Powered By Blogger

Tuesday, December 16, 2025

কবিতাঃ আবার এসেছো ফিরে।

আবার এসেছো ফিরে দারোয়া নদীটির তীরে, এই দেওঘরে
রেত শরীরে সুপ্ত থেকে তোমার নীড়ে, আচার্যদেবের বেশে।
এসেছো বাবাইদাদা হয়ে সরল শান্ত এই সাঁওতালদের দেশে
আনন্দের ঝরণা ধারায় ভেসে আবার আসিবে এ জামের ছায়ায়;
অবিনদাদা হ'য়ে, বাঁচা-বাড়ার মূল মন্ত্র উচ্চারিত হবে অধরায়,
সারাদিন কেটে যাবে লক্ষ কোটি মানুষের ভিড়ে হেসে হেসে
আবার আসিবে তুমি দেওঘরের লাল মাটি, মহুয়া সারি ভালোবেসে
বারবার দারোয়ার বর্ষার জলে ভেজা এ লাল মাটির ডাঙ্গায়;


হয়তো দেখিবো চেয়ে এক তরুণ হাসিতেছে পার্লার আবাসে
হয়তো শুনিবো এক বালক গাহিতেছে জয় রাধে রাধে
হয়তো বাঁচার গান শুনাইতেছে নব্য যীশু নাট মন্দিরের ঘাসে
দারোয়ার পাড়ে দাঁড়িয়ে হয়তো কিশোর এক গঙ্গার উদ্দেশ্যে
শঙ্খ বাজায়; অন্ধকারের বুক চিরে আলো হাতে আসিতেছে ফিরে
দেখিবো এক সৌম্যকান্তি যুবক, তোমারেই পাবো আমি ইহাদের ভীড়ে।
প্রবি।


বিচিত্রাঃ ২২১

"শূন্য এ বুকে পাখিমোর ফিরে আয়! ফিরে আয়!!"
হে আচার্যদেব!
আমার অশ্রুভেজা বুক ভাঙা প্রণাম গ্রহণ ক'রো।

হে আচার্যদেব! তুমি নেই ভাবতে পারছি না!
কেন তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাদের!?
মনপাখি বারবার গেয়ে ওঠেঃ
"শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয়! ফিরে আয়!!"
হে দয়াল! শক্তি দাও, শক্তি দাও মোরে সহিবারে এ অসহনীয় ব্যথা।
এ ব্যথা বোঝে সে প্রাণে ব্যথা লেগেছে যার।
( লেখা ১৬ই ডিসেম্বর'২০২১)


































বিচিত্রাঃ ২২০

পরমপিতার দরবারে আছে 
আনন্দ-সুখ-শান্তি-উত্থান-স্বাস্থ্য 
ইত্যাদির গ্যারান্টি, নট ওয়ারেন্টি! 
শর্ত দুটো। 
শারীরিক ও মানসিক অখাদ্য-কুখাদ্য বর্জন!

ভাঙতে-ভাঙাতে আনন্দ-মহানন্দ!
কারণ উলঙ্গ বৃত্তি-প্রবৃত্তির সেথা
প্রশ্রয়-মহাশ্রয়!!

আজ বাংলার বুকে যা হচ্ছে বা চলছে তার দায় কে নেবে? 
নেতা-নেত্রী-বুদ্ধিজীবীরা? নাকি আম জনতা?

জলে নামবো না, সাঁতার কাটবো না
কিন্তু পারে দাঁড়িয়ে বলবো
উঁহু হুঁ! হচ্ছে না! হচ্ছে না!
ভুল! ভুল!! সব ভুল!!!

দে মা! লন্ডভন্ড ক'রে লুটেপুটে খায়!
পরে হবে নিয়মমত শান্তির নামে
মিছিল-মিটিং-এ হায়! হায়!!

কেউ শান্তি চাইনি, চাই না!
চাই সুখের নামে অসুখ! গভীর অসুখ!!

বাংলাদেশ কার? বাঙালির?
মুসলমানের? হিন্দুর?
নাকি সব সম্প্রদায়ের?
শরণার্থীর পরিচয় কি? 
বাংলাদেশ কি ফিরিয়ে নেবে শরণার্থীদের?

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন, 
ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কথাটা আমার মতে ভুল, 
বরং সম্প্রদায় নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কথাটা হ'তে পারে। 
কিন্তু এখন দেখি এ-কথাটা কেউ নিজের ব'লে প্রচার করছেন। সেখানে না আছে ঠাকুরের নাম, না আছে ইনভার্টেড কমা। 
"সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ"!!

বেইমান আর নেমকহারাম কি হওয়া যায়? 
নাকি বেঈমানি আর নেমকহারামি 
রক্ত বাহিত মারণ রোগের জীবাণু!? 
বেইমান-নেমকহারাম কি জন্মভ্রস্ট?
( ১৬ই ডিসেম্বর'২০১৯)

স্বাধীনতার ৭৪বছর পরও কি আমার দেশ 
বিদেশী শক্তির হাতের পুতুল হ'য়ে থাকবে!?
দেশীয় চাটুকারদের দ্বারা পুতুল নাচ নাচাবে!?

দেশ, দেশের জনগণ কবে সাবালক হবে!?
৭৪ বছর পরও দেশ, দেশের জনগণ নাবালক!?

জিম, পিৎজা, ম্যাসাজ পার্লার ইত্যাদিতে 
সজ্জিত কৃষক আন্দোলন!?
কম্যুনিস্টরা কি এমন আন্দোলন দেখেছেন!? 
নয়া ভারত! নয়া আন্দোলন!

আধুনিক কৃষক পিৎজা খায় আবার 
জিমে গিয়ে ক্যালোরি জ্বালায়!! 
চাষ করার জন্য ম্যাসাজ পার্লারে 
ক্লান্ত শরীর ম্যাসাজ করায়!!! ওয়াও!!!

আধুনিক ভারতের আধুনিক আন্দোলন!? 
জিম, পিৎজা, ম্যাসাজ পার্লারে পরিবেষ্টিত মেলায় 
কৃষকদের আন্দোলনের নতুন যুগের সূচনা!?

জিম, পিৎজা, ম্যাসাজ পার্লারে সজ্জিত 
মেলার মাঝে কৃষক আন্দোলন! 
কম্যুনিস্টরা কি বলেন? কৃষকরা কি ধনী? আধুনিক?

জিম, পিৎজা, ম্যাসাজ পার্লারে সজ্জিত 
আন্দোলন কি গরীব, অভুক্ত, আত্মহত্যা করা 
কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে কালো দিন? 
কম্যুনিস্টরা কি বলেন?
( ১৬ই ডিসেম্বর'২০২০)


























































Saturday, December 13, 2025

বিচিত্রাঃ ২১৯

নিজে কিছু করবো না!
সাজানো বাগানে আসবো, ফুল পাড়বো,
পাতা ছিঁড়বো, ডাল ভাঙবো আবার
মালিকেও পেটাবো!! বা: কি মজা!!
( লেখা ১৪ই ডিসেম্বর'২০১৯)

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে 
যারাই দয়ালের দয়া পেয়েছে 
তারাই দয়ালের বিরুদ্ধতা করেছে। 
পিছন থেকে রথের দড়ি টেনে ধরেছে। 
কেন্দ্র বিরোধী কাজে যুক্ত হয়েছে।
( লেখা ১৪ই ডিসেম্বর'২০২২)

একজন জাতের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত
সাম্যবাদের গাইছে অলীক গান
ধর্মবাদী আর এক ধার্মিক বেকুব
জাতকে করতে নির্মূল ধরেছে তান।

জাত মানো না, ধর্ম মানো না
কিন্তু ধর্মান্তরিত হও!?
অবাক বন্ধু! অবাক করলে তুমি!!
মানবতার ধর্ম পালন না ক'রে
মানবতার গান তুমি গাও।
( লেখা ১৪ই ডিসেম্বর'২০২৪)




















































বিচিত্রাঃ ২১৮

জীবন জুড়ে কেবল হিংসার বীজ 
করছে রে ভাই কিলবিল!
জ্ঞানের ঢাক পেটাচ্ছে সবাই
আর
ছড়াচ্ছে মৃত্যুর ফসিল!!

আদর্শ নেই জীবনে আর থাকলেও তা' ভন্ডামিতে পূর্ণ!
মারছো জ্ঞানের হাঁকডাক
যেমন ফাঁকা কলস শূন্য!!

যেদিকে তাকাও ঝাঁ চকচক চেহারা আর কথার ফুলঝুরি!
শালা বুকের ভেতর লুকিয়ে আছে মিথ্যে ভুরিভুরি!!

সৎসঙ্গকে বলেছো পাপসঙ্গ
আর
মায়েদের বলেছো মাগী!
সেই সৎসঙ্গেই আজ পড়েছো ঢুকে 
আর ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে সেজেছো যোগী!!

বন্ধু! তুমি আমায় বলছো উচ্ছৃঙ্খল?
ছেলে তোমার বলছে আমায়, 
পিতার পরিচয়ে চাহিয়া না বাঁচিতে, 
চাই ছিন্ন হ'ক শিকল!!

যৌবনের পাগলা ঘোড়ায় চেপে 
ছুটছো হারিয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞান! দাঁড়াও বন্ধু! 
দাঁড়াও পথিক!
ছুটে চলো তুমি, তাঁর চরণ তলে রেখে ধ্যান।

চতুর্দিকে শুধু আঁধার আর আঁধার 
হাত ধ'রে তোমার হাঁটছি আমি পথ
তোমার সাথে যাবো আমি 
তুমি আমার জীবনস্বামী
আসছে যে ঐ অমর ধামের রথ!


প্রভুর আসনে আছো ব'সে তুমি কে? কে তুমি?
সিংহাসন করো খালি, নেমে এসো ত্বরা করি;
গুরুগিরি ছেড়ে ধরো তাঁর চরণ যুগল
নইলে রসাতলে যাবে তুমি, যাবে আত্মাভূমি।

গুরুগিরি ক'রে বন্ধু ভরছে কি তোমার পেট,
বাড়ছে কি তোমার জীবনের মান? 
শিষ্যকুলকে বানিয়ে বোকা 
করছো নিজের জীবনকেই খানখান!!

বুক ফাটিয়ে দু'হাত জুড়ে সুর চড়িয়ে
বলছো হেঁকে 'জয়গুরু'!
তাই না শুনে আর তোমায় দেখে
গুরুভাইবোনের বুক করছে দুরুদুরু!!
বুক তো নয় যেন শুষ্ক ভূমি মরু!!

কা'কে দিচ্ছ বন্ধু ফাঁকি আর কার বুকে
করছো শঠতার আঁকিবুঁকি?
ঠাকুর কি তোমার মাটির ঠাকুর 
নাকি আকাশের ঠাকুর!? 
ধরতে পারছে না তোমার চালাকি!?

'জয়গুরু' ব'লে দিচ্ছো হাঁক 
হৃদমাঝারে লুকিয়ে জাঁক!
অহং বোধের পুঁজি নিয়ে ভাইগুরু 
'সৎনামে জগৎ মাতাও'
ব'লে করছো হাঁকপাঁক!!

ঝোলা ব্যাগ ঝুলিয়ে কাঁধে একদা 
গেয়েছিল সাম্যবাদের গান 
সেজেছিল বিপ্লবী মহাগুরু
সেই ট্রাডিশান চলেছে সমানে
এসেছে সাদা পোশাকের বান
আর কালো ব্যাগের শুরু!!

দীক্ষা নিয়ে সাদা পোশাকে হয়েছি কেউকেটা।
হয়েছি বাঁশের চেয়ে কঞ্চি আমি দড়!
ভুলেছি ঠাকুরের বাণীঃ
"সাধু সেজো না, সাধু হবার চেষ্টা করো।"

ঈশ্বর ছাড়া জীবনের আরেক নাম যন্ত্রণা!
মুক্তি নেই এর হাত থেকে
কারণ
জন্মেই পেয়েছো মূর্তি পূজার মন্ত্রণা!!

ঈশ্বর মানেই জীবন্ত ঈশ্বর
তাঁকে না মেনে করছো তুমি 
শুধুই মূর্তিপূজা!
মূর্তি পূজার নামে বৃত্তি পূজার
করছো আরাধন
পেতে রিপুর মজা!!
( লেখা ১৪ই ডিসেম্বর'২০১৭)






















































































































Friday, December 12, 2025

কবিতাঃ জাত

জাত মানেটা কি তাই বুঝলে না
অথচ জাত নিয়ে করছো বড়াই?
জাত বলতে কি বোঝো তুমি
আগে সেটা বলো তো দেখি ভাই।
জাত নিয়ে তুমি গান বেঁধেছ
কাউকে শ্রেষ্ঠ, কাউকে দেখাতে নিকৃষ্ট;
আর, জাত নিয়ে তুমি লিখলে কবিতা, 
গল্প, উপন্যাস সাহিত্য উৎকৃষ্ট।
জাতের নামে ক'রে উঁচুনিচু ভেদাভেদ
জাতকে রাখবে অক্ষত?
জাতের নামে ক'রে বজ্জাতি
স্রষ্টার বিধানকে করেছো ক্ষতবিক্ষত।
( লেখা ১২ই ডিসেম্বর' ২০২৪)






Wednesday, December 10, 2025

উপলব্ধিঃ নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বাঁচার উপায়।

নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বাঁচার ও রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা থেকে নিশ্চিত রক্ষা পেয়ে ও মুক্ত হ'য়ে বেড়ে ওঠার একমাত্র নিশ্চিন্ত উপায় জীবন্ত ঈশ্বরকে জীবনে আদর্শ স্বরূপ গ্রহণ করা ও বর্তমান যুগপুরুষোত্তনকে জীবনে গ্রহণ করা ও মেনে চলা। জীবন্ত ঈশ্বর হলেন দয়াল প্রভু শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

দয়াল প্রভুকে যে ধ'রে রাখে জীবনে তাঁকে দয়াল ঠাকুর ভিডিওর এই ঘটনার মতো ঠিক এমনিভাবেই নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচান ভিডিওটা দেখুন ও নিশ্চিত মৃত্যু ভয় ও মহাবিপদ অনুভব করুন।

দয়াল ঠাকুর যার একমাত্র ধ্যান জ্ঞান, সংসারের সব কাজে, জীবনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁকে যে প্রতিমহুর্তে জড়িয়ে ধ'রে রাখে, একমাত্র তাঁকেই জীবনে স্থান দেয় ও ঘরে ঘরে প্রতি জীবনে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন উৎসর্গ করে, তাঁর প্রতিষ্ঠার কাজে নিজে এগিয়ে আসে ও ইষ্ট প্রতিষ্ঠার কাজে অন্যদের প্রতি সহযোগীতার দরাজ হাত বাড়িয়ে দেয় ও যোগান দেয় নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী, দয়ালের প্রতিষ্ঠার কাজে কোনরূপ বাধা সৃষ্টি করে না, কারও বিরুদ্ধে কোনরূপ অপপ্রচার করে না, কারও দোষ ত্রুটি নিয়ে পরনিন্দা পরচর্চা করে না, কারও সম্বন্ধে বা কোনও কিছু সম্বন্ধে মিথ্যে প্রচার করে না, নিজেকে নিজের বিবেকের আয়নায় দেখে সবসময়, অহেতুক কারও ব্যাপারে নাক গলায় না, অন্যের চলায় বাধা সৃষ্টি করে না, নিজের অহংকারী জ্ঞানে কারও ক্ষতি করে না, ভালো ও মঙ্গল কাজে অন্যকে প্ররোচিত করে, ঘরে বাইরে সমস্ত রকম নেগেটিভ শক্তি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলে ইষ্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, নিজের জীবন, পরিবারের জীবন, পারিপার্শ্বিকের জীবনকে বাঁচা ও বাড়ার পথে চালিত করার জন্য সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করে, সমাজ জীবনে দয়ালের প্রতিষ্ঠার কাজে নিজে বাধার কারণ হয় না ও কেউ বাধা হ'লে তার বিরুদ্ধে মিষ্টি ভাষায় স্পষ্টবাদিতার সঙ্গে রুখে দাঁড়ায় ও তার ভুল ভাঙ্গিয়ে দেয়, হাত ধ'রে তাকে মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানায়, প্রদীপের আলোয় সামনের উদ্ভাসিত পথের দিকে তাকিয়ে থাকে ও দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যায় 'যদি তোর ডাক শুনে কেওু না আসে তবে একলা চলো রে' মন্ত্রে প্রদীপের নীচের অন্ধকার দেখে না, ঘরে-বাইরের সমস্ত ছোটো ছোটো শিশুদের প্রাণে প্রাণে ঢুকিয়ে দেয় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ শ্রীশ্রীঠাকুরকে তখন আমার দয়াল ঠাকুর তাকে ও তার পরিবারকে ভিডিওর ঐ কুমিরের মুখ থেকে কচ্ছপের বারবার পড়ে যাবার মতো এবং অবশেষে বেঁচে যাওয়ার মতো সমস্ত রকম বিপদ আপদের দিক থেকে রক্ষা করে, নিশ্চিত সাক্ষাৎ মৃত্যর হাত থেকে রক্ষা করে, রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয়, দারিদ্রতা থেকে রক্ষা করে ও সুন্দর আনন্দময় এক দীর্ঘ লম্বা জীবনের অধিকারী ক'রে তোলে। জীবন মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়।
আসুন সত্য জানি ও পালন করি।
( লেখা ১১ই ডিসেম্বর'২০২৪)

ভিডিওর লিঙ্কঃ 
https://www.facebook.com/100059616441361/videos/1543408179895581

বিচিত্রাঃ ২১৭

ক্রোধ যখন অসীম হ'য়ে ওঠে তখন 
তাঁর সীমার মাঝে হয় অবস্থান; 
বহির্প্রকাশ হয় হাসিতে, হাসি হয় ম্লান হাসি। 
তা' হয় ভয়ঙ্কর!! সাবধান।

তাঁর ইচ্ছার মাঝে নিজের ইচ্ছার কোদাল চালাতে যেও না। 
নিজের ইহকাল পরকাল খেও না। 
তিনি যেমন দয়াল তেমনি কিন্তু ভয়াল! মনে রেখো।

বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে করছো তেল মালিশ, 
দিচ্ছো তাঁর কাজে বাধা? 
ভোঁদাদের নিয়ে পড়েছো বেরিয়ে 
বেকুব তুমি, তুমি হাঁদা।

আমি যদি কিছু ভুল ক'রে থাকি 
তা' আমায় করতে দাও।
আমি ভুল বুঝলে ভালো
নইলে আমাতে না দিয়ে মন 
তোমার কাজ তুমি ক'রে যাও।

তোমার এত সময়? খালি আমার ভুল ধরো! 
কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, 
সেই কারখানায় কেন পিষে মরো!? 
এসো তাঁর মিশন রশি ধরো।

মানছি আমি, না হয় আমার আছে অনেক দোষ।
আমারটা আমার থাক
শুধু বলি, তাঁর ইচ্ছায় চলো তুমি 
হ'য়ে খাঁটি, হ'য়ে নির্দোষ।

মন্দটাই দেখলে শুধু
চোখে পড়লো না ভালো?
আঁখি তারা রেখেছে ঢেকে
ঘন অন্ধকার কালো!

ঈশ্বরের কাজ ঈশ্বর করেন 
তুমি কেন সাজতে চাও ঈশ্বর!? 
ঈশ্বর যখন স্বয়ং আসেন নেবে 
তখন কেন করো জন্ম বৃথা, 
জানো তো এই পৃথিবী নশ্বর!

জন্মে দোষ না থাকলে পরে কেউ কি 
সাজে ঈশ্বর!? সাজে গুরু!? 
জন্ম বিজ্ঞান না মানলে পরে
খুঁজে পাবে না এর কোথায় শেষ, কোথায় শুরু।
( লেখা ১১ই ডিসেম্বর'২০১৭)

দীক্ষা মানে কি?
দীক্ষা মানে চরণ পূজার স্কুল ছেড়ে
জীবন্ত ঈশ্বরের চলন পূজার স্কুলে ভর্তি হওয়া।
চরণ পূজা নয়, চলন পূজা।

বাংলাদেশ কা রাজধর্ম ইসলাম হ্যায়!
পাকিস্তান কা রাজধর্ম ইসলাম হ্যায়!
আফগানিস্তান কা রাজধর্ম ইসলাম হ্যায়!
ভারত কা ক্যা হ্যায়!?
( লেখা ১১ই ডিসেম্বর২০১৯)

















Monday, December 8, 2025

কবিতাঃ ধর্ম ও সত্য উলঙ্গ রয়।

চরিত্রহীন চরিত্রবানের
চরিত্রে ধরে দোষ আর
মূর্খ ধরে জ্ঞানীর ভুল;
চোর বলে সাধুরে চোর,
ভগবান সেজে শয়তান
করে দেশের রুল।
অধার্মিক নৃত্য করে উদোম
ধর্মের নামাবলী চড়িয়ে গায়,
কপট নেতা নৈতিকতার করে পাঠ
ঈশ্বরের মাথার কাছে নিজেরে বসায়।
রাজার নীতিকে ক'রে হাতিয়ার
ইষ্টহীন নেতা করে রাজনীতি;
যমের দালালী ক'রে নেতা
বাঁচা-বাড়ায় আনে ভয়ভীতি।
ঈশ্বরে অবিশ্বাসী নাস্তিক অহঙ্কারে
আস্তিকের মাথায় মারে লাথ
নাস্তিক সেও যে আস্তিক,
নাস্তিকের নেই কোনও অস্তিত্ব
সেই সহজ জ্ঞান নেই তার।
ধূর্ত সততার পোশাক প'ড়ে
ধর্ম ক্ষেত্রে অধর্মের বার্তাবাহক হয়;
মিথ্যেবাদী সত্যের শুভ্র পোশাকে
রাজনীতির আঙিনায় রাজার নীতির
পতাকা করে উত্তোলন,
আর ধর্ম ও সত্য নীচে উলঙ্গ রয়।
( লেখা ৮ই ডিসেম্বর'২০২৪)

Sunday, December 7, 2025

বিচিত্রাঃ ২১৬

পা করছে মাথার কাজ
মাথার স্থান পায়ে!
পায়ে পায়ে ঘুরছে জগৎ
জীব মরছে মাথার ঘায়ে!!

ঠাকুর সব দেখছো তুমি তবুও তুমি চুপ!
তোমায় নিয়ে সবাই খেলছে খেলা, ফাটকা খেলা;
শুধু খেলা তো নয় প্রভু! তুমি দাবার বোড়ে অভিরূপ!!

ঠাকুর পূজা শীতলা পূজা, মনসা পূজা, 
গণেশ পূজা, শিব পূজা, সন্তোষী পূজা 
ইত্যাদি পূজার নয়রে সমার্থক; 
ঠাকুর তোমার জ্যান্ত ঠাকুর, জীবন দাঁড়া, জীবন মেরু, 
বাঁচা-বাড়ার উদ্বোধক।

ঠাকুরকে নিয়ে করছো ছেলেখেলা! হেলাফেলা!! অবহেলা!?
ঠাকুর তোমার যেমন দয়াল, তেমনি জেনো ভয়াল;
শুধরে নাও নিজেকে এবেলা।

অন্যের নামে রটিয়ে মিথ্যে কুৎসা হ'লে ইষ্টনিষ্ঠ!?
দয়াল কিন্তু ভয়ংকর ভয়াল
বুঝলে না বন্ধু!
ক'রো না নিজেকে কপটতায় হৃষ্টপুষ্ট।

মাঝে মাঝে ভাবি এই পরিস্থিতির জন্যে কে দায়ী!
বলি, কার দোষ মন!?
ঠাকুর! এই-ই কি
Transitional Period-এর লক্ষ্মণ!!

সীমাহীন অশ্রদ্ধার হ'য়ে চলেছে চাষ!
শ্রদ্ধাবান মহাত্মার ঘরেই সেই চাষার বাস!!

শ্রদ্ধাবান মহাত্মার ঘরেই যদি হয় অশ্রদ্ধার চাষ;
হে প্রভু! কোথায় তবে জীবাত্মার মুক্তির আশ!?

পরমাত্মা আর জীবাত্মার মাঝে লক্ষ যোজন ফাঁক।
হে মহাত্মা! বাড়িয়ে হাত দাও তুমি
যত দ্বন্দ্ব যাক ঘুচে,
ফাঁক ভরাট হ'য়ে যাক।

হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ইত্যাদি কার সৃষ্টি?
ঈশ্বর না মানুষ?
পরমাত্মা না মহাত্মা?
জীবাত্মাকে বাঁচাবে কোন কৃষ্টি!?

"ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে"----কবে?
যেদিন দেশের মাথার উপর থাকবে পুরুষোত্তম 
আর তাঁর নীচে থাকবে মানুষ-মানুষ-মানুষ।

"ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে।"--ইউটোপিয়া? 
দেশের মাথায় যদি না থাকে পুরুষোত্তম, হ্যাঁ ইউটোপিয়া; বকান্ডপ্রত্যাশা।

"ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে।" কখন? 
দেশে হিন্দুধর্ম, মুসলমানধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ইত্যাদি ব'লে যখন
কোনও ধর্ম থাকবে না, তখন।

ভারত ধর্মে মহান হবে,
কর্মে মহান হবে!
বিশ্বের বুকে, ইতিহাসে ধর্মে কর্মে
রাজার স্থান লবে!!

নিজের জীবনের পাই না তল,
নাই ঠিক তাল;
অন্যের জীবনের খুঁজি তল,
খুঁজি তাল; শালা বেতাল!!
( লেখা ৭ই ডিসেম্বর' ২০১৭)

ভালোবেসো আর ভাল রেখো সবাইকে
অশেষ ভালো আসবে ফিরে
তোমার জীবন আকাশে।

প্রেম বিনা কি প্রেম পাওয়া যায়?
প্রেমহীন জীবন কেমন সে জীবন হায়!!

Generation Gap
Means
Gap Of Thinking, Seeing, Knowing & Understanding 
Between Young & Older

Generation Gap Is Nothing
But Lack Of Understanding Between 
Experienced & Non-Experienced.

Old Is Gold But
Young Is Imitation
Which Creates Huge Generation Gap.
( লেখা ৭ই ডিসেম্বর' ২০১৮)

































































































































































Saturday, December 6, 2025

বিচিত্রাঃ ২১৫

খারাপ কাজে সমাজে কোনও বাধা নেই, নেই সংশোধনের জন্য তেমন আলোচনা, সমালোচনা বা পর্যালোচনা! কিন্তু ভালো কাজে সীমাহীন বাধা ও কটু সমালোচনা! তাও আবার সমাজের ভালো মানুষের (?) কাছ থেকে।সত্য বন্ধু! কি বিচিত্র এই মানুষ!!

বন্ধু!
তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে সত্য দর্শন আর বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে তার প্রয়োগ ও প্রকৃত অনুভূতি এই দুইয়ের মাঝে হাজার যোজন ফাঁক!
(লেখা ৬ই ডিসেম্বর'২০২১)

বিচিত্রাঃ ২১৪

চারিদিকে আঁধার বড় একা লাগে! 
আঁধারেতে দাও আলো প্রভুযেন মনে আশা জাগে।

আহাঃ! কি আনন্দ জি ডি বিড়লার আকাশে বাতাসে!
অধ্যক্ষার অপসারণ,
জয়ের আবেশে অভিভাবক হাসে উল্লাসে!!
হতাশে শিশুর মরণ?
( লেখা ৬ই ডিসেম্বর' ২০১৭)

ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি কে দরিন্দও কা এনকাউন্টার!
মানবতাবাদী জলদি উতার!!

ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি কো ইনসাফ!
ইন্তেজার মে হ্যায়, দেশ কুছ দিনোমে হনেবালা হ্যায় 
ফির বলাৎকার খোফনাক!!

মানবতার ঠিকাদার, আইনের ঠিকাদার ও 
রাজার নীতির ঠিকাদাররা নেবে পড়েছে 
ময়দানে ডঃ দিশার বলাৎকারীদের 
এনকাউন্টার প্রশ্নে!! বাহঃ!!!

মেনকা গান্ধী পশু প্রেমী হ্যায় 
ইসলিয়ে নারী হোতে হুয়ে ভি 
ডঃ দিশা কে ফেবার মে নেহি হ্যায়! 
বলাৎকারী পশু কে পক্ষস মে হ্যায়!?

রাম রাজ্য মে এক ব্রাহ্মণ পুত্র কি অসময় মে মৃত্যু হুয়া থা 
ইসলিয়ে রামসে ব্রাহ্মণ পিতা জবাব মাঙ্গা থা 
আগর এয়াসা ঘটনা হোতা তো ক্যা হোতা!?

দেশ মে আজ যো পরিস্থিতি হ্যায় উসমে লেড়কিও কো লিয়ে সাইকেল ইয়া পড়ায় সে জরুরী হ্যায় রিভলবার?

রেপ আজ এক তামাশা হ্যায় আউর 
ইসসে জাদা তামাশা হ্যায় বিচারব্যবস্থা! মানবতাবাদ!

মহিলা সাংসদ, বিধায়ক, নেত্রী আজ 
বলাৎকারীর এনকাউন্টার প্রশ্নে বিভক্ত!
কেন? পুরুষতান্ত্রিক সমাজ! তাই!?

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী তোমার প্রকৃত শত্রু কে তা জানো কি!? যদি না জানো তাহ'লে নারী তুমি আগে নারীকেই জিজ্ঞেস করো!!

নারী তুমি পুরুষের বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে, বিষোদ্গার করার আগে, নারীবাদী হওয়ার আগে তোমার প্রকৃত শত্রু কে তা আগে চিনে নাও!

এখনও কি সময় আসেনি কে নারী আর কে আনাড়ি নারী 
তার দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি প্রমাণ হওয়ার!?

কে আজ নারী? কে আনাড়ি নারী?
বলাৎকারীর পক্ষে যে সে নাকি যে বিপক্ষে!?

পশু চিকিৎসক ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ( দিশা) পক্ষে নেই 
পশু প্রেমিক মেনকা গান্ধী!?!?
( লেখা ৬ই ডিসেম্বর'২০১৯)





















































































রিভিউঃ ঐশিকা বসুর ছোট গল্প 'সরকারী চাকরি' প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা।.

ঐশিকা বসুর ‘সরকারি চাকরি’ গল্পটা পড়লাম। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা একটা নতুন স্বাদের গল্প। সম্ভাবনাময় কলম ও তার সুপ্ত শক্তির আগামী সংকেত এক ঝলক আলো ফেলে গেল লেখাটায়। প্রথমেই বলি, চাকরি সরকারি, সত্যি খুবই দরকারি। তবে একইসঙ্গে এমন বিয়োগান্তক পরিণতি ও ব্যাঙ্গাত্মক পটভূমিতে সরকারী চাকরি!? রাজনীতি ও সরকারী নপুংশতার নজিরবিহীন ছবির প্রদর্শনী গল্পের ছোট্ট পরিসরে সবাক বাহবা না নির্বাক বিস্ময় কোনটা প্রাপ্য? কলমচি দ্বিধাগ্রস্থ! গল্পের শাঁস লাল সিগন্যালের মত সমালোচনার জন্য বিশেষণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুহূর্তের জন্য কলমের গতি থামিয়ে দেয়, এর জন্য ঐশিকাকে

নাড়ির টানের মহিমা আবার প্রমানিত আগাম সাড়া পাওয়ার অতীন্দ্রিয় শক্তির প্রশ্নে। তাই মায়ের কথা না শোনার পরিণতি অবশ্যম্ভাবী। তথাকথিত পড়াশোনায় ভালো ছেলে বা বন্ধুত্বের চরিত্রের প্রশ্নে শাওন বা সন্দীপনরা-ই সমাজের আদর্শ। পদবিগুণের মাহাত্ম্য আজও ক্ষমতা দখলের প্রশ্নে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আসন সংরক্ষণ বা দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থান প্রশ্নে মাপকাঠি দারিদ্রতা বা পিছিয়ে পড়া জাতি নয়, মাপকাঠি এক টুকরো সরকারী সীলমোহর দেওয়া কাগজ আর দাদাভাইয়ার যোগাযোগ। যার কোনটাই দুপুরের ছিল না। ঐশিকা এটাই দুপুরের drawback বা অযোগ্যতা। যা পাশের বাড়ির দর্পণ বা অনুপের চাকরি পাওয়ার প্রশ্নে দুপুরের মনে সার্থকভাবেই প্রতিফলিত। অমিত, রাহুলের মত পথভ্রষ্ট বন্ধুরা এখনো আছে বলেই সূর্য পুর্ব দিকে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়। এরা বাড়ির খেয়ে মোষ তাড়াতে সিদ্ধহস্ত। এদের মত কারও কারোর মধ্যে একটা অপরাধবোধ কিছুটা হলেও কাজ করে যেহেতু এরা তথাকথিত ভালো বা ভদ্রছেলে বা বন্ধু নয়। তবে এরা উত্তর মেরুতে একজন থাকলে অন্যজন দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান করে। আর ঐশিকা অমিতদের মুখে অশ্লীল শব্দপ্রয়োগে সাহসিকতার সঙ্গে বলিষ্ঠ মানসিকতার মধ্যে দিয়ে বাস্তবতার প্রকাশ ঘটলেও সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া কিম্বা শব্দ অসম্পুর্ণ রেখে সম্পুর্ণ অর্থ প্রকাশের কৌশল রপ্ত করা যেতেই পারে। মাইগোলা কোম্পানীতে দুপুরের রেজিগনেশনের প্রশ্নে ঐশিকার কলমে ‘যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর’ ঘুরিয়ে আবার প্রতিষ্ঠিত। আর এক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ী মহলে অনার্য ব’লেই খ্যাত। এদের কাছে কর্মীদের জীবনের কোন মুল্য নেই। কর্মীদের একথা মাথায় রাখতে হবে। আর মাথায় রাখতে হবে এখানে যারা মাথায় ব’সে কাজ করে তারা মানবিক দিক থেকে ল্যাংড়া। আর দুপুর সঠিকভাবেই বলেছে, সে প্রয়োজনের তুলনায় এখানে কিছুই পেত না। আর এর থেকে ভাল খবর আর কিছুই হ’তে পারে না। প্রকারান্তরে পা ভালো থাকতেও মানসিকভাবে সে তো সবদিকেই ল্যাংড়া-ই ছিল। আর নতুন ক’রে না-হয় বোমার আঘাতে শারীরিক ভাবে ল্যাংড়া হ’ল। তা-তে কি! বিনিময়ে আর্থিক ল্যাংড়ামো তো ঘুচল! এই সমাজ ব্যবস্থায় কিছু হারিয়েই তো কিছু পেতে হয়! এর থেকে বেশী আর কি? এ-তো আর রাম রাজ্য নয়। ঐশিকা সমাজকে কলমের খোঁচায় ল্যাংড়া ক’রে দিল, না-কি রেখেঢেকে রাখা ল্যাংড়া সমাজকে উলঙ্গ ক’রে দিল দিনের আলোয় সকলের মাঝে!? কোনটা? এখানেও কলমচি দ্বিধাগ্রস্থ। সাবাশ ঐশিকা, সাবাশ!!!

Thursday, December 4, 2025

কবিতাঃ চাই না কিছু।

শ্রীশ্রীঠাকুরের রাতুল চরণে কোটি কোটি প্রণাম!
আশীর্বাদ করো যেন করতে পারি নাম অবিরাম।
ঠাকুর তোমার কাছে চাই না কিছু আর,
চাই না বাড়ি গাড়ি, চাই না সোনা রুপা হীরে মোতিয়া;
চাই শুধু তোমার সেবা করার 
অধিকার
আর চাই শয়নে স্বপনে জাগরণে
অবগাহনে ভোজনে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
দিবানিশি তোমার কথা বলার আশীর্বাদ।
প্রভু চারিদিকে অবিশ্বাস আর ভন্ডামি মাঝে
চাই শুধু ছোট্ট হ'লেও একটা শান্তির নীড়,
তোমায় পেতে একাকী এড়িয়ে নেতিবাচকের ভিড়
ক'রে নিতে তোমারে প্রভু জীবন সাথীয়া!
আর, প্রভু মধুরেন সমাপয়েৎ চাই,
নিশ্চিত আরামদায়ক বিদায় আনন্দে মাতিয়া!
( লেখা ৫ই ডিসেম্বর'২০২০)



Tuesday, December 2, 2025

সৎসঙ্গী সাবধান। ( লেখা ৩রা ডিসেম্বর'২০২৪)


বিচিত্রা" ২১৩

জীবন্ত ঈশ্বর ছাড়া জীবন;
সেই জীবনের নাম যন্ত্রণা।
যন্ত্রনার যাঁতাকলে পিষে মরে জীবন,
কে শোনাবে মুক্তির মন্ত্রণা!?

মূর্তি পূজায় নেই ফুর্তি; নিরাকার? 
নেই কোনও প্রাণ। আকাশের ভগবান? 
জেনো হৃদয়ে নেই তার কোনও স্থান।
নেই কোনও আকার।

 ধর্ম পালন মানে? 
বুকের মাঝে ভরপুর অক্সিজেন পরিবেশন। 
আর তা হয় না
অথচ ধর্মকথা কথন?
জেনো কাকস্য পরিবেদন।

আপনার ধর্ম পালন যেন অন্যের 
অসন্তোষের না হয় কোনও কারণ।

মতে অমিল পথে গোঁজামিল তবুও গন্তব্য নাকি এক!
আদর্শে গঞ্জনা, শ্রদ্ধাস্পদে লাঞ্ছনা তার সাথে বন্ধুত্ব!? 
ভন্ডামি কিনা ভেবে দ্যাখ।
( লেখা ৩রা ডিসেম্বর'২০১৭)

রাম ভক্ত আর রামের ওপর খড়্গহস্ত 
দু'পক্ষই শেষমেশ রামকে ধ'রে মারো টান 
সমস্যা যত হবে খানখান ধান্দা পূরণ হবে অশেষ। 

ডান বাম সওয়াল জবাব হরদম!
কে বেশী? কে কম?
একে জয় অন্যের যম।
( লেখা ৩রা ডিসেম্বর'২০১৮)

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী যতই আগ্রাসী ভূমিকা পালন করুক না কেন আসল সময়ে ঝোলা থেকে বেরিয়ে পড়বে বেড়াল।
সত্যিই কি তাই? সবটাই উঠবে ভেসে যদি করো একটু খেয়াল।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারী কি পরাধীন?
ইষ্টবিহীন সমাজব্যবস্থায় নারীপুরুষ উভয়েই পরাধীন,
রিপুর দাস, বৃত্তি-প্রবৃত্তির অধীন।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষই শেষ কথা, সে যে নারী আর যত বড়ই নারীই হ'কনা কেন! নারীর কোনও মূল্য নেই এই ঝাঁ চকচকে ফাঁপা সমাজ ব্যবস্থায়! তাই ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিরা এভাবেই স্বাধীন ভারতের মাটিতে মারা যাবে নিঃশব্দে-নীরবে! 
কারণ ইষ্টবিহীন ব্যবস্থা শয়তানতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। 

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় তখনই নারীরা ঝাঁসির রাণীর চেয়েও ঝাঁঝালো ও মমতাময়ী হ'য়ে উঠবে যখন পরমপিতার আশ্রয় তাদের একমাত্র আশ্রয় হ'য়ে উঠবে।

নারী যতদিন থাকবে আনাড়ি
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জীবনে পড়বে দাঁড়ি! 
নারীও নারীর সাথে করবে আড়ি! কারণ সবাই ব্যাপারী!


শুরু হ'য়ে গেছে ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি!!! 
ওয়াহ! হ্যাটস অফ রাজনীতি!!-

আবার মোমবাতি! আবার বাতাবাতি!!
ওয়াহ! চ্যানেলে চ্যানেলে দিনরাত্রি
বলাৎকারের পক্ষে-বিপক্ষে মাতামাতি!!!

বলাৎকারী-অপরাধীর মুখ ঢাকা থাকা মানে তাকে সমাজে পরবর্তী বলাৎকার-অপরাধ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য দরজা খুলে রাখা!?

নারী! কেউ নেই তোমার পাশে!
আছে শুধু তর্ক-বিতর্ক!
আছে শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান পক্ষে-বিপক্ষে !!

এসো সবাই আনন্দে থাকি!
পরমপিতার নাম আনন্দে থাকার ধাম!!

ফেসবুক বৃত্তি-প্রবৃত্তিকে সুড়সুড়ি দেওয়ার বলিষ্ঠ মাধ্যম?
( লেখা ৩রা ডিসেম্বর'২০১৯)









Monday, December 1, 2025

উপলব্ধিঃ ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির অপমানজনক নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদ।

ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির অপমানজনক নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদ, বিচার আজকের এই ভারতে হবে না এটা নিশ্চিত। কোনোদিন যদি আবার এই ভারতে আর্য্য সমাজ ব্যবস্থা ফিরে আসে, রাম রাজ্য কায়েম হয় তাহ'লে সেদিন এইরকম নৃশংস অপমানকর মৃত্যুর সম্ভাবনা কল্পনাতেও আসবে না আর যদি কোনও কারণে দুর্ঘটনা ঘটেও থাকে তাহ'লে বিচার শুধু নয় দ্রুত কঠিন বিচার থাকবে অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এই নৃশংস মানসিকতার মোকাবিলায় নারীর কর্তব্য সম্পর্কে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সরাসরি স্পষ্ট বললেন,

"ধর্ষণমুখী যদিই বা হ'স
পরাক্রমী মেয়ে,
মারবি না হয় মরবি তখন
রাখিস কীর্তি ছেয়ে।"
-----------শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল।

আজকের নারীরা বুঝে নিক তাদের কি রকম জীবনের অধিকারী হ'তে হবে। স্বয়ং ঈশ্বর মানুষের রূপ ধ'রে এসে সরাসরি খোলামেলা ঘোষণা করলেন এইরকম পরিস্থিতিতে নারীদের কি করণীয়। তিনি স্পষ্ট দ্বিধাহীন চিত্তে মেয়েদের বললেন পরাক্রমী হ'তে। বললেন, এইরকম অপমানজনক পরিস্থিতিতে দ্বিধাহীন চিত্তে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে কীর্তি ছেয়ে যেতে! আর এই কীর্তি কোনো দয়ামায়ার কীর্তি নয়, পরাক্রমী মেয়ের এই দরিন্দাদের মেরে মরার কীর্তি আর মারার যদি কোনও উপায় না থাকে তাহ'লে এই দরিন্দা নামর্দদের কাছে আত্মসমর্পণ নয় সরাসরি মৃত্যুকে আলিঙ্গনের কীর্তি! যেমন আজও ইতিহাস হ'য়ে আছে চিতোরের রাজপুত রমণীদের অগ্নিকুণ্ডে আত্মবলিদানের কাহিনী। আশা করি দেশের নারী সমাজ, লেখাপড়া জানাওয়ালা নারী একবার শ্রীশ্রীঠাকুর সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করার আগে তাঁর বিস্ময়কর জীবনে আলোকপাত করবে।

প্রসঙ্গঃ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের নির্দেশে বাংলাদেশে উৎসব অনুষ্ঠান বন্ধ।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুধাবন ক'রে যদি শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের নির্দেশে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭তম জন্ম মহোৎসব অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে থাকে তাহ'লে "সব মাটি হয়ে গেল, আমরা দুঃখিত" ভাবার কোনও কারণ নেই। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নির্দেশ, নিদেশ আর আদেশ মানেই শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশ, নিদেশ ও আদেশ। তাই শ্রীশ্রীআচার্যদেব যদি কিছু ব'লে থাকেন তাহ'লে তা' মাটি হবার হাত থেকে আগাম রক্ষা পাওয়ার জন্যেই বলে থাকেন; ফলে আমরা ভবিষ্যৎ বিপদ থেকে আগাম রক্ষা পেয়ে হ'ই আনন্দিত। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদে যদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে আবার তাঁর নির্দেশেই যদি পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনুযায়ী অনুষ্ঠান বন্ধ হ'য়ে থাকে তাহ'লে তার মধ্যে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ মঙ্গল নিহিত আছে। যদি ভবিষ্যৎ অকল্যাণ থেকে বাঁচতে হয় ও বাঁচাতে হয় পরিবার পরিজন সমাজ ও দেশকে তাহ'লে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদ ও আদেশ সৎসঙ্গীদের কাছে শেষ কথা। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদ, আদেশ, র্নিদেশ ও নিদেশ ছাড়া এই ভয়ংকর পৃথিবীতে এক পা-ও আগে চলার উপায় নেই সৎসঙ্গীদের। সৎসঙ্গীদের মহাভাগ্য তাদের সামনে শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীশ্রীআচার্যদেব রূপে সৎসঙ্গীদের সামনে জীবন্ত আছেন। এই ভয়ংকর অন্ধকার পরিবেশে হাত ধরে সঠিক পথে নিখুঁতভাবে চালিত করার আমাদের সামনে শ্রীশ্রীআচার্যদেব ছাড়া আর কেউ নেই। এই সুযোগ অবহেলা করবেন না। যে অক্ষরে অক্ষরে অন্ধের মত মেনে চলবেন শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আদেশ, নির্দেশ ও নিদেশ দিনের শেষে সে রক্ষা পাবে নতুবা পরিণতি হবে ভয়াবহ, হবে ভয়ংকর। কারণ শয়তান সবসময় অপেক্ষায় আছে, ব্রহ্মতালুতে ছোবল মারার, যেখানে তাগা বাঁধার আর কোনও উপায় থাকবে না। তাই, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থায়ই কারও কথায় প্ররোচিত হবেন না ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নির্দেশ ছাড়া এক পা-ও ফেলবেন না। যে কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও মূল্যে যে কোনও কষ্ট সহ্য ক'রে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আদেশ ও নির্দেশ রক্ষা করবেন।
আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন সাবধান!
আর, একটা কথা, শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে যখনই কেউ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য যাবেন কিংবা কেন্দ্র মন্দিরের কোনও সাংগঠনিক কাজের জন্য, উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি নিতে যাবেন বা কি করণীয় তা' জানতে যাবেন তখন সিরিয়াসলি মনোযোগ সহকারে শুনবেন, খেয়াল রাখবেন শ্রীশ্রীআচার্যদেব ঠিক কি বলছেন। বুঝতে না পারলে আবার জিজ্ঞেস করবেন। তাঁর প্রতিটি শব্দ ও বাক্যের ওপর ধ্যান দেবেন, প্রয়োজনে লিখে রাখবেন, পরে বারবার পড়বেন, সবাই মিলে ত্রুটিহীন বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি ঠিক কি বলতে চেয়েছেন, তাহ'লে দেখবেন দুর্ভোগে পড়বেন না কিছুতেই।
আমার দীর্ঘ বহু বছরের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি শেয়ার করলাম। জয়গুরু। ( লেখা ২রা ডিসেম্বর'২০২৪)