Powered By Blogger

Wednesday, June 21, 2017

আজান ও সোনু নিগম।

আজান নিয়ে সোনু নিগমের প্রতিক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বাদ প্রতিবাদের আসর জমে উঠেছে। পক্ষ বিপক্ষ উভয়ের যুক্তির তরবারি ঝলসে উঠছে দিকে দিকে। স্বাভাবিকভাবেই কয়েকটা প্রশ্ন জন্ম নিল মনের আঙিনায়। আর তাই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে নেবার তাগিদ অনুভব করলাম।

) হঠাৎ সোনু নিগমের এই প্রতিক্রিয়া কেন?
) এতদিন তাঁর মনে হয়নি আজানের সুর 'গুন্ডা গার্দি'! কেন মনে হয়নি?
) এত বছর পর এই প্রথম কেন তাঁর মনে হলো তিনি মুসলিম নন অথচ তাঁকে
আজানের সুরে ঘুম ভেঙে উঠতে হয় প্রতিদিন ভোরে?
) এতদিন পর তাঁর মনে ' ভোরের এই আওয়াজ 'ধর্মীয় জোরজবরদস্তি'?
) এতদিন মনে হয়নি কেন?
) এতদিন কি সহিষ্ণু ছিলেন?
) হঠাৎ অসহিষ্ণু 'য়ে উঠলেন কেন? কি কারণ?
) আজানের ধ্বনি কি হঠাৎ কানে গেল?
) মন্দির বা গুরুদ্বারের ধ্বনি কি আগে কখনো কানে যাইনি?
১০) আগে কি উদার ছিলেন?
১১) হঠাৎ অনুদার হলেন কেন? কি কারণ?
১২) এই আজানের ধ্বনি, মন্দির বা গুরুদ্বারের ধ্বনি শুনে অতি ভোরে যাদের ঘুম
ভাঙ্গে তাদের ক্ষেত্রে কি হবে সেটা বললেন না তো সোনু বাবু?
১৩) আজানের ধ্বনি শুনে শুধু মুসলমানের কিম্বা মন্দির গুরুদ্বারের ধ্বনি শুনে
শুধু সেই সেই অনুগামীদের ঘুম ভাঙ্গে একথা কে বলল আপনাকে?
১৪) আজানের ধ্বনিকে আপনার চেঁচামেচি 'লে মনে হয়?
১৫) আপনি বা আপনারা যে সব গানের নামে রাতভর হুলালালা করেন সেগুলি কি?
১৬) সঙ্গীত জগতে সঙ্গীতের নামে জোর 'রে হুল্লালালা কবে বন্ধ হবে সোনুবাবু?
১৭) ভগবান আপনার মঙ্গল করুক সোনুবাবু।
সোনু নিগমের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন এক মুসলিম নেতা সঈদ শা আতেফ আলিজী কি ফতোয়া জারি করেছেন? "গায়কের যদি কেউ মাথা কামিয়ে, মাথায় জুতোর মালা পরিয়ে সারা দেশ ঘোরাতে পারেন, তাহলে তিনি তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবেন।"
সঈদ শা আতেফ আলিজীকে আমার প্রশ্ন।
) আলিজী কথায় কথায় ফতোয়া জারি কেন?
) পবিত্র কোরানের কোথাও প্রভু মহম্মদ ফতোয়া জারির কথা বলে গেছেন নাকি?
) ধর্ম কি এতই ঠুনকো নাকি যে কেউ কিছু বালসুলভ আলটপকা আলগা মন্তব্য করলেই ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লাগবে?
) আজানের ধ্বনি, মন্দির, গুরুদ্বারের ধ্বনি যদি শব্দ দূষণ তৈরী 'রে সেটা ভেবে
দেখতে অসুবিধা কোথায়?
) ধর্ম পালন মানে কি অপরের বা পরিবেশের কারও বা কোনও অসুবিধা সৃষ্টি করা?
) পরিবেশে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় এমন বিষয়ে সতর্ক থাকা কি উচিত নয়?
) ফতোয়া জারি সমস্ত ধর্মে সংক্রামক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়ছে। এর জন্য কে বা
কি দায়ী?
) একটু সহানুভুতি, একটু সংযম, একটূ শালীনতা ব্যবহারে ভাষা ব্যবহারের
ক্ষেত্রে কি আশা করা মুর্খামি?
) শব্দদূষণ বা কারও ঘুমের ব্যাঘাত বা কারও কোনও অসুবিধার প্রশ্নে আওয়াজ
একটু কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে নাকি?
১০) শ্রুতিমধুর কন্ঠস্বরের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় কি?

যাই ' আসুন আমরা একটু শিক্ষিত 'ই।

Written on 21April'17


No comments:

Post a Comment