বাংলাকে শক্তিশালী হতে হবে।----শ্রীশ্রীঅবিনদাদা।
গত ২৫শে জুন'২০২৫ বৃহস্পতিবার পূজনীয় শ্রীশ্রীঅবিনদাদা কলকাতা অমরধামে অবস্থানকালে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে সান্ধ্যকালীন আলাপ আলোচনার সময় কথাপ্রসঙ্গে বলছিলেন,
"বাংলা অনেক পিছিয়ে গেছে। প্রায় এক দশক পিছিয়ে গেছে। বাংলার মানুষের মেরুদন্ডও আগের মত নেই। অথচ আগে আপনারাই সবথেকে বেশি শক্তিশালী ছিলেন। আবার বাংলাকে শক্তিশালী হতে হবে।"
শ্রীশ্রীঅবিনদাদা বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন সৎসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে। তিনি বাংলা ও বাঙ্গালীর পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন, মেরুদন্ডহীনতার কথা বলেছেন, বলেছেন শক্তিহীন হওয়ার কথা। তিনি স্পষ্টভাষায় রাখঢাক না করেই বলেছেন,
"বাংলা ও বাঙালি আগে শক্তিশালী ছিল এখন আর নেই। বাংলা ও বাঙালিকে শক্তিশালী হ'তে হবে।"
"বাংলা ও বাঙালি আগে শক্তিশালী ছিল এখন আর নেই। বাংলা ও বাঙালিকে শক্তিশালী হ'তে হবে।"
মন্ত্রমুগ্ধের মত গভীর আগ্রহে তাঁর কথাগুলি সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত শুনছিল সেদিন উপস্থিত সৎসঙ্গী যুবসম্প্রদায়, শুনছিল প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ সৎসঙ্গী নরনারী। আর চোখের সামনে সেদিন দেখতে পাচ্ছিল, অনুভব করতে পাচ্ছিল, উপলব্ধ হয়েছিল বর্তমান বাংলার করুণ দৈন্যদশা।
একজন ২৫বছর বয়সের যুবক বাংলার মেরুদন্ডহীনতার কথা বলছেন, বলছেন বাংলার অতীত গৌরবের কথা, শক্তিশালী অতীত বাংলা ও বাঙালির কথা। কিন্তু আমরা বর্তমান বাংলায় কি দেখতে পাই? বাংলার সমাজজীবনে, রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে, প্রতিষ্ঠিত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বাঙালির অবস্থান আজ কোথায়? ২৫বছর বয়সের যুবকের চোখে যা ধরা পড়ে তা' বাংলার সমস্ত শিক্ষা ক্ষেত্র, স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিল্প, কৃষি, ক্রীড়া, রাজনীতি, ধর্ম ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত যুব সম্প্রদায়ের এমনকি সৎসঙ্গী যুব সম্প্রদায়ের তাজা চোখে ধরা পড়ে? ধরা পড়ে পাকা চুলের অধিকারী প্রৌঢ় ও বার্ধক্যের ঝাপসা চোখের সৎসঙ্গীদের ও পশ্চিমবংগবাসীর? পড়ে না। পড়লেও 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতা আমাদের।
আমরা আজও সাহিত্য জগতে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সৈয়দ মুজতবা আলী, সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, বিদ্যাসাগর, মধুসূদন, রামমোহন, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ইত্যাদি, বিজ্ঞান জগতে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, প্রশান্ত মহলানবিশ, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ইত্যাদি, বাংলা তথা ভারতের ফুটবলের জনক নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারী, গোষ্ঠ পাল, শিবদাস ভাদুড়ী, চুনী গোস্বামী ইত্যাদি, রাজনীতির জগতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইত্যাদি, ধর্মজগতে নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ, শ্রীঅরবিন্দ, মা আনন্দময়ী ইত্যাদি এঁদের নাম মনে ক'রে স্মৃতিচারণ করি। আমরা ভুলে গেছি এই বাংলার পবিত্র মাটিতে জন্মেছিলেন এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ। এঁদের কথা ভাবতে ভাবতে অতীত গৌরবের জাবর কাটি আমরা বাঙালি। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা সেই কবে কোন জন্মে খাঁটি গাওয়া ঘি দিয়ে গরম ভাত খেয়েছি আর আজও তার ঢেঁকুর তুলে যাচ্ছি কৃত্রিম ঘিয়ের গন্ধে রঙে ভরপুর নকল ডালডা তেলের তৈরি ভেজাল ঘি দিয়ে ভাত খেতে খেতে। আজ আর কোনও ক্ষেত্রে নক্ষত্রদের নাম ভেসে আসে না। অর্থাৎ বাংলার বুকে বাংলার মাটিতে আর উন্নত উত্তম সোলের আবির্ভাব হয় না। আর, মনে হচ্ছিল সেই কথায় স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পূজনীয় শ্রীশ্রীঅবিনদাদা সেদিনের সন্ধ্যায় উপস্থিত বাংলা ও বাঙালি যুবকযুবতীদের সামনে।
একজন অল্পবয়সী যুবক সেদিন সাম্যবাদের প্রবক্তাদের কথানুযায়ী ধর্মের আফিম যেন পরিবেশন করছিল উপস্থিত পড়াশুনাজানা উচ্চশিক্ষিত আধুনিক যুবকযুবতীদের মধ্যে। মনে হচ্ছিল যেন পরিবেশন করছিল বাংলার অতীত ইতিহাস, অতীত ঐতিহ্য, অতীত গৌরব, বাংলার অতীত আর্য কৃষ্টি, আর্য সংস্কৃতি ইত্যাদির আফিম তাঁর কথার মধ্যে দিয়ে। বাংলার অতীত উজ্জ্বল নক্ষত্রসম দেবসন্তানদের কথা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল তাঁর কথার মধ্যে দিয়ে, মনে করিয়ে দিচ্ছিল যেন আফিম সেবনরত উপস্থিত যুবকযুবতীদের বাংলার শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ইত্যাদি সমস্ত দিকের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের।
যখন বাংলার হিন্দু ইয়ং জেনারেশন ধর্ম মানে না, ঈশ্বর, ভগবানের অস্তিত্ব, উপস্থিতি বিশ্বাস করে না, ঘোর নাস্তিক, যখন ইয়ং জেনারেশন ঈশ্বরকে নিয়ে ঈশ্বরের মূর্তি বা ভাস্কর্যে বা কবিতায় নিরোধ পড়িয়ে হাস্য উপহাস করে, যখন ইয়ং জেনারেশান নেশাভাং করে আর মা কালীর আরাধনায় মগ্ন থাকে, মায়ের পূজার নামে ছোট্ট ছাগ শিশুকে বলি দেওয়ার জন্য যখন বলির লাইনে দাঁড়ায় সান্ধ্য মজলিসে কচি পাঁঠার মাংস দিয়ে সুরা পান করবে বলে, যখন আধুনিক পোশাকে সজ্জিত উচ্চ লেখাপড়াজানা ইয়ং জেনারেশান আংটি, তাবিজ, মাদুলি, লালসুতো, জ্যোতিষ নির্ভর জীবনে বিশ্বাসী ও প্রচন্ড নির্ভরশীল, যখন সাধারণ মানুষ, ধনী, দরিদ্র, মূর্খ, পন্ডিত সবাই আকাশের ভগবান, বোবা ভগবান, মূর্তির ভগবানের ওপর বিশ্বাসী ও অলৌকিকতার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ঠিক তখনই ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার যুবকযুবতী এক অল্পবয়সী সুদর্শন সৌম্যকান্তি দিব্যকান্তি অপূর্ব রূপময় যুবকের মিষ্টি মধুর হাসি, মায়াময় মধুময় আলোময় চোখের চাউনি, রসময় আনন্দময় কথার আকর্ষণে ছুটে ছুটে আসে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন যেখানে তিনি অবস্থান করেন সেখানেই, ঠিক যেমন ফুলের সুমিষ্ঠ গন্ধের সৌরভে ছুটে ছুটে আসে মৌমাছি মধু অন্বেষণে! মৌমাছি যেমন ফুলের মধু সংগ্রহ ক'রে ক'রে মৌচাকে জমা ক'রে রাখে ঠিক তেমনি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব বয়সের সৎসঙ্গী নারীপুরুষ বিশেষত সৎসঙ্গী যুবসম্প্রদায় উন্মত্তপ্রায় ছুটে ছুটে আসে শ্রীশ্রীঅবিনদাদার অমোঘ ভালোবাসার তীব্র টানে, প্রাণবন্ত আলোময়, রসময়, প্রেমময় সুমিষ্ঠ কথার ঝরণা ধারায় সিক্ত হ'তে, আসে জীবনীয় মধুময় কথার মধু সংগ্রহ ক'রতে। আর শ্রীশ্রীঅবিনদাদার সেই মধুময় অমৃতময় কথা সংগ্রহ ক'রে নিয়ে একগাট্টা বাঁধে তারা। শ্রীশ্রীঅবিনদাদার রক্তে ব'য়ে চলেছে খাঁটি আর্য রক্ত। শ্রীশ্রীঅবিনদাদার নেতৃত্বে বাংলার সৎসঙ্গী যুবসম্প্রদায় একগাট্টা বাঁধলে বাংলা ও বাঙালি আবার জেগে উঠবে। সেদিনও এসেছিল এবং যতদিন তিনি অমরধামে অবস্থান করেছেন ও আজও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবস্থান করেছেন প্রতিদিনই ছুটে ছুটে এসেছে অগণিত যুবকযুবতী। ছুটেছুটে আসছে প্রতিদিন হাজার হাজার নরনারী, প্রৌঢ় প্রৌঢ়া, বৃদ্ধ বৃদ্ধা তাঁর অমোঘ ভালোবাসার টানে, প্রেমের টানে।
শ্রীশ্রীঅবিনদাদার বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে বলা বিষয়ে এই লেখা লিখতে লিখতে মনে পড়ে গেল বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন,
"আমাদের দীপঙ্কর---- এই তো বজ্রযোগিনী বাড়ি, বাঙ্গাল, যাজনের সাহায্যে তিনি কি ক'রে ফেললেন। বাঙালী জাতির মধ্যে খাঁটি Aryans ( আর্য ) আছে। অন্যদিকে যখন অত্যাচার শুরু হয়েছিল তখন এঁদের অনেকে এদিকে এসে পড়েছিল। এদের রক্ত, এদের জান যে সে ব্যাপার নয়। আমরা তো জানিই না আমাদের নিজেদের কি ছিল----কেষ্টদা যে সব তথ্য যোগার করেছেন তা' শুনলে তো অবাক হ'তে হয়। এক গাট্টা হ'য়ে উঠলে এ জাতের সাথে পারা মুশকিল।"
"Bengal ( বাংলা) যদি একটা Unit হ'য়ে দাঁড়ায়, (বাংলা) যদি ঠিক হয়, তখন সহজেই আর সব হ'য়ে যাবে। ভারত এক লহমাতেই জগতের গুরু হ'তে পারে।" "দেখেন, বাঙ্গালীর মতো এমন জান আপনি আর পাবেন না।"
"Bengal ( বাংলা) যদি একটা Unit হ'য়ে দাঁড়ায়, (বাংলা) যদি ঠিক হয়, তখন সহজেই আর সব হ'য়ে যাবে। ভারত এক লহমাতেই জগতের গুরু হ'তে পারে।" "দেখেন, বাঙ্গালীর মতো এমন জান আপনি আর পাবেন না।"
আজ থেকে প্রায়ই ৮৫বছর আগে বলা যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে বলা ঠিক এই একই কথার প্রতিধ্বনি আমরা শুনতে পাই তাঁরই ৫ম পুরুষ শ্রীশ্রীঅবিনদাদার শ্রীমুখে। কি অদ্ভুত! বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে সেই অমৃত ঝরণা ধারার Tradition ব'য়ে চলেছে আজও এই অস্থির অশান্ত রুক্ষ্ম অসুন্দর বাংলায় বসে ধীর স্থির শান্ত সৌম্য এক ২৫বছরের যুবকের মুখে।
সেদিনও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ১৯৪০ সালে আজ থেকে ৮৫বছর আগে সেদিনের পূর্ববাংলা আজকের বাংলাদেশে পাবনার হিমাইয়েতপুরে বাঁধের ধারে তাঁর খড়ের ঘরের বারান্দায় চৌকিতে বসে কখনও প্রাতে কখনও বা সন্ধ্যায় মাঝে মাঝেই উপস্থিত ভক্তমণ্ডলী ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত ব্যক্তিদের সামনে বাংলা ও বাঙ্গালীদের নিয়ে তিনি আশার কত কথা ব্যক্ত করতেন। আর আজ সেই ৮৫বছর পর পশ্চিমবাংলার কলকাতার শোভাবাজারে অমরধামে বসে আমরা সেই আশা আকাংকার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই তাঁরই উত্তরপুরুষ (৫ম পুরুষ) ২৫বছরের এক যুবক, লক্ষ লক্ষ যুব সম্প্রদায়ের হার্টথ্রব পূজনীয় শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মুখে।
বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে তাঁর সেই অমৃতময় কথা আবার স্মরণ ক'রে এই প্রবন্ধের আমি ইতি টানবো।
শ্রীশ্রীঅবিনদাদা বললেন, "বাংলা অনেক পিছিয়ে গেছে। প্রায় এক দশক পিছিয়ে গেছে। বাংলার মানুষের মেরুদন্ডও আগের মত নেই। অথচ আগে আপনারাই সবথেকে বেশি শক্তিশালী ছিলেন। আবার বাংলাকে শক্তিশালী হতে হবে।"
আজ আমাদের বাংলা ও বাঙ্গালী সৎসঙ্গীদের সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার, সিরিয়াস সৎসঙ্গী হওয়ার। শ্রীশ্রীঠাকুর আচার্য পরম্পরার মধ্যে দিয়ে রেত শরীরে অবস্থান ক'রে আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে তাঁর আশার কথা। বাংলা কি এখনও জেগে উঠবে না? বাংলার ও বাঙালি সৎসঙ্গীরা কি এখনও ঘুমিয়ে থাকবো?
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়, ভারতবর্ষের ঐ বাংলায়ও শ্রীশ্রীঠাকুর থাকতে পারলেন না, স্বাস্থ্য উদ্ধারে এসে আর ফিরে যেতে পারলেন না তাঁর জন্মভূমি, তাঁর পিতৃভূমি, তাঁর মাতৃভূমি, তাঁর সাধের শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধ্যকের পবিত্র লীলাভূমি ও কর্মভূমি ঐ পূর্ববাংলা তথা বর্তমান বাংলাদেশে। দেশ ভাগ হবার ৭৮বছর ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৫বছর পরেও আজও তাঁর সাধের জন্মস্থান, তাঁর সাধের আশ্রম, তাঁর প্রতিষ্ঠিত 'সৎসঙ্গ'-এর সম্পত্তি ফিরে পেলেন না।
আর, স্বাস্থ্য উদ্ধারে এসে থাকতে পারলেন না ভারতের এই পশ্চিমবাংলায়ও, চলে গেলেন লাল মাটির দেশ তৎকালীন বিহার বর্তমানের ঝাড়খন্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগণার দেওঘরে। আমরা বাঙ্গালীরা কেউই ভেবে দেখিনি তাঁর অন্তরের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা এই তীব্র অসহনীয় ব্যথা, এই যন্ত্রণা। কত অব্যক্ত ব্যথা, বুকে গভীরে চাপা কত যন্ত্রণা নিয়ে কত মানুষ এই পৃথিবী ত্যাগ ক'রে চলে যায়, ঠিক তেমনি ঈশ্বর স্বয়ং মানুষ রূপে সীমার মাঝে এসে এমন অসহনীয় লক্ষ কোটি ব্যথা, যন্ত্রণা নিয়ে অশ্রু সজল চোখে চলে গেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর।
একবার শ্রীশ্রীঠাকুর দুঃখ ক'রে বলেছিলেন, "আমার সৎসঙ্গের আন্দোলন বাংলার বাইরে থেকে হবে, বাংলা থেকে হবে না।"
The greatest phenomenon of the world, The greatest wonder in the world যুগপুরুষোত্তম রক্তমাংসসংকুল আমান ঈশ্বর পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথাটা কি দুঃখ ক'রে, অভিমান ভরে বলেছিলেন? আর তাই কি সত্য হ'লো না?
আর, সেই একই কথার প্রতিধ্বনি হ'লো একটু অন্যরকমভাবে অন্য কথায়? একটা প্রবাদ আছে, সমঝদারকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়। এই কথা কি সৎসঙ্গীদের ক্ষেত্রে খাটে না, প্রযোজ্য নয়??? আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের সব সময় বলা সোনার সৎসঙ্গীরা, আমরা কি এখনও ঘুম ভেঙে জেগে উঠবো? বাংলার বাইরে সৎসঙ্গের যে ঝড় উঠেছে আমরাও কি অকপটভাবে সেই ঝড়ের সাথী হবো না? ঝড়ে শামিল হবো না? আসুন ভেবে দেখি একটিবার।
( লেখা ৫ই আগষ্ট'২০২৫)
