কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন’ অসাংবিধানিক, ঘোষনা করল সুপ্রিম
কোর্ট। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সাবেক ‘বিচারপতি দ্বারা বিচারপতি নিয়োগ’
বা পুরোনো কলেজিয়াম
প্রথা মানার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের
নির্দেশ বিস্ময়কর বলে এদিন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ভি এস গৌড়া।
বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ৯৯তম
সাংবিধানিক সংশোধন মারফৎ কলেজিয়াম
প্রথার বদলে কমিশনের
দ্বারা বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থায় আইনি সীলমোহর দিয়েছিল কেন্রীয় সরকার। নোতুন ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগের জন্য যে কমিশন গঠন করা হয়েছে সেই কমিশনে দেশের প্রধান
বিচারপতি, সুপ্রীম কোর্টের ২জন শীর্ষ বিচারপতি এবং
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে যুক্ত করা
হয়েছে। সুপ্রীম
কোর্টের যে দুই বিচারপতিকে কমিটিতে যুক্ত করা হবে তাদের বেছে নেবেন সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
কিন্তু এই আইন নাকচ করেছে সুপ্রীম
কোর্ট।
‘বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা’
এবং ‘বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’ এই দু’তরফের চাপান-উতোরে
দেশ তোলপাড়।আসুন দেখা যাক স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় নিয়োগ হওয়া প্রাক্তন বিচারপতি মার্কেন্ডেয় কার্টজুর মানসিক গঠন। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেয়ারে বসেছিলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি বিতর্কিত মন্তব্যে দেশের সেরা।
* সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মার্কেন্ডেয়
কার্টজু। তিনি সম্প্রতি টুইটারে
লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ব্রিটিশদের
হাতের কাঠপুতুল আর সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন
জাপানিদের এজেন্ট। কয়েকদিনের মধ্যেই আমি
কোলকাতায় যাচ্ছি। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে যাচ্ছি ওখানে। ব্রিটিশদের হাতের পুতুল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এবং জাপানের চর সুভাষ চন্দ্র বসুকে আক্রমণ
করে ভাষণ দেব। এর অর্থ মৌচাকে ঢিল
ছোঁড়া। ভাষণ শুনে
বাঙালিরা ভিমরুলের মতো আমার রক্ত খুঁজবেন। কিন্তু তাদের সত্যিটা জানা দরকার। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভুল ধারণা নিয়ে আছেন।
* মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন, গান্ধীজি এদেশে ইংরেজদের প্রতিনিধি ছিলেন। দেশের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির বীজ বপন
করেছিলেন। রাজনীতি এবং ধর্মকে এক করে
দীর্ঘ দশক ধরে দেশের মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন গান্ধীজি।
* ভারতীয়দের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ৯০ শতাংশ ভারতীয়ই বোকা।
* দাদরিতে গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে একজনকে পিটিয়ে মারা প্রসঙ্গে
বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, গরু শুধু মাত্র একটা পশু। গরু কখনও কারও মা হতে পারে না। আমি সবসময় গরুর মাংস খাই। আমি ভবিষ্যতেও আবার খাবো।
* ভারতের সুপ্রিম
কোর্টের প্রাক্তন
বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কার্টজু বলেছেন, বলিউড সুপারস্টার ক্যাটরিনা কাইফকে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা
উচিত। তবে সেটা শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত
হল- শপথগ্রহণের সময় পপুলার আইটেম সং ‘শীলা কি জওয়ানি’ নিজের গলায় গাইতে হবে ক্যাটকে৷ মঙ্গলবার নিজের ব্লগে কার্টজু
লেখেন, ‘কয়েক দিন আগে ক্রোয়েশিয়ার এক সুন্দরীকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে৷
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ক্রোয়েশিয়া যদি
মিস গ্রেবর কিটরোবিককে রাষ্ট্রপতি করতে পারে,
তাহলে আমরাই বা পারব না কেন? আমি সব সময়ই ভোটে
সুন্দরী মহিলাদের সমর্থন করি৷’ তিনি আরো বলেন, কাউকে না কাউকে তো ভোট দিতেই হবে৷ তাই সুন্দরীদের ভোট দেওয়াই ভালো৷ অন্তত মিডিয়ায় তাদের রূপের ছটা তো দেখা যাবে৷
এই হলো বিচারপতি
নিয়োগ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার অসাধারণ ফসল।
No comments:
Post a Comment