Powered By Blogger

Friday, October 16, 2015

অতনুকে খোলা চিঠি।

অতনু,
দাদরির বিশারা গ্রামে মুহাম্মদ আকলাখ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা করে
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে তোমার অনুরোধ মত আমার মতামত জানালাম।

এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। আর আলোচনা যেন তার পথ না হারায়
, লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়, মাত্রাজ্ঞান যেন ঠিক থাকে। কেননা সুস্থ আলোচনা সঠিক পথের সন্ধান দেয়। আমি বিশ্বাস করি বললে একটু ভুল হবে এটাই সত্য যে আমরা আলোচনা করি পথের সন্ধানে, সত্য সন্ধানে; নিজেকে জাহির করতে বা আলোচনায় জিততে নয়। হারা জেতার প্রশ্ন তাদের কাছে চেতন বা অবচেতন অবস্থায় প্রধান ও প্রবল যারা আয়নায় নিজের মুখ দেখতে ভয় পায় বা দেখলেও কোনও তাপ উত্তাপ বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয় না, কারণ তাদের বায়োলজিক্যাল মেক আপ-টাই তাদের তা করতে বাধ্য করে যার ওপর তাদের কোনও হাত নেই। তাই তাদের নিয়ে আলোচনা করা না করা একই ব্যাপার কারণ গোড়ায় গলদ। আর গোড়ায় গলদ হলে সব শেষ। আমি তাদের উদ্দেশ্যেই বলতে চায় যারা ভয় পায় বা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে বা আদপেই বোঝার চেষ্টা করে না, জানতে চায় না তবুও তাদের বলব আজ সময় এসেছে বললে ভুল বলা হবে কারণ সময় বহু আগেই এসে গেছিল আর আমরা সবাই 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতায় জেগে জেগেই ঘুমিয়ে ছিলাম বা এখনও আছি। তা সত্ত্বেও বলতে চায় কাউকে কাটগড়ায় দাঁড় করানো নয়, কারও বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলাও নয় দেরী হলেও এখনও যদি সমাজ, সভ্যতার অস্তিত্বকে রক্ষা করতে চায় তাহলে আমাদের প্রত্যেককে নিজেকে বিবেকের আয়নায় দাঁড় করাতে হবে, দাঁড় করিয়ে খুঁটে খুঁটে দেখতে হবে কোথায়, কোন জায়গায় এই ভয়ংকর মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে, আর তারপর তাঁকে নির্মূল করায় উপায় খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কবে, কখন, কেন অনবরত মনের অনুসরণ করতে করতে বিবেককে হত্যা করেছি। কেন আজ আমাদের Mental Identity বলে কিছুই আজ অবশিষ্ট নেই? কখন এই Mental Identity না থাকার ভয়ংকর অসুখ বাসা বাঁধল? আর এই দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে যারা অনেক জানে, অনেক বোঝে, অনেক পড়ে, অনেক দেখে। এককথায় যারা বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, জ্ঞানে শক্তিমান বুদ্ধিজীবী। আগে তাদের নিজেদেরকেই নিজের নিজের Mental Identity খুঁজে নিতে হবে। রামধনুর সাতরঙা রঙে যখন তখন রাঙ্গিয়ে গিয়ে 'ইচ্ছে করে লম্ফ দিয়ে ঝম্প মারি' বললে চলবে না আজ আর। তামাম সাধারণ সরল সিধা লেখাপড়া না জানা বোকাহাবা চরম সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষ আজ তাকিয়ে আছে বুদ্ধিজীবীদের দিকে। বুদ্ধিজীবীরা যেন 'তথাকথিত বুদ্ধিজীবী' আখ্যায় নিজেদেরকে নিজেরাই আখ্যায়িত না করে, কেননা বুদ্ধিজীবীরা যেন মনে রাখে 'শেষের সেদিন ভয়ংকর! তোর খেয়াতে মাঝিই যে নেই বন্ধু, শেষের সেদিন ভয়ংকর'। কারণ আম জনতা যেদিন জানতে পারবে 'মহাশক্তি ঘুমায় তোর হৃদয়ে, তুই কেনরে মরার মতন' ---এই সত্য, সেদিন মুখ লুকাবার জায়গা থাকবে না কোথাও বুদ্ধিজীবীদের। সেদিন যদি তারা বেঁচেও না থাকে তাদের অতৃপ্ত আত্মা সেদিন ডুকরে ডুকরে কেঁদে কেঁদে ফিরবে স্থলে, জলে, অন্তরীক্ষে; এই-ই সত্য জেনো বন্ধু অতনু।
ভালো থেকো আর সজাগ থাকুক কলম।

কাল T V তে শুনলাম এক BJP সেনা ঠিক করে দিচ্ছেন সাহিত্যিকদের কি করতে হবে কতটা এবং কিভাবে........... যাই হোক মোক্ষম উত্তর ওনারা পেয়েছেন এসব বলার আগেই .... ভাবি বাঙ্লার নাট্যকার ,ছবি আঁকিয়ে , কবি, সাহিত্যিকদের কথা (সকলে নয় ) কেমন ল্যা ল্যা ল্যা ল্যা ........... শরম নেই ...মর্জাদাবোধটাই উধাও .... আর একটা কথা ইদানিং সময়ে বাঙলায় পুরস্কার ফিরিয়েছেন যারা পুরস্কারের অর্থমূল্য কিন্তু ফেরান নি প্রায় কেউ-ই ব্যতিক্রম কবি আলোক সরকার আর কেউ থাকলে বন্ধুরা নিশ্চই জানাবেন...........আবার হাওয়া বুঝেও অনেকে ত্যাগ করে....সে ত্যাগ ভোগেরই সমান.....


No comments:

Post a Comment