্যয়নী ব্রতধারী, কে কতবড় বক্তা, কে কতবড় গায়ক, কে কতবড় ঠাকুর বোদ্ধা, কে কতবড় জ্ঞানী, কে কতবড় ভক্ত, কে কতবড় প্রেমী, কে কতবড় মহান, কে কতবড় ইষ্টপ্রাণ, কে কতবড় ঋত্বিক, কে কতবড় সমালোচক ইত্যাদি ইত্যাদি এই নিয়ে চলছে পরস্পরের মধ্যে ফেসবুকে, ইউটিউবে প্রতিযোগীতা, তর্কবিতর্কের ঝড়। চলছে ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে মোচ্ছব। ফেসবুক, ইউটিউবে শ্রীশ্রীঠাকুর এখন একশ্রেণীর সৎসঙ্গী নামধারী দাদা ও মায়েদের ও শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট এক ও একমাত্র মূল কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' বিরোধী সৎসঙ্গী নামধারীদের এবং একশ্রেণীর কট্টর শ্রীশ্রীঠাকুর বিরোধী সনাতনী ধর্ম প্রবক্তাদের আয়ের মোক্ষম উপকরণ। সৎসঙ্গ জগতে যে কোনও নোতুন বিষয়কে কেন্দ্র ক'রে বাদবিতন্ডার মজবুত প্ল্যাটফর্ম এখন ফেসবুক আর ইউ টিউব। ফলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের পর প্রজন্ম অভয়া আর তোফাজ্জেলদের বাঁচাবে কে?
তাই, অভয়া, তোফাজ্জেলদের মত তিননম্বর ছাগলছানাদের আজ সব দিক থেকে বাঁচা ও বেড়ে ওঠা ভয়ংকর কঠিন, কঠিন, কঠিন। শ্রীশ্রীঠাকুত্রের সোনার সৎসঙ্গীরা আমার গুরুভাইবোনেরা সিরিয়াসলি একটু ভেবে দেখবে কি? আসুন আমরা সৎসঙ্গীরা সবাই মিলেমিশে ঝগড়াঝাঁটি ভুলে, তর্কবিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সন্নিধানে একটু ভেবে দেখি।
( লেখা ২২শে সেপ্টেম্বর'২০২৪)
বিচিত্রাঃ ১৮১
অবাক পশ্চিমবঙ্গ! অবাক করলে তুমি!!
আজ (২১.০৯/২৫) রবিবার ভোরবেলা মাইকে মহালয়ার প্রচার নিয়ে একটা প্রতিবাদের ভিডিও দেখলাম ফেসবুকে। দেখলাম প্রতিবাদী একজন অবাঙালি মহিলা আর তিনি এর জন্যে পুলিশকে ডেকে এনেছেন। এই নিয়ে প্রবল বাদবিতন্ডা শুরু হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।
মহালয়ার কনসেপ্ট আমরা বাঙালিরা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। বহুবছর আগে আমার যৌবনে আজ থেকে ৫০ বছর আগে একজন স্কুলের মাস্টারমশাই একটা আর্টিকেলে মহালয়ায় বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের শ্লোক পাঠকে আসুরিক হিক্কার ব'লে উল্লেখ করেছিলেন। তার প্রতিবাদ ক'রে সেই আর্টিকেল না ছাপানোর জন্য তিনি আমার প্রতি মনক্ষুন্ন হন। তাই আমাদের ভেবে দেখতে হবে কেন এমনটা হ'লো।
এখন বুঝতে পারি ৮০০কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রতিমুহূর্তে কেন ঠাকুর 'মানুষ' 'মানুষ' ক'রে কেঁদেছিলেন! বুঝতে পারি "আমায় মানুষ ভিক্ষা দাও' আমায় মানুষ ভিক্ষা দাও" ব'লে কেন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে ছিলেন!!
দিন দিন অচেনা হ’য়ে যাচ্ছে আমার মাতৃভুমি!!
আজ (২১.০৯/২৫) রবিবার ভোরবেলা মাইকে মহালয়ার প্রচার নিয়ে একটা প্রতিবাদের ভিডিও দেখলাম ফেসবুকে। দেখলাম প্রতিবাদী একজন অবাঙালি মহিলা আর তিনি এর জন্যে পুলিশকে ডেকে এনেছেন। এই নিয়ে প্রবল বাদবিতন্ডা শুরু হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।
মহালয়ার কনসেপ্ট আমরা বাঙালিরা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। বহুবছর আগে আমার যৌবনে আজ থেকে ৫০ বছর আগে একজন স্কুলের মাস্টারমশাই একটা আর্টিকেলে মহালয়ায় বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের শ্লোক পাঠকে আসুরিক হিক্কার ব'লে উল্লেখ করেছিলেন। তার প্রতিবাদ ক'রে সেই আর্টিকেল না ছাপানোর জন্য তিনি আমার প্রতি মনক্ষুন্ন হন। তাই আমাদের ভেবে দেখতে হবে কেন এমনটা হ'লো।
( লেখা ২১শে সেপ্টেম্বর'২০২১)
( লেখা ২২শে সেপ্টেম্বর'২০২১)
Friday, September 19, 2025
উপলব্ধি
হনুমানকে যে ভালোবাসে না আমাকে সে ভালোবাসে না!------ শ্রীশ্রীরামচন্দ্র।
আমাকে প্রণাম ক'রে যে বড়খোকাকে প্রণাম করে না আমি তার প্রণাম নিই না!---শ্রীশ্রীঠাকুর।
আমাকে প্রণাম ক'রে যে বড়খোকাকে প্রণাম করে না আমি তার প্রণাম নিই না!---শ্রীশ্রীঠাকুর।
উপলব্ধিঃ শ্রীশ্রীঠাকুরের দর্শন প্রচার ও আমরা।
শ্রীশ্রীঠাকুরের দর্শন, জীবনবাদ (Philosophy, Lifeism ) প্রচারে আমাদের সৎসঙ্গীদের সতর্ক থাকা উচিৎ। অবশ্যই আমার কিছু আসে যায় যদি আমি শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রচারক হ'ই। প্রচারক সবাই হয় না। হ'তে পারে না। কারণ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে যদি আরো বেশী সমস্যার জন্ম হয় তাহ'লে তার প্রচারকের দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো। শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবিত থাকা অবস্থা থেকে তাঁর চলার পথে, তাঁর মিশন প্রতিষ্ঠার কাজে সবচেয়ে বড় কঠিন প্রতিবন্ধক হয়েছে তাঁর তথাকথিত সব বড় বড় ভক্তেরাই। তাই, তাঁর প্রচার কাজ সবার জন্য নয়, বিশেষ ক'রে বিবাহ বিজ্ঞান সম্পর্কিত কঠিন, জটিল বিষয়ে। কারণ এর মধ্যে বিজ্ঞানের সব দিক নিহিত আছে। এর জন্যে এই বিষয়ে নিখুঁত সঠিক প্রচারের জন্য গবেষণালব্ধ গবেষকের প্রয়োজন। নতুবা শিব গড়তে বাঁদর জন্মাবে। শ্রীশ্রীঠাকুর তা' চাননি।
( লেখা ২০শে সেপ্টেম্বর''২০২৪)
( লেখা ২০শে সেপ্টেম্বর''২০২৪)
Saturday, September 13, 2025
উপলব্ধিঃ মহাভারতের ভীষ্ম ও ধর্ম্মাশোক।
বিনাশকালে যেমন হরির নাম, যেমন সব ধ্বংসের নায়ক হওয়ার পর মানবতা, প্রেম-ভালোবাসা, মিলনের জ্ঞান, সৃষ্টির গান, ঠিক তেমনি দুর্দশাতে কাবু যখন তখন মহাভারতের ভীষ্মের বৃত্তি কাবু হয়েছে আর তখন তাঁর মুখে বিধি পালনের কথা মনে উদয় হয়েছে। মাত্র ১৮দিনের নহাভারতেরর যুদ্ধে ভারতকে ধ্বংস করার পর যখন ব্যষ্টি, সমষ্টি, পরিবার, পরিজন, সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, যখন সব শ্মশান আর শ্মশান, যখন মৃতদেহের ওপর শকুন, শেয়াল, কুকুরেরা মহাভোজ করছে মহানন্দে তখন নীতিকথার সাগর জেগে উঠেছে হিংসার ভয়ংকর ভুমিকম্পে ফেটে চৌচির হ'য়ে ধ্বংসের বীভৎস লাভার স্রোতে ভেসে যাওয়া রুখোশুকো প্রাণহীন মাটির বুকে ফল্গুধারার মত মহামতি ভীষ্মের মুখে।
যেমন নাকি মহামতি অশোক অর্থাৎ মহান মানবতাবাদী অশোক, অত্যন্ত বুদ্ধিমান, মহানুভব, বা উদারহৃদয় অশোক। চন্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক। রাজত্বের প্রথম আট বছর, অশোকের নৃশংসতার দরুন তার প্রচলিত নাম ছিল চন্ডাশোক, যার অর্থ হলো 'নৃশংস অশোক'। তিনি তাঁর নিম্ন স্বভাব, উচ্চ মেধা, বা বিরাট প্রজ্ঞাকে কলিঙ্গের নৃশংস যুদ্ধে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং যুদ্ধের পর সেই বীভৎস মারণ যজ্ঞের দৃশ্য দেখে শোকে অনুতাপে সহনশীল মনোভাব নিয়ে পরিবর্তিত হৃদয়ে তাঁর উন্নত স্বভাব, মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে অশোক যখন রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন, তার নাম তখন চন্ডাশোক থেকে পাল্টে প্রচলিত হয় ধর্মাশোক,যার অর্থ হলো 'ধার্মিক অশোক'। হায় নিয়তি!!!!!!! প্রবি।
যেমন নাকি মহামতি অশোক অর্থাৎ মহান মানবতাবাদী অশোক, অত্যন্ত বুদ্ধিমান, মহানুভব, বা উদারহৃদয় অশোক। চন্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক। রাজত্বের প্রথম আট বছর, অশোকের নৃশংসতার দরুন তার প্রচলিত নাম ছিল চন্ডাশোক, যার অর্থ হলো 'নৃশংস অশোক'। তিনি তাঁর নিম্ন স্বভাব, উচ্চ মেধা, বা বিরাট প্রজ্ঞাকে কলিঙ্গের নৃশংস যুদ্ধে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং যুদ্ধের পর সেই বীভৎস মারণ যজ্ঞের দৃশ্য দেখে শোকে অনুতাপে সহনশীল মনোভাব নিয়ে পরিবর্তিত হৃদয়ে তাঁর উন্নত স্বভাব, মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে অশোক যখন রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন, তার নাম তখন চন্ডাশোক থেকে পাল্টে প্রচলিত হয় ধর্মাশোক,যার অর্থ হলো 'ধার্মিক অশোক'। হায় নিয়তি!!!!!!! প্রবি।
( লেখা ১৩ই সেপ্টেম্বর'২০২৪)
বিচিত্রা ১৮০
Ganesha you nice!
৯ হাজার কোটি টাকা হেরাফেরির অপরাধে
your Bahon is mice.
See! How mahenga har chizo ki price!
See! How mahenga har chizo ki price!
Your mice ko milta nehi rice!!
You GOD lie!!!
মাছ চুরির মিথ্যা অপবাদে
বাবাকে মার, মেয়ে আত্মঘাতী!!!৯ হাজার কোটি টাকা হেরাফেরির অপরাধে
হবে মালিয়ার শাস্তি!?
যা ইচ্ছা তাই করো, যা ইচ্ছা হয় তাই বলো, তাই খাও!
শুধু করা, বলা আর খাওয়ার শেষে অমূর্ত ভগবানে মাথা ঠেকাও আর
পুজো দিয়ে দাও!!
Don't Expect & Do not believe anybody
Except GOD, i.e. Living God.
( লেখা ১৩ই সেপ্টেম্বর' ২০১৮)
I think i am at sea beach with my Supreme Beloved I am dragging all quicksand of deceit within me with the help of my Mighty Father. There is no begining, no ending; Only YOU
(SUPREME BEING) & Me on a wide sea beach of the milky way.
আমার মনে হয় আমি আমার পরম প্রিয়তমের সাথে সমুদ্র সৈকতে আছি, আমার পরাক্রমশালী পিতার সাহায্যে আমি আমার ভেতরের সমস্ত ছলনার বালি টেনে বের করছি। কোন শুরু নেই, কোন শেষ নেই; কেবল তুমি (সর্বশক্তিমান সত্তা) এবং আমি মিল্কিওয়ের বিস্তৃত সমুদ্র সৈকতে।
আমার মনে হয় আমি আমার পরম প্রিয়তমের সাথে সমুদ্র সৈকতে আছি, আমার পরাক্রমশালী পিতার সাহায্যে আমি আমার ভেতরের সমস্ত ছলনার বালি টেনে বের করছি। কোন শুরু নেই, কোন শেষ নেই; কেবল তুমি (সর্বশক্তিমান সত্তা) এবং আমি মিল্কিওয়ের বিস্তৃত সমুদ্র সৈকতে।
( লেখা ১৩ই সেপ্টেম্বর' ২০১৭)
প্রবন্ধঃ ছবি আঁকা প্রসঙ্গে।
চলো নিজেকে পাল্টাই।
আচাৰ্য্যদেবাে ভব’ মানে হ'লো আচার্যদেবই সত্তা, স্থিতি; উৎপত্তি; জন্ম; ইহলোকম সংসার; ঈশ্বর; শিব; মঙ্গল।
ঠাকুরের ছবি আঁকার কি আছে? এতই যদি ঠাকুরের প্রতি প্রেম ভালোবাসা ভক্তি জেগে ওঠে তবে তা 'চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম হ'ক' না। অসুবিধা কোথায়? হাতে খড়িটা বাবা-মাকে দিয়েই প্রথম হ'ক না। এক লাফে পরমাত্মার ছবিতে হাত পাকাবার জন্য প্র্যাকটিস না ক'রে প্রথমে প্রাকৃতিক দৃশ্য ছেড়ে যদি মানুষের ছবির ওপর হাত পাকাতেই হয় তবে তা' প্রথমে নিজের বাবা-মার ওপরেই হ'ক না। তা'তে দেখা যাক বাবা-মায়েরা সন্তানের হাতে কতটা নিজের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা পেত্নি-শাকচুন্নি, ডাকিনি যোগীনি, নন্দীভৃঙ্গী ইত্যাদিদের রূপ দেখতে পারে। এটাও তো মহাভাগ্য নিজের সন্তানের হাতে নিজের আসল রূপ দেখতে পাওয়া। সন্তানেরাও দেখুক তাদের বাবা-মায়ের আসল রূপ। একটা আবিস্কারের মতন ব্যাপার। মহা ইটারেস্টিং ব্যাপার। আর এরে সঙ্গে 'চলো নিজেকে পাল্টাই'-এর অনুশীলনের সুযোগও থাকে তা'তে। তারপর হাত পাকা হ'লে নাহয় অন্য কিছু ভাবা যেতে পারে। তাই বাবা-মায়েদের উচিৎ সন্তানকে রাইট ডিরেকশানে ছবি আঁকার হাত পাকানো। আর তার থেকেও বড় কথা, প্রথম ও প্রধান বড় দায়িত্ব হওয়া উচিৎ সর্বপ্রথম সন্তানের মনকে তৈরী করার জন্য, পারফেক্ট করার জন্য অনুশীলনের শিক্ষা দেওয়া।
এই প্রফেট যারা তাঁদের যাতে অমর্যাদা না হয়, তাঁদের প্রতি অমর্যাদায় দারিদ্যব্যাধিগ্রস্ত না হ'য়ে ওঠে তাই মহানবী হজরত মহম্মদ তথাগতদের ছবি বা ফটো রাখা বারণ করেছেন। কারণ ভাঙাচোরা মানুষ, রিপুতাড়িত মানুষ, বৃত্তিপ্রবৃত্তিতে আকন্ঠ ডুবে থাকা মানুষ, কুসংস্কারাছন্ন মানুষ যাতে তাঁদের অমর্যাদাকর ছবিগুলি দেখে দেখে আপাদমস্তক নিজের জীবনে চরিত্রে অমর্যাদার বিষে বিষাক্ত হ'তে হ'তে, বিষাক্ত বিষে নীল হ'য়ে রাঙিয়ে উঠে প্রফেটদের প্রতি তাচ্ছিল্য বুদ্ধিযুক্ত হ'য়ে প্রফেটদের বলাগুলিকে আর জীবনে মেনে চলবে না। তাই পুরুষোত্তম পরমপিতা পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ কঠোরভাবে ছবি বা মূর্তির বিরুদ্ধে ব'লে গেছেন। তিনি প্রফেটদের ছবি বা মূর্তির বিরুদ্ধে ব'লে গেছেন তা' নয়। এটা ভুল প্রচার। বোঝার ভুল। প্রভু মহম্মদের ব'লে যাওয়া বাণীগুলিকে বোঝার ভুল ও ভুল interpretation বা ব্যাখ্যা। এ ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে কোনোদিন আমি ব্যাখ্যায় আসবো।
এ জন্যেই বলে জীবনে শ্রীশ্রীআচার্য্যের প্রয়োজন। আগে তো নিজেকে রাইট ডিরেকশানে পরিচালিত করি তারপর তো সন্তানকে তার জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে রাইট ডিরেকশান দিতে পারবো। নতুবা সব দীক্ষা শিক্ষা ইত্যাদি বকোয়াস। যে বকোয়াস শিক্ষা আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিতরা আমাদের শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন জীবনে গ্রহণ করে চলেছি এবং ঘরে বাইরে অন্যকেও ইঞ্জেক্ট ক'রে চলেছি।
আর, যারা আচার্য প্রথা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে মানে না, প্রতিদিন বিরুদ্ধতার রোলার চালিয়ে পোঙ্গাপন্ডিত সেজে বালখিল্য বস্তাপচা দুর্গন্ধযুক্ত ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থ, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার কথা ব'লে বিভ্রান্তির কূট বিষ ছড়িয়ে চলেছে সজ্ঞানে ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের কথা আর কি বলবো, সেটা সৎসঙ্গীদের সচেতনতার অভাব। সৎসঙ্গীদের নিজেদের চিনে নিতে প্রকৃত ইষ্টপ্রাণ ভক্তপ্রাণকে। পরম দয়ালের দরবারে বেকুবির কোনও জায়গা নেই। তা সে যতই সরলতা কপচাও।
আর যারা না জেনে, না বুঝে, না প'ড়ে, ঠাকুরের বিধি কিছু মাত্র পালন না ক'রে, নিজ চরিত্রে ফুটিয়ে না তুলে কেবলমাত্র মুখে মারিতং জগত ভন্ডামির ওপর দাঁড়িয়ে কথার স্রোতে ভেসে হাতে কলমে বিন্দুমাত্র কিছু না ক'রে শুধুমাত্র প্রশ্ন করার সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হ'য়ে লাফিয়ে লাফিয়ে প্রশ্ন থেকে প্রশ্নে দৌড়ে দৌড়ে বেড়ায় বকনা বাছুরের মত, কান নিয়ে গেছে শুনে কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছনে ছুটে যাওয়ার মত শুধু আচার্যপ্রথা ও আচার্যদেবের বিরুদ্ধে ব'লে চলেছেন তাদের শুধু বলবো যদি সত্যি সত্যিই আপনারা ঠাকুরকে ভালোবাসেন তাহ'লে আগে ঠাকুরের বলা মতো নিখুঁত চলায় চলার চেষ্টা করুন, তারপর শ্রদ্ধাকে জীবনের মূল কেন্দ্রে বসিয়ে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে আসুন, তাঁর সঙ্গে খোলামেলা প্রেম-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-সম্মান পূর্ণ অন্তরে কথা বলুন, আলোচনা করুন। তারপর আপনাদের যার যেটা ভালো লাগে করুন যে যেমন বুঝেছেন ঠাকুরকে সেই বোধ নিয়ে। কারণ কথায় আছে, শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম্।
আর আমরা? আমরা নিজেরাই ঠিক না। আমরা নিজেরাই এক একজন পোঙ্গাপন্ডিত।
( লেখা ১৩ই সেপ্টেম্বর'২০২৫ )
Wednesday, September 10, 2025
প্রবন্ধঃ পাহারাদার।
আমাদের পূজা আমরাই পাহারা দিবো। রাষ্ট্রীয় নিরপত্তার জন্য যদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আসেন তাহলে সাধুবাদ জানাবো, এছাড়া কোন অহিন্দু পূজার আঙ্গিনায় দেখতে চাই না।
এটা কি ধরণের কথা বললেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মহাশয়? বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হ'য়ে এই ধরণের আলটপকা বিতর্কিত মন্তব্য ক'রে মহাজোটকে মহাঘোটে পরিণত করা হ'লো না কি? সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধরণের আলটপকা আবেগ তাড়িত খোঁচা মারা অর্থহীন হালকা কথাবার্তার জন্য সমস্যা জর্জরিত আজ সব সম্প্রদায়ের মানুষ। কেন অহিন্দু পূজার আঙিনায় দেখতে চান না এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাই না? অহিন্দু বলতে কাদের কাদের বুঝিয়েছেন তিনি? এই ধরণের অসুস্থ কথাবার্তার জন্য কি প্রভাব পড়তে পারে আদৌ তা' জানা আছে? তার ওপর আবার বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে বালখিল্য ছেলেখেলা চলে না। একজনের একটা ভুল, অন্যায়, অগোছালো, ভিত্তিহীন, অপমানজনক মন্তব্যের জন্য অহিন্দুদের প্রতিক্রিয়া হ'তে পারে এবং তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে গোটা হিন্দু জাতটার ওপর। হিন্দুদের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব যখন কেউ নেবে তখন মুখে লাগাম লাগাতে হবে ও নিজের ধর্মের ও অন্য ধর্মের সবাইকে লাগাম লাগাতে অনুরোধ করতে হবে। কথায় আছে, আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখায়। নিজে আচরণ ক'রে অন্য সব সম্প্রদায়ের মানুষকে শেখাতে হবে কেমনভাবে আচরণ করতে হবে, কেমনভাবে কথা বলতে হবে। যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্পষ্টবাদী হন কিন্তু মিষ্টভাষী হন। তবেই সাধারণ মানুষ তা' সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক বা খ্রীষ্টান-বৌদ্ধ যে সম্প্রদায়েরই হ'ক না কেন মানুষ আপনাকে মানবে, শ্রদ্ধা, সম্মান করবে। তবেই সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে সম্প্রীতি অটুট থাকবে। নতুবা সব বকোয়াস।
এই কথা বলার জন্য আমাকে বলা হ'লো আমি যেন বেশী মাতব্বরি না দেখায়, তা' না হ'লে আমাকেও ওরা অ্যাটাক করবে, ওদের থেকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমেন্ট বক্সে।
এই হ'লো তথাকথিত হিন্দুদের সমস্যা। এখানে 'মাতব্বরি' শব্দ ব্যবহার ক'রে আমাকে অকারণ অপমান করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা হ'লো না এবং হিন্দুদের মধ্যে যে ঐক্য নেই সেটা প্রকাশ্যে প্রমাণ হ'লো। শুধু মুখে মারিতং জগত। কেউ ভুল কথা ব'লে সমস্যার সৃষ্টি করলে সেই ভুল তাকে ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথে শুধরে দেওয়ার যে শিক্ষা সেই শিক্ষা যে দেয় সে পরম হিতাকাঙ্ক্ষী। বর্তমানে সেই হিতাকাঙ্ক্ষী তো নেই শুধু সমস্যাকে আরও জটিল ক'রে আগুন জ্বালানোতে ওস্তাদ সবাই। আমার মাতব্বরি কি দেখলেন? আমি হিন্দু হ'য়ে আমার একজন হিন্দু ভাই যদি ভুল কথা বলে, ভুল পদক্ষেপ নেয় আর তার ফল যদি সমগ্র হিন্দু সমাজকে বইতে হয় সে ক্ষেত্রে সচেতন হিন্দু হিসেবে আমার আপনার সবার একটা গুরুদায়িত্ব আছে তাকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু এখানে উল্টোটা করা হ'লো। আমাকেই খামোকা কথার খোঁচা দিয়ে অপমান করা হ'লো যা সবাই ফেসবুকে দেখেছে।
আর, অ্যাটাক যদি করে কারা করবে? অ্যাটাকের পাল্টা অ্যাটাক করার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহ'লে আলটপকা কথা ব'লে সমস্যা সৃষ্টি করা কেন? আর, যদি পাল্টা অ্যাটাক করার ক্ষমতা থাকেও তাহ'লেও সমস্যার জন্ম দিতে পারে এমন আলটপকা অনুচিত, অন্যায়, ভুল কথা দায়িত্বশীল পদে বসে বলবো কেন? কেন সতর্ক থাকবো না? আমি যে পদের দায়িত্ব নিয়েছি সেই দায়িত্ব কথাবার্তা, চালচলনে কেন সঠিকভাবে পালন করবো না। আমার মাথার ওপর যদি সমাজের কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে থাকে মানুষ তাহ'লে তাদের রক্ষা করার সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব আমার।
আর, আমার পরিবার আমার ভুল কথা, ভুল চলনের জন্য যেমন ধ্বংস হ'য়ে যায় ঠিক তেমনি আমি যদি সমাজে কোনও দায়িত্বশীল পদে বসে থাকি তখন আমার সমাজের মঙ্গলের কথা, সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কথা বলতে হবে, নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। নইলে ব্যক্তি, সমষ্টি, সমাজ, দেশ ধ্বংস হ'য়ে যাবে। যা আজ চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুধুমাত্র দূরদৃষ্টির অভাবে আলটপকা বেহিসেবি কথা বলার জন্যে। তাহ'লে এ আমি কেমন পাহারাদার!
তাই হে পারারাদার, কাউকেই কারও থেকে সাবধান হ'তে হবে না। আমি নিজেই নিজের ভয়ের কারণ, নিজেই নিজের যম। আমার নিজের থেকে আমাকেই সাবধানে থাকতে হবে। নতুবা ধ্বংস অনিবার্য।
আমার মতামত জানালাম গ্রহণ করতে পারে কিংবা বর্জনও করতে পারে পাঠকবর্গ। সবাই ভালো থাকবেন।
( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
এটা কি ধরণের কথা বললেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মহাশয়? বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হ'য়ে এই ধরণের আলটপকা বিতর্কিত মন্তব্য ক'রে মহাজোটকে মহাঘোটে পরিণত করা হ'লো না কি? সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধরণের আলটপকা আবেগ তাড়িত খোঁচা মারা অর্থহীন হালকা কথাবার্তার জন্য সমস্যা জর্জরিত আজ সব সম্প্রদায়ের মানুষ। কেন অহিন্দু পূজার আঙিনায় দেখতে চান না এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাই না? অহিন্দু বলতে কাদের কাদের বুঝিয়েছেন তিনি? এই ধরণের অসুস্থ কথাবার্তার জন্য কি প্রভাব পড়তে পারে আদৌ তা' জানা আছে? তার ওপর আবার বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে বালখিল্য ছেলেখেলা চলে না। একজনের একটা ভুল, অন্যায়, অগোছালো, ভিত্তিহীন, অপমানজনক মন্তব্যের জন্য অহিন্দুদের প্রতিক্রিয়া হ'তে পারে এবং তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে গোটা হিন্দু জাতটার ওপর। হিন্দুদের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট-কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব যখন কেউ নেবে তখন মুখে লাগাম লাগাতে হবে ও নিজের ধর্মের ও অন্য ধর্মের সবাইকে লাগাম লাগাতে অনুরোধ করতে হবে। কথায় আছে, আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখায়। নিজে আচরণ ক'রে অন্য সব সম্প্রদায়ের মানুষকে শেখাতে হবে কেমনভাবে আচরণ করতে হবে, কেমনভাবে কথা বলতে হবে। যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্পষ্টবাদী হন কিন্তু মিষ্টভাষী হন। তবেই সাধারণ মানুষ তা' সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক বা খ্রীষ্টান-বৌদ্ধ যে সম্প্রদায়েরই হ'ক না কেন মানুষ আপনাকে মানবে, শ্রদ্ধা, সম্মান করবে। তবেই সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে সম্প্রীতি অটুট থাকবে। নতুবা সব বকোয়াস।
এই কথা বলার জন্য আমাকে বলা হ'লো আমি যেন বেশী মাতব্বরি না দেখায়, তা' না হ'লে আমাকেও ওরা অ্যাটাক করবে, ওদের থেকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমেন্ট বক্সে।
এই হ'লো তথাকথিত হিন্দুদের সমস্যা। এখানে 'মাতব্বরি' শব্দ ব্যবহার ক'রে আমাকে অকারণ অপমান করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা হ'লো না এবং হিন্দুদের মধ্যে যে ঐক্য নেই সেটা প্রকাশ্যে প্রমাণ হ'লো। শুধু মুখে মারিতং জগত। কেউ ভুল কথা ব'লে সমস্যার সৃষ্টি করলে সেই ভুল তাকে ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথে শুধরে দেওয়ার যে শিক্ষা সেই শিক্ষা যে দেয় সে পরম হিতাকাঙ্ক্ষী। বর্তমানে সেই হিতাকাঙ্ক্ষী তো নেই শুধু সমস্যাকে আরও জটিল ক'রে আগুন জ্বালানোতে ওস্তাদ সবাই। আমার মাতব্বরি কি দেখলেন? আমি হিন্দু হ'য়ে আমার একজন হিন্দু ভাই যদি ভুল কথা বলে, ভুল পদক্ষেপ নেয় আর তার ফল যদি সমগ্র হিন্দু সমাজকে বইতে হয় সে ক্ষেত্রে সচেতন হিন্দু হিসেবে আমার আপনার সবার একটা গুরুদায়িত্ব আছে তাকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু এখানে উল্টোটা করা হ'লো। আমাকেই খামোকা কথার খোঁচা দিয়ে অপমান করা হ'লো যা সবাই ফেসবুকে দেখেছে।
আর, অ্যাটাক যদি করে কারা করবে? অ্যাটাকের পাল্টা অ্যাটাক করার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহ'লে আলটপকা কথা ব'লে সমস্যা সৃষ্টি করা কেন? আর, যদি পাল্টা অ্যাটাক করার ক্ষমতা থাকেও তাহ'লেও সমস্যার জন্ম দিতে পারে এমন আলটপকা অনুচিত, অন্যায়, ভুল কথা দায়িত্বশীল পদে বসে বলবো কেন? কেন সতর্ক থাকবো না? আমি যে পদের দায়িত্ব নিয়েছি সেই দায়িত্ব কথাবার্তা, চালচলনে কেন সঠিকভাবে পালন করবো না। আমার মাথার ওপর যদি সমাজের কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে থাকে মানুষ তাহ'লে তাদের রক্ষা করার সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব আমার।
আর, আমার পরিবার আমার ভুল কথা, ভুল চলনের জন্য যেমন ধ্বংস হ'য়ে যায় ঠিক তেমনি আমি যদি সমাজে কোনও দায়িত্বশীল পদে বসে থাকি তখন আমার সমাজের মঙ্গলের কথা, সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কথা বলতে হবে, নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। নইলে ব্যক্তি, সমষ্টি, সমাজ, দেশ ধ্বংস হ'য়ে যাবে। যা আজ চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুধুমাত্র দূরদৃষ্টির অভাবে আলটপকা বেহিসেবি কথা বলার জন্যে। তাহ'লে এ আমি কেমন পাহারাদার!
তাই হে পারারাদার, কাউকেই কারও থেকে সাবধান হ'তে হবে না। আমি নিজেই নিজের ভয়ের কারণ, নিজেই নিজের যম। আমার নিজের থেকে আমাকেই সাবধানে থাকতে হবে। নতুবা ধ্বংস অনিবার্য।
আমার মতামত জানালাম গ্রহণ করতে পারে কিংবা বর্জনও করতে পারে পাঠকবর্গ। সবাই ভালো থাকবেন।
( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
প্রবন্ধঃ গোলামীর সম্পর্ক!?
যদি এইটা স্বামী বিবেকানন্দের বাণী হয় তাহ'লে কি বিবেকানন্দ ভুল কথা বলেছিলেন? ভুল বার্তা ছড়িয়েছিলেন?
যে জব করে সে তার বসের গোলাম হবে কেন? সে তার বসের সাহায্যকারী। বিয়ে করা মানে একে অপরের গোলাম হওয়া? একে অপরের গোলামী করা? স্ত্রী স্বামীর গোলাম? স্বামী স্ত্রীর গোলাম? তাহ'লে স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরের চাকর হয় তাহ'লে তাদের সন্তান কি হবে? চাকরের চাকর? গোলামের গোলাম। স্বামীস্ত্রী বা পিতামাতার পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্পর্ক চাকর আর চাকরানীর ওপর দাঁড়িয়ে থাকে তাহ'লে সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সম্পর্ক কি হবে? সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার কোনও পবিত্র সম্পর্কই তাহ'লে নেই?
এই মনোভাব, এই অশিক্ষা, কুশিক্ষার জন্যই আজ পৃথিবীটা নরকে পরিণত হয়েছে আর এই জন্যেই বলে কলিযুগ। এই শিক্ষা কলিযুগের শিক্ষা, চেতনা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি।
এই কারণেই বিয়ে বা বিবাহের মধ্যে যখন একজন নারী বা একজন পুরুষ স্বামীস্ত্রী সম্পর্কে জড়িত হয় তখন তাদের উভয়ের জীবনে, চরিত্রের মধ্যে যখন সেই বিয়ে বা স্বামীস্ত্রী শব্দের অন্তর্নিহিত শব্দের প্রতিফলন দেখা যায় না, কোনও স্মেল পাওয়া যায় না তখন নারীপুরুষ নামমাত্র লোকদেখানো তথাকথিত বিবাহ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পরস্পর পরস্পরের গোলাম হয় ও সারাজীবন যন্ত্রণাদায়ক অসম্মানজনক গোলামীর বোঝা ব'য়ে বেড়ায়।
বিয়ে বা বিবাহ মানে বিশেষ ভাবে বহন করা অর্থাৎ নারীপুরুষ স্বাধীনভাবে উভয়ে উভয়কেই নিজের নিজের বৈশিষ্ট্যের ওপর দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রয়োজন বুঝে বিশেষভাবে বহন করবে। এখানেই নিহিত আছে প্রকৃত স্বাধীনতা। তখন সেখানে গোলাম বা গোলামী থাকে না। আর যেখানে তা' হয় না, সেখানে তা সে ঘরে-বাইরে যেখানেই হ'ক গোলামীর সম্পর্কই ডেভালাপ করে।
অতীতে সেই জন্যই ছিল বর্ণাশ্রম প্রথা যেখান থেকে নারীপুরুষ উভয়েই জীবনের চারটে ধাপ একে একে প্রশিক্ষিত হ'তে হ'তে পার হয়। প্রতিটি ধাপে পরের ধাপে প্রবেশের ও চলার শিক্ষা লাভ করে। তখন গোলাম বা গোলামী ব্যাপারটা আর থাকে না। নারীপুরুষ উভয়ের পরস্পরের মধ্যে একটা সম্মানজনক পবিত্র দূরত্ব ও সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকে।
গোলাম মানে দাস বা চাকর আর গোলামী মানে দাসত্ব বা চাকরত্ব। আমরা নারীপুরুষ সবাই একমাত্র দয়াল প্রভুর দাস, দয়াল প্রভুর গোলাম বা চাকর। দয়াল প্রভু যা বলবেন তাই-ই আমরা করবো মুখ বুজে, বিনা আপত্তিতে, বিনা ওজরে বরং পরম আনন্দে। কারণ একমাত্র তিনিই জানেন আমার কি দরকার আর কি দরকার না, কিসে আমার মঙ্গল আর কিসে আমার মঙ্গল না। একেই বলে প্রকৃত গোলাম ও গোলামির চরিত্র।
এই কথাটাই পরমপুরুষ পরমপ্রেময় শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের পরম শিষ্য শ্রীশ্রীস্বামী বিবেকানন্দ বলতে চেয়েছিলেন।
( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )।
যে জব করে সে তার বসের গোলাম হবে কেন? সে তার বসের সাহায্যকারী। বিয়ে করা মানে একে অপরের গোলাম হওয়া? একে অপরের গোলামী করা? স্ত্রী স্বামীর গোলাম? স্বামী স্ত্রীর গোলাম? তাহ'লে স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরের চাকর হয় তাহ'লে তাদের সন্তান কি হবে? চাকরের চাকর? গোলামের গোলাম। স্বামীস্ত্রী বা পিতামাতার পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্পর্ক চাকর আর চাকরানীর ওপর দাঁড়িয়ে থাকে তাহ'লে সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সম্পর্ক কি হবে? সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার কোনও পবিত্র সম্পর্কই তাহ'লে নেই?
এই মনোভাব, এই অশিক্ষা, কুশিক্ষার জন্যই আজ পৃথিবীটা নরকে পরিণত হয়েছে আর এই জন্যেই বলে কলিযুগ। এই শিক্ষা কলিযুগের শিক্ষা, চেতনা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি।
এই কারণেই বিয়ে বা বিবাহের মধ্যে যখন একজন নারী বা একজন পুরুষ স্বামীস্ত্রী সম্পর্কে জড়িত হয় তখন তাদের উভয়ের জীবনে, চরিত্রের মধ্যে যখন সেই বিয়ে বা স্বামীস্ত্রী শব্দের অন্তর্নিহিত শব্দের প্রতিফলন দেখা যায় না, কোনও স্মেল পাওয়া যায় না তখন নারীপুরুষ নামমাত্র লোকদেখানো তথাকথিত বিবাহ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পরস্পর পরস্পরের গোলাম হয় ও সারাজীবন যন্ত্রণাদায়ক অসম্মানজনক গোলামীর বোঝা ব'য়ে বেড়ায়।
বিয়ে বা বিবাহ মানে বিশেষ ভাবে বহন করা অর্থাৎ নারীপুরুষ স্বাধীনভাবে উভয়ে উভয়কেই নিজের নিজের বৈশিষ্ট্যের ওপর দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রয়োজন বুঝে বিশেষভাবে বহন করবে। এখানেই নিহিত আছে প্রকৃত স্বাধীনতা। তখন সেখানে গোলাম বা গোলামী থাকে না। আর যেখানে তা' হয় না, সেখানে তা সে ঘরে-বাইরে যেখানেই হ'ক গোলামীর সম্পর্কই ডেভালাপ করে।
অতীতে সেই জন্যই ছিল বর্ণাশ্রম প্রথা যেখান থেকে নারীপুরুষ উভয়েই জীবনের চারটে ধাপ একে একে প্রশিক্ষিত হ'তে হ'তে পার হয়। প্রতিটি ধাপে পরের ধাপে প্রবেশের ও চলার শিক্ষা লাভ করে। তখন গোলাম বা গোলামী ব্যাপারটা আর থাকে না। নারীপুরুষ উভয়ের পরস্পরের মধ্যে একটা সম্মানজনক পবিত্র দূরত্ব ও সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকে।
গোলাম মানে দাস বা চাকর আর গোলামী মানে দাসত্ব বা চাকরত্ব। আমরা নারীপুরুষ সবাই একমাত্র দয়াল প্রভুর দাস, দয়াল প্রভুর গোলাম বা চাকর। দয়াল প্রভু যা বলবেন তাই-ই আমরা করবো মুখ বুজে, বিনা আপত্তিতে, বিনা ওজরে বরং পরম আনন্দে। কারণ একমাত্র তিনিই জানেন আমার কি দরকার আর কি দরকার না, কিসে আমার মঙ্গল আর কিসে আমার মঙ্গল না। একেই বলে প্রকৃত গোলাম ও গোলামির চরিত্র।
এই কথাটাই পরমপুরুষ পরমপ্রেময় শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের পরম শিষ্য শ্রীশ্রীস্বামী বিবেকানন্দ বলতে চেয়েছিলেন।
( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )।
প্রবন্ধঃ জানতে চাই।
১) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি" গানে কোন দেশের কথা বলা হয়েছে? বাংলাদেশের? নাকি ভারতের? যদি ভারতের হ'য়ে থাকে তাহ'লে বিবেচিত হয় কি ক'রে? কোন যুক্তিতে? আর, বিবেচিত হয়েছে বলেই মেনে নিতে হবে এটা মান্যতা পাবে বা এখানে হিন্দু-মুসলমানের গন্ধ নাই?
২) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানে ভায়ের মায়ের মিষ্টি মধুর স্নেহের কথা বলা হয়েছে তা' আমরা কি সেই মিষ্টি মধুর স্নেহের গন্ধ আর পাই দুই দেশের ভায়ের আর মায়েদের মধ্যে?
৩) আমরা গত কয়েকদিন ধ'রে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকের নানা বিকৃত পোষ্টে, কমেন্ট বক্সে যে অপমান, অশ্রদ্ধা, অপবাদ, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, গালাগালি, কুৎসা, চরিত্রহনন, সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ইত্যাদি করার মধ্যে দিয়ে যে ঘৃণা ঝ'রে পড়তে দেখলাম বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানকারী, সাম্প্রতিক পট পরিবর্তনের সমর্থক তামাম ছাত্রছাত্রী, আম নাগরিকের মধ্যে তা' থেকে কি প্রমাণ হয় না রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বলেই তার বিরুদ্ধে এত জনরোষ?
৪) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানটি অখন্ড বাংলাকে নিয়ে লেখা হয়েছে ব'লে সেই গানটি একটি সম্পূর্ণ বাংলাভাষী দেশের জাতীয় সঙ্গীত হ'তে পারবে না? এ তো অদ্ভুত যুক্তি? জোর ক'রে বলপ্রয়োগে হাঁ-কে না করানো আর না-কে হাঁ করানোর মত সমতুল্য ব্যাপার হ'য়ে দাঁড়ালো?
৫) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আর বাঙালী জাতীয়তাবাদ নিয়েও কথা উঠে গেল? এ তো অদ্ভুত এক ভাঙনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে-মনে-আত্মায় যে নোংরা দূষিত মনের বিষ ছড়িয়ে গেছিল ব্রিটিশ ডিভাইড এন্ড রুল ভাঙ্গন তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষকে। আর, তার ট্রাডিশান ব'য়ে চলেছে দেশভাগের ৭৮ বছর পরেও দেশ ভাগ ক'রে। ব্রিটিশ ও তৎকালীন দেশনেতৃবৃন্দ বুঝিয়েছিল দেশ ভাগ করার মধ্যে দিয়ে হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু তা যে হবে না বরং উল্টো হবে, দেশ ভাগ করার মধ্যে দিয়ে তা দিয়ে দিয়ে শত্রুতার যে ডিম ফোটানোই হবে তা আজ সত্য হ'লো। আজ বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি আবারো আরও একবার এই সত্য প্রমাণ করলো।
৬) একটা মিষ্টি সুন্দর গান যে গানের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইনের মধ্যে বাংলাদেশের মাটি, জল, বায়ু, ফল, ঘর, হাট, বন, মাঠ এবং বাঙ্গালীর পণ, আশা, কাজ, ভাষা, প্রাণ, মন, ভাইবোন ইত্যাদির নিবিড় গন্ধ পাওয়া যায়, যে বাংলাদেশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বজুড়ে আকাশে বাতাসে সেই গানের মধ্যে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ফুটে ওঠে না!? এই গান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে? সত্য তায়েব উর রহমান! কি অদ্ভুত এক যুক্তি! কি বিচিত্র এই বাঙালি!!
৭) রবীন্দ্রনাথ ভারতভাগের বিরোধীতা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বাংলাভাগের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন। কেন করেছিলেন? কারণ তিনি বাঙালীদের মধ্যে ভাঙ্গন হ'ক চাননি। তিনি চেয়েছিলেন বাঙালীর ঐক্য, বাঙ্গালীর সম্প্রীতি অটুট থাকুক, বাঙালী মিলেমিশে থাকুক, সেখানে তিনি হিন্দু মুসলমান দেখেননি, তিনি দেখেছিলেন বাঙালি, বাঙালি, বাঙালি। তাই তিনি বাংলা ভাগকে আটকাতে পথে নেমেছিলেন। সেটা অন্যায় করেছিলেন? তখন তো আপনারা, আপনাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানের অংশ হ'তে চেয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশ কোথায় ছিল? জোর ক'রে অযৌক্তিকভাবে ভুলকে ঠিক, মিথ্যেকে সত্যি প্রমাণ করতে সব গুলিয়ে ফেলছেন? ১৯০৫ সালে বাংলাদেশ কোথায় ছিল? তখন তো আপনি, আপনারা জন্মাননি। তখন ভাঙনের বিষ তো এত তীব্র ছিল না। তাই হিন্দু মুসলমান বাঙালি মানুষ নির্বিশেষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। আর, আজ সেই ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষটাকে শয়তান রূপে বাংলাদেশ বিরোধী ব'লে তুলে ধরছেন? ঐক্যের পক্ষে, মিলনের পক্ষে, গড়ার লক্ষ্যে, সর্বনাশা ভাঙনের হাত থেকে ঐক্যবদ্ধ বাংলাকে অটুট রাখাটা রবীন্দ্রনাথের অপরাধ ছিল? এর পরেও ভাঙ্গনের মন্ত্রে দীক্ষিত হ'য়ে আবার অখন্ড বাংলার স্বপ্ন দেখেন?
৮) বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা মানেই বাংলাদেশের বিরোধীতা তাও আজ থেকে ১১৯ বছর আগে? বাংলাদেশ তো দূরের কথা পাকিস্তান রাষ্ট্রের কোনও সম্ভবনা ছিল না তখন। এর থেকে প্রমাণ হয়, তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ ও আসামের লেফটেনান্ট গভর্নর ব্যাম্পফিল্ড ফুলার বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এবং সাম্প্রদায়িকতার যে ভয়ংকর বিষ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করেন সেটা সঠিক ছিল। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা শুনে পূর্ব বঙ্গের মুসলিমরা, বিশেষ করে অভিজাত ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় হতাশ হয়ে পড়ে ও প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
যা আজও আপনারা ব'য়ে চলেছেন। আর, এই জাতীয় সঙ্গীত বিরোধীতাকে আপনারা স্বাভাবিক ঘটনা বলছেন। বাঃ! চমৎকার মানসিকতা। তাহ'লে সরাসরি হিন্দু বিরোধীতার তাস খেললেই হয়। সরাসরি হিন্দু-মুসলমান আলাদা হওয়ার দাবী তুললেই সব সমস্যার সমাধান হওয়ার একটা রাস্তা খুলে যায়। তাই-ই হ'ক আর রবীন্দ্রনাথ হ'ক বাতিল।
৯) আপনি জাতীয় সঙ্গীতের ভূমিকা নিয়ে কথা তুলেছেন। সঙ্গে বলেছেন, এই গানে স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনও কথা নেই। এই গান সংকট বা দূর্দিনে আপনাদের জাগিয়ে রাখতে অক্ষম। আরো বলেছেন, এই গানের পরিবর্তে "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি" কিংবা "মুক্তির মন্দির সোপান তলে" গানগুলো আপনাদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
আপনাকে আমার জিজ্ঞাস্যঃ
**এবার বলি,
**"মুক্তির মন্দির সোপান তলে" গানের কথাগুলি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময়ের গান। 'আমার সোনার বাংলা' অখন্ড ভারতের অখন্ড বাংলায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধ সময়ের গান ছিল ব'লে জাতীয় সঙ্গীত হ'তে পারবে না তাহ'লে কোন যুক্তিতে অখন্ড ভারতের সময়ের গান "মুক্তির মন্দির সোপান তলে" আপনাদের জাতীয় সঙ্গীত ব'লে গ্রহণযোগ্য হবে?
*** যে গানগুলো আপনাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে সাহায্য করে সেই দেশটা সম্পর্কে আপনার জানা আছে? সেই দেশটা সম্পর্কে তীব্র ভালোবাসা জন্মালে পরে তবেই কোনও গান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে সাহায্য করে নতুবা করে না। আপনার দেশের ভৌগলিক অবস্থান, আয়তন, গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া, আকাশ, বাতাস, মাঠ, ঘাট, পুকুর, নদনদী, লোকসংখ্যা, বাংলাদেশের মাটি, জল, বায়ু, ফল, বাংলাদেশের ঘর, হাট, বন, মাঠ এবং বাঙ্গালীর পণ, আশা, কাজ, ভাষা, বাঙ্গালীর প্রাণ, মন, ভাইবোন ইত্যাদি সমস্ত কিছুর সঙ্গে আত্মিক একটা যোগসূত্র রচিত হয়, তীব্র ভালোবাসা জন্মায় এমন গান আগে শুনুন তারপর না হয় দেশপ্রেম জাগাবেন, তারপর নাহয় মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াবেন।
১০) প্রতিদিন প্রতিনিয়তই আপনাদের একেকজন এক একরকমভাবে ধর্মীয় বাণীর ব্যাখ্যা করছে সেটা আপনি ভালোভাবেই জানেন, তাই আজ সারা পৃথিবী জুড়ে ধর্ম নিয়ে হানাহানি।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতেই পারেন কিন্তু তার জন্য এত বাহানা, এত অজুহাত, এত সমালোচনা, এত নিন্দা, এত অপবাদ, অপমান, অশ্রদ্ধা, কুৎসা, গালাগালি, তাঁর মূর্তি ভাঙ্গা, তাঁকে চোর আখ্যা দেওয়া, অত্যাচারী জমিদার বলা, তাঁর ছবির চারপাশে আরও নানারকম মিথ্যা, ঘৃণ্য অপবাদের মালা সাজিয়ে তাঁর ছবি পোষ্ট করা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করার কি কোনও প্রয়োজন ছিল। এতে কাদের মাথা নীচু হ'লো বিশ্বে ইতিহাসের বুকে যা সাক্ষী হ'য়ে থাকবে?
আমার কথা জানালাম। গ্রহণ করতে পারেন ও বর্জনও করতে পারেন। ( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
২) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানে ভায়ের মায়ের মিষ্টি মধুর স্নেহের কথা বলা হয়েছে তা' আমরা কি সেই মিষ্টি মধুর স্নেহের গন্ধ আর পাই দুই দেশের ভায়ের আর মায়েদের মধ্যে?
৩) আমরা গত কয়েকদিন ধ'রে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকের নানা বিকৃত পোষ্টে, কমেন্ট বক্সে যে অপমান, অশ্রদ্ধা, অপবাদ, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, গালাগালি, কুৎসা, চরিত্রহনন, সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ইত্যাদি করার মধ্যে দিয়ে যে ঘৃণা ঝ'রে পড়তে দেখলাম বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানকারী, সাম্প্রতিক পট পরিবর্তনের সমর্থক তামাম ছাত্রছাত্রী, আম নাগরিকের মধ্যে তা' থেকে কি প্রমাণ হয় না রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বলেই তার বিরুদ্ধে এত জনরোষ?
৪) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানটি অখন্ড বাংলাকে নিয়ে লেখা হয়েছে ব'লে সেই গানটি একটি সম্পূর্ণ বাংলাভাষী দেশের জাতীয় সঙ্গীত হ'তে পারবে না? এ তো অদ্ভুত যুক্তি? জোর ক'রে বলপ্রয়োগে হাঁ-কে না করানো আর না-কে হাঁ করানোর মত সমতুল্য ব্যাপার হ'য়ে দাঁড়ালো?
৫) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আর বাঙালী জাতীয়তাবাদ নিয়েও কথা উঠে গেল? এ তো অদ্ভুত এক ভাঙনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে-মনে-আত্মায় যে নোংরা দূষিত মনের বিষ ছড়িয়ে গেছিল ব্রিটিশ ডিভাইড এন্ড রুল ভাঙ্গন তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষকে। আর, তার ট্রাডিশান ব'য়ে চলেছে দেশভাগের ৭৮ বছর পরেও দেশ ভাগ ক'রে। ব্রিটিশ ও তৎকালীন দেশনেতৃবৃন্দ বুঝিয়েছিল দেশ ভাগ করার মধ্যে দিয়ে হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু তা যে হবে না বরং উল্টো হবে, দেশ ভাগ করার মধ্যে দিয়ে তা দিয়ে দিয়ে শত্রুতার যে ডিম ফোটানোই হবে তা আজ সত্য হ'লো। আজ বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি আবারো আরও একবার এই সত্য প্রমাণ করলো।
৬) একটা মিষ্টি সুন্দর গান যে গানের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইনের মধ্যে বাংলাদেশের মাটি, জল, বায়ু, ফল, ঘর, হাট, বন, মাঠ এবং বাঙ্গালীর পণ, আশা, কাজ, ভাষা, প্রাণ, মন, ভাইবোন ইত্যাদির নিবিড় গন্ধ পাওয়া যায়, যে বাংলাদেশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বজুড়ে আকাশে বাতাসে সেই গানের মধ্যে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ফুটে ওঠে না!? এই গান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে? সত্য তায়েব উর রহমান! কি অদ্ভুত এক যুক্তি! কি বিচিত্র এই বাঙালি!!
৭) রবীন্দ্রনাথ ভারতভাগের বিরোধীতা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বাংলাভাগের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন। কেন করেছিলেন? কারণ তিনি বাঙালীদের মধ্যে ভাঙ্গন হ'ক চাননি। তিনি চেয়েছিলেন বাঙালীর ঐক্য, বাঙ্গালীর সম্প্রীতি অটুট থাকুক, বাঙালী মিলেমিশে থাকুক, সেখানে তিনি হিন্দু মুসলমান দেখেননি, তিনি দেখেছিলেন বাঙালি, বাঙালি, বাঙালি। তাই তিনি বাংলা ভাগকে আটকাতে পথে নেমেছিলেন। সেটা অন্যায় করেছিলেন? তখন তো আপনারা, আপনাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানের অংশ হ'তে চেয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশ কোথায় ছিল? জোর ক'রে অযৌক্তিকভাবে ভুলকে ঠিক, মিথ্যেকে সত্যি প্রমাণ করতে সব গুলিয়ে ফেলছেন? ১৯০৫ সালে বাংলাদেশ কোথায় ছিল? তখন তো আপনি, আপনারা জন্মাননি। তখন ভাঙনের বিষ তো এত তীব্র ছিল না। তাই হিন্দু মুসলমান বাঙালি মানুষ নির্বিশেষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। আর, আজ সেই ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষটাকে শয়তান রূপে বাংলাদেশ বিরোধী ব'লে তুলে ধরছেন? ঐক্যের পক্ষে, মিলনের পক্ষে, গড়ার লক্ষ্যে, সর্বনাশা ভাঙনের হাত থেকে ঐক্যবদ্ধ বাংলাকে অটুট রাখাটা রবীন্দ্রনাথের অপরাধ ছিল? এর পরেও ভাঙ্গনের মন্ত্রে দীক্ষিত হ'য়ে আবার অখন্ড বাংলার স্বপ্ন দেখেন?
৮) বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা মানেই বাংলাদেশের বিরোধীতা তাও আজ থেকে ১১৯ বছর আগে? বাংলাদেশ তো দূরের কথা পাকিস্তান রাষ্ট্রের কোনও সম্ভবনা ছিল না তখন। এর থেকে প্রমাণ হয়, তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ ও আসামের লেফটেনান্ট গভর্নর ব্যাম্পফিল্ড ফুলার বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এবং সাম্প্রদায়িকতার যে ভয়ংকর বিষ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করেন সেটা সঠিক ছিল। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা শুনে পূর্ব বঙ্গের মুসলিমরা, বিশেষ করে অভিজাত ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় হতাশ হয়ে পড়ে ও প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
যা আজও আপনারা ব'য়ে চলেছেন। আর, এই জাতীয় সঙ্গীত বিরোধীতাকে আপনারা স্বাভাবিক ঘটনা বলছেন। বাঃ! চমৎকার মানসিকতা। তাহ'লে সরাসরি হিন্দু বিরোধীতার তাস খেললেই হয়। সরাসরি হিন্দু-মুসলমান আলাদা হওয়ার দাবী তুললেই সব সমস্যার সমাধান হওয়ার একটা রাস্তা খুলে যায়। তাই-ই হ'ক আর রবীন্দ্রনাথ হ'ক বাতিল।
৯) আপনি জাতীয় সঙ্গীতের ভূমিকা নিয়ে কথা তুলেছেন। সঙ্গে বলেছেন, এই গানে স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনও কথা নেই। এই গান সংকট বা দূর্দিনে আপনাদের জাগিয়ে রাখতে অক্ষম। আরো বলেছেন, এই গানের পরিবর্তে "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি" কিংবা "মুক্তির মন্দির সোপান তলে" গানগুলো আপনাদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
আপনাকে আমার জিজ্ঞাস্যঃ
**এবার বলি,
**"মুক্তির মন্দির সোপান তলে" গানের কথাগুলি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময়ের গান। 'আমার সোনার বাংলা' অখন্ড ভারতের অখন্ড বাংলায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধ সময়ের গান ছিল ব'লে জাতীয় সঙ্গীত হ'তে পারবে না তাহ'লে কোন যুক্তিতে অখন্ড ভারতের সময়ের গান "মুক্তির মন্দির সোপান তলে" আপনাদের জাতীয় সঙ্গীত ব'লে গ্রহণযোগ্য হবে?
*** যে গানগুলো আপনাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে সাহায্য করে সেই দেশটা সম্পর্কে আপনার জানা আছে? সেই দেশটা সম্পর্কে তীব্র ভালোবাসা জন্মালে পরে তবেই কোনও গান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে সাহায্য করে নতুবা করে না। আপনার দেশের ভৌগলিক অবস্থান, আয়তন, গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া, আকাশ, বাতাস, মাঠ, ঘাট, পুকুর, নদনদী, লোকসংখ্যা, বাংলাদেশের মাটি, জল, বায়ু, ফল, বাংলাদেশের ঘর, হাট, বন, মাঠ এবং বাঙ্গালীর পণ, আশা, কাজ, ভাষা, বাঙ্গালীর প্রাণ, মন, ভাইবোন ইত্যাদি সমস্ত কিছুর সঙ্গে আত্মিক একটা যোগসূত্র রচিত হয়, তীব্র ভালোবাসা জন্মায় এমন গান আগে শুনুন তারপর না হয় দেশপ্রেম জাগাবেন, তারপর নাহয় মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াবেন।
১০) প্রতিদিন প্রতিনিয়তই আপনাদের একেকজন এক একরকমভাবে ধর্মীয় বাণীর ব্যাখ্যা করছে সেটা আপনি ভালোভাবেই জানেন, তাই আজ সারা পৃথিবী জুড়ে ধর্ম নিয়ে হানাহানি।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতেই পারেন কিন্তু তার জন্য এত বাহানা, এত অজুহাত, এত সমালোচনা, এত নিন্দা, এত অপবাদ, অপমান, অশ্রদ্ধা, কুৎসা, গালাগালি, তাঁর মূর্তি ভাঙ্গা, তাঁকে চোর আখ্যা দেওয়া, অত্যাচারী জমিদার বলা, তাঁর ছবির চারপাশে আরও নানারকম মিথ্যা, ঘৃণ্য অপবাদের মালা সাজিয়ে তাঁর ছবি পোষ্ট করা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করার কি কোনও প্রয়োজন ছিল। এতে কাদের মাথা নীচু হ'লো বিশ্বে ইতিহাসের বুকে যা সাক্ষী হ'য়ে থাকবে?
আমার কথা জানালাম। গ্রহণ করতে পারেন ও বর্জনও করতে পারেন। ( লেখা ১১ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
প্রবন্ধঃ মনুষ্যত্ব আজ তলানিতে।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা তোমায় ভালোবাসি' নিয়ে এবং গানের রচয়িতাকে নিয়ে এতটা নীচে নামতে পারে বাংলাদেশের সম্প্রতি অবৈধ উপায়ে পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনকারী ছাত্র, নাগরিক সমাজ তা ভাবলে অবাক হ'য়ে যাই, মনে প্রশ্ন জাগে, এ আমরা কোন পৃথিবীতে আছি?
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনেই ভারতীয়। ১৯৭১ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের সম্পত্তি হ'য়ে যায়। যা আজও আছে। আর, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হ'য়ে যান তাদের কাছে সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসার বস্তু। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এত কুৎসা, এত গালাগালি, এত নিন্দা, এত অপমান, এত অপবাদ, এত লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, এত ঘৃণা, এত চরিত্র হনন সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফেসবুকে যে মাটির নীচে ঘুমিয়ে থাকা দুই কবিরই আত্মা কেঁপে কেঁপে উঠছে। আজ দিনের পর দিন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হ'য়ে উঠছে বাংলাদেশের বাঙালিদের একজন বাঙালির প্রতি ঘৃণা ও আরেকজন বাঙালির প্রতি ভালোবাসার কারণ। গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনে জড়িত বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীর মুখের ভাষা, আচার, আচরণ, সভ্যতা, ভদ্রতা কোন স্তরের। এর সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিল, তারা অর্থাৎ বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের পক্ষ অবলম্বনকারীরা বাঙালী না, তারা মুসলমান।
"বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে আনা হয় ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।"----- কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ শাসক ও আপামর বাংলাদেশীদের কাছে পেলে ভালো লাগবে।
১) কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে কেন নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ?
২) ভারতের প্রতি এত ঘৃণা অথচ ভারতের মাটিতে জন্ম নেওয়া, ভারতের মাটি যার কর্মভূমি, ভারতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি যার চেতনায়, যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি ভারতীয় হিন্দু নারীকে বিবাহ করেছিলেন, যিনি তাঁর চার সন্তানের নাম রেখেছিলেন যথা: কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ। সেই আপাদমস্তক ভারতীয় ঘরানার নাগরিককে কেন তাঁর শেষ বয়সে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল তদানীন্তন সরকার?
৩) প্রমিলা দেবীর শেষ ইচ্ছা ছিল তার স্বামীকে যেন তার কবরের পাশে (চুরুলিয়ায় নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে) সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু প্রমিলার শেষ ইচ্ছাটি আর পূরণ হয়ে উঠে নি। কেন কবিকে কবি পত্নী প্রমিলা দেবীর শেষ ইচ্ছামত তাঁর স্বামী নজরুল ইসলামকে তাঁর কবরের পাশে (চুরুলিয়ায় নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে) সমাধিস্থ করা হয়নি?
৪) যখন তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি সুস্থ ও চেতনায় ছিলেন? ১৯৭২ সালে বাকশক্তিহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন পিক্স ডিজিজ নামক একটি নিউরনঘটিত ভয়ংকর সমস্যায় ভুগতে থাকা কবিকে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শেষ জীবনে তাঁর দেশ থেকে অন্য দেশে? কি ছিল সেই ঘৃণ্য রাজনীতি? তিনি যদি সুস্থ থাকতেন তাহ'লে কি তিনি নিজের জন্মভুমি, নিজের মাতৃভূমি, নিজের কর্মভূমি ত্যাগ ক'রে জাতীয় কবি হওয়ার লোভে অন্য দেশে যেতেন?
৫) তখন মনে হয়নি ভারতের কাছে হাত পেতে ধার করতে হচ্ছে একজন বিদেশীকে, তাও তাঁর অজান্তে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায়, নিজের দেশের জাতীয় কবি ঘোষণা ক'রে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করবেন?
৬) যে মানুষটি মুসলিম হয়েও কালী ও কৃষ্ণ প্রেমে মেতেছিলেন, প্রচুর শ্যামা ও কৃষ্ণ সঙ্গীত লিখেছিলেন তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়নি এই মানুষটি বিধর্মী ও কাফের?
৭) ১৯৭১ সালের রাষ্ট্রনায়ক, দেশ স্বাধীন করার রূপকার মুজিবর রহমান আজ যে বর্তমান ছাত্র আন্দোলনকারী, সাম্প্রতিক পটপরিবর্তনকারী জনগণ ও উপদেষ্টামন্ডলীদের কাছে চরম অপমানিত, অবহেলিত, লাঞ্ছিত, কলঙ্কিত এবং সম্পূর্ণ্রূপে ব্রাত্য সেই মানুষটির আনা কাজী নজরুল ইসলাম এখন রবীন্দ্র বিরোধীদের কাছে 'বাংলাদেশের কবি' ও তাঁর অর্জনগুলি এখন বাংলাদেশের অর্জন!? কি অদ্ভ্যুত নীচ, ঘৃণ্য, নোংরা মানসিকতা। এ তো নেপোয় মারে দই-এর মানসিকতা! আর, যে আনলো কবিকে দেশে দেশের অলংকার করবে ব'লে তাঁকেই পিছনে লাথি মেরে কবিকে এখন মাথায় নিয়ে নাচানাচি? এতটা ধূর্ততা!?
৮) বর্তমান আন্দোলনকারীদের কাছে ভারতের কাছে ধার করা জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গানগুলি কি হারাম? কারণ তাঁর গানগুলি তো বাদ্যযন্ত্র সহযোগে তাহ'লে তাঁর গানগুলি কি ক'রে জায়েজ হবে?
৯) বর্তমান ভারত বিরোধী বাংলাদেশের শাসক ও জনগণের কথামত "আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত একজন "ভারতীয় কবি"র লেখা" যদি হয় তাহ'লে আপনাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম তো আপাদমস্তক শরীরে, মনে, আত্মায় ভারতীয় নাগরিক, এই কথায় আপনাদের ঈমানে ঝাঁকি লাগবে না? আপনাদের ক্ষেত্রে এটা সত্য ও বাস্তব নয়?
১০) বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ভারত থেকে ধার করা জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের যদি লেখা হ'তো তখন কি বলতেন, অকপটভাবে স্বীকার করতেন, মেনে নিতেন এই সত্য ও বাস্তব যে কবি নজরুল ইসলাম আদপেই ভারতীয়? তখন তাঁর গান পরিবর্তন করতেন?
১১) বাংলাদেশে বলা হচ্ছে, "বাংলাদেশ একটা আধুনিক জাতিরাষ্ট্র"। তা এই জাতিরাষ্ট্রটা কি? জাতিরাষ্ট বলতে কি বোঝাচ্ছে? রবীন্দ্রনাথ যেহেতু হিন্দু সেইহেতু তাঁকে সমূলে উৎখাত করতে হবে কারণ তিনি বিধর্মী। আর নজরুল ইসলাম যতই অন্য দেশে জন্মাক ও ভারতীয় হ'ক, যতই সে আপাদমস্তক খাঁটি বাঙালী ও যতই সে পশ্চিবংগের বাঙালি হ'ক, যতই সে হিন্দু ভারতীয় নারীকে বিবাহ করুক, যতই সে মা কালী ও কৃষ্ণপ্রেমী হ'ক আর মা কালী ও কৃষ্ণের গান রচনা করুক, যতই ছেলেদের নাম বাংলা তথা হিন্দু নামের সঙ্গে মিলিয়ে আরবি/ফার্সিতে রাখুক কাজি নজরুল ইসলাম বিধর্মী নন তিনি খাঁটি মুসলিম ও ইসলামপন্থী। আর, রবীন্রনাথের বেলায় দুনিয়ার গাত্রদাহ, দুনিয়ার তকমা?
১২) যে দেশের নাগরিক কোনো দেশে বিদেশে যখন কোনও সম্মানে পুরস্কৃত হন তা সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ হ'ক আর যে ধর্ম সম্প্রদায়ের হ'ক তা'কে সেই দেশের নাগরিক হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। এটা তো আন্ডারস্টুড! এই নিয়ে আবার কমেন্ট হয় নাকি? এটাই তো বাস্তব। আর, বাংলাদেশের বর্তমান শাসকদের এর উল্টো কথা বা যুক্তিটা তো ১০০ ভাগ অবাস্তব, যাকে জোর ক'রে বাস্তব করতে চাইছেন কথার জাগলারিতে। তাই নয় কি?
১৩) ২০০৬ সালে ডাঃ মহম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হন তা'তে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হ'লেও ১৯৪০-১৯৪৭ ব্রিটিশ ভারতের নাগরিক ছিলেন তাই ভারতীয়রা ও বিশেষ ক'রে পশ্চিমবাংলার বাঙ্গালীরা ডাঃ ইউনুসকে নিজেদের লোক বলেই মনে ক'রে নোবেল প্রাপ্তির আনন্দ উপভোগ করেছিল। এবং ভারত বিভিন্ন বিষয়ে মহম্মদ ইউনুসকে ১০ বার পুরস্কৃত করেছিল। একথা ইউনুস সাহেব ভুলে গেছেন। তাই তিনি সেই ভারতের এখন সবচেয়ে বড় শত্রু, ভারত ভাঙ্গার কারিগর। আপনাদের মত নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়ে ইউনুসের গায়ে বাংলাদেশী স্ট্যাম্প ফেলে দিয়ে ও নোবেল পুরস্কারকে ও মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের নোবেল ও বাংলাদেশের নাগরিক ব'লে দূরে ঠেলে দেয়নি সেদিন ভারত। আপনারা সেই নিকৃষ্ট পথ দেখালেন, নিম্ন রুচির কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিক্ষার পরিচয় দিলেন।
আর, ভারত চিরকাল জগত সভায় শ্রেষ্ঠ ছিল, আছে ও থাকবে। আপনারা ও পাকিস্তানও ছিল সেই গৌরবের অংশীদার একদিন ভারতের অংশ হ'য়ে কিন্তু নোংরা রাজনীতির নোংরা খেলা, ক্ষমতা দখলের ও নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গার খেলা, বিদেশী শক্তির ডিভাইড এন্ড রুল প্রয়োগ করার ঘৃণ্য মানসিকতার খেলা আজ ভারতকে তিন টুকরো করেছে আরো আগামীতে ভারতকে হয়তো বা আরও টুকরো করার চেষ্টা করবে।
যাই হ'ক, যদিও জানি সেই চেষ্টা হ'লে আগামী ভয়ংকর পৃথিবীতে কেউ ভালো থাকবো না, শুধু ভারত সেদিন একা শ্ত্রুদের দ্বারা টুকরো বা ধ্বংস হবে না সেইসংগে যারা যারা এই টুকরো করার বা ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত থাকবে তারাও টুকরো টুকরো হয়ে ধ্বংস হ'য়ে যাবে।
তবুও প্রার্থনা করি হে ঈশ্বর সবাইকে সুমতি দাও, সবাই তোমার আশীর্বাদে মিলেমিশে ভালো থাকুক। আর যদি তা' না হয় তোমার অঙ্গুলিহেলনে আবার মহাভারত নয়, এবার হ'ক মহাবিশ্ব। শেষ হ'য়ে যাক, লুপ্ত হ'য়ে যাক মানবজাতি, মানব সভ্যতা। কারণ মানুষের মনুষ্যত্ব আজ তলানিতে।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনেই ভারতীয়। ১৯৭১ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের সম্পত্তি হ'য়ে যায়। যা আজও আছে। আর, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হ'য়ে যান তাদের কাছে সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসার বস্তু। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এত কুৎসা, এত গালাগালি, এত নিন্দা, এত অপমান, এত অপবাদ, এত লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, এত ঘৃণা, এত চরিত্র হনন সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফেসবুকে যে মাটির নীচে ঘুমিয়ে থাকা দুই কবিরই আত্মা কেঁপে কেঁপে উঠছে। আজ দিনের পর দিন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হ'য়ে উঠছে বাংলাদেশের বাঙালিদের একজন বাঙালির প্রতি ঘৃণা ও আরেকজন বাঙালির প্রতি ভালোবাসার কারণ। গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনে জড়িত বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীর মুখের ভাষা, আচার, আচরণ, সভ্যতা, ভদ্রতা কোন স্তরের। এর সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিল, তারা অর্থাৎ বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের পক্ষ অবলম্বনকারীরা বাঙালী না, তারা মুসলমান।
"বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে আনা হয় ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।"----- কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ শাসক ও আপামর বাংলাদেশীদের কাছে পেলে ভালো লাগবে।
১) কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে কেন নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ?
২) ভারতের প্রতি এত ঘৃণা অথচ ভারতের মাটিতে জন্ম নেওয়া, ভারতের মাটি যার কর্মভূমি, ভারতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি যার চেতনায়, যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি ভারতীয় হিন্দু নারীকে বিবাহ করেছিলেন, যিনি তাঁর চার সন্তানের নাম রেখেছিলেন যথা: কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ। সেই আপাদমস্তক ভারতীয় ঘরানার নাগরিককে কেন তাঁর শেষ বয়সে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল তদানীন্তন সরকার?
৩) প্রমিলা দেবীর শেষ ইচ্ছা ছিল তার স্বামীকে যেন তার কবরের পাশে (চুরুলিয়ায় নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে) সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু প্রমিলার শেষ ইচ্ছাটি আর পূরণ হয়ে উঠে নি। কেন কবিকে কবি পত্নী প্রমিলা দেবীর শেষ ইচ্ছামত তাঁর স্বামী নজরুল ইসলামকে তাঁর কবরের পাশে (চুরুলিয়ায় নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে) সমাধিস্থ করা হয়নি?
৪) যখন তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি সুস্থ ও চেতনায় ছিলেন? ১৯৭২ সালে বাকশক্তিহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন পিক্স ডিজিজ নামক একটি নিউরনঘটিত ভয়ংকর সমস্যায় ভুগতে থাকা কবিকে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শেষ জীবনে তাঁর দেশ থেকে অন্য দেশে? কি ছিল সেই ঘৃণ্য রাজনীতি? তিনি যদি সুস্থ থাকতেন তাহ'লে কি তিনি নিজের জন্মভুমি, নিজের মাতৃভূমি, নিজের কর্মভূমি ত্যাগ ক'রে জাতীয় কবি হওয়ার লোভে অন্য দেশে যেতেন?
৫) তখন মনে হয়নি ভারতের কাছে হাত পেতে ধার করতে হচ্ছে একজন বিদেশীকে, তাও তাঁর অজান্তে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায়, নিজের দেশের জাতীয় কবি ঘোষণা ক'রে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করবেন?
৬) যে মানুষটি মুসলিম হয়েও কালী ও কৃষ্ণ প্রেমে মেতেছিলেন, প্রচুর শ্যামা ও কৃষ্ণ সঙ্গীত লিখেছিলেন তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়নি এই মানুষটি বিধর্মী ও কাফের?
৭) ১৯৭১ সালের রাষ্ট্রনায়ক, দেশ স্বাধীন করার রূপকার মুজিবর রহমান আজ যে বর্তমান ছাত্র আন্দোলনকারী, সাম্প্রতিক পটপরিবর্তনকারী জনগণ ও উপদেষ্টামন্ডলীদের কাছে চরম অপমানিত, অবহেলিত, লাঞ্ছিত, কলঙ্কিত এবং সম্পূর্ণ্রূপে ব্রাত্য সেই মানুষটির আনা কাজী নজরুল ইসলাম এখন রবীন্দ্র বিরোধীদের কাছে 'বাংলাদেশের কবি' ও তাঁর অর্জনগুলি এখন বাংলাদেশের অর্জন!? কি অদ্ভ্যুত নীচ, ঘৃণ্য, নোংরা মানসিকতা। এ তো নেপোয় মারে দই-এর মানসিকতা! আর, যে আনলো কবিকে দেশে দেশের অলংকার করবে ব'লে তাঁকেই পিছনে লাথি মেরে কবিকে এখন মাথায় নিয়ে নাচানাচি? এতটা ধূর্ততা!?
৮) বর্তমান আন্দোলনকারীদের কাছে ভারতের কাছে ধার করা জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গানগুলি কি হারাম? কারণ তাঁর গানগুলি তো বাদ্যযন্ত্র সহযোগে তাহ'লে তাঁর গানগুলি কি ক'রে জায়েজ হবে?
৯) বর্তমান ভারত বিরোধী বাংলাদেশের শাসক ও জনগণের কথামত "আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত একজন "ভারতীয় কবি"র লেখা" যদি হয় তাহ'লে আপনাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম তো আপাদমস্তক শরীরে, মনে, আত্মায় ভারতীয় নাগরিক, এই কথায় আপনাদের ঈমানে ঝাঁকি লাগবে না? আপনাদের ক্ষেত্রে এটা সত্য ও বাস্তব নয়?
১০) বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ভারত থেকে ধার করা জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের যদি লেখা হ'তো তখন কি বলতেন, অকপটভাবে স্বীকার করতেন, মেনে নিতেন এই সত্য ও বাস্তব যে কবি নজরুল ইসলাম আদপেই ভারতীয়? তখন তাঁর গান পরিবর্তন করতেন?
১১) বাংলাদেশে বলা হচ্ছে, "বাংলাদেশ একটা আধুনিক জাতিরাষ্ট্র"। তা এই জাতিরাষ্ট্রটা কি? জাতিরাষ্ট বলতে কি বোঝাচ্ছে? রবীন্দ্রনাথ যেহেতু হিন্দু সেইহেতু তাঁকে সমূলে উৎখাত করতে হবে কারণ তিনি বিধর্মী। আর নজরুল ইসলাম যতই অন্য দেশে জন্মাক ও ভারতীয় হ'ক, যতই সে আপাদমস্তক খাঁটি বাঙালী ও যতই সে পশ্চিবংগের বাঙালি হ'ক, যতই সে হিন্দু ভারতীয় নারীকে বিবাহ করুক, যতই সে মা কালী ও কৃষ্ণপ্রেমী হ'ক আর মা কালী ও কৃষ্ণের গান রচনা করুক, যতই ছেলেদের নাম বাংলা তথা হিন্দু নামের সঙ্গে মিলিয়ে আরবি/ফার্সিতে রাখুক কাজি নজরুল ইসলাম বিধর্মী নন তিনি খাঁটি মুসলিম ও ইসলামপন্থী। আর, রবীন্রনাথের বেলায় দুনিয়ার গাত্রদাহ, দুনিয়ার তকমা?
১২) যে দেশের নাগরিক কোনো দেশে বিদেশে যখন কোনও সম্মানে পুরস্কৃত হন তা সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ হ'ক আর যে ধর্ম সম্প্রদায়ের হ'ক তা'কে সেই দেশের নাগরিক হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। এটা তো আন্ডারস্টুড! এই নিয়ে আবার কমেন্ট হয় নাকি? এটাই তো বাস্তব। আর, বাংলাদেশের বর্তমান শাসকদের এর উল্টো কথা বা যুক্তিটা তো ১০০ ভাগ অবাস্তব, যাকে জোর ক'রে বাস্তব করতে চাইছেন কথার জাগলারিতে। তাই নয় কি?
১৩) ২০০৬ সালে ডাঃ মহম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হন তা'তে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হ'লেও ১৯৪০-১৯৪৭ ব্রিটিশ ভারতের নাগরিক ছিলেন তাই ভারতীয়রা ও বিশেষ ক'রে পশ্চিমবাংলার বাঙ্গালীরা ডাঃ ইউনুসকে নিজেদের লোক বলেই মনে ক'রে নোবেল প্রাপ্তির আনন্দ উপভোগ করেছিল। এবং ভারত বিভিন্ন বিষয়ে মহম্মদ ইউনুসকে ১০ বার পুরস্কৃত করেছিল। একথা ইউনুস সাহেব ভুলে গেছেন। তাই তিনি সেই ভারতের এখন সবচেয়ে বড় শত্রু, ভারত ভাঙ্গার কারিগর। আপনাদের মত নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়ে ইউনুসের গায়ে বাংলাদেশী স্ট্যাম্প ফেলে দিয়ে ও নোবেল পুরস্কারকে ও মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের নোবেল ও বাংলাদেশের নাগরিক ব'লে দূরে ঠেলে দেয়নি সেদিন ভারত। আপনারা সেই নিকৃষ্ট পথ দেখালেন, নিম্ন রুচির কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিক্ষার পরিচয় দিলেন।
আর, ভারত চিরকাল জগত সভায় শ্রেষ্ঠ ছিল, আছে ও থাকবে। আপনারা ও পাকিস্তানও ছিল সেই গৌরবের অংশীদার একদিন ভারতের অংশ হ'য়ে কিন্তু নোংরা রাজনীতির নোংরা খেলা, ক্ষমতা দখলের ও নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গার খেলা, বিদেশী শক্তির ডিভাইড এন্ড রুল প্রয়োগ করার ঘৃণ্য মানসিকতার খেলা আজ ভারতকে তিন টুকরো করেছে আরো আগামীতে ভারতকে হয়তো বা আরও টুকরো করার চেষ্টা করবে।
যাই হ'ক, যদিও জানি সেই চেষ্টা হ'লে আগামী ভয়ংকর পৃথিবীতে কেউ ভালো থাকবো না, শুধু ভারত সেদিন একা শ্ত্রুদের দ্বারা টুকরো বা ধ্বংস হবে না সেইসংগে যারা যারা এই টুকরো করার বা ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত থাকবে তারাও টুকরো টুকরো হয়ে ধ্বংস হ'য়ে যাবে।
তবুও প্রার্থনা করি হে ঈশ্বর সবাইকে সুমতি দাও, সবাই তোমার আশীর্বাদে মিলেমিশে ভালো থাকুক। আর যদি তা' না হয় তোমার অঙ্গুলিহেলনে আবার মহাভারত নয়, এবার হ'ক মহাবিশ্ব। শেষ হ'য়ে যাক, লুপ্ত হ'য়ে যাক মানবজাতি, মানব সভ্যতা। কারণ মানুষের মনুষ্যত্ব আজ তলানিতে।
( লেখা ১০ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
প্রবন্ধঃ কে কার শত্রু?
বাংলাদেশীদের সাম্প্রতিক লেখা ও কমেন্ট পড়ে হ'লো ভারত বাংলাদেশীদের শত্রু। পড়ে মনে হ'লো সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে যখন পাকিস্তানের দানবীয় অত্যাচারে পূর্ব পাকিস্তান নরকে পরিণত হয়েছিল তখন ভারতের সাহায্য করাটা অন্যায় হয়েছে।
বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ভারত শুধু সাহায্য করেনি সেদিন, পাকিস্তানের সৈন্যদের দ্বারা নারকীয় ৩০,০০,০০০ লক্ষ নাগরিকের হত্যা যজ্ঞ ও ৩-৪ লক্ষ বাংলাদেশী মা-বোনেদের ওপর নারকীয় যৌন অত্যাচার, দানবীয় নৃশংসভাবে বলাৎকার ও হত্যার বিরুদ্ধে মানবিকতাকে সর্বাগ্রে সবকিছুর ওপরে গুরুত্ব দিয়েছিল, ইজ্জৎ দিয়েছিল, শ্রদ্ধা সম্মান জানিয়েছিল, মায়েদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা এবং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিল সেদিন ভারত। ১ কোটি বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল সেদিন, তিন কোটি বাংলাদেশী বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়।
এইটা যেন ভুলে না যায় বাংলাদেশ সেই দিন ভারত যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিত তাহ'লে পৃথিবীর মানচিত্রে আজকের বাংলাদেশের মানচিত্র থাকতো না, আজকের ৫৩ বছর পরের সাজানো নিরাপদ বাংলাদেশে বসে এই কথা বলতে পারতো না আজকের বাংলাদেশের শাসক ও জনগণ। ভারত আজ বাংলাদেশের শত্রু! আর, পাকিস্তান বাংলাদেশের মিত্র!!!! যে যে দেশ সেদিন পাকিস্তানের সীমাহীন অত্যাচারের পক্ষে ছিল, পাকিস্তানের মদতদাদা ছিল, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে ছিল, বাংলাদেশকে সেদিন সাহায্য করার অপরাধে ভারতের বিরুদ্ধে ভয়ংকর রক্তচক্ষু দেখিয়েছিল সেই সেই দেশ আজ আপনাদের বন্ধু!!!!!!?
বেঈমানি, নেমকহারামী, অকৃতজ্ঞতা; এর থেকে ঈশ্বরের রাজ্য বড় অপরাধ আর কি হ'তে পারে? ঈশ্বর বা আল্লা বা গডের রাজ্য বেঈমানি, নেমকহারামী, অকৃতজ্ঞতা সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে ঘৃণ্য ও ক্ষমাহীন অপরাধ এই কথা যেন ভুলে না যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের শাসক।
আজ বাংলাদেশের শাসক ভারতের বিরুদ্ধে মণিপুরের আন্দোলন নিয়ে মানবতা ধ্বংসের কথা ব'লে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিতে চাইছে এবং একইসঙ্গে নিজের দেশের অভ্যন্তরে ঘটে চলা ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। ফলে বিশ্বের কাছে নিজেদের দেশকে ও নিজেদের হাস্যকর দেশে ও হাস্যকর মেধার অধিকারীতে পরিণত করেছে।
ভারত মণিপুরের ওপর সেদিনের পাকিস্তানের মত বাংলাদেশের ওপরে চালানো ঐতিহাসিক নারকীয় কোনও যৌন অত্যাচার ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি। এই সমস্ত আন্দোলন বাংলাদেশে সদ্য ঘটে যাওয়া গভীর ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলনের মত ভারতকে টুকরো টুকরো করার আন্দোলন, ষড়যন্ত্র ছিল। এরকম বহু আন্দোলন ষড়যন্ত্র বৈদেশিক শক্তির সাহায্যে ভারতে আগেও হয়েছে, এখনও হ'য়ে চলেছে। এবং বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ শাসক মহম্মদ ইউনুস ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্সকে ছিন্ন করার কথা প্রকাশ্যেই বলেছিল ৮ই আগষ্ট'২৪ বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা অন্যায়, অনৈতিক ও অবৈধভাবে গ্রহণ করার দিনে। ভারত জানে কি ক'রে এইসব শক্তির মোকাবিলা করতে হয়। ১৯৭১ সালে সেইদিনের বিদেশী শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি বাংলাদেশের ভিতরে তলে তলে যেমন পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল ঠিক তেমন এবং আজ যেমন বাংলাদেশের ৫৪ বছরের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস ক'রে ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি, ছদ্ম ছাত্র আন্দোলন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নামে যে ষড়যন্ত্র সংগঠিত হ'লো এবং পরিবর্তন হ'লো ঠিক একইরকম ছিল ভারতের বুকে বহু আন্দোলন রাজ্যে রাজ্যে।
তাই কে কার শত্রু তা' সময় দেখিয়ে দেয়, দেখিয়ে দেবে। সময় সবসে বড়া বলবান। ( লেখা ১০ই সেপ্টেম্বর' ২০২৪ )
Tuesday, September 9, 2025
প্রবন্ধঃ এটাই বোধহয় ভবিতব্য।
আমরা ঘুমিয়ে আছি!
কিছু সৎসঙ্গী নিজেই জানে না কখন কি লিখছে, পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে আর কখন কোথায় কার কথায় কি সমর্থন করছে ও বিতর্কের সৃষ্টি করছে। একেই বলে ব্যভিচারী ভক্তি।
যারা পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তোলেন তারা দেখাতে পারবেন পূর্ব রূপের পুরুষোত্তমদের নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার উদাহরণ স্বরূপ শ্রীশ্রীঠাকুরের কোনও বাণী আছে?
কিছু সৎসঙ্গী কি যে বলতে চাইছে আর কিছু পাঠক কি বুঝতে পারছে সেটা আজ দুর্ভাগ্যের বিষয় হ'য়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ তারা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে দেবদেবতার সঙ্গে একই আসনে বসানোর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখাকে সমর্থন করছে এবং ঠাকুরঘরেও শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমের ছবি রাখা মানেই শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতি ভক্তির গাঢ়ত্ব কমে যায় ও বহুনৈষ্ঠিকতার চর্চা হয় এ বক্তব্যকে স্বীকার করছেন, প্রতিষ্ঠা করছেন জোরালোভাবে। শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে কিছু কিছু সৎসঙ্গীদের অদ্ভুত এক উগ্র ভক্তি।
পুরুষোত্তম আর দেবদেবীদের অবস্থান নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আরও সহজভাবে যদি বলা যায় তাহ'লে বলা যেতে পারে পরম প্রেমময় পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যদি হন সূর্য তাহ'লে সূর্যের যেমন কিরণ আছে ঠিক তেমনি সূর্যের কিরণ স্বরূপ দেবদেবীরা হ'লো জীবন্ত ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণাবলীর বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিফলন। তাই পুরুষোত্তম আর দেবদেবীদের একই আসনে বসানোর ব্যাপারে এই সূক্ষ্ম সতর্কতা জরুরী। সূর্যের মধ্যে কিরণের যেমন অবস্থান ঠিক তেমনি পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বরের মধ্যে মুনি ঋষিদের তপস্যাসঞ্জাত উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত এক ও অদ্বিতীয়ের শক্তি ও গুণাবলী সমৃদ্ধ বিভিন্ন দেবদেবীর অবস্থান।
আর, পুরুষোত্তমদের নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার বিষয়ে যারা যে পোষ্ট করেছেন ও করছেন সেটার ওপর আমার যে বক্তব্য ছিল সেই বক্তব্যের মধ্যে আমার বোঝার ভুল আছে ব'লে সৎসঙ্গী কেউ কেউ আমার বক্তব্যের বিরোধীতা করেছেন। তাদের কাছে আমার অনুরোধ ছিল ও আছে যে, কোনওরকম অপ্রাসঙ্গিক কথা না টেনে আমার বক্তব্যের মধ্যে বোঝার ভুল আছে শুধু একথা না ব'লে বক্তব্যের মধ্যে ভুলটা কোথায় আছে সেই ভুলটা যুক্তি দিয়ে ধরিয়ে দিন। আর, যিনি বা যারা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পাশে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমদের ফটো রাখা নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার প্রশ্ন তুলে অকারণ বিতর্ক সৃষ্টি করছেন ও এই লেখার বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন তার বা তাদের যদি বোঝার ও বোঝানোর ভুল হ'য়ে থাকে ব'লে মনে করেন পাঠক, যিনি আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধতা ক'রে তাদের পক্ষে মন্তব্য করেছেন, তাহ'লে তার দায় পোষ্টদাতার পক্ষ অবলম্বনকারী পাঠক কি অন্যের ঘাড়ে চাপাতে পারেন? যিনি পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তুলে পোষ্ট করতে পারেন সেই তিনি বোঝাতে যদি ভুল করেন তাহ'লে অনেকেই তাঁর মতো বুঝতে ভুল শিক্ষা পাবে, আবার অনেকে তার ভুলটাকে ভুল ব'লে ধরিয়ে দেবে এটাই তো স্বাভাবিক; তাই নয় কি? নাকি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেবো সৎসঙ্গীরা?
আর এখানে চোখে আঙ্গুল দাদা হওয়ার বিষয়টা কি প্রাসঙ্গিক? পাঠক যদি একজন সমাজ সচেতন শিক্ষিত মানুষ হন তাহ'লে তিনি কি তাঁর চারপাশে যদি ভুল কিছু দেখেন তাহ'লে তার গঠনমূলক প্রতিবাদ করবেন না? ঠাকুর কি আমাদের ভুল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গঠনমূলক প্রতিবাদ না করার শিক্ষা দিয়েছিলেন নাকি? তার উপর যদি সে আমার গুরুভাই হয়, একজন সৎসঙ্গী হয় তখন কি আমার কোনও দায়দায়িত্ব থাকে না তাকে যাজন করার? ঠাকুর কি এরকম 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতার অধিকারী হ'তে শিখিয়েছিলেন দীক্ষা নেওয়ার সময়? কারও ভুল ধরিয়ে দিলেই নিজেকে কি মহাপন্ডিত ভাবা হয়? তাঁকে মহাপন্ডিত ব'লে ব্যাঙ্গ করতে হবে সৎসঙ্গীদের? আমার ভুল কথার জন্য যদি ঠাকুরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, ঠাকুরের দর্শন বিকৃত হয়, সর্বোপরি আমার ক্ষতি হয় আর পাঠক যদি ঠাকুরের দীক্ষিত হন, সৎসঙ্গী পাঠক যদি বুঝতে পারেন আমার ভুলটা কোথায়, তাহ'লে সেটা যদি পাঠক আমায় ধরিয়ে দেয় আমি পাঠককে মহাপন্ডিত ভাববো? আমার যদি কোনও ভুল সত্যি সত্যিই থাকে আর তা যদি পাঠক ধরিয়ে দেন তাহ'লে তো পাঠক আমার হিতাকাঙ্খী। পাঠক আমার পরম বন্ধু। কেন 'ভুল শোধরাতে ব্যস্ত ব'লে' পাঠককে ব্যঙ্গ করবো? পাঠক যদি আমার তাঁর জ্ঞানের আলো দিয়ে আমার অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে দেন তাহ'লে কেন তাঁকে খোঁচা মেরে বলবো, প্রদীপের নীচে অন্ধকার? এটা তো সত্যকে অস্বীকার করা। সচেতন ইষ্টপ্রাণ পাঠকের প্রতি ইর্ষা করা। এটা তো স্ট্রং ইগোর ব্যাপার। আর প্রদীপ যে আলো দেখায় সেই আলোতে তো সামনের অন্ধকার দূর হয় আর মানুষ সামনে এগিয়ে যায়; তার নীচে অন্ধকার তো প্রদীপের শিখার নয়, সেই অন্ধকার তো প্রদীপের। একথা শ্রীশ্রীআচার্যদেব পরিষ্কার ক'রে ব'লে বুঝিয়ে আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে দিয়েছেন। এটা অনেকের জানা নাই থাকতে পারে। আর, একটা বাজে লোকও তো কখনো কখনো ভালো কথা বলে। তাই ব'লে কি তার ভালো কথাটা বাজে হ'য়ে যায় বাজে লোকটার মতো?
এবার আসি অকারণ দোষারোপ করা প্রসঙ্গে। পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তোলা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমার উত্তেজিত হওয়া কোথায় দেখতে পেলেন আমার বিরুদ্ধ সমালোচক? আলোচনা বিস্তার লাভ করলেই তার মধ্যে উত্তেজনা দেখতে পান? কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি যদি নাক গলায় সেখানে সেই ব্যক্তি আমাকে বলতে পারেন আমায়, 'আপনি বিচার করার কে, আপনি বলার কে?' কিন্তু যখন শ্রীশ্রীঠাকুর নিয়ে কেউ কথা বলবেন তখন আমার ঠাকুর নিয়ে যদি কোনও কথার মধ্যে দিয়ে ভুল বার্তা যায়, যে কথায় আমার ঠাকুরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় তখন আমার অধিকার থাকে সেখানে ভুল বক্তব্যকে খন্ডন ক'রে আমার ঠাকুরকে ডিফেন্ড করার। এটা আমার নৈতিক দায় ও কর্তব্য।
আবেগ থাকা ভালো, নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু আবেগের বশে ভেসে গিয়ে ভুল বলা ভালো নয়। আবেগের বশে ঠাকুরকে ভুল ভাবে তুলে
আমি যদি জানি আমার ঠাকুরই শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ তাহ'লে কেন আমার মন বিচলিত হবে, কেন আমি সত্যের মার্গ থেকে সরবো? সত্য যদি শ্রীশ্রীঠাকুর হন তাহ'লে সত্য তো শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর অন্যান্য রূপও। তাহ'লে কেন আমি বিভ্রান্ত হবো? তিনি তো একজনই আর একজনই তো বারেবারে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর যদি আবার মানুষ রূপে আসেন তখন আমি ঠাকুরকে ছেড়ে দেবো, নাকি তাঁকে ভুলে যাবো? নাকি অতি ভক্তিতে তাঁর নোতুন রূপকে নিয়ে মেতে উঠে ভক্তির আবেগে কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবন থেকে সরিয়ে দেবো? যদি জীবন থেকে সরিয়ে দিই তবে প্রকৃত ভক্ত হবো? আর যদি নোতুন রূপকে নিয়ে পুরোনো রূপের কাছে বসে থাকি সেটা বহুনৈষ্ঠিকতা হবে? তাহ'লে পরমভক্ত শ্রীহনুমান কি বহুনৈষ্ঠিক ছিলেন? তিনি তো শ্রীকৃষ্ণকে পেয়েছিলেন, বলেছিলেন,
শ্রীনাথে জানকীনাথে অভেদঃ পরমাত্মনি |
তথাপি মম সর্বস্বঃ রামঃ কমললোচনঃ ||
আর যদি বিভ্রান্ত হ'ই, আমার পদস্খলন হয় তাহ'লে বুঝতে হবে আমার পুরুষোত্তমকে বোঝার ঘরে অসম্পূর্ণতা আছে, আছে অজ্ঞানতা, আছে ভক্তিতে গলদ।
পূর্বতন বিগ্রহ দিয়ে কি করবেন এই কথা সৎসঙ্গীদের মুখে? এ কথার মানে? এই কথা আমার সমালোচক ও তার সমর্থনকারীরা কোথায় পেলেন? শ্রীশ্রীঠাকুর কোথাও বলেছেন নাকি এই ধরণের কথা? নাকি নিজেদের অপরিপক্ক অজ্ঞানতা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন? শ্রীশ্রীঠাকুরের পূর্ব পূর্ব রূপকে ঘরে রাখার জায়গার অভাবের কারণে অনেকে শ্রীশ্রীঠাকুরের পুর্ব পূর্ব রূপকে ঘরে রাখতে পারেন না আর শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতি ভক্তির গাঢ়ত্বের কারণে পূর্ব রূপের আর প্রয়োজন নেই কিংবা পূর্ব রূপের প্রতি অবিশ্বাসের কারণে পূর্ব পূর্ব রূপের ফটো রাখেন না, এই প্রশ্ন কি এক? আমরা সমস্ত সৎসঙ্গীরা কি জানি ঠাকুর বাড়িতে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমের জন্মদিন পালন হ'তো? শ্রীশ্রীঠাকুরই যদি শ্রীশ্রীকৃষ্ণ হ'য়ে থাকেন তাহ'লে তাঁর প্রতি তো আমার ভালোবাসা আরও গভীর হবে। সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকে এত গভীর ভালোবাসতে শিখেছে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে এসেই। এরকম নিখুঁত অটুট অস্খলিত ভালোবাসা সৎসঙ্গ শিখিয়েছে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে; যার ফলে গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে এক মহামিলন ক্ষেত্র। পুরুষোত্তমদের সম্পর্কে অজ্ঞানতার কারণে এবং মিথ্যে, ভুল ও বিকৃত প্রচারের কারণে ভয়ংকর এক সর্বনাশা ভাঙ্গার খেলার যে বিষাক্ত হিংস্র নেশা পুরুষোত্তমদের অনুগামীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে সংক্রামিত হয়েছে সেই নেশার ঘোর অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠে নোতুন পৃথিবীর প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গে অস্তিত্বের যে মহামিলনের ডাক দিয়েছেন শ্রীশ্রীঠাকুর, এটা গভীর বোঝার ব্যাপার।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর পূর্ব পূর্ব রূপ শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু ও শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকে অধিকার করেই নোতুন রূপে এসেছেন কলিযুগে আমাদের যুগের মত ক'রে পরিচালনা করবার জন্য,
পুরুষোত্তম আর দেবদেবী কি একই হ'লো? অন্যান্য পুরুষোত্তমের সঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুরের সম্পর্কটা কি?
কিছু সৎসঙ্গী নিজেই জানে না কখন কি লিখছে, পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে আর কখন কোথায় কার কথায় কি সমর্থন করছে ও বিতর্কের সৃষ্টি করছে। একেই বলে ব্যভিচারী ভক্তি।
যারা পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তোলেন তারা দেখাতে পারবেন পূর্ব রূপের পুরুষোত্তমদের নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার উদাহরণ স্বরূপ শ্রীশ্রীঠাকুরের কোনও বাণী আছে?
কিছু সৎসঙ্গী কি যে বলতে চাইছে আর কিছু পাঠক কি বুঝতে পারছে সেটা আজ দুর্ভাগ্যের বিষয় হ'য়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ তারা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে দেবদেবতার সঙ্গে একই আসনে বসানোর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখাকে সমর্থন করছে এবং ঠাকুরঘরেও শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমের ছবি রাখা মানেই শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতি ভক্তির গাঢ়ত্ব কমে যায় ও বহুনৈষ্ঠিকতার চর্চা হয় এ বক্তব্যকে স্বীকার করছেন, প্রতিষ্ঠা করছেন জোরালোভাবে। শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে কিছু কিছু সৎসঙ্গীদের অদ্ভুত এক উগ্র ভক্তি।
পুরুষোত্তম আর দেবদেবীদের অবস্থান নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আরও সহজভাবে যদি বলা যায় তাহ'লে বলা যেতে পারে পরম প্রেমময় পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যদি হন সূর্য তাহ'লে সূর্যের যেমন কিরণ আছে ঠিক তেমনি সূর্যের কিরণ স্বরূপ দেবদেবীরা হ'লো জীবন্ত ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণাবলীর বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিফলন। তাই পুরুষোত্তম আর দেবদেবীদের একই আসনে বসানোর ব্যাপারে এই সূক্ষ্ম সতর্কতা জরুরী। সূর্যের মধ্যে কিরণের যেমন অবস্থান ঠিক তেমনি পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বরের মধ্যে মুনি ঋষিদের তপস্যাসঞ্জাত উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত এক ও অদ্বিতীয়ের শক্তি ও গুণাবলী সমৃদ্ধ বিভিন্ন দেবদেবীর অবস্থান।
আর, পুরুষোত্তমদের নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার বিষয়ে যারা যে পোষ্ট করেছেন ও করছেন সেটার ওপর আমার যে বক্তব্য ছিল সেই বক্তব্যের মধ্যে আমার বোঝার ভুল আছে ব'লে সৎসঙ্গী কেউ কেউ আমার বক্তব্যের বিরোধীতা করেছেন। তাদের কাছে আমার অনুরোধ ছিল ও আছে যে, কোনওরকম অপ্রাসঙ্গিক কথা না টেনে আমার বক্তব্যের মধ্যে বোঝার ভুল আছে শুধু একথা না ব'লে বক্তব্যের মধ্যে ভুলটা কোথায় আছে সেই ভুলটা যুক্তি দিয়ে ধরিয়ে দিন। আর, যিনি বা যারা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পাশে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমদের ফটো রাখা নিয়ে বহুনৈষ্ঠিকতার প্রশ্ন তুলে অকারণ বিতর্ক সৃষ্টি করছেন ও এই লেখার বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন তার বা তাদের যদি বোঝার ও বোঝানোর ভুল হ'য়ে থাকে ব'লে মনে করেন পাঠক, যিনি আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধতা ক'রে তাদের পক্ষে মন্তব্য করেছেন, তাহ'লে তার দায় পোষ্টদাতার পক্ষ অবলম্বনকারী পাঠক কি অন্যের ঘাড়ে চাপাতে পারেন? যিনি পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তুলে পোষ্ট করতে পারেন সেই তিনি বোঝাতে যদি ভুল করেন তাহ'লে অনেকেই তাঁর মতো বুঝতে ভুল শিক্ষা পাবে, আবার অনেকে তার ভুলটাকে ভুল ব'লে ধরিয়ে দেবে এটাই তো স্বাভাবিক; তাই নয় কি? নাকি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেবো সৎসঙ্গীরা?
আর এখানে চোখে আঙ্গুল দাদা হওয়ার বিষয়টা কি প্রাসঙ্গিক? পাঠক যদি একজন সমাজ সচেতন শিক্ষিত মানুষ হন তাহ'লে তিনি কি তাঁর চারপাশে যদি ভুল কিছু দেখেন তাহ'লে তার গঠনমূলক প্রতিবাদ করবেন না? ঠাকুর কি আমাদের ভুল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গঠনমূলক প্রতিবাদ না করার শিক্ষা দিয়েছিলেন নাকি? তার উপর যদি সে আমার গুরুভাই হয়, একজন সৎসঙ্গী হয় তখন কি আমার কোনও দায়দায়িত্ব থাকে না তাকে যাজন করার? ঠাকুর কি এরকম 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতার অধিকারী হ'তে শিখিয়েছিলেন দীক্ষা নেওয়ার সময়? কারও ভুল ধরিয়ে দিলেই নিজেকে কি মহাপন্ডিত ভাবা হয়? তাঁকে মহাপন্ডিত ব'লে ব্যাঙ্গ করতে হবে সৎসঙ্গীদের? আমার ভুল কথার জন্য যদি ঠাকুরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, ঠাকুরের দর্শন বিকৃত হয়, সর্বোপরি আমার ক্ষতি হয় আর পাঠক যদি ঠাকুরের দীক্ষিত হন, সৎসঙ্গী পাঠক যদি বুঝতে পারেন আমার ভুলটা কোথায়, তাহ'লে সেটা যদি পাঠক আমায় ধরিয়ে দেয় আমি পাঠককে মহাপন্ডিত ভাববো? আমার যদি কোনও ভুল সত্যি সত্যিই থাকে আর তা যদি পাঠক ধরিয়ে দেন তাহ'লে তো পাঠক আমার হিতাকাঙ্খী। পাঠক আমার পরম বন্ধু। কেন 'ভুল শোধরাতে ব্যস্ত ব'লে' পাঠককে ব্যঙ্গ করবো? পাঠক যদি আমার তাঁর জ্ঞানের আলো দিয়ে আমার অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে দেন তাহ'লে কেন তাঁকে খোঁচা মেরে বলবো, প্রদীপের নীচে অন্ধকার? এটা তো সত্যকে অস্বীকার করা। সচেতন ইষ্টপ্রাণ পাঠকের প্রতি ইর্ষা করা। এটা তো স্ট্রং ইগোর ব্যাপার। আর প্রদীপ যে আলো দেখায় সেই আলোতে তো সামনের অন্ধকার দূর হয় আর মানুষ সামনে এগিয়ে যায়; তার নীচে অন্ধকার তো প্রদীপের শিখার নয়, সেই অন্ধকার তো প্রদীপের। একথা শ্রীশ্রীআচার্যদেব পরিষ্কার ক'রে ব'লে বুঝিয়ে আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে দিয়েছেন। এটা অনেকের জানা নাই থাকতে পারে। আর, একটা বাজে লোকও তো কখনো কখনো ভালো কথা বলে। তাই ব'লে কি তার ভালো কথাটা বাজে হ'য়ে যায় বাজে লোকটার মতো?
এবার আসি অকারণ দোষারোপ করা প্রসঙ্গে। পুরুষোত্তমদের নিয়েও বহুনৈষ্ঠিকতার কথা তোলা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমার উত্তেজিত হওয়া কোথায় দেখতে পেলেন আমার বিরুদ্ধ সমালোচক? আলোচনা বিস্তার লাভ করলেই তার মধ্যে উত্তেজনা দেখতে পান? কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি যদি নাক গলায় সেখানে সেই ব্যক্তি আমাকে বলতে পারেন আমায়, 'আপনি বিচার করার কে, আপনি বলার কে?' কিন্তু যখন শ্রীশ্রীঠাকুর নিয়ে কেউ কথা বলবেন তখন আমার ঠাকুর নিয়ে যদি কোনও কথার মধ্যে দিয়ে ভুল বার্তা যায়, যে কথায় আমার ঠাকুরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় তখন আমার অধিকার থাকে সেখানে ভুল বক্তব্যকে খন্ডন ক'রে আমার ঠাকুরকে ডিফেন্ড করার। এটা আমার নৈতিক দায় ও কর্তব্য।
আবেগ থাকা ভালো, নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু আবেগের বশে ভেসে গিয়ে ভুল বলা ভালো নয়। আবেগের বশে ঠাকুরকে ভুল ভাবে তুলে
ধরা, পরিবেশন করা ঠিক নয়। মহাপন্ডিত, মহাযোগী, মহাজ্ঞানী, ঈশ্বরকোটি পুরুষরা শ্রীশ্রীঠাকুরকে, শ্রীশ্রীঠাকুরের ব'লে যাওয়া কথাকে বুঝতে পারেনি ও পারছে না, বুঝতে হিমশিম খেয়েছে ও খাচ্ছে সেখানে আমাদের মতন সাধারণ, অতি সাধারণ জীবকোটি মানুষের তাঁর সম্পর্কে কোনও কথা বলার আগে হাজারবার ভাবা উচিত, হাজারবার জন্ম নিতে হবে।
আমি যদি জানি আমার ঠাকুরই শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ তাহ'লে কেন আমার মন বিচলিত হবে, কেন আমি সত্যের মার্গ থেকে সরবো? সত্য যদি শ্রীশ্রীঠাকুর হন তাহ'লে সত্য তো শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর অন্যান্য রূপও। তাহ'লে কেন আমি বিভ্রান্ত হবো? তিনি তো একজনই আর একজনই তো বারেবারে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর যদি আবার মানুষ রূপে আসেন তখন আমি ঠাকুরকে ছেড়ে দেবো, নাকি তাঁকে ভুলে যাবো? নাকি অতি ভক্তিতে তাঁর নোতুন রূপকে নিয়ে মেতে উঠে ভক্তির আবেগে কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবন থেকে সরিয়ে দেবো? যদি জীবন থেকে সরিয়ে দিই তবে প্রকৃত ভক্ত হবো? আর যদি নোতুন রূপকে নিয়ে পুরোনো রূপের কাছে বসে থাকি সেটা বহুনৈষ্ঠিকতা হবে? তাহ'লে পরমভক্ত শ্রীহনুমান কি বহুনৈষ্ঠিক ছিলেন? তিনি তো শ্রীকৃষ্ণকে পেয়েছিলেন, বলেছিলেন,
শ্রীনাথে জানকীনাথে অভেদঃ পরমাত্মনি |
তথাপি মম সর্বস্বঃ রামঃ কমললোচনঃ ||
আর যদি বিভ্রান্ত হ'ই, আমার পদস্খলন হয় তাহ'লে বুঝতে হবে আমার পুরুষোত্তমকে বোঝার ঘরে অসম্পূর্ণতা আছে, আছে অজ্ঞানতা, আছে ভক্তিতে গলদ।
পূর্বতন বিগ্রহ দিয়ে কি করবেন এই কথা সৎসঙ্গীদের মুখে? এ কথার মানে? এই কথা আমার সমালোচক ও তার সমর্থনকারীরা কোথায় পেলেন? শ্রীশ্রীঠাকুর কোথাও বলেছেন নাকি এই ধরণের কথা? নাকি নিজেদের অপরিপক্ক অজ্ঞানতা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন? শ্রীশ্রীঠাকুরের পূর্ব পূর্ব রূপকে ঘরে রাখার জায়গার অভাবের কারণে অনেকে শ্রীশ্রীঠাকুরের পুর্ব পূর্ব রূপকে ঘরে রাখতে পারেন না আর শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতি ভক্তির গাঢ়ত্বের কারণে পূর্ব রূপের আর প্রয়োজন নেই কিংবা পূর্ব রূপের প্রতি অবিশ্বাসের কারণে পূর্ব পূর্ব রূপের ফটো রাখেন না, এই প্রশ্ন কি এক? আমরা সমস্ত সৎসঙ্গীরা কি জানি ঠাকুর বাড়িতে পূর্ব পূর্ব পুরুষোত্তমের জন্মদিন পালন হ'তো? শ্রীশ্রীঠাকুরই যদি শ্রীশ্রীকৃষ্ণ হ'য়ে থাকেন তাহ'লে তাঁর প্রতি তো আমার ভালোবাসা আরও গভীর হবে। সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকে এত গভীর ভালোবাসতে শিখেছে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে এসেই। এরকম নিখুঁত অটুট অস্খলিত ভালোবাসা সৎসঙ্গ শিখিয়েছে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে; যার ফলে গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে এক মহামিলন ক্ষেত্র। পুরুষোত্তমদের সম্পর্কে অজ্ঞানতার কারণে এবং মিথ্যে, ভুল ও বিকৃত প্রচারের কারণে ভয়ংকর এক সর্বনাশা ভাঙ্গার খেলার যে বিষাক্ত হিংস্র নেশা পুরুষোত্তমদের অনুগামীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে সংক্রামিত হয়েছে সেই নেশার ঘোর অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠে নোতুন পৃথিবীর প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গে অস্তিত্বের যে মহামিলনের ডাক দিয়েছেন শ্রীশ্রীঠাকুর, এটা গভীর বোঝার ব্যাপার।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর পূর্ব পূর্ব রূপ শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু ও শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকে অধিকার করেই নোতুন রূপে এসেছেন কলিযুগে আমাদের যুগের মত ক'রে পরিচালনা করবার জন্য,
আমাদের আগামী ঘোর কলিযুগের ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা করবার জন্য। তাই তাঁর পূর্ব পুর্ব রূপ ও তিনি, তাঁর অতীত ও বর্তমান রূপ এক ও অদ্বিতীয়। আমরা সবাই পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষ সেই একেরই অনুগামী যিনি মানুষের মাঝে মানুষ রূপে বারবার নেমে এসেছেন। কিন্তু আমরা মানুষেরা, বিশেষ ক'রে সৎসঙ্গীরা সেই মহামিলনের আহ্বান বুঝতে চাইছি না, শুনতে চাইছি না। আমরা ঘুমিয়ে আছি প্রায় ১০কোটি লক্ষ্যে ছুটে চলা সৎসঙ্গীরা! ভেসে চলেছি ভয়ংকর সর্বনাশা ভাঙনের দিকে, ধ্বংসের দিকে। এটাই বোধহয় ভবিতব্য।
প্রকাশ বিশ্বাস।
ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া।
( লেখা ১০ই সেপ্টেম্বর' ২০২৩)।
প্রকাশ বিশ্বাস।
ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া।
( লেখা ১০ই সেপ্টেম্বর' ২০২৩)।
Subscribe to:
Comments (Atom)
