জীবন জুড়ে কেবল হিংসার বীজ করছে রে ভাই কিলবিল!জ্ঞানের ঢাক পেটাচ্ছে সবাই
আর
ছড়াচ্ছে মৃত্যুর ফসিল!!
আদর্শ নেই জীবনে আর থাকলেও তা' ভন্ডামিতে পূর্ণ!
মারছো জ্ঞানের হাঁকডাক
যেমন ফাঁকা কলস শূন্য!!
যেদিকে তাকাও ঝাঁ চকচক চেহারা আর কথার ফুলঝুরি!
শালা বুকের ভেতর লুকিয়ে আছে মিথ্যে ভুরিভুরি!!
সৎসঙ্গকে বলেছো পাপসঙ্গ
আর
মায়েদের বলেছো মাগী!
সেই সৎসঙ্গেই আজ পড়েছো ঢুকে
আর ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে সেজেছো যোগী!!
বন্ধু! তুমি আমায় বলছো উচ্ছৃঙ্খল?
ছেলে তোমার বলছে আমায়, পিতার পরিচয়ে চাহিয়া না বাঁচিতে,
চাই ছিন্ন হ'ক শিকল!!
যৌবনের পাগলা ঘোড়ায় চেপে
ছুটছো হারিয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞান! দাঁড়াও বন্ধু!
দাঁড়াও পথিক!
ছুটে চলো তুমি, তাঁর চরণ তলে রেখে ধ্যান।
চতুর্দিকে শুধু আঁধার আর আঁধার
হাত ধ'রে তোমার হাঁটছি আমি পথ
তোমার সাথে যাবো আমি তুমি আমার জীবনস্বামী
আসছে যে ঐ অমর ধামের রথ!
প্রভুর আসনে আছো ব'সে তুমি কে? কে তুমি?
সিংহাসন করো খালি, নেমে এসো ত্বরা করি;
গুরুগিরি ছেড়ে ধরো তাঁর চরণ যুগল
নইলে রসাতলে যাবে তুমি, যাবে আত্মাভূমি।
গুরুগিরি ক'রে বন্ধু ভরছে কি তোমার পেট,
বাড়ছে কি তোমার জীবনের মান? শিষ্যকুলকে বানিয়ে বোকা
করছো নিজের জীবনকেই খানখান!!
বুক ফাটিয়ে দু'হাত জুড়ে সুর চড়িয়ে
বলছো হেঁকে 'জয়গুরু'!
তাই না শুনে আর তোমায় দেখে
গুরুভাইবোনের বুক করছে দুরুদুরু!!
বুক তো নয় যেন শুষ্ক ভূমি মরু!!
কা'কে দিচ্ছ বন্ধু ফাঁকি আর কার বুকে
করছো শঠতার আঁকিবুঁকি?
ঠাকুর কি তোমার মাটির ঠাকুর
নাকি আকাশের ঠাকুর!?
ধরতে পারছে না তোমার চালাকি!?
'জয়গুরু' ব'লে দিচ্ছো হাঁক
হৃদমাঝারে লুকিয়ে জাঁক!
অহং বোধের পুঁজি নিয়ে ভাইগুরু 'সৎনামে জগৎ মাতাও'
ব'লে করছো হাঁকপাঁক!!
ঝোলা ব্যাগ ঝুলিয়ে কাঁধে একদা
গেয়েছিল সাম্যবাদের গান
সেজেছিল বিপ্লবী মহাগুরু
সেই ট্রাডিশান চলেছে সমানে
এসেছে সাদা পোশাকের বান
আর কালো ব্যাগের শুরু!!
দীক্ষা নিয়ে সাদা পোশাকে হয়েছি কেউকেটা।
হয়েছি বাঁশের চেয়ে কঞ্চি আমি দড়!
ভুলেছি ঠাকুরের বাণীঃ
"সাধু সেজো না, সাধু হবার চেষ্টা করো।"
ঈশ্বর ছাড়া জীবনের আরেক নাম যন্ত্রণা!
মুক্তি নেই এর হাত থেকে
কারণ
জন্মেই পেয়েছো মূর্তি পূজার মন্ত্রণা!!
ঈশ্বর মানেই জীবন্ত ঈশ্বর
তাঁকে না মেনে করছো তুমি
শুধুই মূর্তিপূজা!
মূর্তি পূজার নামে বৃত্তি পূজার
করছো আরাধন
পেতে রিপুর মজা!!
( লেখা ১৪ই ডিসেম্বর'২০১৭)